![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ কত যুগ পর রফিক, সালাম ও জাব্বারের আত্মা শান্তির সুখবৃষ্টিতে ভিজলো। বাংলাদেশের একমাত্র মহিলা মুসলমান নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ কার্যালয়ে বসে তাদের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া খায়ের এর আয়োজন করেছিলেন। এবার তিনি শহিদ মিনারে গিয়ে ফুলের অর্ঘ দিতে যাননি। মুসলিম প্রথায় পুজার কোন স্থান নেই। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালিক বার দুয়েক সেই পুজায় তাকে অংশ নিতে হয়েছিল তাও রাষ্টিও কার্যকলাপের অংশ হিসাবে বাধ্য হয়েই।
বাঙ্গালী জাতি যুগ যুগ ধরে ভাষা শহিদদের নিয়ে পুজার বেদি র্নিমাণ করে, ফুল দিয়ে, নেচে, গেয়ে ভাষা শহিদদের স্বরণের নামে যে অধর্ম করে চলছিলে তা থেকে বাচাতেই বেগম জিয়া এই নতুন কর্মসূচী জাতীকে উপহার দিলেন। যা শহীদের কষ্ট দিনকে দিন বাড়িয়েই চলেছিল তাথেকেও শহিদরা আজ মুক্তি পেল। এইসব হিন্দু আচার আচরনের জন্য দায়ী আমাদের কতিপয় নষ্ট বুদ্ধিজীবির প্ররোচনা। বিএনপির শাসনামলে এই নষ্ট বুদ্ধিজীবিদের নাগপাশ থেকে দেশকে বাচানোর জন্যেই হুমায়ুন আজাদ নামক নাস্কিকটির ভবলীলা সাঙ্গ করা হয় খুবই সুকৌশলে। শামসুর রাহমানকে অপদস্ত করতেও তিনি পিছপা হননি। শিল্পী হাসান ইমামকে তো দেশ ছাড়া করে ছেরেছিলেন। কিসের শিল্প আর কিসের শিল্পী আল্লাহর চাইতে বড় শিল্পী আর কে আছে। কোরান শরীফের কাব্যগুন যে সুর মুর্ছনার আবাহ সৃষ্টি করে তা পৃথিবী যাবতীয় সুর সুর্ছনাকে টপকে যায়। তবুও বাঙ্গালী মুসলমানগুলি হিন্দু আচার আচরনে বশিভুত হয়ে মুসলিম উম্মার যে ক্ষতি সাধন করছে তা প্রশ্নাতীত।
বেগম জিয়া বাঙ্গালীজাতিকে সেই সব হিন্দুআনি রীতিনীতি থেকে বের করে আনবার জন্যেই আজও অবরোধ হরতালের মতো গনবিরোধী কর্মসূচী সমুহ অব্যাহক রেখে দিয়েছেন। আর হয়তো সেই জন্যেই সেঞ্চুরী ঘটানো হত্যাকান্ড ঘটিয়েও তিনি লজ্জিত নন। একটি ভালো কাজ করতে গেলে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেটাতো জাতিকে মেনে নিতেই হবে। বিএনপি জাতিকে হাওয়া ভবনের মতো একটি সস্তায় যোগাযোগের মাধ্যম উপহার দিয়েছিলো। যা বর্তমান সরকার এতোদিনেও করে উঠতে পারেনি। বিএনপি ক্ষমতাকে কখনো কুক্ষিগত করে রাখার বিপক্ষে তাই বর্তমান সরকারের পতন অত্যান্ত জরুরী।
©somewhere in net ltd.