নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বকবক আমার স্বভাব।\n

কবঠ

মোস্তাক খসরু

শয়তানের সংখ্যা তিন ছয় বাইবেলে আছে।

মোস্তাক খসরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণতন্ত্র নাকি ডাকাতি হয়ে গেছে -ড.এমাজউদ্দিন দলকানা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২১

গণতন্ত্র ডাকাতি হয়ে গেছে : ড. এমাজউদ্দিন। কে বা কারা ডাকাতিটা সংগঠিত করলো। তার কোন যুতসই উত্তর তিনি দিতে পারেননি। কারণ তিনি তো দলকানা বুদ্ধিজীবী। ৫ তারিখের নিয়ম রক্ষার নির্বাচনে ১৩৫জন প্রার্থী ভোটার বিহীন নির্বাচিত হওয়ায় তিনি এটাকে গণতন্ত্রের নামে ডাকাতি বলে অভিহিত করছেন।



ড. এমাজউদ্দিন একজন নামজাদা মানুষ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব পর্যন্ত পালন করেছেন। তিনিও যদি এমন উদ্ভট কথা বলতে থাকেন তখন তো বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষগুলির শিক্ষা নিয়ে সন্দেহ জাগে। এরা কি সত্যসত্যই শিক্ষিত নাকি দলিও এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য দম দেয়া কলের পুতুল। ড. এমাজউদ্দিন স্যারের কাছে যদি বিনয়ের সাথে জানতে চাই জামাতবিএনপি কেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো না। তখন তিনি কি বলবেন? তিনি কি বলবেন নির্বাচনে যাওয়ার মতো পরিবেশ সরকার সৃষ্টি করতে ব্যার্থ হয়েছিল বলেই জামাতবিএনপকে নির্বাচন থেকে দুরে থাকতে হয়েছিল।



সামরিক শাসনের মধ্যে থেকে বঙ্গবন্ধু নির্বাচন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মেন্ডেট জিতে নিয়েছিলেন। শহিদ জিয়ার ভয়াল নৈরাজ্যেরময় পরিস্থিতিকে আমলে না এনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ গ্রহন করে মাত্র ৬৯টি আসন নিয়ে সংসদে গিয়েছিলো। তার ধারা বাহিকতায় আজও দেশের হাল তারাই থরে আছে। জিমাতবিএনপি কেন একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে চাইলো না সেই প্রশ্নটা কি আপনার উর্বর মস্তিষ্কে একবারও উদয় হল না। বিএনপি আসলে গণতস্ত্রের ভাষাই বোঝে না, তারা চায় কেউ তাদের ক্ষমতার মসনদে জোর করে বসিয়ে দিক। আপনি তো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক আপনি তো বোঝেন গণতান্ত্রিক সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পস্থা হলো নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে যারা অবজ্ঞা করে তারা আর যাই হোক তাদেরকে কোন আবস্থাতে গণতান্ত্রিক দল বললে শোভন দেখায় না। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও নির্বাচনের পুলসিরাত পার হয়েই সরকার গঠন করতে হয়। যেন তেন উপায়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের মতো ঝানু দলকে কাবু করা যে চাট্টিখানি কথা নয় সেটা বিএনপির আগেই বোঝা উচিত ছিল। ড. এমাজউদ্দিন স্যার আজ আপনি যাই বলুন না কেন কোন অধিকারে জামাতবিএনপি অসহযোগ ও হরতাল দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের দশস মংসদে একটি আসনও নেই। তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে গিয়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। যারা সবসমায় নিজেদের শাসক ভাবতেই ভালবাসেন। পরমত সহিষ্ণুতার অবকাশ যেখানে গড়ে উঠেনি সেখানেই গণতন্ত্র অর্থহীন। এই যে জামাতবিএনপি আজ দুটি মাস আন্দোলনের নামে জাতীকে বিভ্রান্ত ও বিশৃঙ্খলায় ফেলার চেষ্টা করে চলছে। মানুষ পুড়িয়ে মারছে। সেটা কোন অধিকারে বলে। আওয়ামী লীগ কিন্তু জামাতবিএনপিকে তাবে রাখতে নিজে থেকে কিছুই করেনি। কিএনপি আওয়ামী লীগেকে ত্বাবে রাখতে যা যা ইস্তেমাল করেছিল আওয়ামী লীগ সেগুলিকেই পুনরুজ্জীবন করেছিল মাত্র। মওদুদ সাহেবের করা দ্রুত বিচার আইন আওয়ামী লীগে পাঁচ বছরের জন্য স্থায়ী করে নিয়েছেন। যার ভয়ে বিএনপির সমর্থক কেউ যেন্ রাস্তায় নামতে না পারে। হয়েছেও তাই। তারা আন্দোলন বাদ দিয়ে হিটা এন্ড রান অর্থাৎ চোরাগুপ্ত হামলা করে সাধারন মানুষকে আতংকের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকারকে ব্যাতিবাস্ত রাখার ঘৃণ্য কৌশল অবলম্বন করে। এই দায় তো বিএনপির, আওয়ামী লীগের নয়। র‍্যাব তো আওয়ামী লীগ বানায়নি বিএনপি তার শাসনকালটাকে নিরুদ্রুপ রাখতেই র‍্যাব এর মতো একটি এলিট ফোর্স তৈরী করেছিল আওয়ামী লীগ সেই এলিট ফোর্সকে কাজে লাগিয়ে শাসনযন্ত্রটাকে অক্ষত রাখার চেষ্টা করছে মাত্র। ড. এমাজউদ্দিন স্যার ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার না করে চোরগুলিকে চিহ্নিত করতে চেষ্টা করুন। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন ঐ চোরগুলি বেগম জিয়ার আসে পাশেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: জানি, আপনার এ লেখা হয়তো স্যার পড়বেন না, তবে তিঁনি পড়লে এখানে উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না।

আমাদের দেশে কিছু অন্ধ বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা বুদ্ধিনাশ করে চলছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে সত্য কথাগুলো সহজভাবে তুলে আনার জন্য।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
আমাদের দেশে কিছু অন্ধ বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা বুদ্ধিনাশ করে চলছেন ।
সহমত !

ড.এমাজউদ্দিন দলকানা এক জ্ঞান পাপী ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.