নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাঙ্গালী কিন্তু বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের সীকৃত পাইনি। সীকৃতি চাই বাঙ্গালী হয়ে বেচে থাকার।

বঙ্গমিত্র সিএইচটি

বঙ্গমিত্র সিএইচটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭১ এর সেই উপজাতিয় রাজাকাররা আজ কোথায় ???

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৩





মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়

উপজাতিয়

অধ্যুসিত এলাকা ছিল

পার্বত্য

চট্টগ্রাম । সুতরাং পার্বত্য

চট্টগ্রাম হতে দেশের

স্বাধিনতা রক্ষার

আন্দোলনে উপজাতিদের

শক্ত

ভূমিকা থাকার কথা ছিল ।

কিন্তু

দেশদ্রোহী অধিকাংশ

উপজাতিরা তা করেনি ।

তখন

পার্বত্য চট্টগ্রামে তিন

সার্কেলে তিনজন

রাজা ছিলেন ।

রাজা মংপ্রু সাইন মহান

মুক্তিযুদ্ধে অংশ

নিয়ে আখাউড়া সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধাদের

সহায়তা করেছিলেন ।

কিন্তু

দুঃখের বিষয়

রাঙ্গামাটির

চাকমা রাজা ত্রিদিব

রায়

এবং বান্দরবানের

বোমাংরাজা মংশুয়ে প্রু

চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে অংশতো নেয়নি বরংচ

পাক বাহিনীদের

সহায়তা করেছিল ।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ

রেসকোর্স

ময়দানে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ

আন্দোলনের

ডাক দেন । তখন

থেকে দেশের

ছাত্রযুবকদের সামরিক

প্রশিক্ষন

দেয়া শুরু হয় ।

রাঙ্গামাটিতেও

ছাত্র যুবকদের rifle training

দেয়া শুরু

হয় ।

রাঙ্গামাটিতে ডেপুটি কমিশনার

তৌফিক ইমান

আন্দোলনের নেতৃত্ব

গ্রহন করেন । তার

সরকারি অফিসেই

তখন মুক্তিযোদ্ধাদের

মিটিং হতে থাকে ।

ত্রিদিব রায়

প্রথম দিকে কয়েকবার

মিটিংএ

যোগ দিলেও

পরে তিনি সম্পুর্ন

ঘুরে দাড়ান । অর্থাৎ

প্রথমদিকে তার

মিটিংএ যোগদানের

উদ্দেশ্য

ছিল

রাঙ্গামাটিতে মুক্তিযোদ্ধা কারা এবং তাদের

পরিকল্পনা কি তা জানা ।

পরিবর্তীতে ত্রিদিব রায়

উপজাতিয়

যুবকের

নিয়ে পাকবাহিনীদের

সহায়তা করার জন্য

সিভিল আর্মড

ফোর্সেস

অথবা রাজাকার

বাহিনীতে যোগ দেন ।

এরপর

ত্রিদিব রায় অসখ্য

মুক্তিযোদ্ধা ও

নিরীহ

মানুষকে হত্যা করে ।

পাকিস্তানী সৈন্যদের

রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান

হতে সার্বিক

সহযোগীতা করেন

ত্রিদিব রায়

এবং বোমাংরাজা মংশুয়ে প্রু

চৌধুরী । তাদের বিশ্বাস

ছিল

বাংলাদেশ

কখনো স্বাধিন

হবেনা । তাই

পাকিস্তানিদের পক্ষ

নিয়ে পরবর্তীতে অতিরিক্ত

সুবিধা আদায় করা ।

সেই কথা পরে অন্য

সময়ে তুলে ধরবো ।

যাইহোক দেশ স্বাধিন

হবার পরে সরকার

রাজাকার বাহিনী,

সিভিল আর্মড

ফোর্সের সদস্য ও

পাকবাহিনীর

সহযোগীদের

খুঝতে পার্বত্য

চট্টগ্রামে পুলিশ ও

বিডিআর

বাহিনী নিয়োগ করে ।

কারন, এই

সকল

স্বাধিনতা বিরোধীরা অস্ত্রসহ

পাহাড়ের গভীর

অরণ্যে লুকিয়ে ছিল ।

অস্ত্রসহ কিছু

রাজাকারদের

ধরতে পারলেও

অধিকাংশ ধরা ছোয়ার

বাইরে থেকে যায় ।

ইতিমধ্যে সরকার

মাইকিং করে সকল

রাজাকারদের

ক্ষমা ঘোষনা এবং সবাইকে আত্বসমর্পনের

অনুরোধ জানায় ।

ফলে সামান্য কিছু

ব্যক্তি আত্বসমর্পন করলেও

রয়ে যায়

সসস্ত্র মূল রাজাকাররা ।

পরক্ষনে এই

সসস্ত্র

রাজাকাররা পূনরায়

নিজেদের সুসংগঠিত

করতে থাকে ।

তারা, পাহাড়ের

এবং সি,এ,এফ

বাহিনীতে জেলার

গ্রাম অঞ্চলের বহু

স্থানে আইন

শৃংঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব

নেন এবং অনেক সমাজ

বিরোধীদের

শায়েস্তা করেন ।

ফলে তারা সাধারন

মানুষের

কাছে শান্তি বাহিনী পরিচিত

লাভ করে ।

পরবর্তীতে মানবেন্দ্র

নারায়ন লারমা ও তার

ছোট ভাই

সন্তু

লারমা জনসংহতি সমিতি কমিটি করলে তারা জনসংহতি সমিতিতে যোগদান

করেন । সেই সাথে সসস্ত্র

রাজাকাররা জনসংহতি সমিতির

Armed Wing এর সদস্য হয় । তখন

সন্তু

লারমা এই বাহিনীর

প্রধান হন । শরদিন্দু শেখর

চাকমা তার লিখিত

"পার্বত্য চট্টগ্রামের একাল

সেকাল"

বইটিতে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন

যে জেএসএস সসস্ত্র

রাজাকার নির্ভরশীল

সংগঠন ।

তাই আজ আমাদের

যারা মুক্তিযুদ্ধের

চেতনার কথা বলছেন

তাদের এই সকল

রাজাকারদের

বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ।

কারন,

তারা আজও প্রকাশ্য

দেশের শত্রু

জাতির শত্রুই রয়ে গেছে ।

কিন্তু

দুঃখের বিষয় আমাদের

দেশে মুক্তিযুদ্ধের

চেতনাধারীদের

কাছে এই ইতিহাস

অজানা এবং এই

রাজাকাররাই

প্রশংসিত পাত্র ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.