![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বরাবর: প্রধানমন্ত্রী
ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ।
ঢাকা, বাংলাদেশ।
বিষয়: ধর্মরাষ্ট্রের আলোকে বাংলাদেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষনা করা হোক।
মহাত্নন,
যথাবিহিত সম্মান পুর্বক (যদিও জাতীয় ভার এরশাদ এই জাতীয় সম্মান প্রর্দশন তুলিয়া দিয়াছিল) তবুও ধর্মের প্রতি আপনার অকৃত্তিম ভালবাসা দেখিয়া যার পর নাই আনন্দিত হইয়াছি। বর্তমানে দেশে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের হিসাব আদম শুমারী অনুযায়ী শতকরা তিন শতাংশ। দেশে নাস্তিকের সংখ্যা আধা শতাংশ হইবে কিনা সন্দেহ তবুও তাহাদের বিরুদ্ধে আপনার শক্ত অবস্থান ইসলামি উম্মাকে আগাইয়া লইতে সাহায্য করিবে ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। বঙ্গবন্ধু সাড়া জীবন ধর্মের অপব্যাবহার যাহাতে না হইতে পারে তাহার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করিয়া গিয়াছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমান ও আপনি উভয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা করিয়া যে বিষ বৃক্ষটি বপন করিয়াছিলেন তাহা আজ মহিরুহু হইয়া জাতীর কাধে সিন্দাবাদের বুড়ার মতো চাপিয়া বসিয়া আছে। তা বসিয়া থাকুক না উঠিয়া নাচুক তাহাতে আমার কিছু যায় আসে না। আপনার পঞ্চদশ সংশোধনী শংসদে পাশ হওয়ার পর হইতেই আমি অসুস্থ্য হইয়া পড়িয়াছি। আমার সহজ সরল মাথায় ধর্মরাষ্ট্রের সাথে ধর্ম নিরপেক্ষতার সমম্নয় করিতে না পাড়িয়া রোজ একটি একটি করিয়া মাথার শিরা ছিরিতেছি কিন্তু কোন ভাবেই নিজেকে খাপ খাওয়াই লইতে পারিতেছি না। যদিও এই না পারার পেছনে বঙ্গবন্ধু কিছুটা হইলেও অবদান আছে। অযথাই জনগনের সাথে মস্কারা না করিয়া এই অদ্ভুত দর্শন সংবিধানটির পরির্বতন করিয়া শতকরা সাতানব্বই ভাগ মুসলামানের দেশকে ইহুদি, খৃষ্টান ও নাশারাদের ন্যায় গনতন্ত্র তুলিয়া দিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষনা করুণ। হেফাজতে ইসলাম প্রমান করিয়া দিয়াছে যে, মুসলিম উম্মার ঈমানের জোর কত তীব্র যে, এখানে আর অন্য কিছু মানাইতেছে না। তাহাদের শ্লোগান শুনিয়া আমি দারুন উল্লাসিত হইয়াছি "লড়াই হবে ময়দানে, দেখা হবে জান্নাতে"। কি অদ্ভুত সত্য তাহাদের মুখ হইতে নিস্ক্রান্ত হইতেছে। তাহারা ধরিয়াই লইয়াছে কোন ক্রোমে মৃত্যু নিশ্চিত হইলেই জান্নাত মিলিবেই মিলিবে। সাড়া জীবন অধর্ম করিয়া কাটাইলেও কোন ক্ষতি নাই মৃত্যুটার পুর্বে একটি হজ্বব্রত পালন করিতে পারিলেই জান্নাতের চাবিটি হস্তগত হইল। আর মৃত্যুটা শহীদি হইলে তো কথাই নাই গোরাযাব ছাড়াই জান্নাত অনিবার্য। আরো একটি বিষয় না বলিলেই না, আরবি যেহেতু বেহেস্তের ভাষা তাই ইংরেজীর স্থলে আরবিশিক্ষাটা বাধ্যতামুলক করা যাইতেই পারে। মৃত্যুর পর কেরামন ও কাতিবিনের সহি প্রশ্নের সহি উত্তর না দিতে পারার করনে অযথাই কেয়ামত পর্যন্ত আযাব সহিতে হইবে একজন কবুরির। মহা বিজ্ঞানময় পবিত্র গ্রন্থ কোরান শরীফ একটি পুর্নঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা এবং সমস্ত বিজ্ঞানের মুল উৎপত্তিস্থল নাকি পবিত্র গ্রন্থ এই কোরান শরীফ। তাই অযথাই শিক্ষাখাতে যে বিপুল বাজেট হয় তা জাতীর কোন কাজেই লাগিতেছে না। শুধমাত্র মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড রাখিয়া দেশের সমস্ত শিক্ষা ব্যাবস্থা তুলিয়া দিয়া কোরান শরীফকে উপজীব্য করিয়া শিক্ষায় জোর দিলেই আমরা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতীতে পরিনত হইব। এই বিষয়ে দেশের কোন ওলামা একরামের দ্বীমত থাকিবার অবকাশ নাই।
অতএব অযথাই ছলচাতুরি বা কৌশলের আশ্রয় না লইয়া দীন ইসলামের খেদমতে বাংলাদেশের শাসনযন্ত্রের নাম গনপ্রজাতন্ত্রের স্থলে বদলাইয়া ইসলামী প্রজাতন্ত্র কায়েম করিতে পাড়িলেই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আর পেছনের দিকে ফিরিয়া দেখিতে হইবে না। রাজনীতি যদি করিতেই হয় মুসলমানদের জন্য করুন, মানুষের রাজনীতি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর সাথে সাথেই ইন্তেকাল করিয়াছে। বিদায় হজ্জের বাণীর আলোকে আপনি যে আলোক বর্তিকা দেশে জ্বালাইয়া দিয়াছেন তাহাতে জঙ্গি আল্রামা ও মাশায়েখ চাষের যে বিশাল সম্ভাবনা তৈরী হইয়াছে তাহা অস্বীকার করিলে আপনাকে অপমানিত বরা হইবে।
নিবেদক
আপনার একান্ত বাধ্যগত কর্মি ও ভক্ত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৪
রাতুলবিডি৪ বলেছেন: মৃত্যুটা শহীদি হইলে তো কথাই নাই গোরাযাব ছাড়াই জান্নাত অনিবার্য
:কেন ভাইজান সন্দেহ আছে?
হেফাজতে ইসলাম প্রমান করিয়া দিয়াছে যে, মুসলিম উম্মার ঈমানের জোর কত তীব্র:
: জনাবের মনোকষ্টের কারন?