![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বাণিজ্য এখন একটি রমরমা ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।কোন ইনভেস্ট মেন্ট ছাড়া আপনি হয়ে যাবেন লাখোপতি।এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে অসাধারন শিক্ষার্থীদের পিতা -মাতা কে কনভেন্স করতে হবে এবং কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে এবং লভ্যাংশের একটি অংশ তাদের পুরষ্কার স্বরুপ দিতে হবে।আর যেটা লাগবে সেটা হচ্ছে আপনার প্রযুক্তি জ্ঞান।গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক হলো ১৭ জন,যাদের ২ বছরেরে বিনাশ্রম কারাদন্ড।জগন্নাথে আটক হলো ৪ জন,যাদের ২ বছরের বিনা শ্রম কারাদন্ড।হইতো প্রভাব ও টাকার জন্য ৭ দিনের মাথায় জামিন পেয়ে যাবে,কিন্তু মূল হোতারা রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে।প্রশাসন ও এসব ঝামেলায় জড়াতে চায় না।তাদের ও অনীহা !!! ঢাকা বিশবিদ্যালয়ে যারা ধরা পড়েছে তারা আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে গিয়েছিল ,যাকে বলা হয় চাইনিজ ডিভাইস।যার মাধ্যমে বাইরে থেকে উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয়।আর অবশ্যই প্রশ্ন পত্র গুলো বাইরে পাঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাধু কর্মকর্তা রা !!!!!তা না হলে প্রতারক চক্র পায় কিবাবে? স্বাভাবিক বিষয়।অনেক শিক্ষার্থী হতাশ এই ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে।এক শিক্ষার্থী ফেইসবুকে লিখেছে , 'পরীক্ষা দিয়ে কি হবে? তারা উত্তর বাইরে থেকে পায়,আর আমরা জ্ঞান খাটীয়ে চিন্তা করে দেই,তারা অবশ্যই এগিয়ে থাকবে।''
এবার আসি জগন্নাথে.৪ জনের মধ্যে একজন ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক।আরেক জন স্থানীয় বিসিএস কোচিং পরিচালক এবং বাকী ২ জন ভর্তিচ্ছু ।তারা মোবাইলে এস এম এস এর মাধ্যমে উত্তর নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় আটক হয়।কিন্তু প্রশাসন তাদের জিজ্ঞাসাবাধ না করেই কারাগারে পাঠালো।যদি জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল হোতাদের বের করা যেতো এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যেতো তাহলে অন্তত অনেক কমে যেতো।
এর আগেও মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সারাদেশে আন্দোলন হয়,প্রশাসনের দমন-পীড়নে বন্ধোও হয়ে যায়।কৃষি নিয়োগ পরীক্ষায় আটক হলো ২০ জন,কিন্তু ধরা ছোয়ার বাইরে মূল হোতারা।কিন্তু কেনো তাদের আইনের আওত্তায় আনা হচ্ছে না তা কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় আজ কলঙ্কিত হচ্ছে ,কলুষিত হচ্ছে।ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে সেদিক কোন খেয়াল নেই কারো।যেদিন ধরাপড়ে সেদিন এক্টু আলোচনা হয় ,তার পর বন্ধ হয়ে যায়।এই সিস্টেমের পরিবর্তন দরকার।মার খেয়ে যাচ্ছে শত শত মেধাবী।
©somewhere in net ltd.