নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোনাজাত।।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

হে আল্লাহ তুমি কি আছ। কেন তুমি আমাদের হেফাজত করতে পারিতেছ না ? তুমি হঠাৎ করিয়া কেনইবা এতটা শক্তিহীন হইয়া পরিলে যে, হেফাজতে ইসলাম ওরফে জামাতবিএনপির জমজভাই আমাদের ঈমানি শক্তি ফিরাইয়া আনিবার লক্ষ্যে আগামী ৫মে আবার ঢাকা অবরোধ করিবে। যদিও পেছনের দিকে হাটা দুষ্কর, তবুও তোমার পেয়ারা বান্দারা পেছনের দিকে হাটায় অভ্যস্ত। নাস্তিক্যে দেশ যে ভাবে ভরিয়া উঠিতেছে, তাহাদের চিন্হিত করিয়া বিচারের কাঠগড়ায় না উঠাইতে পারিলে দেশ হইতে অচিরেই ইসলাম বিলুপ্ত হইবে। এই ভয়ে তাহাদের রাতের ঘুম ও দিনের আরাম হারাম হইয়া গিয়াছে।এই হেফাজতের অতিব বুদ্ধিমান বুদ্ধিমান ফাজিল গুলি ব্লগ দিয়া ইন্টার নেটে লিখিতে চাহিতেছে। তাহারা বিশ্বপাজি মাহামুদুর রহমানের আমার দেশ পড়িয়া জ্ঞাত হইয়াছে যে কতিপয় ব্লগার আর কতিপয় মুখবই ব্যাবহার কারীরা ইন্টারনেটে কি কি নাকি লিখিতেছে। যাহা দেশ ও জাতির যে প্রচন্ড ক্ষতি করিতেছে তাহা হইতে জাতীকে রক্ষা করিতেই তাহারা এখন রাস্তায়।



দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করতেই মুলত তাদের এই ঢাকা অবরোধ কর্মসুচী। সম্ভবত হেফাজতে ইসলাম ওরফে জামাতবিএনপির তোমার উপর থেকে তাহাদের ঈমান হাড়াইয়া ফেলিয়াছে। বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ, এখানকার শতকরা অষ্টাশি ভাগ মানুষ মুসলমান, আরো একটি বিষয় এখানে লক্ষ্যনিয় যে, শতকরা আটানব্বই ভাগ মানুষ বাংলায় কথা বলে। যাহা আর পৃথিবীর অন্য কোথাও নাই বলিলেই চলে। যাহারা বর্তমানে দেশে চালকের আসনে বসিয়া আছেন তাহারা বেশীর ভাগই মুসলমান। তারপরও কি এমন ঘটিল যে তাহারা তোমার উপর আর ভরসা না করিতে পারিয়া নিজেরাই যুদ্ধে নামিবার মতো সিদ্ধান্ত লইতে বাধ্য হইলেন। হে মাবুদ তাহারা এবং তাহাদের সহযোদ্ধারা ইতিমধ্যেই তোমার উদ্দেশ্যে রাজিবকে উৎসর্গ করিযাছে। সম্ভবত তুমি সেই বলিতে সন্তুষ্ট হইতে পার নাই দেখিয়া ফটিক ছরিতে তিন তিনটি নিরপরাধ আদম সন্তানকে বাশ ও গাছের ডাল দিয়া পিটাইয়া হত্যা করিয়া শান্তির ধর্ম দীন ই ইসলামের মুল মৌলবাদী চেতনার প্রকাশ ঘটাইয়া ফেলিয়াছেন। যাহা মানুষের করা সমচীন নয় তাহাই তাহারা বীর বিক্রমে করিয়া চলিয়াছেন।



আবার তাহারা সাড়া দেশের শান্তিপ্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনদের লইয়া ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করিবার সমস্ত প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করিয়া আনিযাছেন। হে রাহমানুর রহিম হঠাৎ করিয়া তোমার উপর হইতে তাহাদের বিশ্বাস এইভাবে উঠিয়া যাওয়ার একমাত্র কারণ যে, ঈবলিশ রুপি রাজনীতি তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। তাহা আমরা ঠিকই উপলদ্ধি করতে পারিতেছি। তোমার একমাত্র পেয়ারা বান্দা হাজী মোসাম্মৎ শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ধর্য্য ধরিযা সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষন করিতেছেন। আক্ষা মুসলিম জাহানের একমাত্র মহিলা আমীর ও শহীদ পত্নী বেগম খালেদা জিয়া হেফাজতের এই কর্মসুচীর প্রতি তাহার পুর্ন সর্মথন জ্ঞাপন করিয়াছেন। হে গাফুরুর রহিম এই মুর্হুতে বাংলাদেশে তোমার প্রতি বিশ্বস্ত আর একটি মানুষও অবশিষ্ট রইল না। যারা তোমার উপর ভরসা করিয়া স্বাধীন ভাবে ধর্মকর্ম পালন করবে। তুমি যখন তোমার মহাবিজ্ঞানময় গ্রন্থে পরিস্কার করিয়া জানাইয়া দিয়াছ যে "হে ঈমানদার গন তোমরা তোমাদের ঈমানের রজ্জুটি শক্ত করিয়া ধরিয়া রাখ আল্লাহ সয়ং তার ধর্ম রক্ষা করিবেন"। হে আল্রাহ তুমি কি মুফতি সাফি ও তাহাদের অনুসরনকারীদের কানে শীশা দিয়া ঢালাই করিয়া দিয়াছ আর বোধবুদ্ধির উপর শীলগালা করিয়া ধর্মের ষাঢ়ে পরিনত করিয়া রাখিয়াছ। এই ক্ষেপা ষাঢ় গুলি যখন আল্রাহ হু আকবর বলিয়া ধুলা উড়াইয়া ছুটিতে থাকিবে তখন ষ্টামপিড হইয়া কত শত মানুষের মৃত্যু অনিবার্য হইয়া উঠিবে তাহা কি একটি বার ভাবিয়া দেখিয়াছ। হে আল্রাহ তোমার নামে শপথ করিয়া বলিতেছি যদি বাঙ্গালী জাতীকে বাচাইতে আরো একটি যুদ্ধ করিতে একান্তই আমাদের বাধ্য করা হয়, তাহা হইলে আমরাও প্রস্তুত। '৭১ এর ঘাতকদের কোন অবস্থাতেই আমরা বিনা বিচারে ছাড়িয়া দিব না। তাহাদের বিচার হইবেই হইবে। আস্তিক ও নাস্তিকতার আড়ালে ঐ যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করিবার সমস্ত অভিপ্রায় আমরা নস্যাত করিয়া দিবই দিব। মুসলমানের সাথে মুসলমানের যুদ্ধ হইলে সেখানে সংর্ঘসে নিহত ব্যাক্তিকে কি বলিয়া সম্মানিত করিতে হইবে তাহাই বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছি না। তবে এইটুকু নিশ্চিত বুঝিতে পরিতেছি যে, জামাতবিএনপির যোদ্ধারা শহীদি মর্জাদা লাভা করিবে আর আমরা হইব মরহুম। ইহাইতো এযাবতকাল চলিয়া আসিয়াছে। উত্তরাধিকার সুত্রে আল্লাহ তায়ালার একমাত্র সোল এজেন্ট হিসাবে তাহারাই বংশ পরম্পরায় ইহার দেখভাল করিয়া আসিতেছে কারণ তাহারাই বাংলাদেশের একমাত্র সহি ইনসান যাহারা আউজুবিল্লাহি না পড়িয়া শয়তানকে না তাড়াইয়াই বিশমিল্লাহ এই দেশে প্রতিষ্ঠিত করিয়া ছিলেন।



কাঁদো দেশ মাটি মাগো, যতো পারো কাঁদো কাঁদো।

কাদলে মাটি নরম হবেই হবে।

ক্ষেপা ষাঢ়ের ক্ষিপ্ত খুরে, আটকে যাবে কাদা।

উল্টে পড়ে অক্কা পাবে, দেখবো তখন মজা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

শ্রীঘর বলেছেন: আমিন, আমিন।
ভাবতে অবাক লাগে যে "আল্লাহর চেয়ে মানুষ ভয়ংকর"। নামাজ-রোজা না রাখার অপরাধে হয়ত তিনি ক্ষমা করলেও করতে পারেন। কিন্তু মানুষ আপনাকে কোনো ক্ষমা করবে না।

বাস্তবসম্মত পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১২

আতা স্বপন বলেছেন: তুমি হঠাৎ করিয়া কেনইবা এতটা শক্তিহীন হইয়া পরিলে যে, হেফাজতে ইসলাম ওরফে জামাতবিএনপির জমজভাই আমাদের ঈমানি শক্তি ফিরাইয়া আনিবার লক্ষ্যে আগামী ৫মে আবার ঢাকা অবরোধ করিবে।
প্রথমে আপনার এই কথাটির তিব্র প্রতিবাদ করছি। আল্লাহ শক্তিহীন এই টাইপের হাসিঠাট্টার জন্য।
আপনি বলছেন আল্লাহ যেহেতু ইসলামকে রক্ষা করবেন (পবিত্র কোরআনের আয়াতের উদ্ধিতি দিয়েছেন) তাই ইসলাম হেফাজতের চেষ্টা সফি সাহেবদের করা উচিত নয়। তারা আল্লাহর উপর থেকে ইমান হারিয়েছে। আপনার এই চিন্তা একেবারেই একপেসে। আল্লাহ মানুষকে দুনিয়াতে পরিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। মাঝে মাঝে ইসলামের দুষমন দ্বারা ইসলামকে আক্রান্ত করে আল্লাহ পরিক্ষানেন করা এর জন্য সোচ্চার কাদের অন্তর ইসলামের জন্য তরপায়। হেফাজত আল্লাহই করবেন এটা সত্য। তাই বলে হেফাজতের চেষ্টা করতে বা আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিবাদ করতে মানা করেনি। কোরআনা শরিফে এটাও আছে তোমরা সংগ্রাম কর আল্লাহর পথে যতক্ষণ না ফেতনা বিলুপ্ত হয়। কাজেই সংগ্রাম বা আন্দোলন করা ইমান হারানো একথা ঠিক নয়। আল্লাহ শুধু মাত্র ইসলামের হেফাজত কেন পুরো সৃষ্টিকুলোর হেফাজত করেন। এটা তার বৈশিষ্ট। কারন তিনি রহমান তিনি রাহিম। তার গুনে রঙ্গিন হতে আল্লাহ বলেছেন। এর অর্থ তার পথে তার সর্বাত্তক চেষ্টা করতে বলেছেন। আর তাই মাঠে সফি সাহেব। উনি ইসলামের হেফাজতের জন্য চেষ্টা করছেন মাত্র। জাষ্ট জয়েন ফর সাপোর্ট আল্লাহ সুবহনু তায়ালা। মুল হেফাজত আল্লাই করবেন। হেফাজতের এ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আল্লাহর ইসলাম হেফাজত করার কথায় সফি সাহেব সমর্থন করেছেন। তিনি হেফাজত করবেন এমন কথা বলেন নি।
আপনার আদরের সন্তানকে কেউ যদি আপনার সামনে অপমান করে বা মারধর করে আপনার কাছে কেমন লাগবে? নিশ্চয় খারাপ। যার সত্যই মুসলামান তাদের কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের সবকিছুর চেয়ে প্রিয় আল্লাহ ও রাসুল ও মনোনিত ধর্ম ইসলাম। যা আদরের সন্তানের চেয়েও প্রিয়।
কাজেই তাকে মানুষ হেয় করবে আর ইমানদার মুসলমান বসে বসে কলা চুষবে তাতে হতে পারে না। ইমানের দাবি হল অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।
সুরা আসরে আল্লাহ বলেন-
সময়ের কসম।
নিশ্চয় মানুষ ক্ষতির মধ্যে লিপ্ত,
তারা ব্যতিত ,যারা ইমান এনেছে।
যারা সং কর্ম করেছে।
যারা একে অপরকে হকের পথে থাকতে উপদেষ দেয় (সৎ কাজে সহযোগীতা অসৎ কাজে বাধা)।
এবং উপদেশ দেয় ধর্যের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.