![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালী কর্তৃক
উপজাতীয়
নারী নির্যাতনের
বিষয়ে উপজাতীয়দের
প্রচার-
প্রপাগাণ্ডা,
প্রতিবাদ
মিছিল,
বিক্ষোভ
সমাবেশের
আড়ালে পাহাড়ের দিনের পর দিন
বেড়েই চলেছে উপজাতি কর্তৃক
বাঙ্গালী নারী ধর্ষণ ও
শ্লীলতাহানির ঘটনা।
উপজাতি কর্তৃক
বাঙ্গালী নারী ধর্ষণ ও
শ্লীলতাহানির
ঘটনাগুলো
বর্বরতাকেও হার
মানিয়েছে। কিন্তু কোন ঘটনারই
সুষ্ঠু বিচার হয়নি। কোন এক
অদৃশ্য ক্ষমতাবলে এসব
অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার
বাইরে থেকে যাচ্ছে।
এনিয়ে নিরীহ বাঙ্গালীদের
মাঝে দিনের পর বাড়ছে উদ্বেগ-
উৎকন্ঠা। ক্ষীণ হয়ে আসছে ন্যায়
বিচার পাওয়ার আশাও।
অন্যদিকে একের পর এক
ঘটনা করে পার
পেয়ে যাওয়া উপজাতীয় যুবকদের
দৌরাত্ম বেড়েই চলছে।
পরিস্থিতি বর্তমানে এতোটাই
খারাপ হয়েছে যে, বিভিন্ন
ফেসবুক
পেইজে পাহাড়ী যুবকেরা বাঙালী নারীদের
সুপার
ইম্পোজ ছবি পোস্ট
করছে, তাদেরকে ধর্ষণের জন্য
পাহাড়ী যুবকদের প্রতি আহ্বান
জানানো হচ্ছে।
পার্বত্যনিউজের তথ্যানুসন্ধান
ও ঘটনার বিশ্লেষণে দেখা যায়,
২০১২ সালের ১৩জুন
মাটিরাঙ্গা উপজেলার পলাশপুর
জোন সদরের কাছাকাছি দক্ষিণ
কুমিল্লা টিলা এলাকায়
মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা মো:
আব্দুল মান্নানের মেয়ে কুলসুম
আকতার (১২) নামে এক
কিশোরী ধর্ষনের শিকার হয়।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়,
নিজেদের
বাড়ি হতে মাটিরাঙ্গা বাজারে কেনাকাটার
জন্য
যাবার পথে এক
পাহাড়ি যুবকসহ চার যুবক
তাকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ
করে।
এ ঘটনায়
স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে মোহন
ত্রিপুরা নামক এক
ব্যক্তিকে আটক করে থানায়
সোপর্দ করে। এসময় অন্য
তিনজন পালিয়ে যায়। ঘটনার
পরদিন তার পরিবারের পক্ষ
থেকে মাটিরাঙ্গা থানায়
মামলা দায়ের করলে পুলিশ
কর্তৃক অভিযান চালিয়ে অপর
ব্যক্তিদের আটক করে।
এ
ঘটনার
এক
মাসের
মাথায়
২৩
জুলাই
মহালছড়ির
মাইসছড়ি এলাকায়
শাহদা বেগম
(৫৫)
নামে এক
বাঙ্গালী গৃহবধুকে পাহাড়ী যুবক
কর্তৃক ধর্ষনের অভিযোগ
উঠেছে। সে মাইসছড়ির মো: সয়ন
উদ্দীনের স্ত্রী। জানা গেছে, ঐ
মহিলা তার গরু খোজার জন্য
নিকটবর্তী নীলাৎপল খীসার
সবজি ক্ষেতে গেলে চার
পাহাড়ী যুবক তাকে মারধর ও
ধর্ষণ করে। পরে মহালছড়ি জোন
কমান্ডার লে: কর্ণেল মোহাম্মদ
শহিদুল ইসলাম এর
নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার
করে মহালছড়ি
উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে প্রেরণ ও জোনের
পক্ষ থেকে চিকিৎসা বাবদ পাঁচ
হাজার টাকা আর্থিক
সহায়তা প্রদান করে। এ
ব্যাপারে ধর্ষিতার ছেলে মো:
গুলজার হোসেন মহালছড়ি থানায়
মামলা দায়ের করলে পুলিশ
অভিযুক্ত লাব্রেচাই মারমা ও
মাউশিং মারমা নামে দুই
যুবককে আটক করে।
এ ঘটনার কয়েক মাসের মাথায় ৯
অক্টোবর মহালছড়ির
শ্মশানখোলা এলাকার
বাসিন্দা শামছুন্নাহার (৩০)
নামে একজনকে ধর্ষণ
করে বলে অভিযোগ উঠে। এসময়
উপজাতি যুবকের দা‘র
আঘাতে শামছুন্নাহারের মাথায়
মারাত্বক জখম হয়।
পরবর্তীতে তাকে খাগড়াছড়ি সদর
হাসপাতলে
ভর্তি করা হয়।
এঘটনায় পুলিশী কার্যক্রম
অব্যাহত থাকলেও তা আলোর মুখ
দেখেনি।
এদিকে ২০১৩ সালের ৪
ফেব্রুয়ারী খাগড়াছড়ির
আলুটিলাস্থ ইমাং রেস্টুরেন্টে গণ-
ধর্ষণের
শিকার হয় জান্নাতুল
ফেরদৌস (১৫) নামে এক
বাঙ্গালী কিশোরী। সে জেলার
রামগড় উপজেলার বাসিন্দা।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ঘটনার দিন
জান্নাতুল ফেরদৌস বান্ধবীর
বাড়ীতে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত
পরিচয়ধারী উপজাতীয়
দুষ্কৃতিকারীরা তাকে অপহরণপূর্বক
এই
ঘটনা ঘটায়। ধর্ষণের শিকার
এই কিশোরী ঘটনার পরদিন ০৫
ফেব্রুয়ারি হোটেলর ২য়
তলা থেকে জানালা দিয়ে নীচে লাফ
দিয়ে ধর্ষণকারীদের কবল
হতে পালানোর
চেষ্টা করলে গুরুতর আহত হয়।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ
তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার
করে। উদ্ধারের পর
প্রথমে খাগড়াছড়ি সদর
হাসপাতাল ও পরে উন্নত
চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম
মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এসময় সন্দেহভাজন হোটেল
কর্মচারি রাহুল ত্রিপুরাকে (২৮)
আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় ১৩
ফেব্রুয়ারী মহালছড়ি জোনের
আওতাধীন থলিপাড়া এলাকায়
মহালছড়ি ডিগ্রী কলেজের
ছাত্রী মিতা সরকারের
সাথে অসদাচরনসহ তাকে উত্যক্ত
করে রামপ্রু
মারমা নামে উপজাতি স্কুল
ছাত্র। এ ঘটনাকে কেন্দ্র
করে পাহাড়ি ও
বাঙ্গালি যুবকদের
মাঝে হাতাতির ঘটনা ঘটে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাই আপনি কি? পাহাড়ী, বাঙ্গালী, উপজাতি নাকি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী? লেখাটা পক্ষপাত দোষে দুষ্ট!!