![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মরুদ্যানের মুসাফির
ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সুপ্রসিদ্ধ ‘কিমিয়ায়ে সাআদাত’ কিতাবে পবিত্র কুরআন
সুন্নাহ মুতাবিক বর্ননা করেছেন – ৭ প্রকার ব্যক্তির দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবত হয় না। নিচে এই প্রকার ব্যক্তি বর্ণনা করা হলওঃ-
১- কোনো লোক
যদি কোনো কাজী সাহেবের
কাছে যায় বিচারের জন্য,
বিচারপ্রার্থী হয়ে ও
বিচারের জন্য যদি সে সত্য
কথা বলতে গিয়ে বিপরীতপক্ষের
দোষত্রুটি বর্ণনা করে,
তাহলে সেটা গীবত হবে না।
২- সে যদি কোনো মুফতী সাহেবের
কাছে যায় ফতোয়ার জন্য, তখন
সে ফতোয়ার জন্য যেটা সত্য
সেটাই বলবে, এতে তার গীবত
হবে না।
৩- যারা রাজা-বাদশাহ, আমীর-ওমরাহ
শাসক
গোস্ঠি তাদের ইছলাহ
বা সংশোধন করার জন্য
দোষত্রুটিগুলি যদি ধরিয়ে দেয়া হয়,
তাহলে সেটা গীবত হবে না।
৪- অন্যকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে অহরহ
পাপে লিপ্ত
ফাসিকদের
দোষত্রুটি বর্ণনা করে তাদের
থেকে বেঁচে থাকার উপদেশ
দিলে, সেটা গীবত হয় না।
ফাসিক বলা হয় যে ফরয, ওয়াজিব,
সুন্নতে মুয়াক্কাদা হামেশা তরক
করে তাদেরকে ।
৫- যারা লুলা-ল্যাংড়া, বোবা-
তোতলা নামে মশহূর
তাদেরকে লুলা-ল্যাংড়া, বোবা-
তোতলা বলে ডাকা হলে,
সেটা গীবত হবে না।
৬- যদি কোনো পিতা তার
ছেলেকে বিয়ে করাতে চায়
বা মেয়েকে বিয়ে দিতে চায়,
বিপরীত পক্ষের কাছে গিয়ে সেই
ছেলে বা মেয়ের
প্রতিবেশীর কাছে যদি, ঐ
ছেলে বা মেয়ে সম্বন্ধে সংবাদ
নেয় আর প্রতিবেশীর
লোকেরা যদি সত্য কথা বলে অর্থাৎ
সেই
ছেলে বা মেয়ের
দোষত্রুটিগুলি বলে দেয়,
তাহলে সেটা গীবত হবে না।
কারণ এখানে একজনের জীবন
নিয়ে প্রশ্ন।
৭- যারা উলামায়ে ‘সূ’
বা দুনিয়াদার
ধর্মব্যবসায়ী নামধা আলিম
পীর স্কলার
যারা দ্বীনকে বিক্রি করে দুনিয়া অর্জন
করে, তাদের
দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবত
হবে না।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের
সকলকে সঠিক বিষয়টি বুঝার
তৌফিক দান করুন-আমীন!
©somewhere in net ltd.