![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মুক্তচিন্তার একজন মানুষ , আমি বিশ্বাস করি জ্ঞান ও যুক্তির অনুপস্হিতিতে দাবিকৃত কোন মতকেই সত্য হিসাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা উচিৎ নয় ।
মহান দার্শনিক কার্ল মার্ক্স এর একটি বিখ্যাত উক্তি “ ধর্মের সমালোচনাই হচ্ছে সব আলোচনার মূল ভিত্তি “ মার্ক্স কেন এমন একটি কথা বললেন ? আমার যদিও আনেক আগে থেকেই মার্ক্স একটু আধটু পড়া ছিলো , কিন্তু কখনও বিষয়টিতে তেমন গুরুত্ব আরোপ করিনি । কেন যেন আমার মনে হয়েছে কমিউনিজম ধর্মকে স্বীকার করে না বলেই হয়তো কার্ল মার্ক্স এমন কথা বলেছেন । কিন্তু একটা সময়ে এসে বুঝলাম ধর্মের সমালোচনা মানুষের জ্ঞান অর্জনে যে বিশাল ভুমিকা রাখে তা অন্যকোন ভাবে এত সহজে হবার নয় । কারণ ধর্মমতের মত শক্তিশালী ও আদিম একটি বিষয়ের পক্ষে-বিপক্ষে কিছু বলতে হলে অবশ্যই আপনাকে অনেক কিছু জানতে হবে, আর জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে । পড়ার জন্য চাই উপযুক্ত বই যার তালিকাটাও নেহাত একটা ছোট নয় । কিছু জানতে হলে পড়তে হবে , শুধু ‘বিশ্বাস ‘দিয়ে আর যাই হোক সঠিক আর বেঠিক এর পার্থক্য নিরূপণ করা যায় না ।
তাই ধর্মের সমালোচনা নাস্তিকতা তো নয়ই বরঞ্চ এটি মানুষের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে সঠিক ভুমিকাই পালন করে থাকে । কার্ল মার্ক্স এই ব্যপারটি খুব ভালভাবে উপলব্ধি করেছিলেন । তিনি দেখাতে চেয়েছেন আসলে অর্থই হচ্ছে যত অনর্থের মূল কারণ । তাই শুধু মাত্র সম্পদের সু-সমবণ্টনই এই বিশ্বকে এনে দিতে পারে চিরস্হায়ী শান্তি, কোন ধর্মমত নয় । মার্ক্স ধর্মীয় সমাজ ব্যবস্হা কে বাদ দিয়ে একটি শোষণহীন সমাজতান্তিক ব্যবস্হার মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির দিশা দেখিয়েছেন। যেখানে “ মানুষ উৎপাদন করবে সাধ্যানুযায়ী আর ভোগ করবে প্রয়োজন অনুযায়ী “। মার্ক্স এর এই অসাধারণ মতবাদটিকে নাস্তিকতার মোড়কে আবদ্ধ করে পুঁজিবাদী ও ধর্মবাদীদের মিলিত শক্তি এক হয়ে মানুষের সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব প্রতাষ্ঠার আন্দোলনকে বার বার প্রতিহত করে আসছে । অথচ একটি শোষণ মুক্ত সাম্যবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্হার মাধ্যমেই খুলে যেতে পারে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই রুদ্ধ দুয়ার ।
আমরা সাদা চোখেই দেখতে পাচ্ছি এই পৃথিবিতে ঈশ্বর পদত্ত যতগুলো ধর্ম রয়েছে সে সব ধর্ম গুলো কি ভাবে ব্যর্থ হয়েছে এ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ধর্মের এই ব্যর্থতার দায় কার ? স্রষ্টার, তাঁর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের, না কি সাধারণ মানুষের ? ব্যর্থতার এই দায় যারই হোক না কেন, মূল কথা হলো ধর্মের এই ব্যর্থতা অসীম ক্ষমতাবান ঈশ্বররের ধারণাকে খাটো করে দেয় । আমরা যদি পৃথিবীর অন্যতম ধর্ম ইসলামের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই ইসলাম একদিকে যেমন মানুষে মানুষে সমতার কথা বলেছে আর অন্য দিকে এর অনুসারীরা মানুষকে বিভাজন করেছে ‘আশরাফ ‘ এবং ‘আত্রাফ’ নামিও বর্ণে । আশরাফরা উচ্চবংশীয় ও বিত্তবান আর আত্রাফরা নিম্নবংশীয় ও বিত্তহীন । ইসলামে নামাজ পড়ার রীতি ধনী ও দরিদ্রকে হয়তো এক সারিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে , কিন্তু ধনী আর দরিদ্রের পার্থক্য কি গুছিয়ে দিতে পেরেছে ? ইসলাম অর্থনৈতিক সম-বন্টন এর কথা বলেছে । দারিদ্রতা নির্মূলে যাকাত প্রদানের কথা বলেছে । কিন্তু কোন বিত্তবান মুসলমান কি সঠিক ভাবে যাকাত প্রদান করেন ? ইসলাম মানুষকে সত্যবাদী হয়ার আহ্বান জানিয়েছে । আর মুসলমান প্রতিনিয়ত কারণে অকারণে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে । ইসলাম দাস-দাসীদের সাথে মানবিক আচরণের কথা বলেছে, আর মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে গৃহকর্মী নির্যাতন একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে বহু দিন থেকে । ইসলাম সুধ কে হারাম করেছে অথচ ইসলামিক অর্থ ব্যবস্হা সুদের উপর দাঁড়িয়ে আছে ।
ইসলাম পরচর্চা-পরনিন্দা থেকে মানুষকে মুক্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আর আমাদের দেশের মুসলমান জনগুষ্টির এই পরচর্চাই প্রধানতম কর্মে পরিণত হয়েছে । এতে প্রমাণিত হয় যে সঠিক অর্থে কেঊ আল্লাহ্র বিধান মানেন না এবং আল্লাহ্ কে ভয়ও করেন না, ভয়ের ভাণ করেন মাত্র ।
যেখানে আব্রাহামিয় ধর্মের আলোকে পৃথিবীর প্রথম মানব ‘আদম’ সৃষ্টির সূচনাই করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্র উপস্হিতিতে তাঁর আদেশ লঙ্ঘনের মধ্য দিয়ে । সে আদম এর বংশধর এই আদম সন্তানেরা এই পৃথিবীতে বসবাস কালে অদৃশ্য আল্লাহ্র আদেশ সর্বদা মান্য করবেন এমন আশাবাদী হওয়ার কোন কারণ আছে কি ? তাই তো ইসলামের আলেম সমাজ শত শত বছর ধরে অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা সৃষ্টি করে মাঠে ময়দানে ক্লান্তিহীন ওয়াজ-নসিহত করেও ব্যর্থ হয়েছেন এ দেশে ইসলামের কথিত মুমিন মুসলমান সৃষ্টিতে । ইসলামের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকে কোনদিন দেখা যায়নি যে তারা, কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানবিক কোন বিপর্যয়ে মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ! অথচ দান খয়রাতের মাধ্যমে অন্যের সাহায্য গ্রহণে তাদের ক্লান্ত হতে কখনও দেখা যায় না । ধর্মের এই ‘দাও নগদ নাও বাকি’ দর্শন সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর কিছু মানুষকে কর্মহীন ভিক্ষুকে পরিণত করে রেখেছে। পাপ কর আর পাপ মোচনে নামাজ পড়ো এবং আল্লাহ্র নামে দান কর ফর্মুলা সমাজের বিত্তবান শ্রেণীকে দিয়ে রেখেছে অসীম স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ । অথচ ইসলাম ধর্মের আগমনের মুল উদ্দেশ্যই ছিল মানুষের মধ্যকার পশুত্ব কে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মানবিক গুণাবলী সম্পূর্ণ আদর্শ মানব সৃষ্টি ।
ইসলাম ধর্মের প্রধান ভিত্তি হোল ‘ বিশ্বাস ’। এক-আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস, বিশ্বাস আল-কুরআন আল্লাহ্র বানী, বিশ্বাস হজরত মোহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল, বিশ্বাস বেহেস্ত, দোজখ, ফেরেশতা এবং পুনরুত্থান দিবস এর প্রতি । ইসলামে এই বিশ্বাসগুলি ‘ঈমান‘ হিসাবে পরিচিত । আর এই ঈমানই হচ্ছে একজন মুসলমান হিসাবে নাম লিখাবার প্রথম পদক্ষেপ । এরপরই হচ্ছে তার অবশ্যই করনিয় কিছু কর্ম, যা ইসলামের প্রধান চারটি স্তম্ভ হিসাবে পরিচিত । ১। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ২। বছরে এক মাস সিয়াম সাধনা ৩। স্হাবর-অস্হাবর সম্পদের উপর নিদৃষ্ট পরিমাণে যাকাত প্রদান ৪। হজ্বব্রত পালন ইত্যাদি । এক জন মুসলিম এই বিশ্বাস ও অবশ্য করণীয় কর্তব্য গুলোকে ধারণ করেই তার জীবনের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন, এটাই বিধান । প্রশ্ন হচ্ছে মহান আল্লাহ্ যদি বিধি-বিধানের মধ্যেই মানব জাতিকে ধরে রাখবেন তবে প্রথম মানব ‘আদম’ কে কেন উনার নির্দেশ অমান্য করার সুযোগ প্রদান করবেন ? তিনি তো সব ধরণের বিধি-বিধান সহযোগেই ‘আদম’ কে এই মর্তে পাঠাতে পারতেন ! কিন্তু তিনি তা করেননি, কেন করেননি কারণ তিনি চেয়েছেন মানুষ একটি স্বাধীন সত্ত্বা নিয়েই এই পৃথিবীতে অস্হান করবে । যেখানে মহান স্রষ্টা একবারেই এই বিশ্বের সব কিছু সৃষ্টি করে ফেলেছেন সেখানে শুধু মাত্র কিছু বিধি-বিধান কতিপয় ব্যক্তি বিশেষের মাধ্যমে পরবর্তীতে পৃথিবীতে প্রেরনের ঝামালা কেন পোহাবেন ?
ইসলামের প্রথম বিশ্বাস ‘আল্লাহ্’ আরবি ভাষায় বহুল প্রচলিত আদি শব্দ ইলাহা থেকে এর উৎপত্তি ,আল-ইলাহা শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ হচ্ছে এক-ঈশ্বর । ইসলামধর্ম এই আল্লাহর পরিচয় দিয়েছেন এই ভাবে “ তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনিই সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত “ (সূরা আল হাদীদ, আয়াতঃ-৩)। এই বিশ্ব জগতের যাহা কিছু আছে আল্লাহ্ তার স্রষ্টা এবং প্রতিপালক, তিনি একটি ইচ্ছাময় শক্তি , তিনি সর্বশ্রেষ্ট জ্ঞানী এবং সর্বত্রই বিরাজমান এক নিরাকার সত্ত্বা । আব্রাহামিয় ধর্ম যেমন ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্ম গুলোরও প্রায় একই মত । দেখা যায় স্রষ্টার এ পরিচয় আল-কুরআনেই প্রথম দেয়া হয়নি, তারও অনেক আগের প্রতষ্ঠিত ধর্মমত গুলোতেও বলা হয়েছে ।
যেমন এই উপমহাদেশের প্রচলিত অন্যতম ধর্ম যেটি আমাদের কাছে সনাতন বা হিন্দুধর্ম হিসাবে পরিচিত, সেই ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ দেবীভগবত পুরাণে বিশ্ব জগতের স্রষ্টার পরিচয় দিয়েছেন ঠিক এ ভাবে –-
“ আমিই প্রত্যাক্ষ দৈবসত্ত্বা, এবং তুরীয় দৈবসত্ত্বা । আমি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব, আবার আমিই সরস্বতী, লক্ষী ও পার্বতী । আমি নক্ষত্ররাজী, আবার আমিই চন্দ্র । আমিই সকল পশু ও পাখী । আবার আমিই জাতিহীন, এমন কি তস্কর । আমি ভয়াল কর্মকারী হীন ব্যক্তি, আবার আমিই মহৎ কার্য্যকারী মহামানব । আমি নারী, আমি পুরুষ, আমিই জড় “ ।
আবার প্রখ্যাত গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল তাঁর মেটাফিজিকস গ্রন্হে সৃষ্টি ও স্রষ্টা সম্পর্কে বলেন -
“ সৃষ্টি হইতেছে একটি ক্রমবিকাশের ধারা । উহার সর্ব নিম্ন স্তরে রহিয়াছে এক আকার ও অবয়ব বিহীন জড়সত্তা, আর উর্ধতম স্তরে রহিয়াছে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক পুত আত্মা এই আত্মা একটি ইচ্ছাময় শক্তি । উহার কোন কিছু সৃষ্টি করার ইচ্ছা হইবা মাত্র উহার নির্বাচিত একটা আকৃতি জড়ের সহিত যুক্ত হয় এবং উক্ত ঈস্পিত ‘বস্তু’ রূপে দৃশ্যমান জগতে প্রকাশিত হয় । এই সৃষ্টি কার্য্য সম্পাদন যে জড় সত্তার মাধ্যমে উহা কোন ‘বাস্তব’ সত্তা নয় । আকার প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত উহার বিদ্যমানত্ব শুধু একটি ‘সম্ভবনা ‘ মাত্র । যেমন বীজের ভিতর বৃক্ষ, যার অস্হিত্বের কোনও প্রমাণ থাকে না, যতক্ষন না উহা আকার প্রাপ্ত হয় ; অথচ উহা ছিল না এ কথাও বলার উপায় নেই । উহা সত্যিই ওখানে ছিল, তবে বস্তু রূপে নয়, বস্তুর ‘সম্ভবনা ‘ রূপে “।
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্হ ‘ত্রিপিটক’এর হীনযান অংশে স্রষ্টা সম্পর্কে বলা হয়েছে “ ইহা থাকলে উহা হয়, ইহার উৎপত্তিতে উহা উৎপন্ন হয় । ইহা না থাকলে উহা হয় না, ইহার নিরোধে উহা নিরুদ্ধ হয় । ইহাকে প্রতীত্য সমুৎপাত বা কার্যকারণ নীতি বলে “
এ ক্ষেত্রে যেন বলা হচ্ছে একটি কার্যকারণ নীতিই হচ্ছে স্রষ্টা ।
এইজাতীয় তত্ত্ব বা মত এটাই প্রমাণ করে যে বড় বড় মনীষী ও ধর্ম প্রবক্তারা প্রায় সকলেই স্রষ্ঠা এবং তার সৃষ্টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভে ব্যর্থ হয়েছেন । তাইতো ধর্মগ্রহ্ন্ গুলোতে সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর কর্ম সম্পর্কে যে সব কথোপকথন লিপিবদ্ধ রয়েছে তার সব বক্তব্য কিন্তু যুক্তিনির্ভর নয় তার বেশীরভাগই অস্পষ্ট ধারণা মাত্র । তাইতো ধর্মমত গুলি যুক্তির পরিবর্তে শুধু বিশ্বাস কে ধারণ করে আছে । তাদের এই বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য এই ধর্মবাদী গোষ্ঠি যুগে যুগে যুক্তিবাদী মানুষদের নির্মম ভাবে হত্যা করে আসছে ।
খ্রিস্টপূর্ব যুগের প্রখ্যাত দার্শনিক প্লাটিনাস বলেছিলেন “ যুক্তিবাদীর জীবনই কেবলমাত্র যাদু-টোনা, ভেলকি থেকে মুক্ত “ । এর সত্যতা আমরা দেখতে পাই ‘জীন’ আমাদের মোবাইল ফোনে গুপ্তধন পাওয়ার সংবাদ জানিয়ে অর্থ প্রদানের আহ্বান জানায় আর সাধারন মানুষ জীনের দাবী মেনে সর্বশান্ত হয় । প্রতিনিয়তই আমরা দেখতে পারছি হতাশাগ্রস্ত কিছু ব্যক্তি কি ভাবে তাবীয-কবচ এর পিছনে অর্থ ব্যয় করে থাকে । বাস্তব অর্থে এগুলো তাদের কোন উপকারেই আসেনা শুধু মাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণেই তারা এর পেছনে ছুটছে আর এই সুযোগে ফুলে-ফেঁপে উঠছে প্রতারণার এই ব্যবসা । এগুলো যদি সত্যি হতো তাহলে আমাদের কোন ডাক্তার বা হাসপাতালের প্রয়োজন হতো না, প্রয়োজন হতো না মেধা আর শ্রম এর বিনিময়ে ভাগ্য পরিবর্তনের। দরকার হতো না সারা পৃথিবীব্যপি এত অস্ত্র কারখানার, বান-টোনা কররেই হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা যেতো । আর এর জন্য কোন প্রকারের বিচারের মুখমুখিও আমাদের কখনও হতে হতো না । এটা যদি সম্ভব হতো তা হলে ওসামা বিন লাদেন এভাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্টকেই মেরে ফেলতে পারতেন কি না ?
এইজাতিয় প্রশ্নের উত্তরে এরা সাধারণত বলে থাকে রাষ্ট্রক্ষমতার অধিকারী কোন ব্যক্তির উপর বান-টোনা কাজ করে না । তা হলে কি এটি কার্যকর শুধু মাত্র নিরক্ষর আর দরিদ্র মানুষের ক্ষেত্রে ? পানি পড়া আর তাবীয-কবজ ব্যবহারে যদি মানুষ আরগ্য লাভ করতো তাহলে ইসলামের নবী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৬২ বৎসর বয়সে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতেন না ।
ধর্মের ভিত্তি যাই হোকনা কেন এর আগমনের প্রধানতম উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষ এবং সমাজকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা । মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি , মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত সততা ও মানবিক গুণাবলির বিকাশের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করা।
শ্রেণী বৈশম্যহীন একটি আদর্শ জীবন ব্যবস্হার স্বপ্ন দেখিয়ে ধর্মের আগমন ঘটে এই বিশ্বে অথচ দীর্ঘ সময় পরেও ধর্মগুলো সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে । তাই তারা এখন মানব চরিত্র গঠনের কাজ বাদ দিয়ে পরলোকের কাল্পনিক শাস্তির ভয় দেখিয়ে শত শত বছর ধরে মানুষ জাতিকে শাসন আর শোষণ করে যাচ্ছে ।
ধর্ম মানুষকে দিয়েছে শুধু আশ্বাস আর বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বিশ্বাস , বিশ্বাস নিজের প্রতি, বিশ্বাস ব্যক্তির প্রতি । তাইতো আমরা নির্ভয়ে বুক পেতে দেই একজন শৈল্য-চিকিৎসক এর ধারালো ছুরির নিচে কারণ আমি বিশ্বাস করি তিনি আমাকে শারিয়ে তুলবেন । আমরা নিশ্চিন্তে উড়োজাহাজের আসনে যেয়ে বসি কারণ আমরা বিশ্বাস করি এর নির্মানকারীদের এবং এর চালকদের, এরা আমাদের নিরাপদেই পৌছে দেবেন নির্ধারিত গন্তব্যে । ধর্মীয় জ্ঞান আজও এমন কিছু উপস্হাপন করতে পারেনি যা মনুষ্য চিন্তার বাহিরে আর বিজ্ঞান মানুষের কল্পনার জগৎকেও ছাড়িয়ে গেছে ।
প্রায় সব ধর্মেরই অন্যতম বিশ্বাস পুনরুত্থান দিবসের প্রতি কিন্তু ঈশ্বরের এর প্রয়োজন কেন এটি আমার বোধগম্য নয় ! যেখানে এক আদম এর কাছ থেকেই বিশ্বের সব মানুষের সৃষ্টি সেখানে রহিম, করিম, রাম, সাম হিসাবে মানবকে চিন্নিত করার ঈশ্বরের প্রয়োজন কী ? মানব জাতি যেখানে তার আকার আকৃতি, মেধা সব কিছুই উত্তরাধিকার সূত্রে আদম এর কাছ থেকেই প্রাপ্ত হয়েছে অনেকটা ফটোকপির মত । সে ক্ষেত্রে এক আদম কে বিচারের মুখোমুখি করলেই যেখানে চলে সে খানে বিশ্বের সকল মানব কে জড় করার আধো কোন প্রয়োজন আছে কি ?
মানুষ যা চোখে দেখে তা ধারন করে তার মগজ এবং অনুভব করে তার মন, আর এই মনই মানুষকে আদেশ নির্দেশ দিয়ে থাকে । অথচ মানব শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটিই অদৃশ্য যা মানবকে নিয়ন্ত্রণ করে । যেখানে মানুষের নিয়ন্ত্রক তার অদৃশ্য মন যে মন তার স্রষ্টার নির্দেশে চলে, সেখানে মানুষ কেন তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী থাকবে আর কেনই বা তার বিচার করা হবে ? মহান ক্ষমতাবান ঈশ্বর যিনি হও বললেই সব কিছু হয়ে যায় সেখানে উনার কিছু কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সাহায্যকারির প্রয়োজন হওয়াটা এবং সভাসদ বেষ্টিত হয়ে থাকাটা একটু বিস্ময়কর নয় কি ?
এই বিশ্ব একদিন ধ্বংস হবে এটাই স্বাভাবিক কারণ সব কিছুরই ক্ষয় আছে নিদৃষ্ট সময়ের পর আমাদের এই ছায়াপথটাই ধ্বংস প্রাপ্ত হয়ে এক বিশাল ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে । তখন সেই নিকষ অন্ধকারেই কি চিরতরে হারিয়ে যাবেন না স্বয়ং ঈশ্বর ?
তাইতো পারস্যের বিখ্যাত কবি রুদাকী লিখেছিলেন “ তোমার অস্হিত্ব, তোমার অতীত, ভবিষৎ সবই এক নিদ্রার ঘোর । “
--------------
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: মহান দার্শনিক কার্ল মার্ক্স আপনার আমার মতো মানুষ সে যেটা বলছে বা আপনি যেটা বলছেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত মতামত।
আর এসব ব্যক্তিগত মতামতে ধর্মের কিছু যায় আসে না,
কারণ মানুষ মাত্র ভুল হতে পারে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা ভুল করেন না।
ইসলামধর্ম এই আল্লাহর পরিচয় দিয়েছেন এই ভাবে “ তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনিই সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত “ (সূরা আল হাদীদ, আয়াতঃ-৩)। এই বিশ্ব জগতের যাহা কিছু আছে আল্লাহ্ তার স্রষ্টা এবং প্রতিপালক, তিনি একটি ইচ্ছাময় শক্তি , তিনি সর্বশ্রেষ্ট জ্ঞানী এবং সর্বত্রই বিরাজমান এক নিরাকার সত্ত্বা । আব্রাহামিয় ধর্ম যেমন ইহুদি ও খ্রিষ্টান ধর্ম গুলোরও প্রায় একই মত । দেখা যায় স্রষ্টার এ পরিচয় আল-কুরআনেই প্রথম দেয়া হয়নি, তারও অনেক আগের প্রতষ্ঠিত ধর্মমত গুলোতেও বলা হয়েছে ।
কারণ সৃষ্টিকর্তার বানী সবসময় একই রকম থাকে মানুষ নিজ স্বার্থর জন্য তা পরিবর্তন করে। তবে আনন্দের বিষয় এই যে আল-কুরআন মহান অাল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে নাযিল হয়েছে এবং তিনি এর রক্ষাকারী। এবং ১৪০০ বছর পূর্ব থেকে কোন মানুষ তার নিজ স্বার্থ এর একটি শব্দও পরিবর্তন করতে পারেনি।
আর পৃথিবীর যতো যুদ্ধ বিপর্যয় হয় মানুষের জন্য যেমন আমেরিকা তেলের জন্য আরবে যা করছে। সময় কম তাই সব নিয়ে অালোচনা করতে পারলাম না।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন:
তাইলে আজকে মুসলমানদের দুর্দশার জন্য কে দায়ী??
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: কাজ শেষ করে আবার আসলাম ,
ধর্মের ভিত্তি যাই হোকনা কেন এর আগমনের প্রধানতম উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষ এবং সমাজকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা । মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি , মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত সততা ও মানবিক গুণাবলির বিকাশের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করা।
হুম কারণ ন্যায় বিচার কে কতো পারদর্শী তা পরীক্ষার জন্যই সৃষ্টি কর্তা আপনাকে আমাকে পাঠিয়েছেন শখ করে।
তিনি আমাদের না পাঠালেও তার কোন ক্ষতি হতো না, তিনি মানুষের ভিতর জ্ঞান দিয়ে দেখিয়েছেন দেখ বান্দা আমি তোমাদের বিনা আকৃতি থেকে আকৃতি দিয়েছি, বিষয়টি এমন যেমন মানুষ টিভি, কম্পিউটার, রোবট আবিষ্কার করছে সৃষ্টি কর্তার দেয়া সামান্য জ্ঞান দিয়েই।
বাকিটার উত্তর ও আস্তে আস্তে দিবো ইনশাল্লাহ, তাড়াহুড়োর কিছু নেই তো, তাই না।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: জাতি_ধর্ম_বর্ণ মুসলমানদের দুর্দশার জন্য আপনার আমার মতো মুসলমান নামধারীরা দায়ী। যারা ইসলামের কোন কিছু না বুঝেই অন্যকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: তাহলে স্বীকার করলেন মুসলমানরা দুর্দশায় আছে, যাক ধন্যবাদ। এটাও আহল্লাহর ইচ্ছা। তা এসব দেখে আপনার মন খারাপ হয়?
একজন ব্যক্তি যদি ধর্ম থেকে জ্ঞান গ্রহণ করে তাহলে তো তার ভাল হওয়ার কথা। যেমন পিতা-মাতা ভাল হলে সন্তানরা ভাল হয় ( ব্যতিক্রম বাদে ),
তাহলে?? কোথাও একটি সমস্যা আছে। হয় ধর্মের না হয় মানুষের।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে দিয়েছে শুধু আশ্বাস আর বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বিশ্বাস
ধর্ম মানুষকে শুধু আশ্বাস দিয়েছে কে বললো ?? আপনি বললেই তো আর হয়ে গেল না!!
বিজ্ঞান তো ধর্মের ই একটি মাত্র অংশ কিন্তু শেষ নয় বিজ্ঞান যেখানে শেষ ধর্মের শুরু সেখান থেকেই।
লিঙ্কটি দেখুন:
View this link
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: জাতি_ধর্ম_বর্ণ হুম সমস্যা বটে কারণ ধর্ম ইসলাম আমাদের যেভাবে বলেছে আমরা জানা সত্বেও সেভাবে চলি না। তাই দোষ আমাদের ধর্মের না।
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেশ চমৎকার আলোচনা হচ্ছে। ভালো লাগছে সহনশীল ভাবে ব্লগারা আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। আপনি একটি লাইন লিখেছেন, ইসলাম সুধ কে হারাম করেছে অথচ ইসলামিক অর্থ ব্যবস্হা সুদের উপর দাঁড়িয়ে আছে ।
এই সম্পর্কে একটু আরো বিস্তারিত জানতে চাইছি।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: @ জিয়া উদ্দিন আহমেদ................
আল্লাহ যে আমাদের মুসলমানদের এত দুর্দশায় ফেলেছেন তাতে আপনার খারাপ লাগে না?
আচ্ছা, অন্য ধর্মের লোকরা তো মুসলমানদের মতো এত দুর্দশায় নেই, এটার কারণ কি?? আলাহ তাদের কোন মুসলমানদের চেয়ে ভাল অবস্থানে রেখেছেন??
আমরা জানা সত্বেও সেভাবে চলি না কেন? মানুষ যেটা ভাল লাগে সেটাই তো গ্রহণ করে। তাহলে ধর্মটাকে ঠিকভাবে গ্রহণ করে না কেন? ধর্মটাকি কোন চাপিয়ে দেয়া বিষয়??
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: জাতি_ধর্ম_বর্ণ অন্য ধর্ম বলতে আপনি যদি খ্রিষ্টন ইহুদী, বা হিন্দু ধর্ম বলতে বুঝান তাহলে তারা মুসমানদের চাইতে ভাল অবস্থায় আছে কারণ মুসলমানদের ভিতর যে গুন গুলো থাকার কথা ছিলো তা মুসলমানদের ভিতর না থেকে তাদের ভিতর আছে, যেমন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেই বলি ইসলাম বলছে চুরি করো না।
অথচ দেখুণ চুরি করার অপরাধে আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক করা হলো আর অপর দিকে পদ্মায় দূর্নীতি করার জন্য কোম্পানীটি কানাডাতে নিষিদ্ধ হলো।
ইসলাম বলছে দুর্নীতি বাজদের ক্ষমতায় বসিয়ো না অথচ আমরা তাদের ক্ষমতা দিচ্ছি ভোটের মাধ্যমে তাহলে আমাদের উন্নতি আমরাই বাধাগ্রস্থ করছি নয় কি!!
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: @ জিয়া উদ্দিন আহমেদ................
পৃথিবীর কোন মানুষটা ইসলাম মানে বলবেন কি দয়া করে?
আর ভন্ডামী কইরেন না??
ইসলাম গত ১৪০০ বছরেও সুসংহত হতে পারে নাই কেন?
কেন আজকে ইসলাম নিয়ে সারা পৃথিবীতে এতো অস্থিরতা??
ইসলামকে ব্যবহারের সুযোগ কেন মুসলিমরা গ্রহণ করে, কেন??
১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: @ জিয়া উদ্দিন আহমেদ................
তাহলে কি ইসলামের থেকে খ্রিষ্টন ইহুদী, বা হিন্দু ধর্মগুলো শ্রেষ্ঠ??
আমরা তো ইসলাম নিয়ে খুব বড়াই করি, তাই না?
প্লিজ ধর্মের সাথে বাংলাদেশের ঘৃণ্য রাজনীতির প্রসঙ্গ আনেবেন না ভাই।
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: জাতি_ধর্ম_বর্ণ আপনি মানেন না বলেই হয়ে গেল কেউ ইসলাম মানে না
২০৭০ সালের মধ্যে ইসলাম হবে সবচেয়ে বড় ধর্ম : সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস হবে ভারতে।
১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: হে হে হে .......................@ জিয়া উদ্দিন আহমেদ................
অন্য লাইনে চলে গেলেন, হেরে গেলেন। আমার প্রশ্নগুলোর কিন্তু সুন্দর করে জবাব দিতে পারতেন।
আপনার কাছে মনে হলো আমি মানি না, তাহলে আমার একার জন্য কি আজকে ইসলামের এতা দুর্দশা??
২০৭০ সালের মধ্যে ইসলাম হবে সবচেয়ে বড় ধর্ম : সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস হবে ভারতে।
শুধু ভারতে কেন সারা দুনিয়ায় একসময় মুসলমানরা বেশি হবে এবং থাকবে এবং আজকের মতো কামড়া কামড়ি করবে আর ধ্বংস হবে।এটা ধর্মেই বলা আছে। শুনেন, পৃথিবীতে এসময়ে পাপীরা ভরে উঠবে, পাপীরা পৃথিবী শাসন করবে, আপনি কি চান মুসলমানরা সেটা করুক??
একটু খেয়াল করে দেখেন, পৃথিবীতে যেখানেই দুঘর মুসলমান আছে সেখানেই সমস্যা আছে। মধ্যপ্রাচ্যের কথা আর নাই বললাম।
আপনার সাধের পাকিস্তান?? তাদের কি অবস্থা আজকে??
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: জাতি_ধর্ম_বর্ণ বর্তমানের সমস্যার দিকে চোখ রাখুন ফেলানিদের হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করুন, বাংলাদেশের পানি ধরে রেখে বাধ নির্মানের বাংলাদেশকে মরুভুমি কিংবা বন্যার প্রতিবাদ করুন , পাকিস্থান বা আপনার সাধের ইন্ডিয়া যেই হোক অপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বলুন তাহলে দেখবেন মুসলমানদের কষ্ট লাঘব হবে। আর আপনার আজইরা প্রশ্নের উত্তর দিকে আমি বাধ্য নই। ধন্যবাদ
১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: .@ জিয়া উদ্দিন আহমেদ................
আপনি নিজামী, মুজাহিদ এদের নিয়ে কিছু বলুন।
ফেলানিদের হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করুন, বাংলাদেশের পানি ধরে রেখে বাধ নির্মানের বাংলাদেশকে মরুভুমি কিংবা বন্যার প্রতিবাদ করুন।
শুধু ভারতই তো আমাদের সমস্যা না।
জামাতও একটি সমস্যা, নাকি??
আর মধ্য প্রাচ্যে যে মুসলমানরা নিজেদের মুসলমানদের ঝাকে ঝাকে মারছে তা নিয়ে কিছু বলুন।
এসব নিয়ে প্রতিবাদ আমরা আপনাদের চেয়ে বেশি বেশি করছি।
আপনার আজইরা প্রশ্নের উত্তর দিকে আমি বাধ্য নই।
তার মানে আপনি পিছু হটলেন।
করছিলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা আনলেন রাজনীতি। তা এটা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: ৩. ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮ ০
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ইসলাম নিয়া অস্থিরতা না আপনার মতো মানুষদের নিয়া অস্থিরতা।
কারণ আপনার মতো মানুষরা মুসলিমদের সুসংহত দেয় নাই।
কারণ মুসলমানদের ভিতর যে গুন গুলো থাকার কথা ছিলো তা মুসলমানদের ভিতর না থেকে তাদের ভিতর আছে।
@ জিয়া উদ্দিন আহমেদ................আপনি আপনার ব্লগে আপনার পোস্টে আমাকে প্রতিউত্তর করেছেন।
আপনি আসল কারণ না খুঁজে আমাকে দোষারোপ করছেন, এটা কি ঠিক হলো? নিজের দোষটা আগে বের করতে পারলে সমাধান দ্রুত আসবে।
আজকে আমি আপনাকে যে প্রশ্নগুলো করেছি তার উত্তর খুঁজুন সততা থেকে
দেখবেন সমাধান পেয়ে যাবেন?
আর আপনার ব্লগে আমাকে ব্লক করছেন তাই এখানে উত্তর করলাম।
আমাকে ব্লক করা কি ঠিক হলো? মোটেও না।
@ লেখক.................. আমি দু:খিত তার কমেন্টস এখানে করার জন্য।
১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
সাফায়েতুল ইসলাম বলেছেন: কাম তো সাইরা ফেলাইলেন । করছেন কি !! এইবার তো আপনার কল্লা যাইব ।
লেখাটা খুব ভাল লাগল । তথ্যবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ ।
২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক দল ছাত্র প্রোগ্রামিং এর জটিল সব সমীকরণে গুলাইয়া হাবজাব কইরা ল্যাবের বারটো বাজাইছে,
আরেক ছাত্র আইসা এইসব দেইখা শুইনা - সিদ্ধান্ত দিয়া দিল প্রোগ্রামিংই হইল সব সমস্যার মূল- প্রাগৈতিহাসিক কিছূ নিয়ম কানুন।
ব্যাস। উইঠে গেল জাতে! কাদের? যারা ঐ শ্রেণীর! জ্ঞানের আংশিক এবং সারফেসে বসে গভীর জ্ঞানকেই অস্বীকার করে বসে- ধূর জ্ঞান বলে কিছূ নেই! !!
ভাল থাকুন।
২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @কাভা ভাই- আসলে মূল শব্দটা হল রিবা! রিবা অনুবাদ করতে গিয়ে সরল ভাবে সুদ বা ইন্টারেস্ট অপশনটা নিয়ে অনেক আলোচনার অবকাশ আছে!
রিবারও অনেক প্রকারভেদ আছে। যেমন সবচে জঘন্যটা ছিল বৎসরান্তে ডাবল- রিডাবল হয়ে যাওয়া! যা ছিল ভয়াবহ অর্থনৈতিক শৌষন। সেই রিবাকে হারাম করা হয়েছে!
এ বিষয়ক কিছু ক্লু..
Riba is an unjustified increment in borrowing or lending money, paid in kind or in money above the amount of loan, as a condition imposed by the lender or voluntarily by the borrower. Riba defined in this way is called in Fiqh riba al-duyun (debt usury).
Riba (Arabic: ربا ,الربا ribā or al-ribā, IPA: [ˈrɪbæː]) can be roughly translated as "Usury", or unjust, exploitive gains made in trade or business. Riba is mentioned and condemned in several different verses in the Qur'an (3:130, 4:161, 30:39 and perhaps most commonly in 2:275-280). It is also mentioned in many hadith, and considered a major sin in Islamic economic jurisprudence (fiqh).
While Muslims agree that Riba is prohibited, there is disagreement over what it is.[1] It is often, but not always, equated with interest on loans, but is also applied to a variety of commercial transactions.
Most Islamic jurists (Fuqaha) describe different kinds of Riba:[3]
• Riba an-nasiya: Riba on Credit Transaction, when two items of same kinds are exchanged but one or both parties delays delivery or payment and pays interest, (i.e. excess monetary compensation in the form of a predetermined percentage amount or percentage).
• Riba al-fadl: the simultaneous exchange of unequal quantities or qualities of a given commodity.[5]
• Riba an-jahiliya: usury practiced in pre-Islamic Arabia referred to in Quran 3:130 where a debt was "doubled and redoubled" each year if the borrower could not what was owed.[14][15]
২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাল লাগে না অার এসব
২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৬
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: বলেছিলাম আস্তে ধীরে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিবো লেখকের
প্রশ্ন:
প্রায় সব ধর্মেরই অন্যতম বিশ্বাস পুনরুত্থান দিবসের প্রতি কিন্তু ঈশ্বরের এর প্রয়োজন কেন এটি আমার বোধগম্য নয় ! যেখানে এক আদম এর কাছ থেকেই বিশ্বের সব মানুষের সৃষ্টি সেখানে রহিম, করিম, রাম, সাম হিসাবে মানবকে চিন্নিত করার ঈশ্বরের প্রয়োজন কী ? মানব জাতি যেখানে তার আকার আকৃতি, মেধা সব কিছুই উত্তরাধিকার সূত্রে আদম এর কাছ থেকেই প্রাপ্ত হয়েছে অনেকটা ফটোকপির মত । সে ক্ষেত্রে এক আদম কে বিচারের মুখোমুখি করলেই যেখানে চলে সে খানে বিশ্বের সকল মানব কে জড় করার আধো কোন প্রয়োজন আছে কি ?
উত্তর: আচ্ছা আমি খেলাম তো আপনার খাওয়ার দরকার কি?? আপনার কথা অনুযায়ী আমার খাওয়াতে তো আপনার পেট ভরে যাওয়ার কথা।
চলবে....।
জাতি_ধর্ম_বর্ণ আপনার সাথে তর্ক করলে তো সারদিন বসে থাকতে হবে সামুতে। আর ব্লকের অপটন তো সামু রাখছে, আমার কি দোষ।
২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:৪১
মাসূদ রানা বলেছেন: @চলেপথিক
খ্রিস্টপূর্ব যুগের প্রখ্যাত দার্শনিক প্লাটিনাস বলেছিলেন “ যুক্তিবাদীর জীবনই কেবলমাত্র যাদু-টোনা, ভেলকি থেকে মুক্ত “ ।
অথচ তোমাদের ভাষায় বিরাট বড় যুক্তির খামবা বিবর্তনবাদ এর মৌলবাদই গড়ে ওঠেছে মহাবিশ্বে প্রানের উৎপত্তিকে এক বিরাট ভেলকি দ্বাবি করার মধ্য দিয়ে .....
আরেকটা ছোট্ট কথা বলি,
যুক্তির প্রতি সত্তিই যদি তোমার অগাধ আনুগত্য থেকে থাকে তাহলে নিচের যুক্তিটাকেও একটু পর্যালোচনা করে দেখবে আশা করি
তুমি কি জান বিজ্ঞান বলে বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে সমস্ত মহাজাগতিক কনা,গ্রহ, নক্ষত্র প্রভৃতির উত্পত্তি .... বিগ ব্যাং থিউরি বলে বিগ ব্যাং ঘটার পূর্বে বিগ ব্যাং ঘটার জন্য একটা এক্সটার্নাল ত্বরণ এপ্লাইড হয়েছিল ......... আবার বিজ্ঞান বলে এক্সটার্নাল ত্বরণ এপ্লাইড হবার জন্য এক্সটার্নাল ফোর্স দরকার হয়[কারন ত্বরন তো আর নিজে নিজে তৈরী হতে পারে না ]। বিজ্ঞান এটাও বলে এক্সটার্নাল ফোর্স এপ্লাইড হবার জন্য একটা এক্সটার্নাল ফোর্সের উত্স [কারন ফোর্স তো আর নিজে নিজেই তৈরী হতে পারে না, উতস দরকার হয় ] দরকার হবে ।
আর লজিক কিংবা যুক্তি বলে এক্সটার্নাল ফোর্স এত নিখুতভাবে এপ্লাইড হবার জন্য একটা বুদ্ধিমান ফোর্স সরবরাহকারীর উপস্থিতি থাকতে হবে ।
সুতরাং যুক্তি মোতাবেক আমরা দেখতে পেলাম মহাজগত সৃষ্টির পেছনে একজন বুদ্ধিমান ফোর্স সরবরাহকারীর হাত রয়েছে ....... আর সেই বুদ্ধিমান ফোর্স সরবরাহকারীকেই বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থগুলো সৃষ্টিকর্তা কিংবা স্রষ্টা বলে অভিহিত করে থাকে .......... এবার তুমি নিজেই নির্ধারন করে নাও গে কোনটা বিশ্বাস করা যৌক্তিক আর কোন বিশ্বাস করা অযৌক্তিক ..।
ভাল থাক
২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:৫০
মাসূদ রানা বলেছেন: আরেকটা যুক্তির কথা বলি বাবা কিছু মনে করো না,
তুমি বললা ইসলাম সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ কারন মানুষজন ইসলামের ভালো ভালো নির্দেশনার উল্টোটাই করে ......
তুমি নিজেই শিকার করে নিচ্ছ যে মানুষজন ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে না আবার নিজেই বলছো ইসলাম ব্যর্থ এটা কেমন ধরনের যুক্তি হে বাবা ? যদি মানুষজন ইসলাম মানতো তথাপি সমাজে বিশৃংখলা থাকতো, তখন ইসলামকে ব্যর্থ বলা যেতো .... কেও দ্বিমত করতো না । কিন্তু যেখানে মানুষজন ইসলামকেই মানছে না, সেখানে তুমি ইসলামকে ব্যর্থ বলো কোন মুখে ?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২২
চলেপথিক বলেছেন:
সবাই যদি মানে সব কিছুর পিছনে একটি বুদ্ধিমান ফোর্স রয়েছে তাহলে এত প্রকার ধর্মের আগমনের কারণ কি ?
২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২১
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: প্রশ্ন: কিন্তু একটা সময়ে এসে বুঝলাম ধর্মের সমালোচনা মানুষের জ্ঞান অর্জনে যে বিশাল ভুমিকা রাখে তা অন্যকোন ভাবে এত সহজে হবার নয় ।
উত্তর: ভাই এইসব যুক্তিহীন কথা বলে কিভাবে আপনি নিজেকে জ্ঞানী ভাবছেন একটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা যদি করতেন, অধম উপকৃত হতো।
কথায় আছে নিজে যারে বড়ো বলে বড় সেই নয় লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
প্রশ্ন: আমরা যদি পৃথিবীর অন্যতম ধর্ম ইসলামের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই ইসলাম একদিকে যেমন মানুষে মানুষে সমতার কথা বলেছে আর অন্য দিকে এর অনুসারীরা মানুষকে বিভাজন করেছে ‘আশরাফ ‘ এবং ‘আত্রাফ’ নামিও বর্ণে ।
উত্তর:
ভাই আমাদের সরকার প্রধানরাও তো ইসলামিক নামধারী তারা কি ইসলামের কোন আইন এদেশে বাস্তবায়ন করেছে??
আর ইসলাম তো নামাজ এবং যাকাতের মাধ্যমে সমাজের বৈষম্য দুর করার কথা রয়েছে।
দেশের সরকার কি এই যাকাত বিধানের কোন ব্যবস্থা নিয়েছে অথচ তারা ট্যাক্সের মাধ্যমে জনগনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে জনগনের জন্য কি চাকরী বাজার তৈরী করছে??
মূল্যস্ফীতি জনগনের নাগালের মধ্যে রাখতে পারছে??
অথচ তারা নিজেরা তো মার্সিটিজ এ চড়ছে। তাদের তো খাওয়া পড়ার অভাব হচ্ছে না!!
তাহলে দোষ কার ইসলামের নাকি ব্যক্তি মানুষের??
চলবে..
২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
চলেপথিক বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য এবং চমৎকার সব মন্তব্যের জন্য ।
জিয়া উদ্দিন অনেক মন্তব্য করেছেন ,আপনি বিশ্বাসী মানুষ আপনার ভাবনা আপনার জন্য হয়তো সঠিক আমার টা আমার জন্য । আমাদের একে অপরের চেহারা যেমন ভিন্ন চিন্তাভাবনাও ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক এটাই সৃষ্টির বৈচিত্র । অপরিবর্তনীয় বলতে কোন মতবাদ পৃথিবীতে টিকে থাকা সম্ভব নয় । আমি নিজেকে জ্ঞানি দাবী করিনি পড়ালিখা করে জ্ঞান অর্জন করা যায় বলেছি ।
সত্যবাদী , বিশ্বাসী, নির-অহংকারী, পরোপকারী, সততা আর সরলতার মত গুণাবলী অর্জনের জন্য জেনেটিক্স প্রয়োজন হয় ধর্ম নয় ।
মাসুদ রানা , কার আগে জন্ম হয়েছে স্থান, কাল, শক্তির না ঈশ্বরের ?
২৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
মাসূদ রানা বলেছেন: @চলেপথিক
জিয়া উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যগুলোকে যথাযথভাবে অনুধাবনের চেষ্টা করা উচিত .......
কার আগে জন্ম হয়েছে স্থান, কাল, শক্তির না ঈশ্বরের ?
মহান আল্লাহ পাক তো কেবল গ্রহ,নক্ষত্র,আকাশ,মহাকাশ,বিশ্মভ্রম্মান্ডেরই সৃষ্টিকর্তা নন.......... তিনি স্থান, কাল, শক্তি প্রভৃতিরও সৃষ্টিকর্তা ...... সুতরাং স্থান, কাল, শক্তির সাথে মহান আল্লাহ পাককে কমপেয়ার করা এক ধরনের কুপমুন্ডুকতা হলো না
আর মহান আল্লাহ পাকের অস্তিত্ব বিরাজমান হবার জন্য কোন প্রকার স্থান, কাল কিংবা শক্তিরও প্রয়োজনীয়তা নেই ..... আশা করি বোঝাতে পেরেছি ......
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৩
চলেপথিক বলেছেন:
কিছুই বুঝিনি , কারণ ঈশ্বর কোন কালে ,কোন স্থানে
দাঁড়িয়ে ও কোন শক্তি দিয়ে সব কিছু সৃষ্টি করলেন ? বিশ্বব্রাহ্মঅন্ড
সৃষ্টির আগে কি ছিল ০ ? তাহলে ০+০=০ নয় কি ?
২৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
যাযাবরমন বলেছেন: প্রাগ-ঐতিহাসিক!! কথা হল মানুষ আগে আসছে না ধর্ম? মানুষইতো তাই না? তাহলে তো ধর্ম ই আধুনিক, না?
বুদ্ধি কাজে লাগান, ধর্মের মত আধুনিক হতে শেখেন? প্রাগ-ঐতিহাসিক যুগে পড়ে থাকলে এমন উল্টা-পাল্টা ভাবনা মাথায় আসবেই।
"আপেক্ষিক তত্ত তো ১১০ বছরের পুরানো, এখনও এর সাহাজ্যে প্রক্রিতির নিয়ম ব্যাখ্যা করার কম ব্যর্থ চেষ্টা করছেন না, কখনও তো ১১০ বছরের পুরান বলে বাদ দেয়ার কথা বলেন না, তাহলে ধর্মকে বাদ দিতে চান কেন?
যে কোন পরিক্ষায় দেখা গেছে, নজর দেয়ার কেউ না থাকলে মানুষ ফাকি দেয়া বা অন্যায় করার তাকে থাকে ২/১ জন বাদে। এই বিষয়টা বিশ্লেষন করলেই বলা যায় যে ধর্ম নিশ্চই ভাল, কারন মানুষ সবসময় ফাক পেলেই ধর্মের বিরোধিতা করে।
৩০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৮
মাসূদ রানা বলেছেন: @চলেপথিক
পবিত্র কোরানসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থগুলো বিশ্লেষন করলে এটা সহজেই অনুমেয় ....... সৃষ্টিকর্তা তথা স্রষ্টা এমন একটি সত্তা যিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি .... সর্বাবস্থায় সকল প্রকার কার্য সম্পাদনে সক্ষম, অসীম ক্ষমতার অধিপতি। মানুষের ক্ষমতার সাথে ওঁনার ক্ষমতার যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে ......
সুতরাং মানুষের ক্ষমতা আর সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা এক নয় ..... মানুষ যেটা করতে পারে না সৃষ্টিকর্তাও সেটা করতে পারবেন না এমন নয় ......... মানুষের চোখে যেটা কালো-সাদা, প্রকৃত পক্ষে সেটা কালো সাদা নয় .......
[ উদা :: মানুষ তার তৃমাত্রিক দৃষ্টিশক্তি দারা যেটাকে লাল দেখে তেলাপোকা তার একমাত্রিক দৃষ্টিশক্তি দ্বারা সেটাকে কালো দেখে ..... অনুরুপভাবে মানুষ তার তৃমাত্রিক দৃষ্টিশক্তি দারা যেটাকে লাল দেখছে সেটা প্রকৃতই লাল, তার কি নিশ্চয়তা আছে যেখানে মানব মস্তিষ্ক সকল প্রকার বর্ন উপলব্ধি করবার মত কম্লিট মেকানিসম নয় ]
তথাপি এটা অনুধাবন করা কেন কষ্টসাধ্য যে মহান সৃষ্টিকর্তার কোন কিছু সৃষ্টি করার নিমিত্তে কোথাও দাড়াবার কিংবা বসবার কিংবা কোন অবলম্বন গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা নেই ...... যেমনটা মানুষের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়।
৩১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
মাসূদ রানা বলেছেন: সৃষ্টির আগে কি ছিল ০ ? তাহলে ০+০=০ নয় কি ?
সৃষ্টির আগে ০ নয় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ছিলেন
সবাই যদি মানে সব কিছুর পিছনে একটি বুদ্ধিমান ফোর্স রয়েছে তাহলে এত প্রকার ধর্মের আগমনের কারণ কি ?
কারন সৃষ্টিকর্তা বিভিন্ন গোত্রে বিভিন্ন সময় নবী রাসুল পাঠিয়ে তাদের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার পরিচয় উপস্থাপন করেছেন ........ অনেক গোত্র পরবর্তিতে তাদের ধর্মকে ভুলে গিয়েছে, আর সমাজে ভুলে যাওয়া ধর্মকে পূন:স্থাপন করতে গিয়ে সেগুলো বিকৃত করেছে । ফলশ্রুতিতে মুল ধর্মগুলো বিলুপ্ত হয়ে নতুন নতুন ধর্মের আবির্ভাব ঘটেছে ....
আশা করি বোঝাতে পেরেছি
০১ লা মে, ২০১৫ রাত ১১:৫১
চলেপথিক বলেছেন: বিশ্বকর্মা কি শুধু নবী রাসুলই পাঠিয়েছেন ? তাহলে দার্শনিক আর
বৈজ্ঞানিকদের কে পাঠিয়েছেন ? যদি মহান স্রষ্টাই তাদের পাঠিয়ে থাকেন তা হলে তাদের মত ও পথ অনুসরণে সমস্যা কোথায় ?
এ পর্যন্ত সব নবী রাসুল মধ্যপ্রাচ্যেই শুধু জন্ম নিলেন কেন ?
পৃথিবীতে এ পর্যন্ত আগত নবী ও রাসুলের সংখ্যা যদি ১,৬০,০০০ হয় এবং উনাদের আয়ুকাল যদি গড়ে ৫০ বৎসর ধরে নেই তা হলে সময় লাগে ৮০ লক্ষ বছর । আথচ মানবের সভ্যতার ইতিহাস ১৫ হাজার বছরের বেশী নয় । যেখানে ঈশা নবীর পরে মহম্মদ(দঃ) এর আগমনে ৫৭০ বৎসর লেগে গেলো । তাহলে মুল ধর্মটা কবে এসে ছিলো ?
৩২| ০২ রা মে, ২০১৫ ভোর ৫:০৫
গ্রীনলাভার বলেছেন: ভাই, প্রশ্ন করার মতো আরো কিছু দেই আপনাকে? আমাকে কিছু জিজ্ঞেস কইরেননা দয়া করে। আমি গবেট টাইপ ভাই। প্রশ্ন না করেই মেনে নিয়েছি।
"তোমরা ব্যাভিচারের ধারে কাছে যেওনা। যদি কেউ এমনটি করে তবে সে সুসপ্ষ্ট শরিয়ত বিরোধী কাজ করেছে।"
আরেকটা মাথায় এসেছে। এটা ভালো নাও লাগতে পারে -
"একজন ব্যাভিচারি ব্যাভিচারিনী ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করেনা। তদ্রুপ ব্যাভিচারিনীও"।
আরেকটা -
"শুকরের মাংস", "মদ", "স্ত্রী ব্যাতীত অন্য নারী (নিজ দাসী ছাড়া)" "তোমাদের জন্য হারাম"। "নিশ্চই আমি যা ইচ্ছা তাই হারাম করতে পারি।"
আরেকটা এসেছে মাথায় -
"যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিয়ে করেছে তোমরা তাদের বিয়ে করো না।" "তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুপু, তোমাদের খালা, তোমাদের ভাইয়ের মেয়ে, তোমাদের বোনের মেয়ে, তোমাদের দুধ-মা, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মা, তোমারা যাদের সাথে সহবাস করেছ সেই স্ত্রীদের কন্যা" ", তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একসাথে বিয়ে নিষেধ করা হলো। কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে (তার জন্য) নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।"
-- এই কয়েকটাই। নতুন আরেকটা পোষ্ট দিয়েন এগুলা নিয়ে।
আস্সালামুআলাইকুম।
০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
চলেপথিক বলেছেন: আল কুরআনের এসব আয়াত নিয়ে ব্লগ গুলতে অনেক বিতর্ক হয়েছে । এই জাতীয় বিষয়ে কোনপ্রকার মন্তব্য ধর্মানুরাগিদের অন্তরে আঘাত করে তাই এই বিষয় গুলো এড়িয়ে চলা উত্তম । আমদের প্রত্যকের সব বিষয়ের উপর একটি ব্যক্তিগত অভিমত থাকে যা আমরা সাধারণত প্রকাশ করিনা । যাকে স্বাধীন মতপ্রকাশ বলা হয় , আমরা সে জায়গায় এখনও পৌছাইনি ।
সাহসী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৩৩| ০২ রা মে, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
মাসূদ রানা বলেছেন: @চলেপথিক
আপনার প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর দিতে হলে তো অনেক ব্যক্ষার দরকার ...... তথাপি চেষ্টা করলাম সংক্ষেপে মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে বলার ......... কোন খুতখুতানি থাকলে নিঃসংকোচে বলবেন ........
বিশ্বকর্মা শুধু নবী রাসুলই নয় জ্ঞানী-বিজ্ঞানী, মূর্খ-অজ্ঞ, পুরুষ-কাপুরুষ, দার্শনিক-চিন্তাবিদসহ গোটা মানবজাতিকেই পাঠিয়েছেন, পৃথিবীতে ...... তন্মধ্যে কতিপয় মানুষকে তিনি সিলেক্টেড মানুষ হিসেবে পাঠিয়েছেন মানুষের মধ্যে, যাদের সাথে তিনি ফিরিস্তা জিব্রাইল (আ: ) এর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন (ইসলাম ধর্মের আলোকে ) বিভিন্ন সময় মানুষের কাছে বিভিন্ন নির্দেশনাবলি পৌছানোর জন্য .......
আর যারা নবী রাসূল হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করেছেন তারা সকলেই নিরক্ষর- বিজ্ঞানের জ্ঞান, দর্শন জ্ঞান বিবর্জিত ছিলেন,আপনার এমন ধারনারই বা কারন কি ?
বৈজ্ঞানিকদের কে পাঠিয়েছেন ? যদি মহান স্রষ্টাই তাদের পাঠিয়ে থাকেন তা হলে তাদের মত ও পথ অনুসরণে সমস্যা কোথায় ?
পবিত্র কোরানের কোথাও তো এমন কোন আয়াত খুজে পাওয়া যাবে না, যেখানে মহান সৃষ্টিকর্তা বিজ্ঞানীদের দেখানো সঠিক মত পথ অনুসরন করতে নিষেধ করেছেন .......
আর বিজ্ঞানীদের উপরে আপনার আস্থা দেখে সত্তিই চমৎকৃত হলাম ....... আপনি বিজ্ঞানীদের যতটা নিখুত ভাবেন তারা কি আসলেই ততটা নিখুত ? এই বিজ্ঞানীদের দৌড় কতটুকু জানেন ?
মহাসমূদ্রে ভাসমান কোন ১ ফুট ব্যাসের ১ ফুট উচ্চতার বাটির তলায় বসে পিপিলিকার মহাসমুদ্রের তলদেশ দর্শনের অনুরুপ ।
বিজ্ঞানীরা বলেন আমাদের গোলাকার পৃথিবীটা নাকি মহাবিশ্বের তুলনায় এতো ছোট যে, প্রশান্ত মহাসাগরে একটা চিনির দানা ফেলে দিলে সেটা প্রশান্ত মহাসাগরের তুলনায় যতটুকু হবে তদ্রুপ .......... আবার এই বিজ্ঞানীরাই কিনা তাদের দুর্বল দূরবীন দ্বারা সেই চিনির আশপাশের চিত্র- বৈশিষ্ট পর্যবেক্ষন করেই গোটা প্রশান্ত মহাসাগরের রহস্যই উন্মোচন করে ফেলেছেন বলে দ্বাবি করে বেড়াচ্ছে ! হাস্যকর না?
চিনির আশেপাশে কোন গাছ গাছড়া না দেখতে পেয়ে যদি কোন বিজ্ঞানী পিপিলিকা এই দ্বাবি করে বসেন
প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে তো কোন গাছ গাছড়া নেই ! এটা হাস্যকর না ?
এ পর্যন্ত সব নবী রাসুল মধ্যপ্রাচ্যেই শুধু জন্ম নিলেন কেন ?
আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন এ পর্যন্ত সকল নবী রাসুল শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যেই জন্মগ্রহন করেছেন ?
পৃথিবীতে এ পর্যন্ত আগত নবী ও রাসুলের সংখ্যা যদি ১,৬০,০০০ হয় এবং উনাদের আয়ুকাল যদি গড়ে ৫০ বৎসর ধরে নেই তা হলে সময় লাগে ৮০ লক্ষ বছর ।
নবী রাসুলদের আগমন প্রক্রিয়া "একজনের ইন্তেকালের পর আরেকজন এসেছেন" এমনটা ছিল না ........ যেহেতু পৃথিবীতে একই সাথে অনেকগুলো গোত্রের সহাবস্থান ছিল, তাই একই সময়ে গোত্র,জাতিগুলোতে একই সাথে অনেক নবী রাসুলের আগমনেরও প্রমান রয়েছে ....... সুতরাং নবী রাসূলদের আগমনে ৫০/৬০ বছরের গ্যাপ ছিল ধারনাটি সঠিক নয়
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে উত্তম বুঝ দান করুন .........
৩৪| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৩
চলেপথিক বলেছেন: মাসুদ রানা , আমার লেখার কোথাও মহান স্রষ্টা ও উনার অসীম ক্ষমতা নিয়ে কোন সংশয় প্রকাশ করেছি বলে মনে হয় না ।আমি যে টুকু সংশয় প্রকাশ করেছি তা শুধু ধর্ম নিয়ে । মানুষের সত্যিকার অর্থে ধর্ম পালনের প্রয়োজন আছে কি নাই ? ধর্মানুরাগিদের সমস্যা হছে তারা এই জাতীয় প্রশ্নকারিরদের স্রষ্টার অস্হিস্ত অস্বীকারকারী নাস্তিক হিসাবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন । বিতর্কটা মূলত সৃষ্টি এবং স্রষ্টা সম্পর্কে ধর্মমত গুলো যে সব ব্যখ্যা দিয়েছেন সে গুলো নিয়ে । আমি বিশ্বাস করি পার্থিব জীবনে মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার মেধার স্বাক্ষর রাখবেন এবং তাঁর নিহিত শক্তির মধ্যে তাঁকে আবিস্কার করবেন মহান ঈশ্বর এটাই চান । আর এই কাজটি কোন পুরহিত এর নয় একজন বৈজ্ঞানিকের ।
৩৫| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
ভাই, আপনে হইলেন অন্য প্রজাতি, এগনোমিস্ট নাকি কি জানি কয় ওইটা। নাস্তিক হওয়ার চেয়ে এগনোমিস্ট হওয়া ভালো।
এই পোস্টটা পইড়েন,
http://www.somewhereinblog.net/blog/snatcher/30026787
৩৬| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:৪২
মাসূদ রানা বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি পার্থিব জীবনে মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার মেধার স্বাক্ষর রাখবেন এবং তাঁর নিহিত শক্তির মধ্যে তাঁকে আবিস্কার করবেন মহান ঈশ্বর এটাই চান ।
আপনি বলতে চাচ্ছেন মহান ঈশ্বর চান মানুষ তাঁকে খুজে বার করুক, আবিষ্কার করুক, আনুগত্য টানুগত্য নয় ?
তা মহান ঈশ্বরের এ চাওয়াটা আপনি আবিষ্কার করলেন কিভাবে ? মহান ঈশ্বরের সাথে কি আপনার একান্তে সাক্ষাৎ টাক্ষাৎ হয় মাঝে মধ্যেই ? কিংবা কানে কানে বলে দিয়ে গেছেন মহান ঈশ্বরের এ চাওয়াটা যা এখন অব্দি আর কারো কাছেই বলেন নাই ? হাহাহাহা ........ দয়া করে এসব হাস্যকর কথা বলা থেকে বিরত থাকেন ভাই।
দেখেন ভাই, ধর্মগ্রন্থগুলোকে বলা স্বয়ং ঈশ্বরের মুখের কথা,বানী । সেই ধর্মগ্রন্থগুলোতেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে ঈশ্বর কি চান না চান ।আর ঈশ্বরকে আবিষ্কার করারই বা কি আছে ? তিনি তো ইতোমধ্যে নিজেই সেচ্ছায় আবিষ্কৃত হয়েই আছেন ! নিজেই সেচ্ছায় মানব জাতির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন হজরত জিব্রাইল (আ: ) ফিরিস্তার মাধ্যমে, পথনির্দেশনা দান করেছেন .......
তবে হ্যা, ধর্মগ্রন্থগুলো আদৌ ঈশ্বরের বানী কি না ..... সেটা নিয়ে একটা ডিবেট হতে পারে ..
সবশেষে বলি, পবিত্র্র কোরান মহান ঈশ্বরের বানী কি না সে ব্যপারে চট করেই নিজের মন মর্জিমত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়াটা বুদ্ধিদীপ্ত হবে না ......... আপনার প্রতি আমার সবিনয় অনুরোধ থাকবে পবিত্র কোরানের আয়াতসমুহ ভালোভাবে অধ্যায়ন করার জন্য, নিজেই উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ
ভালো থাকুন ।
@চলেপথিক
৩৭| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:৫১
মাসূদ রানা বলেছেন: মানুষের সত্যিকার অর্থে ধর্ম পালনের প্রয়োজন আছে কি নাই ?
মহান ঈশ্বর যদি মানবজাতিকে ধর্ম পালনের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন, তাহলে তো অবশ্যই ধর্ম পালনের প্রয়োজনীয়তা আছে
০৪ ঠা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
চলেপথিক বলেছেন: কেউ যদি এমন বিশ্বাস থেকে ধর্ম পালন করে ক্ষতি কি , পাড়ার রকে বসে আড্ডা আর তাস খেলে সময় কাটানোর চেয়ে মহান ঈশ্বর এর প্রার্থনা অনেক উত্তম নয় কি ।
৩৮| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:১৮
মাসূদ রানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: কেউ যদি এমন বিশ্বাস থেকে ধর্ম পালন করে ক্ষতি কি , পাড়ার রকে বসে আড্ডা আর তাস খেলে সময় কাটানোর চেয়ে মহান ঈশ্বর এর প্রার্থনা অনেক উত্তম নয় কি ।
অবশ্যই
তবে বিশ্বাসটা হতে হবে জ্ঞানভিত্তিক ........ জ্ঞান দিয়ে বিচার করে উপলব্ধি করতে হবে কোন বিশ্বাসটা সঠিক কোন বিশ্বাসটা ভুল ........ তবেই প্রকৃত সত্যের নিকটবর্তী হওয়া সম্ভব হবে
০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৮
চলেপথিক বলেছেন: বিশ্বাস আর সত্য এক জিনিস নয় , মানুষ অনেক কিছুই বিশ্বাস করতে পারে তাই বলে সে বিশ্বাস গুলো সত্যি হবে এমন কোন কথা নেই ।
অপানার জন্য উমর খৈয়াম এর একটা রুবাঈয়াতঃ -
" তারা বলে সুখ স্বর্গের হুরে
আমি বলি সুখ মদিরে বঁধু ।
নগদ যা পাও তাই নিয়ে থাকো ,
দূরের ঢোলক শুনিতে মধুর । "
৩৯| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১:২১
সজা১২৩ বলেছেন: good
৪০| ০৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
মাসূদ রানা বলেছেন: বিশ্বাস আর সত্য এক জিনিস নয় , মানুষ অনেক কিছুই বিশ্বাস করতে পারে তাই বলে সে বিশ্বাস গুলো সত্যি হবে এমন কোন কথা নেই ।
বিশ্বাস আর সত্যি এক জিনিস নয় বলেই আমি বিশ্বাসকে জ্ঞান দিয়ে বিচার করার কথা বলেছি
কিছুদিন পূর্বে আমার এক ছোটোভাই [এলাকার] সেইম কথাটিই বলছিল, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম "তুই কি বিশ্বাস করিস পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে ?" ছোটোভাইটি বলেছিল "হ্যা করি !" আমি তাকে জিজ্ঞাস করেছিলাম " পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে " এটা কি সত্যি ? সে বলল " হ্যা !" আমি বললাম তাহলে তো বিশ্বাসটা সত্যি ! মানে দাড়ালো বিশ্বাস সত্যি হতে পারে, ঠিকাছে এবার ?
ছোটোভাইটি একগাল বিস্ময় নিয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল , আল্লাহ পাক তাকে হেদায়াত দিন ।
একইভাবে বিশ্বাস ভুলও হতে পারে ....... তাই সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে যে মগজ দান করেছেন , আমাদের সাবর উচিত মগজের যথাযথ ব্যবহার করে বিশ্বাস গুলোকে একে একে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত সত্যকে উপলব্ধি করা ।
আর কবিতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপনার সম্মানে পবিত্র কোরানের সুরা আন নিসা'র একটি আয়াত ::
(4:1)
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।
ভালো থাকুন
৪১| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:০৪
হাসানস০০৭ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে দিয়েছে শুধু আশ্বাস আর বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বিশ্বাস , বিশ্বাস নিজের প্রতি, বিশ্বাস ব্যক্তির প্রতি । তাইতো আমরা নির্ভয়ে বুক পেতে দেই একজন শৈল্য-চিকিৎসক এর ধারালো ছুরির নিচে কারণ আমি বিশ্বাস করি তিনি আমাকে শারিয়ে তুলবেন । আমরা নিশ্চিন্তে উড়োজাহাজের আসনে যেয়ে বসি কারণ আমরা বিশ্বাস করি এর নির্মানকারীদের এবং এর চালকদের, এরা আমাদের নিরাপদেই পৌছে দেবেন নির্ধারিত গন্তব্যে । ধর্মীয় জ্ঞান আজও এমন কিছু উপস্হাপন করতে পারেনি যা মনুষ্য চিন্তার বাহিরে আর বিজ্ঞান মানুষের কল্পনার জগৎকেও ছাড়িয়ে গেছে ।
অদ্ভুত সব কথা। আমরা নিশ্চিন্তে উড়োজাহাজের আসনে যেয়ে বসি কারণ আমরা বিশ্বাস করি এর নির্মানকারীদের এবং এর চালকদের, এরা আমাদের নিরাপদেই পৌছে দেবেন নির্ধারিত গন্তব্যে কিন্তু বিশ্বাস করতে পারিনা শত উচ্চ মানের ডাক্তারকে যদি সে উড়োজাহাজের চালকের আসনে বসে থাকে। কেন?
বিজ্ঞান আর নৈতিক জ্ঞান কোথায় কি!
একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষে চুরি করা সম্ভব। যদি আল্লাহ ভিতি না থাকে। ধর্ম ভীরু সে সময় চিন্তা করে আমাকে উপরওয়ালা দেখছেন। কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ?
ইসলাম তো বিজ্ঞান কে অশ্যিকার করে না। আমাদের খাওয়া -পড়া কেও তো না।
আমি সমাজে চলি, দেখি যাদের ভিতরে আল্লাহভীতি কম তারা এহেন কাজ নেই যা তারা করে না।
ধর্মের প্রয়োজনীয়তা এখানেই।
কিছুদিন এড শুনেছিলাম, আমরা শিক্ষকরা যদি ছাত্রদেরকে ভালোভাবে শিক্ষা না দেই তা হলে কি জবাব দিব জাতির কাছে?
জাতি বুঝলে ! না বুঝলে?
৪২| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:০৮
পাউডার বলেছেন:
কিপিটাপ।
কোনো কারন ছাড়া পারিবারিক সুত্রে ধর্মে বিশ্বাস করা আর না করা সমান। মনে প্রশ্ন আসুক, উত্তরও আসবে।
৪৩| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:০১
চলেপথিক বলেছেন: ধর্ম মানব জাতিকে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করে আসছে সেই আদ্যিকাল থেকে এটাকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই ।
ধর্মের মাঝে আমরা সাধারণত দুটি দিক দেখতে পাই এক আধ্যাত্মিক ভাবনা দুই পার্থিব ভাবনা । পার্থিব ভাবনার মধ্যে রয়েছে প্রত্যাহিক জীবন যাপনের জন্য বেশ কিছু বিধিবিধান যা ক্ষেত্র বিশেষে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও প্রযজ্য । যে গুলোকে আমরা নৈতিকতা বা মূল্যবোধ বলে থাকি । প্রায় সব ধর্মেই এই বিষয় গুলো একি, কোন ধর্মেই অনৈতিকতাকে সমর্থন করেনা এবং এই বিষয়ে ধর্মগুলোর নিজেদের মধ্যে কোন বিরোধও নেই ।
দ্বিতীয়টি হলো আধ্যাত্মিক দিক এই দিকটি একটি মিথ যা সম্পূর্ণ বিশ্বাস এর উপর নির্ভরশীল । বিশ্বাস করতে হবে একজন ব্যক্তিকে যিনি বিষয়টি জনসম্মুখে উপস্থাপন করেছেন । ধর্মগুলোর মধ্যে মূল বিরোধও শুধু এই বিশ্বাস কে নিয়ে । অথচ সবারই গন্তব্য একি দিকে , মহান স্রষ্টার কৃপালাভ ।
এখন কি করে বিশ্বাস করা সম্ভব একজন মানুষের সাথে মহান স্রষ্টার দেখা হয়, কথা হয় এবং উনি সরাসরি বা দূত এর মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেন ?
৪৪| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৩২
মাসূদ রানা বলেছেন: এখন কি করে বিশ্বাস করা সম্ভব একজন মানুষের সাথে মহান স্রষ্টার দেখা হয়, কথা হয় এবং উনি সরাসরি বা দূত এর মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করেন ?
হাহাহাহা ........ এটার চেয়ে আরো বিস্ময়কর বিস্ময়কর ব্যপারে বিশ্বাস স্থাপন করে বসে আছি আমরা ..... মানুষের গর্ভে মানুষের জন্ম গ্রহন, পৃথিবীর আমাকে আপনাকে বড় বড় স্থাপতয়সমুহকে নিয়ে ভন ভন করে করে ঘোরা, এমন কোন এক জায়গা রয়েছে যেখানে মানুষ পশু পাখি সবই ওজনশুন্য হয়ে ভাসে ..... আরো কতকিছু ......। স্রষ্টার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের আগ্রহ কি ওগুলোর চেয়েও বিস্ময়কর মনে হয় আপনার কাছে ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: করসেন কি ভাই?
কি লিখলেন এইসব। এইবার আপনি টার্গেট হবেন।
এখনই আপনাকে নাস্তিক বলে গুষ্টি উদ্দার করবে ধর্মীয় জঙ্গীরা।
সাবধান।