![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টানা তেরানব্বই দিন অবরোধ হরতাল শেষে পোড়া মানুষের মাংশের স্বাধ নিয়ে বিএনপিকে প্রায় শুন্য হাতেই ঘরে ফিরতে হয়েছিল। মানুষ তার সহ্যের শেষ সীমায় গিয়ে পৌছেছিল। এমতবস্থায় সিটি করপোরেশনের র্নিবাচনের ছুতোয় আবার জনগনের সামনে আসার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে কাজে লাগাতে চাইছে বিএনপি সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করার প্রত্যাশায়। সাধারন মানুষ সন্ত্রাস পছন্দ করে না। যার প্রমান মিললো এবারের বাংলানববর্ষের উৎসবে। এবারের নববর্ষ ছিল একদম ভিন্ন আমেজের রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছিল। বিভিন্ন রংএর পোশাক, ফেষ্টুন, ব্যানার ও মুখোসের আড়ালে নেচে গেয়ে নবর্বষকে বরণ করেছে বাঙ্গালি। জামাতবিএনপির চাপিয়ে দেয়া অবরোধ হরতাল থেকে মুক্তির কি আনন্দ তাই যেন মানুষ জানান দিয়ে গেল।
বিএনপির জায়েন্ট জায়েন্ট লিডাররা এবার বলতে শুরু করেছে (সরব আন্দোলনে তো কিছুই হলো না) এবার নাকি নিরব বিপ্লব ঘটিয়ে জনগন বিএনপিকে কোলে তুলে নেবে। তবে হা বিএনপির কৃতকর্মের ফল এই র্নিবাচনেই বিএনপি প্রত্যক্ষ করবে এটাতে কোন সন্দেহ নেই। কট্টর পাকি প্রেমি, রাজাকার আর স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি ছাড়া কেউ বিএনপিকে ভোট দেবে বলে মনে হয় না। তবে সুস্থ্য রাজনীতি অনুশীলনের জন্য এই পাঠটি বিএনপির জন্য প্রয়োজনিয হয়ে পরেছিল। ২০১৯ পর্যন্ত সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে থাকতে পারলে বিএনপির জন্য একটি সম্ভাবনার দ্বার খুললেও খুলতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া বা মওদুদ সাহেবের নিরব বিপ্লব কোথায় ঘটবে তা র্নিবাচনের ফলাফলই বলে দেবে। প্রার্থী র্নিবাচনে বিএনপির দীনতা এতোটাই প্রকট যে, দুষ্ট লোকেরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছে বিএনপি সরকারকে ফাদে ফেলার জন্যই এমন হযবরল র্মাকা প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে। জিতলে ভালোই না জিতলে র্নিবাচনে বিপুল কারচুপির অভিযোগ উত্থাপন করে আবার দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু করার পায়তারা করতে পারবে।
অতএব সাধু সাবদান ভুল রাজনীতির মাশুল গুনেই সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে ফিরতে হবে। নচেত জনগনের নিবর বিফ্লবের কোপে বার বার তাদেরকেই পরতে হবে।
©somewhere in net ltd.