![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দাবি হোক একটাই রাষ্ট্রর্ধম ও ধর্মরাজনীতি নিষিদ্ধ করা প্রসংগে। আমার পোষ্ট পড়ে অনেকে কমেন্টও করেছে কিন্তু সবই নেগেটিভ । তাই স্বভাবতই আমি কমেন্ট এর উত্তর দান থেকে বিরত থাকি। এটার কারন আরো একটা আছে সেটা হল আমার বয়স, আমি অনেকটা সময় পাড় করে এসেছি আর এখানে এখন যারা আসে তারা আমার সন্তানের মত। তারা অনেক কিছু দেখেনি অনেক কিছু জানেও না। শিক্ষা ছাড়া সময়ের অভিজ্ঞতায় একজন মানুষ প্রকৃতি থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। অনেক কিছু আচ করে বলে দিতে পারেন, যা প্রচন্ড বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত হওয়া সত্তেও অল্প বয়েসি একজনের পক্ষে বলা সম্ভব নাও হতে পারে। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। যুদ্ধ পরবর্তি সময়টাই ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময় যা আমরা স্বাধীনতার কুফল হিসাবে সময়ের গড্ডালিকা প্রবাহে নিজেদের ভাসিয়ে দিয়েছিলাম। যার পরিনতি খুব একটা শুভ হয়নি। বড় কোন কেউকেটা আমি ছিলাম না কোনদিনই। আর দশটা দুষ্ট কিশোর যা করে মজা পেত আমরাও ঠিক তাই করে কাটিয়ে দিয়েছিলাম জীবনের সেই মুল্যবান সময়টি। ভেবেছিলাম এটাই হয়তো জীবন আনন্দ ফুর্তি করে কাটিয়ে দিতে পাড়লেই বুঝি জীবনটা হয়ে গেল ধন্য। অনেক কাছ থেকে অনেক কিছু দেখেছি। যা বললে কেউ বিশ্বাস করবে কি না তারও যথেষ্ট কারন আছি। তখন তো সবাই আওয়ামী লীগের পান্ডা। বঙ্গবন্ধু যা না বলতেন তার কর্মি বলতেন তার চাইতেও অনেক বেশী। নিজের কথাই বলি দেশ স্বাধীন বলে বাসে বা ট্রেনে চড়ে কখনো ভাড়া পর্যন্ত গুনতাম না। আমাদেরই কত বন্ধুবান্দবকে দেখেছি টিকিট চাওয়ার অপরাধে র্গাডকে ট্রেন থেকে ফেলে দিতে। স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কি আমরা কেউ বুঝতামই না। বঙ্গবন্ধু মুলত আমাদের অত্যাচারেই এত তাড়াতাড়ি বিদায় নিয়ে চলে গিয়েছিলেন।
৭২ থেকে ১৫ আগষ্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত দেশে ধর্মরাষ্ট্র বা ধর্মরাজনীতির চর্চা ছিল না। কারণ জামাত সহ বিভিন্ন ইসলামিক সঙগঠন ও মুসলিম লীগের ধর্ম ব্যাবহার দেখতে দেখতে আমরা অতিষ্ট হযে উঠেছিলাম। ধর্মরাষ্ট্র বা ধর্মরাজনীতি ছিল না বরে আমাদের কোন অসুবিধা হয়নি। আমরা টেরই পাইনি কোন কিছুর কমতি আমাদের মধ্যে আছে জুম্মা, রোজা, ঈদ উদযাপন করেছি কোন পরিবর্তন লক্ষ করিনি। হিন্দুদের পুজা কখন হয়েছে বা কখন শেষ হয়েছে তা নিয়েও ভাবিনি। যে যার ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করেছে। কোন অসুবিধা হয়নি। বাঙ্গালী জাতীর একমাত্র শনি শহীদ জিয়া এসেই সমস্ত বির্তকের পত্তন ঘটান। তিনি কৌশল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য বন্ধ করে দিয়ে বন্দি রাজাকার ও অপরাধীদের জেল থেকে ছেড়ে দেন। যাতে আম্বাদের বিরুদ্ধে একটি বড়ধরনের বিপক্ষ তৈরী করা যায়। তিনি বিভিন্ন ভাবে বাঙ্গালী জাতিকে বিভক্ত করেছেন। কখনো ধর্মের নামে, কখনো আদিবাসীদের জন্য মায়াকান্নায় বাঙ্গালীকে বাংলাদেশী বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের যে ক্ষতি তিনি করেছিলেন তা ছিল অপুরনীয়। তারপর এরশাদ এলেন বাঙ্গালীদের ধর্মরাষ্ট্রের আরক ধরিয়ে দিয়ে নয়টি বছর যা খুশি তাই করলেন। এই এরশাদের মত বড় যুদ্ধাপরাধী আর একজনও পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ছিল কি না সন্দেহ। একজন সৈনিকের প্রথম ফরজ হলো মাতৃভুমিকে রক্ষা করা। তিনি কিন্তু তা করেনি কারণ তিনি বাংলাদেশে বিশ্বাস করতেন না। তিনি যুদ্ধের নয় মাস পাকিন্তানি সেনাবাহিনীতে বিশ্বসতার সাথে শুধু মাত্র কাজ করেই খান্ত থাকেননি, তিনি সেনাবাহিনীর বন্দি বাঙ্গালী সেনা সদস্যদের মার্শাল কোটে বিচার করে তাদের সাজাও শুনিয়েছিলেন। অর্থাৎ পাকিস্তান মাশাল কোর্টের তিনি একজন চৌকস বিচারকও ছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে তিনি পুরুস্কার হিসাবে হেলালে পাকিস্তান খেতাবে ভুষিত হয়েছিলেন।
তারপর এলেন বেগম খালেদা জিয়া ওরফে গোলাপজান তিনি করলেন সবচাইতে জঘন্যতম কাজগুলি, যে গুলি তার স্বামীও করতে সাহস করেনি তিনি সেই কাজ গুলি একে একে করে যেতে শুরু করলেন। তার প্রধানতম কারণ হলো বঙ্গবন্ধু তাকে কন্যার মর্জাদা দিয়েছিলেন। তাই তিনি তাকে অপমান অপদস্ত করতে যা যা করা দরকার সবকিছুই ক্ষমতার চেয়ারে বসেই সর্বপ্রথম সমাধা করেছিলেন। শহীদ জিয়াকে “স্বাধীনতার ঘোষক” দিয়ে যাত্রার শুভসুচনা করেন, বঙ্গবন্ধুকে অপমানিত করতে তার মৃত্যুদিনটিকে নিজের জন্মদিন ঘোষনা করলেন। যিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা তাকে অপমানিত করতে তিনি তার কাজের স্বীকৃতি সরুপ তাকে স্বাধীনতা পদক পর্যন্ত দিয়েছিলেন। লক্ষ কোটি প্রতিবাদ উঠলো তিনি তাতে কানও দিলেন না। শুধু তাই নয় এখনো তিনি ১৫আগষ্ট জন্মদিন হিসাবে পলন করে আসছেন। শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রীত্ব দিলেও তিনি কুখ্যাত কাউকে অর্ন্তভুক্ত করেননি। কিন্তু বাসের চাইতে কঞ্চি যেমন সবসমায় একটু এগিয়ে থাকে ঠিক তেমনি তিনি তার মন্ত্রী সভায় এমন দুই খুনিকে স্থান দিলেন যাদের নামই তাদের কৃতর্কমের রেকড বহন করে । একজন মতিউর রহমান নিজামী ও অন্যজন মোজাহিদি। শুধুমাত্র এই কারনেই বেগম খালেদা জিয়ার বিচার হওয়া প্রয়োজন।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর প্রায় একুশ বছর পর আওয়ামীরা প্রথম ক্ষমতাশীন হয় তাও বহু ত্যাগ ও তিতিক্ষার পর। আপোষ পরে আপোষ করতে করতে আওয়ামী লীগ হাড়িয়ে ফেলেছে তার নিজস্ব স্বকিয়তা। এই গড্ডালিকা প্রবাহের আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার ক্ষমতায় এসে দেশ ও দশের জন্য যা করেছে ইতিহাস বলে দেশের যদি সত্যকার অর্থে কোন উন্নয়ন হয়ে থাকে তা শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের সদইচ্ছার কারনেই হয়েছে। দেশের অবকাঠামো র্নিমান থেকে শুরু করে খাদ্য, বিদ্যুৎ ও শিক্ষায় দেশের যে অর্জন তা শুধু আওয়ামী লীগের কারনেই সম্ভব হয়েছে।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৮
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: খাটি হাম্বা যে বোঝা যায়, গ্রো আপ ম্যান ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
জামালখান বলেছেন: আপনি কি মুক্তিযোদ্ধা?