![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখ আমার একটাই, "কেউ আমাকে একটু অকৃত্রিম ভালবাসা দিল না।"
যদি এনসিপি (ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) রাষ্ট্র ক্ষমতায় দ্রুত অধিষ্ঠিত হতে চায়, তাহলে তাদের জন্য একটি সাহসী ও দূরদর্শী কৌশল হতে পারে—দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কারণ রাজনীতিতে একটি পুরনো প্রবাদ আছে—“ফল না পাকলে পচবে না।” অর্থাৎ, কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে জনসমক্ষে উদঘাটন করতে হলে তাদেরকে ক্ষমতায় এনে তাদের প্রকৃত রূপটি দেখার সুযোগ দিতে হবে।
বিএনপিকে পচানোর জন্য যদি কেবল বিরোধী অবস্থান থেকেই সমালোচনা করা হয়, তবে তা যথেষ্ট নয়। কারণ, ড. ইউনুচ যেই ফর্মুলায় বিএনপিকে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিয়ে জনসমর্থন কমানোর চেষ্টা করছেন, তা কার্যকর হচ্ছে না। বরং এই ফর্মুলা বিপরীত ফল দিচ্ছে— বিএনপির যেকোনো বেআইনি কর্মই এখন ড. ইউনুচের ব্যর্থতা হিসাবে দেখা হচ্ছে। জনগণের দৃষ্টিতে, যে রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই, তার সীমাবদ্ধতা দৃশ্যমান হয় না, কিন্তু যিনি নেতৃত্বে আছেন, তার প্রতিটি সিদ্ধান্তই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এই অবস্থায় যদি বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে এবং সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একটি তুলনামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। ফলে এনসিপির প্রতি সহানুভূতি ও আস্থা বৃদ্ধি পাবে, এবং দলটি ভবিষ্যতে আরও সংগঠিতভাবে ও বিস্তৃত জনভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতার দিকে অগ্রসর হতে পারবে।
অন্যদিকে, যদি এনসিপি মনে করে জামায়াতে ইসলামী তাদের ক্ষমতায় যেতে সহায়তা করবে, তবে তা হবে এক মারাত্মক রাজনৈতিক ভুল। বাস্তবতা হলো, জামায়াত কখনোই এনসিপিকে সমান শক্তিশালী মিত্র হিসেবে দেখে না। বরং তারা এনসিপিকে নিজেদের অধীনস্থ, নিয়ন্ত্রিত একটি দল হিসেবেই রাখতে চায়— যেভাবে আওয়ামী লীগ সিপিবি, ইনু-মেননসহ অন্যান্য তথাকথিত প্রগতিশীল বাম শক্তিকে ব্যবহার করে থাকে। এই দলগুলো মূলত ক্ষমতাসীনদের ‘দালাল তৈরি’র কারখানায় পরিণত হয়েছে— যেখানে স্বকীয়তা বা স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো মূল্য নেই।
আমরা যারা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, তারা চাই এনসিপি একদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এনসিপি কি সত্যিই রাষ্ট্র পরিচালনার মতো প্রজ্ঞা ও পরিপক্বতা অর্জন করেছে? হয়তো এখনো পুরোপুরি অর্জন করেনি, কিন্তু তারা ক্রমাগত পরিপক্ব হয়ে উঠছে। এই পথটি দীর্ঘ, তবে সম্ভাবনাময়। যদি এখন না-ও পারে, আগামী নির্বাচনে এনসিপি নিশ্চয়ই এক শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।
সুতরাং, এই মুহূর্তে এনসিপির উচিত— জামায়াতের কাঁধে ভর না দিয়ে, স্বকীয় নীতি ও দূরদর্শী কৌশল নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে অবিচল থাকা। জনগণ সবসময়ই বিকল্প চায়, তবে সেই বিকল্পকে বিশ্বাসযোগ্য হতে হয়। বিএনপিকে একটি ‘ব্যর্থ শাসক’ প্রমাণের সুযোগ দেওয়া সেই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের পথ হতে পারে।্বদি এনসিপি (ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) রাষ্ট্র ক্ষমতায় দ্রুত অধিষ্ঠিত হতে চায়, তাহলে তাদের জন্য একটি সাহসী ও দূরদর্শী কৌশল হতে পারে—দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কারণ রাজনীতিতে একটি পুরনো প্রবাদ আছে—“ফল না পাকলে পচবে না।” অর্থাৎ, কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে জনসমক্ষে উদঘাটন করতে হলে তাদেরকে ক্ষমতায় এনে তাদের প্রকৃত রূপটি দেখার সুযোগ দিতে হবে।
বিএনপিকে পচানোর জন্য যদি কেবল বিরোধী অবস্থান থেকেই সমালোচনা করা হয়, তবে তা যথেষ্ট নয়। কারণ, ড. ইউনুচ যেই ফর্মুলায় বিএনপিকে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিয়ে জনসমর্থন কমানোর চেষ্টা করছেন, তা কার্যকর হচ্ছে না। বরং এই ফর্মুলা বিপরীত ফল দিচ্ছে— বিএনপির যেকোনো বেআইনি কর্মই এখন ড. ইউনুচের ব্যর্থতা হিসাবে দেখা হচ্ছে। জনগণের দৃষ্টিতে, যে রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নেই, তার সীমাবদ্ধতা দৃশ্যমান হয় না, কিন্তু যিনি নেতৃত্বে আছেন, তার প্রতিটি সিদ্ধান্তই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
এই অবস্থায় যদি বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসে এবং সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তাহলে জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একটি তুলনামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে। ফলে এনসিপির প্রতি সহানুভূতি ও আস্থা বৃদ্ধি পাবে, এবং দলটি ভবিষ্যতে আরও সংগঠিতভাবে ও বিস্তৃত জনভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতার দিকে অগ্রসর হতে পারবে।
অন্যদিকে, যদি এনসিপি মনে করে জামায়াতে ইসলামী তাদের ক্ষমতায় যেতে সহায়তা করবে, তবে তা হবে এক মারাত্মক রাজনৈতিক ভুল। বাস্তবতা হলো, জামায়াত কখনোই এনসিপিকে সমান শক্তিশালী মিত্র হিসেবে দেখে না। বরং তারা এনসিপিকে নিজেদের অধীনস্থ, নিয়ন্ত্রিত একটি দল হিসেবেই রাখতে চায়— যেভাবে আওয়ামী লীগ সিপিবি, ইনু-মেননসহ অন্যান্য তথাকথিত প্রগতিশীল বাম শক্তিকে ব্যবহার করে থাকে। এই দলগুলো মূলত ক্ষমতাসীনদের ‘দালাল তৈরি’র কারখানায় পরিণত হয়েছে— যেখানে স্বকীয়তা বা স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো মূল্য নেই।
আমরা যারা এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষী, তারা চাই এনসিপি একদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হোক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এনসিপি কি সত্যিই রাষ্ট্র পরিচালনার মতো প্রজ্ঞা ও পরিপক্বতা অর্জন করেছে? হয়তো এখনো পুরোপুরি অর্জন করেনি, কিন্তু তারা ক্রমাগত পরিপক্ব হয়ে উঠছে। এই পথটি দীর্ঘ, তবে সম্ভাবনাময়। যদি এখন না-ও পারে, আগামী নির্বাচনে এনসিপি নিশ্চয়ই এক শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।
সুতরাং, এই মুহূর্তে এনসিপির উচিত— জামায়াতের কাঁধে ভর না দিয়ে, স্বকীয় নীতি ও দূরদর্শী কৌশল নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে অবিচল থাকা। জনগণ সবসময়ই বিকল্প চায়, তবে সেই বিকল্পকে বিশ্বাসযোগ্য হতে হয়। বিএনপিকে একটি ‘ব্যর্থ শাসক’ প্রমাণের সুযোগ দেওয়া সেই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের পথ হতে পারে।
২| ০১ লা জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭
ফেনিক্স বলেছেন:
রাজাকারেরা পরাজিত হয়েছিলো; তাদের সন্তানেরা আমেরিকান ক্যু'এর জল্লাদ হয়ে দেশ দখল করেছে; তারা তাদের বাবাদের মতো পরাজিত হবে।
৩| ০২ রা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: এনসিপি ভেসে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
রবিন.হুড বলেছেন: সঠিক বিশ্লেষণ। তবে জনগণ চাইলে জাগ্রত জনতা পার্টি (জাজপা) কে তৃতীয় ধারার শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।