![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেগম জিয়ার র্দুদিন চলছে। দেশশুদ্ধ সবাই তাকে পরামর্শ দিচ্ছে। কি কি করলে তিনি রাজনীতির পবিত্র অঙ্গনে নিজের পবিত্র পদযুগল রাখতে পারবেন। স্বাধীনতার বেয়াল্লিশ বছর পর সত্য সত্যই দেশ ও জাতীর জন্য তিনি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পরেছেন। কাজের মধ্যে দুই, খাই আর শুই, এই নিয়ে তিনি বেশ আছেন। তার সেই সুশিল মার্কা ব্যারেষ্টারগুলি ধার হাড়িয়ে যে যার স্ত্রীর কোলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধুমাত্র কুমিল্লার ইতর স্বনামধন্য ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া দেশ ও দশের জন্য বড়ই চিন্তিত। বেগম জিয়া এখন একা বড়ই একা। জামাত ও হেফাজতের পাপ তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত তাকে ঢেকে ফেলেছে। চোর মায়ের নান্নামুন্না চোট্টা চোট্টা বাচ্চা গুলি সম্ভবত আর দেশে ফিরতে পারবে না। সংসদে তার দলের কোন সাংসদ নেই তাই আপতত উপজেলা চেয়ারম্যানরাই তার একমাত্র ভরসা। কৌশুলি শেখ হাসিনার কাছে তিনি মার খেতে খেতে বাস্তুহারা জীবন যাপন করছেন। কেন এমন হলো, তাই এখন তিনি বসে বসে ভাবেন। তবে এটা অস্বীকার করবার উপায় নেই যে, তিনি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাথে তাদের চেতনার বিরুদ্ধে গিয়ে যা নয় তাই করেছেন। কর্দয খেলায় নিজেকে এমনভাবে কর্দয করেছেন যে, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত নাকখত দিলেও তার পাপের খন্ডন হবে বলে মনে হয় না। ঘৃনিত নিন্দিত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আলবদরদের শুধু সর্মথনই নয় তাদের এই রাষ্ট্রের মন্ত্রীপরিষদে ঠাই দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে দারুনভাবে অপমান ও অসম্মান করেছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের তাবর তাবর রাজনীতিবিদরা এখন বেগম জিয়াকে বিভিন্ন ভাবে উপদেশ খয়রাত করে বেড়াচ্ছেন। যার শুশ্রষা অবশ্য আম্বাদের হাতেই সংরক্ষিত আছে। ক্ষমতার মিউজিক্যাল চেয়ারে বসতে হলে, জামাতকে ছাড়তে হবে বেগম জিয়ার। কেন? এর কোন সদউত্তর কারো কাছেই মজুত নেই। জামাত দেশের প্রচলিত প্রথা মতো রাজনৈতিক দল হিসাবে তাদের গ্রহনযোগ্যতা দিন কে দিন বাড়িয়ে যাচ্ছে। মানুষ জামাতকে মনে নিচ্ছে, মেনে নিচ্ছে। জামাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জামাত ধর্ম ব্যাবহার করে রাজনীতি করছে, এটা দেশের প্রচলিত বিধনে নিষিদ্ধ নয়। ধর্মরাজনীতির অধিকার প্রয়োগ করেই তারা রাজনীতি করছেন, এখানে দোষের তো কিছু দেখছি না। আপনি দেশে অধিকার লাঘু করবেন কিন্তু অধিকার ভোগ করতে দেবেন না, সেটা কোন ধরনের রাজনীতি একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? আপনাদের গ্রহনযোগ্যতা কমছে কার ব্যার্থতায় একটিবার ভেবে দেখবেন কি? জামাতের অঙ্গসংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবির একটি সন্ত্রাষী সংগঠন, ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল কার গায়ে এই তগমাটি লাগানো নেই। সরকারতো ইচ্ছা করলেই জামাতকে ধরাশায়ী করতে পারে যে কোন মুহুর্তে ধর্মরাজনীতি নিষিদ্ধ করে। তা এই সরকার বাহাদুর করতে পারছেন না কেন। এখানেও নাকি বিশাল আইনের একটি গেড়ো দৃশ্যমান। যা অতিক্রম করার সাধ্য সারকারের নেই। জামাত ইস্যুটি এখন আদালতের বিচারাধীন তাই সরকার এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারছেন না। আহারে সদইচ্ছার কি অদ্ভুত মহিমা কেসটা না থাকেলেই যেন জামাতকে নিষিদ্ধ করে ফেলা যেত। এমন তর উদ্ভট সংবিধান প্রদানকারী সরকারের মুখে হাজারো জুতার বারি। জামাতকে নিষিদ্ধ করবার দরকার নেই, ধর্মিও রাজনীতি নিষিদ্ধ করুন তাতেই জামাত পালাবার পথ খুজে পাবে না। বাম রাজনীতির ঘাম ও ডান রাজনীতির নাম করে জনগনকে হয়তো বোকা বানানো যাবে তবে বেশীদিন এই চালাকি টিকবে বলে মনে হয় না।
সার্বজনিন বিষয়গুলির সমাধান হতে হবে সার্বজনিন। এখানে আপোষের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির জন্য মঙ্গলজনক কাজটিকেই অগ্রাধিকার দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ধর্ম যার যার বিশ্বাসের বিষয় এটাকে প্রতিষ্ঠানীকি করনের কোন অর্থই হয় না। ধর্ম গ্রহন ও ধর্ম ত্যাগের উদাহরনও পৃথিবীতে বিরল নয়। একমাত্র হিন্দু ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মগুলোতে ইচ্ছেমতো যতায়াতে কোন বাধা নেই। ব্যাক্তিগত লাভ লোকশানের ভিত্তিতেই ব্যাক্তি সেটা র্নিধারন করে থাকে। এখানে রাষ্ট্র নিরুপায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪
নিশাত তাসনিম বলেছেন: গভীর রাত কেটে ভোর আসে আবার রাত্রি হবে এভাবেই কেয়ামত পর্যন্ত চলবে । এটাই জগতের নিয়ম। ফেরাউন নিজেকে খোদা দাবী করেছিলো কিন্তু ইতিহাস তার নির্মম পতনের সাক্ষী বহন করে চলেছে।