![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এতদিন পর বিএনপির শুভবুদ্ধি হয়েছে। জনর্দূভোগ ঘটে এমন কোন আন্দুলন তারা করবে না। বলেছেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বা দৌড় সালাহ উদ্দিন। বেগম জিয়ার নিত্য নতুন আবিস্কারে আবিস্কারে বিএনপি যখন দিশাহারা ঠিক তখনি তিনি শুভবুদ্ধির পরিচয় রাখলেন। বেগম জিয়ার এই তিন তিনটি আবিস্কার জাতীকে স্তম্ভিত করলেও জাতীকে টলাতে পারেনি। সেগুলি যথাক্রমে ১. বাংলাদেশের প্রথম রাষ্টপতি জিয়া। ২. ১৫আগষ্ট বেগম জিয়ার জন্মদিন ৩. শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক। জনগন এইগুলি খুব একটা এখন আর গায়ে মাখে না। তারা সত্যগুলি জেনে গেছে।
প্রশ্ন হলো বিএনপির মতো মারদাঙ্গা ও জোচ্চর দল হয়ে কিভাবে হঠাৎ এই ভদ্রতার লেবাসে নিজেদের মুড়িয় নিলেন। দুষ্ট লোকেরা দৌড় সালাউদ্দিনের মুখের কথায় তুষ্ট হতে পারছেন না। তারা এই বিষয়টির উপর নানা রকম সমীকরন করে একটা জুতসই ও বিশ্বাসযোগ্য উত্তর খোজার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
কথায় বলে পরের জন্য গর্ত খুড়লে সেই গর্তে নিজেদের পরতে হয়। বিএনপি যতবারই ক্ষমতাশীন হয়েছে, ততবারই তারা তাদের শাসন যন্ত্রটাকে বিভিন্ন কালাকানুন দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছিলো নিজেদের প্রয়োজনে। বিরোধী দলকে আয়েত্বে রাখতে। ফলাফল বিরোধী দল স্পিকটিনট হয়ে অপেক্ষা করেছে ঐ কালাকানুন গুলির বেধে দেয়া সময়কাল শেষ হওয়ার অপেক্ষায়। ধ্রুত মওদুদ আহমেদ দুইবছরের জন্য আইন গুলি লাঘু করেছেন আবার তুলেও নিয়েছেন। বিরোধী দল একটু সোচ্চার হলেই আবার লাঘু করেছেন। তারা যেমন সংবিধান সমুন্নত রেখেই জাতীকে বাশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনাও সেই একই পন্থায় বর্তমানে দেশ শাসন করছেন।
সম্ভবত ফেরাউনের পর শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল সমুহ বেশ কাজের বলে প্রমানিত হয়েছে। তিনি আসলে নতুন করে কিছুই করেননি ধ্রুত মওদুদের কালাকানুন গুলিকে প্রয়োজন অনুযায়ী দফায় দফায় বাড়িয়ে নিচ্ছেন। বেগম জিয়া সমাজ থেকে সন্ত্রাষী কর্মকান্ড গুলিকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে দ্রুত বিচারের নামে যে আইনটি বলবৎ করেছিলেন। শেখ হাসিনা সেই আইনটিকেই আস্থায় নিয়ে সর্বশ্রেণীর অপরাধীদের অভয়অরন্য থেকে দেশকে মুক্তি দিতে আরো পাচ বছরের জন্য পুনরায় বলবৎ করেছেন। ৭মার্চ ২০১৪ পর্যন্ত ছিল এর মেয়াদ কাল।
আসছে পাচ বছরে কে যাবে খামাখা নিজের মাথাটা হাসিনার পিলোটিনে পৌছে দিতে। তাই বিএনপি এখন জনর্দুভোগ নিয়ে এতোটা ভাবছে। এভাবেই ধীরে ধীরে দেশে সুস্থ্য রাজনৈতিক ধারার প্রচলন শুরু হবে। আমরা সেই আশাতেই হয়তো বেচে আছি।
©somewhere in net ltd.