![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনলাইন পাড়ায় ভীতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যারা সরকারের বিপক্ষে কথা বলে আসছেন, যে যার মত পারেন নিজের কলম ও কিবোর্ডে লাগাম লাগান। গেল সপ্তাহে সরকার দল আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফের কাছ থেকে একটি ঘোষনা আসে দেশে ‘সাইবার যুদ্ধ’ চলছে। এই যুদ্ধে বিদ্রোহী হলো সরকার বিদ্রোহীরা আর রাজা বাদশা সৈন্য সামন্তের অধিকারী আওয়ামী সরকার।
গেল বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ ও হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অনলাইনে সরকারি নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল।
সাইবার ক্রাইম সনাক্ত করতে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসেই গঠন করা হয় বাংলাদেশ কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিএসআইআরটি) এবং তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক, ব্লগ, টুইটার এবং ইউটিউবের উপর নজরদারি শুরু করে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসিও একটি আলাদা সেল খোলে। রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-Rab, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাও এটি নিয়মিত মনিটর করছে। আছে দলীয়ভাবেও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা। সে জন্য সরকারি দলের একটি ইউনিট কাজ করছে বছর পাঁচেক ধরে।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে গঠন করা ১১ সদস্যের একটি দল কাজ করছে। এখানে কমিশনের সদস্য, মোবাইল ফোন অপারেটর, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার, পিএসটিএন, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে ও সাইবার ক্যাফের প্রতিনিধিরাও আছেন।
মোবাইল অপারেটর ও অন্যরা এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা এবং ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি করতে পারে এমন বিষয়ের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন কমিশনের অন্য সদস্যরা কিন্তু বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীলকান্তি বোস এ ব্যাপারে কিছুই বলেন নাই।
তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধীকে দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা এবং পাঁচ লাখ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৬৯ ধারা অনুযায়ী এই শাস্তি দেয়া হতে পারে। সাধু সাবধান, নিজেকে অনেক বড় বিপ্লবী প্রমাণের চেষ্টা আত্মঘাতী হতে পারে।
©somewhere in net ltd.