![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামে অধীনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সদ্বব্যবহার করতে বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর উপাসনা করো। কোনো কিছুকে তাঁর অংশী করো না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয় প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর।’ [সুরা নিসা : আয়াত- ৩৬]
আমাদের মালিক পক্ষ অল্পতেই কর্মচারীদের শাসাতে থাকেন। সামান্য ভুলের কারণে হাজার একটা বকাঝকা করেন। একবার চিন্তাও করেন না তারা কষ্ট পেতে পারে। মন খারাপ করতে পারে। এবিষয়ে নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমরা অধীনস্থদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে এবং তাদেরকে কোনো রকমের কষ্ট দেবে না। তোমরা কি জান না, তাদেরও তোমাদের ন্যায় একটি হৃদয় আছে। ব্যাথা দানে তারা দুঃখিত হয় এবং কষ্টবোধ করে। আরাম ও শান্তি প্রদান করলে সন্তুষ্ট হয়। তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা তাদের প্রতি আন্তরিকতা প্রদর্শন কর না।’ [বুখারি]
অনেক মালিক আবার কর্মচারীদের উপযুক্ত বেতন-ভাতা পরিশোধ করেন না। বিভিন্ন সময়ে নির্ধারিত বোনাসও দিতে চান না। অথচ ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও।’ অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন যে, কিয়ামতের দিন তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমি কঠিন অভিযোগ উপস্থাপন করবোÑ যে ব্যক্তি আমার জন্য কাউকেও কিছু দান করার ওয়াদা করে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করল, কোনও মুক্ত স্বাধীন ব্যক্তিকে বিক্রয় করে যে তার মূল্য আদায় করল এবং যে ব্যক্তি অন্যকে নিজের কাজে নিযুক্ত করে পুরোপুরি কাজ আদায় করে নিল, কিন্তু তার মজুরী দিল না। ওরাই সেই তিনজন।’ [মেশকাত]
মালিকদের অভদ্র আচরণকে ঘৃণা করে নবীজি বলেছেন, ‘অসদাচরণকারী মালিক বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ [মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-লিন হায় ছামি]
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২২
Jahirul Sarker বলেছেন: শ্রমিক ঠকিয়ে আজ এই জানোয়াররা কোটিপতি হচ্ছে।