নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জবাবদীহিতার বিকল্প নেই।।

১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

জবাবদিহিতা নিশ্চত করতে না পারলেই সমাজ জীবন অন্থির হয়ে উঠে। বর্তমানে আমরা ঠিক এমন একটি সংকটময় কাল অতিক্রম করছি। সমস্ত আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনায় বিলীন। দুষ্টলোকেরা বলে বেড়ায় শেখ রেহানাও নাকি লন্ডনে বসে ছড়ি ঘোড়ান। এর সত্যমিথ্যা আমি জানি না। তবে ১০০১/-একহাজার এক টাকায় গুলশানের বাড়ী হাতিয়ে নেয়ার কৌশলটা মোটেই সুখকর নয়। যদি সত্য হয়। দেশে বিরোধী দল নেই। আছে সরকার টিকিয়ে রাখার সরকারী বিরোধী দল। তাদের কাজ একটাই সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ইচ্ছা মত শিকার করা। দেশ যে অস্থিরতায় নিপাতিত। তার একটা নিদৃষ্ট চৌহদ্দীও আছে। আম জনতা এসবের বাইরে তারা দর্শক। অর্থ ও প্রতিপত্তি বিস্তার করতেই প্রতিনিয়ত এরা পরস্পর পরস্পরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে। খালেদা বিবি বা তার চল্লিশ চোরের ঘুম হারাম করে দিয়েছে সরকার দ্রুত বিচার আইন আরো পাচ বছরের জন্য বলবৎ করে। তাই তারা আপতত সেমিনার সিম্পোজিয়ামের মতো ঘড়োয়া আলোচনা করেই বেশ সুখে আছেন।চামড়ার মুখ আর স্বরযন্ত্রে সাহায্য যার যা বলা ঠিক নয় তাও বলছেন। সেদিন তো ফখরুন বলেই বসলেন নারায়নগঞ্জের ৭খুনে প্রধানমন্ত্রী জরিত । ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় যদি বেগম জিয়া জরিত থাকেন তো এমন ভাবনা ভাবাটা ফখরুলের অ্ন্যায় না।

আমাদের প্রধান অন্তরায় হচ্ছে আমাদের কারো কোন দায়বদ্ধতা নেই, জবাবদিহিতা নেই। কোন প্রতিষ্ঠানেই নিয়ম কানুনের বালাই নেই। সরকারী দলের আর্শিবাদ থাকলে সমস্ত আইনকে কাচকলা দেখিয়ে আপনার যা খুশি তাই করুন কেউ আপনাকে কিচ্ছুটি বলবে না। আপনি আমু ভাইএর লোক তো নো চিন্তা। শেখ হেলালের লোক হলে তো কথাই নেই।

সমাজ জীবনে যারা এই অস্থিরতা রোপন করছেন তারা কারা? তারা শোষক শ্রেনীর তৃনমুল পর্যায়ের উচ্চাভিলাশী কিছু মানুষ। তারা তাদের বর্তমান অবস্থায় খুশি নয় আরো আরো বড় হতে চায়। তাই মরতে হয় যার হাত ধরে সে আজকের এই অবস্থানে উন্নতি করেছিল। এটা আগেও ছিল। আজও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এই রাজনৈতিক অপসাংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে হবে। সত্যকারের সেবার মনোভাব নিয়ে রাজনীতিতে আসতে হবে্। ভারতে এমন নেতার অভাব নেই। বাংলাদেশে খুজতে গেলে একটি নামই উঠে আসে তিনি অগ্নিকন্যা খ্যাত মতিয়া চৌধুরী। বিশ্বাস করুন বঙ্গবন্ধু চারনেতার পর বাংলাদেশে মতিয়া ছাড়া আর কোন নেতা আসেনি।

জবাবদিহিতা না থাকলে যে যে অনুসঙ্গগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে তাই এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। র‍্যাব ভাড়াটে খুনির ভুমিকায় মাঠে নেমেছে। পুলিশের কড়া নজরদারিতে চলছে বাবা ইয়াবা শীশা গাজার রমরমা ব্যাবসা।শাসকগোষ্ঠির গোষ্ঠিপতিরা আছেন তাদের মাথার উপর। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে সরকারের নীতির্নিধারকেরা এর কোন কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না।

ভাগ্য ভাল বাংলাদেশের টিভি মিডিয়া দেখি না। গুমখুন আর ভারমিতে পরিপুর্ন থাকে এই দেশের বোকার বাক্সগুলি। ভারতে এই গুলির বালাই নেই। ভারতীয় টিভি দেখে কেউ আন্দাজই করতে পারবে না দেশে কি হচ্ছে। দেশের টকসো গুলি দেখলে মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর গুনকৃর্তনের আসর বসেছে। গতকাল জিকে টিভিতে এক মহিলা বললেন পিতার স্বপ্নাদেশ পেয়েই নাকি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরে ছিলেন। সুবক্তা আরাফত সাহেবও তার সাথে ছিলেন। হঠাত ১৯৭৪ সালের একটি কথা মনে পড়ে গেল। তখনকার একটি সাধারন জ্ঞানের বই এ দেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু নাকি বৈজ্ঞানিক ছিলেন। ভাগ্যিস সেটা বঙ্গবন্ধুর চোখে পরেনি তার আগেই স্বপরিবারে তিনি পরকালে পারি জমিয়ে ছিলেন্।

শেখ হাসিনা যদি সত্যসত্যই প্রাতস্বরণীয় হয়ে থাকতে চান। তাহলে তাকে যে কোন মুল্যে সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নচেত তিনিও কালের গর্ভে হাড়িয়ে যাবেন। আরাফতের গ্যাসে কোন কাজ হবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.