![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়
উপজাতিয়
অধ্যুসিত এলাকা ছিল
পার্বত্য
চট্টগ্রাম । সুতরাং পার্বত্য
চট্টগ্রাম হতে দেশের
স্বাধিনতা রক্ষার
আন্দোলনে উপজাতিদের
শক্ত
ভূমিকা থাকার কথা ছিল ।
কিন্তু
দেশদ্রোহী অধিকাংশ
উপজাতিরা তা করেনি ।
তখন
পার্বত্য চট্টগ্রামে তিন
সার্কেলে তিনজন
রাজা ছিলেন ।
রাজা মংপ্রু সাইন মহান
মুক্তিযুদ্ধে অংশ
নিয়ে আখাউড়া সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধাদের
সহায়তা করেছিলেন ।
কিন্তু
দুঃখের বিষয়
রাঙ্গামাটির
চাকমা রাজা ত্রিদিব
রায়
এবং বান্দরবানের
বোমাংরাজা মংশুয়ে প্রু
চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে অংশতো নেয়নি বরংচ
পাক বাহিনীদের
সহায়তা করেছিল ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ
রেসকোর্স
ময়দানে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ
আন্দোলনের
ডাক দেন । তখন
থেকে দেশের
ছাত্রযুবকদের সামরিক
প্রশিক্ষন
দেয়া শুরু হয় ।
রাঙ্গামাটিতেও
ছাত্র যুবকদের rifle training
দেয়া শুরু
হয় ।
রাঙ্গামাটিতে ডেপুটি কমিশনার
তৌফিক ইমান
আন্দোলনের নেতৃত্ব
গ্রহন করেন । তার
সরকারি অফিসেই
তখন মুক্তিযোদ্ধাদের
মিটিং হতে থাকে ।
ত্রিদিব রায়
প্রথম দিকে কয়েকবার
মিটিংএ
যোগ দিলেও
পরে তিনি সম্পুর্ন
ঘুরে দাড়ান । অর্থাৎ
প্রথমদিকে তার
মিটিংএ যোগদানের
উদ্দেশ্য
ছিল
রাঙ্গামাটিতে মুক্তিযোদ্ধা কারা এবং তাদের
পরিকল্পনা কি তা জানা ।
পরিবর্তীতে ত্রিদিব রায়
উপজাতিয়
যুবকের
নিয়ে পাকবাহিনীদের
সহায়তা করার জন্য
সিভিল আর্মড
ফোর্সেস
অথবা রাজাকার
বাহিনীতে যোগ দেন ।
এরপর
ত্রিদিব রায় অসখ্য
মুক্তিযোদ্ধা ও
নিরীহ
মানুষকে হত্যা করে ।
পাকিস্তানী সৈন্যদের
রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান
হতে সার্বিক
সহযোগীতা করেন
ত্রিদিব রায়
এবং বোমাংরাজা মংশুয়ে প্রু
চৌধুরী । তাদের বিশ্বাস
ছিল
বাংলাদেশ
কখনো স্বাধিন
হবেনা । তাই
পাকিস্তানিদের পক্ষ
নিয়ে পরবর্তীতে অতিরিক্ত
সুবিধা আদায় করা ।
সেই কথা পরে অন্য
সময়ে তুলে ধরবো ।
যাইহোক দেশ স্বাধিন
হবার পরে সরকার
রাজাকার বাহিনী,
সিভিল আর্মড
ফোর্সের সদস্য ও
পাকবাহিনীর
সহযোগীদের
খুঝতে পার্বত্য
চট্টগ্রামে পুলিশ ও
বিডিআর
বাহিনী নিয়োগ করে ।
কারন, এই
সকল
স্বাধিনতা বিরোধীরা অস্ত্রসহ
পাহাড়ের গভীর
অরণ্যে লুকিয়ে ছিল ।
অস্ত্রসহ কিছু
রাজাকারদের
ধরতে পারলেও
অধিকাংশ ধরা ছোয়ার
বাইরে থেকে যায় ।
ইতিমধ্যে সরকার
মাইকিং করে সকল
রাজাকারদের
ক্ষমা ঘোষনা এবং সবাইকে আত্বসমর্পনের
অনুরোধ জানায় ।
ফলে সামান্য কিছু
ব্যক্তি আত্বসমর্পন করলেও
রয়ে যায়
সসস্ত্র মূল রাজাকাররা ।
পরক্ষনে এই
সসস্ত্র
রাজাকাররা পূনরায়
নিজেদের সুসংগঠিত
করতে থাকে ।
তারা, পাহাড়ের
এবং সি,এ,এফ
বাহিনীতে জেলার
গ্রাম অঞ্চলের বহু
স্থানে আইন
শৃংঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব
নেন এবং অনেক সমাজ
বিরোধীদের
শায়েস্তা করেন ।
ফলে তারা সাধারন
মানুষের
কাছে শান্তি বাহিনী পরিচিত
লাভ করে ।
পরবর্তীতে মানবেন্দ্র
নারায়ন লারমা ও তার
ছোট ভাই
সন্তু
লারমা জনসংহতি সমিতি কমিটি করলে তারা জনসংহতি সমিতিতে যোগদান
করেন । সেই সাথে সসস্ত্র
রাজাকাররা জনসংহতি সমিতির
Armed Wing এর সদস্য হয় । তখন
সন্তু
লারমা এই বাহিনীর
প্রধান হন । শরদিন্দু শেখর
চাকমা তার লিখিত
"পার্বত্য চট্টগ্রামের একাল
সেকাল"
বইটিতে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন
যে জেএসএস সসস্ত্র
রাজাকার নির্ভরশীল
সংগঠন ।
তাই আজ আমাদের
যারা মুক্তিযুদ্ধের
চেতনার কথা বলছেন
তাদের এই সকল
রাজাকারদের
বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত ।
কারন,
তারা আজও প্রকাশ্য
দেশের শত্রু
জাতির শত্রুই রয়ে গেছে ।
কিন্তু
দুঃখের বিষয় আমাদের
দেশে মুক্তিযুদ্ধের
চেতনাধারীদের
কাছে এই ইতিহাস
অজানা এবং এই
রাজাকাররাই
প্রশংসিত পাত্র ।
©somewhere in net ltd.