![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক সামান্য ধূলিকনা । সিলিকা কনা , যাতে রোদ লেগে চকচক করে , তাও হতে পারিনি । অতি নগন্য এক ধূলিকনা ।সূর্যের কীরনও যাকে চাকচিক্যতা দিতে পারে না ।
মনবৃক্ষের চেয়ারে পা গুটিয়ে বসে থাকতে থাকতে দিন কেটে যায়। আমার কোথাও যাবার নেই। কোথাও দাওয়াত নেই। দেয়ালে সাঁটানো ফ্যানের মতো ঘুরছে রাত্রিদিন। ভোর! সে তো কোনোদিন আসে নি জানালার এপাশে। ড্রিমবাতির আলোছায়ায় নিজেকে আমার কখনও কখনও সৌরজগতের বাসিন্দা বলে মনে হয়। ভোর-বিকেল একাকার হয়ে বিবাদ বাঁধে হলুদ বাতির ঘরে।
আমার এইসব ভালো লাগে না। দেয়াল থেকে বেরিয়ে বহুদূর হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে। নদীপথ ধরে হিমালয়ে পৌঁছে যেতে পারলে ভালো হত। অথবা সুন্দরবনের কোনো গহীনে।
এখানে প্রেমিকার বিষাদের চিহ্ন আমাকে দাউদাউ করে পুড়ে যায় প্রতিনিয়ত। মায়ের আদুরীকণ্ঠে ছেলেবেলার সূর বাজে ক্ষণে ক্ষণে। স্কুল থেকে পালিয়ে টিকেট ছাড়া ট্রেনের ছাদে আকাশ দেখে দেখে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিং যাবার কৈশোর মনে পড়ে। মনে পড়ে রীনার কথা। টিফিন বিরতিতে স্কুল ব্যাগে একটা চিঠি সে-ই দিয়েছিল প্রথম। চিঠিতে রীনা কী বলেছিল আমার এখনও জানা হয় নি। সেদিন ধরা পড়েছিলাম বাংলা স্যারের হাতে। স্যারের কাছে চিঠিটা এখনও আছে কি না কে বলবে!
এখন আমার কোথাও যাবার নেই। জীবন নিয়ে ভাবতে ভাবতে বিরক্তির হয়ে পড়ছে জীবন। আর ভাবতে ইচ্ছে করে না। এই ফুটপাতের শহরে কুকুরের সঙ্গেও কাটে মানুষের মধ্যরাত। ফুটপাতের একটা কুকুরও যদি আমার সঙ্গে থাকে, আমার নিঃসঙ্গ মনে হবে না।
এই কোলাহল, দালানবাড়ি, অলি-গলি থেকে আমি পালানোর পথ খুঁজি। বৃক্ষের কাছে গিয়ে বিশ্রাম নেব।
১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৮
দুরন্ত কাজী বলেছেন: কদিন যাবত তিনটা রুমে একাই বসে আছি। রাত-দিনের পার্থক্য বুঝি না। এসব-ওসব, একই নিয়মে কতদিন থাকা যায়!
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০৬
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: কাজী! এইসব বিষণ্নতা লিখে লিখে নিজেকে শেষ করছিস! আশার কথা লেখ। প্রত্যাশার কথা লেখ।
তবে লেখাটা ভালোইছে...