![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুই লিখতে ইচ্ছা কারছে না। হরতালের স্বীকার অঞ্জুবিশ্বাসের ডান চোখটা ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় সহজ সরল মুখখানি বার বার মনের পর্দায় ভেসে উঠছে। বাচ্চা একটা মেয়ে কিইবা বয়স, বড় জোর চোদ্দ। মায়ের সাথে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল কোচিং ক্লাসে। সে আর যেতে পারেনি বেগম খালেদা জিয়ার পিকেটাররা তার ডান চোখটা কেড়ে নিয়েছে। নরবলী না পান নিদেন পক্ষে একটা চোখবলি তো পেয়েছেন। তাই বা কম কি?
অঞ্জুসরকারের মা ইশ্বরের কাছে বিচার চেয়েছেন। তিনি এর বেশী আর কিইবা চাইতে পারেন। তিনি রাজনীতি বোঝেন না। কৌশল বোঝেন না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হয়ে এর চাইতে কিইবা বেশী করতে পারেন। অঞ্জুর দোষ সে এই আবালের দেশে জন্মগ্রহন করেছিল। যেই দেশটার একটি ধর্ম আছে। রাষ্ট্রটি প্রতিনিয়ত নামাজ পড়ে, রোজা ও হজ্বব্রত পালন করে।
এই দেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রধর্ম ও ধর্মিও রাজনীতির প্রতি দুর্বলতা আজকের নয়। এরা হজরত ইব্রাহিম আ: কে জাতীর পিতা হিসাবে জেনে এসেছে। এই দেশের জ্ঞানপাপি মুসলমান তাত্বিকরা এই বিষয় গুলিকে এতোটাই গুরুত্ব দেন যে এই সব ছোট খাট বোদ্ধ, হিন্দু হত্যায় এরা বিব্রত বোধ করেন না। মজার ব্যাপারখানা হচ্ছে এরা প্রকৃত অর্থেই মুসলমান, এরা কেউ মানুষ নয়। মানুষ হওয়ার কথাও নয়। মানুষ হতে হলে মানবিক গুনাবলী থাকতে হয়, যা এদের নেই। এরা বিজ্ঞানের কল্যানে সুখের যাবতীয় আস্বাদ গ্রহন করেন কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতি মানেন না।
তাদের ধারনা পবিত্র কোরান শরিফই জ্ঞান ও বিজ্ঞানে শেষ মানদন্ড। ফলাফল যা হওয়ার কথা আমরা চোখের সামনেই তা দেখতে পাচ্ছি। কোন ক্রমে একটি ছেলেকে বা একটি মেয়ে কোরানে হাফেজ করা যায় তো কুল্লে খালাস। পদার্থ বিজ্ঞান থেকে মহাকাশ বিজ্ঞান মানব সৃষ্ট্রির যাবতীয় রহস্য তার কাছে পানির মত সহজ হয়ে যায়। রসায়নের রসঘন কেমিক্যাল লোচার ফলে, ছাইদি ছাবের মনটা য়খন এরোপ্লেন হয়ে যায়। তখন আল্লাহ নিশ্চয়ই সাত আসমানের উপরে দারিয়ে, তাদের প্রেমলীলা দেখে অভিভুত হন। অধ্যাপক গোলাম আযমের ছেলে যখন জরিয়ে পড়েন চাচীর প্রেমে, তখনই নাজিল হয় "প্রেম ও যুদ্ধে কোন বর্ডার বা সীমারেখা নাই"। যদিও এটা কোরানের বানী নয় তবে খুজতে গেলে যে পাবান না তাও কিন্তু নয়।
বেগম খালেদা জিয়া কি এই মহাবিজ্ঞানময় গ্রন্থটি পড়েন। নিশ্চয়ই পড়েন তবে সেই সকল অংশ গুলি যেখানে কোতল কর, হত্যা কর, চোখ উপরে নাও, জিহাদ করে বরবাদ করে দাও আওয়ামি ঘারানার সমস্ত দুর্গ। থাবাবাবার মত নাস্তিকদের দেশে ও হুমায়ুন আজাদ স্যারের মতো দামী নাস্তিকদের বিদেশের মাটিতে নিয়ে হত্যা কর। হত্যা করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ কাজ। নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মুসলিম ধর্মে সংখ্যা লঘুদের হত্তা করার কথা তো কোথাও লেখা নেই
বরং সব ধর্মের স্বাধীনতার কথা লিখা আছে
যারা সরল অবুঝ এ বালিকার ক্ষতি করল তারা আসলে ধর্মান্ধ ।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
বৃক্ষ বলেছেন: নির্মম সত্য কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: যারা সরল অবুঝ এ বালিকার ক্ষতি করল তারা আসলে ধর্মান্ধ
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২০
মেঘের দেশে স্বপ্নডানা বলেছেন: