নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন বাঙ্গালী কিন্তু বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের সীকৃত পাইনি। সীকৃতি চাই বাঙ্গালী হয়ে বেচে থাকার।

বঙ্গমিত্র সিএইচটি

বঙ্গমিত্র সিএইচটি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসামীকে কোনো প্রকার স্বীকারোক্তি প্রদান না করার জন্য সরকার পক্ষের এক সহকারি কৌশলী পরামর্শ প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি নিয়েছেন
রাঙামাটি জেলা জজ আদালত।
মঙ্গলবার
দুপুরে রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশ
গ্রেফতারকৃত এই
আসামীকে আদালতে সোপর্দ
করলে আসামী সুশীল
চাকমা নিজের দোষ স্বীকারপূর্বক
জবানবন্দি প্রদান করার আগ্রহ প্রকাশ
করলে আদালত দন্ড বিধি ১৬৪
ধারায় আসামী দোষ স্বীকারমূলক
জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এদিকে আসামীকে কোনো প্রকার
স্বীকারোক্তি প্রদান না করার
জন্য সরকার পক্ষের এক
সহকারি কৌশলী পরামর্শ প্রদান
করেছেন বলে অভিযোগ
পাওয়া গেছে।
যেখানে একটি স্পর্শকাতর
ঘটনাকে কেন্দ্র
করে রাঙামাটি পুলিশ প্রশাসনের
যখন জলে নাক ডোবার উপক্রম
অবস্থা,ঠিক তখনই গোপন সূত্রে খবর
পেয়ে প্রধান গ্রেনেড
নিক্ষেপকারিকে গ্রেফতার
করে সকলের পক্ষ থেকে সাধুবাদ
পাওয়ার পথ সুগম হলো। এবং এরই
ধারাবাহিকতায় ধৃত
আসামীকে ব্যাপক
জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের
সম্পৃক্ততা স্বীকার
করে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য
রাজি হলো। এরপর
তাকে নিয়ে যাওয়া হলো জেলা জজ
আদালতে।
ঠিক
তখনী ঘটলো একটি অনাকাংখিত
ঘটনা। সেখানে রক্ষকই যেন ভক্ষকের
ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন।
এখানে কোর্ট ইন্সপেক্টরের
রুমে আসামীকে আদালত বসার আগ
মুহুর্তে বসানো হলে বিশেষ
নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে। কিন্তু
একটি ওকালত নামায় স্বাক্ষর
নেওয়ার জন্য রুমে প্রবেশ করেন
রাষ্ট্রপক্ষের নিযুক্ত
সহকারি পিপি এডভোকেট তোষণ
চাকমা।
তিনি রুমে প্রবেশ করেই
আসামী সুশীল চাকমাকে পরামর্শ
প্রদান করে বলেন, তার প্রদত্ত
স্বীকারোক্তিতে কারও নাম
বলা যাবে না। এসময় উপস্থিত কোর্ট
ইন্সপেক্টর আবুল কালাম, মামলায়
তদন্তকারি অফিসার এসআই
আনোয়ারসহ উপস্থিত অন্য পুলিশ
সদস্যরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।
তখনই কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল কালাম
সহকারি এপিপি তোষণ
চাকমাকে এব্যাপারে নিষেধ
করেন।
পরে তিনি সেখান
থেকে বেরিয়ে যান। নিয়ম
অনুযায়ি আদালতে পুলিশ কর্তৃক
আসামী নিয়ে যাওয়া হলে সেক্ষেত্রে কোর্ট
ইন্সপেক্টরকে সাহায্য করেন সরকার
পক্ষের কৌসূলী। অথচ একজন গ্রেনেড
হামলাকারি আসামীকে সরকার
পক্ষের আইনজীবি কর্তৃক এধরনের
পরামর্শ প্রদানকে কেন্দ্র করে পুলিশ
বিভাগের মধ্যে চাপা ক্ষোভ
বিরাজ করতেও দেখা গেছে।
রাঙামাটি জেলা পুলিশের একজন
উদ্বর্তন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ
করে বলেন, আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম
করে ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টার
মধ্যেই মূল আসামীকে গ্রেফতার
করতে সক্ষম হয়েছি। এরপর বেশ’কজন
অফিসার মিলে ঘটনারদিনসহ
দুইটি দিন টানা কাজ
করে আসামীকে স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দি প্রদানের জন্য
আদালতে পাঠাই।
কিন্তু সেখানে আমাদেরই
সরকারের একজন
প্রতিনিধি (যিনি কিনা আমাদের
পক্ষেই কথা বলবে বলে সরকার
তাকে নিযুক্ত করেছেন)
এধরনে আচরন করবেন
এটা আমরা কোনোভাবেই
প্রত্যাশা করিনা এবং এটা মোটেও
কাম্য নয়।
তিনি বলেন, এই ধরনের আচরন পুলিশ ও
সুবিচার প্রত্যাশী জনসাধারণ
তথাপী সরকারের জন্যও মঙ্গলজনক নয়।
এব্যাপারে জানতে রাঙামাটি জেলা জজ
আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল
কালামের সাথে যোগাযোগ
করলে তিনি বিষয়টির
সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই
ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু
আমি তাকে সাথে সাথেই বারন
করেছি এবং আমার অবস্থান
তুলে ধরে ব্যাপারটি যাতে আর
নাঘটে সেব্যাপারে তাকে সতর্ক
করেছি।
এদিকে আদালতে আসামী নিয়ে যাওয়া এবং মামলার
তদন্তকারি অফিসার
রাঙামাটি কোতয়ালী থানার
এসআই আনোয়ারও বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন।
এদিকে রাঙামাটি জেলা জজ
আদালতের সরকার পক্ষের
পিপি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম এর
কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
আমি ঢাকায় ছিলাম তাই
এব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই
জানিনা। এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, পাবলিক
প্রসিকিউটর এর কাজ হলো আসামীর
বিপক্ষে দাঁড়ানো কারন
তাকে সরকারই নিয়োগ
দিয়েছে এবং বাদি সরকার
পক্ষেরই কাজ করবেন পাবলিক
প্রসিকিউটর। তিনি কোনোভাবেই
আসামীর পক্ষে কাজ করতে পারেন
না।
তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ
নিয়ে দেখবেন বলেও
জানিয়েছেন।
এব্যাপারে জানতে রাঙামাটি জেলা জজ
আদালতের সহকারি পাবলিক
প্রসিকিউটর এডভোকেট তোষণ
চাকমার সাথে যোগাযোগ
করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার
করে বলেন এই ধরনের কোনো ঘটনাই
ঘটে নাই।এদিকে, রোববার
শেষরাতে রাঙামাটি শহরে পার্বত্য
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়
চত্বরে গ্রেনেড হামলার ঘটনায়
মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে প্রতিষ্ঠানটির
নৈশ প্রহরী সাধন কুমার
চাকমা বাদী হয়ে হামলাকারি সুশীল
চাকমা ও তাকে সহায়তাকারি ও
হামলার অন্যতম
পরিকল্পনাকারি হিসেবে সমরেশ
চাকমা, রাখেল তংচঙ্গ্যা ও বিটু
চাকমাসহ অজ্ঞাত আরো ৩
জনকে আসামী করে রাঙামাটির
কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের
করেছেন।
মামলা নং-১৪, তাং-২২-০৯-২০১৪।
অপরদিকে হামলাকারি হিসেবে আত্মস্বীকৃতি সুশীল
চাকমাকে মঙ্গলবার
রাঙামাটি জেলা জজ
আদালতে হাজির
করা হলে সে সেখানে ১৬৪ ধারায়
জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানিয়েছেন
রাঙামাটির কোতয়ালি থানার
অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুদ খান।
সুশীল জবানবন্দীতে এ
কাজে তাকে সহায়তাকারি আরো কয়েকজনের
নাম প্রকাশ
করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম
উল্লেখ করতে চাননি তিনি। সুশীল
ছাড়া বাকী যে তিনজনের নাম
মামলায় অর্ন্তভূক্ত
করা হয়েছে তাদের তিনজনের
বাড়ীই কাউখালি উপজেলায়
বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
copied : http://www.parbaattanews.com

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.