![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুক্তচিন্তার একজন মানুষ , আমি বিশ্বাস করি জ্ঞান ও যুক্তির অনুপস্হিতিতে দাবিকৃত কোন মতকেই সত্য হিসাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা উচিৎ নয় ।
যেহেতু সৃষ্টি রয়েছে সেহেতু স্রষ্টাও রয়েছেন এতে কোন ভুল নেই ।কিন্তু তিনি কি রূপে আছেন এবং কি ভাবে সব কিছু সৃষ্টি করেছেন মানবের মূল বিতর্কটা কিন্তু এখানেই । যিনি এই পৃথিবী এবং জীবকুলের স্রষ্টা তিনিই ঈশ্বর, আর এই ঈশ্বরেই নাম হলো ভগবান, গড বা আল্লাহ্ । এখন কথা হলো ঈশ্বর কে যে নামেই ডাকা হোক না কেন তাতে মানুষের সমস্যাটা কোথায় ?
আমরা প্রায় সকলেই যানি মানব সভ্যতার সূচনালগ্নে আদি মানবরা গুহায় ও গাছের গুঁড়িতে বসবাস করতো এবং ক্ষুধা নিবারনের জন্য গাছের ফলমূল আহার করতো । সেই আদিম যুগের মানুষকে বলা হতো ' টোকারে ' । কালক্রমে আগুনের ব্যবহার ও পাথরের তৈরি হাতিয়ার আবিষ্কারের ফলে মানুষ পরিণত হয় শিকারি মানবে । তখন মানুষ দলবদ্ধ ভাবে থাকতে শুরু করে আর এই ভাবেই মানুষের মাঝে গোত্র প্রথার সূত্রপাত ঘটে । একটি গোত্রের মধ্যে যিনি বেশি শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান হতেন সাধারণত তাকেই গোত্র প্রধান নির্বাচন করা হতো । তিনি শিকারে নানান দিকনির্দেশনা দিতেন । গোত্রে আরেকজন ব্যক্তি থাকতেন যিনি রোগে আক্রান্তদের ও আহতদের বিভিন্ন ঔষধির মাধ্যমে সুস্ত হয়ে উঠতে সাহায্য করতেন তাকে বলা হতো ' ওঝা ' । এই ওঝারা ছিলেন যথেষ্ট জ্ঞানি ব্যক্তি। এই ভাবেই মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিক প্রতিকুলতার মাঝে বেঁচে থাকার কৌশল আর জ্ঞান এর চর্চা চলতে থাকে । আর এই সুযোগে একজন দলপতি আর ওঝাই হয়ে উঠেন গোত্রের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি ।
বিরূপ প্রকৃতি আর বনজঙ্গলে লুকিয়ে থাকা বিষাক্ত ও হিংস্র জন্তু জানোয়ারের কারণে সদা বিপদগ্রস্ত মানুষ প্রাণভয়ে প্রকৃতিকে তুষ্ট করার চেষ্টায় নানান ধরনের অভিনব নানান বিষয়ের অবতারনা ঘটানোর মাধ্যমে এক ধরণের মিথ এর জন্ম দেয় । কালক্রমে যা আমাদের মধ্যে ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায় ।
প্রথম প্রথম গোত্র প্রধান এইসব ধর্মিয় বিষয়গুলি নিজে দেখাশোনা করলেও পরবর্তীতে প্রশাসনিক ব্যস্ততা এবং আরাম আয়েশে অভ্যস্ত হয়ে উঠার কারণে ভিন্ন আরেকজন ব্যক্তিকে এই কাজে নিয়জিত করেন, আর তিনিই হলেন ' পুরুহিত ' ।
কালক্রমে মানব সভ্যতা যত এগিয়েছে কিছু ব্যক্তি ক্ষমতাবান আর বিত্তবান হয়ে উঠেছে এবং তারা তাদের ক্ষমতা আর বিত্ত ধরে রাখার জন্য ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে ধর্মের নামে শাসন আর শোষণ চালিয়ে গেছেন ।
ঈশ্বর বিশেষ কায়দায় কোন প্রকার ধর্মের সৃষ্টি করেছেন এমন ভাবনার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই । ঈশ্বর সৃষ্টিলগ্নেই মানুষের মধ্যে জ্ঞান এর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন । এইটি চর্চার মাধ্যমে বিকাশ লাভ করবে এটাই স্বাভাবিক। যদি তাই না হবে তাহলে ধর্মবতারদের ঈশ্বর মর্তে এসে জ্ঞান দান করলেন , কিন্তু বিজ্ঞানিদের কে জ্ঞান দান করলেন ?
ধর্ম সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি কখনও স্রষ্টার কাজ হতে পারেনা এইটি মানুষেরই কাজ এতে কোন ভুল নেই । ঈশ্বর কে ডাকার জন্য কোন বিশেষ ভাষা বা কোন ভঙ্গীর ও নিদৃষ্ট কোন দিকের প্রয়োজন পড়ে না ।
তিনি সব ভাষা বোঝেন এবং সর্বত্রে বিরাজমান একক সত্ত্বা ।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৫
যাযাবরমন বলেছেন: "ঈশ্বর সৃষ্টিলগ্নেই মানুষের মধ্যে জ্ঞান এর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন"
আমিও একই ধারনা পোষন করি। একবারে শুরুর দিকে একবার লিখেছিলাম," মানুষের জন্য যত জ্ঞান, প্রভু তা ডিএনএ-তেই দিয়ে দিয়েছেন, তারপর যে যেভাবে সাধনা করে সেভাবেই সে উন্নতি করে। আল্লাহ তার ব্রেনের সেদিকের দরজা খুলে দেন। কেউ হয় সাহিত্যিক, কেউ বিজ্ঞানী।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
চলেপথিক বলেছেন: প্রথম পাতায় প্রকাশিত জনাব কবির আহমদ শাহ্ অভিজিৎ রায় কে যে ভাবে উপস্হাপন করার চেষ্টা করলেন তা পড়ে চুপ থাকা গেলনা ।
তর্কের খাতিরে যদি মেনে নেই অভিজিৎ শুধুই আল্লাহর নবী কে অসম্মান করার জন্যই উক্ত ঘটনাটি উপস্হাপন করেছেন ।
জনাব কবিরের বক্তব্য অনুযায়ী দেখা যায় অভিজিৎ কোন মিথ্যা তথ্য উপস্হাপন করে নাই ঘটানাটি সত্য । তাহলে প্রশ্ন হল পরাজিত পক্ষের ধন সম্পদ গণিমতের মাল হিসাবে গ্রহণ করাটা হয়তো দোষের নয় কিন্তু তাদের স্ত্রী কন্যাদের ভোগ করার কাজটি কি অমানবিক ও অনৈতিক নয় ? ব্যক্তিগত ভাবে নবী এদের ভাগ নিজে গ্রহণ না করে আজকের মুসলমানদের বিব্রত হয়া থকে রক্ষা করতে পারতেন এবং কতিপয় মুসলমানকে উনার ইজ্জত রক্ষার জন্য অজকে জল্লাদের ভুমিকায় অবর্তিন্ন হতে হতোনা । এই কাজটি করে রাসুল কি নিজেকে কেন একজন সাধারণ সৈ্নিকের স্তরে নিয়ে আসেননি ?