![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক জন্ স্বাধীন চেতা মানুষ, ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম, কর্ম জীবনে একজন সরকারী কর্মচারী (অব:), বর্তমানে একটি বেসরকারী কোম্পানীতে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি।
আগামী কাল স্বাধীনতা দিবস,
বেশ ভালই লাগছে, বাঙ্গালী জাতীর জীবনে এক নতুন অধ্যয় শুরু হয়ে ছিল, ১৯৭১ এর ২৫ শা মার্চ এবং শেষ হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, দীর্ঘ্য ৯ মাস এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে, আমরা পেলাম একটি মানচিত্র। হারালাম ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণ এবং মা-বোনে সম্মান, মহান আল্লাহুর কাছে জানাই শোকর, স্বাধীন জাতি হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্ম প্রকাশের জন্য।
অনেক লেখা আছে এর উপরে, হাজারো লেখার মাঝে হয়তো আমার লেখাটা খুবই নগন্য এবং সামান্য। হয়তো কারো পছন্দ হবে আবার কারো হয়তো পছন্দ হবে না। অনেক বড় বড় লেখক লিখেছে তার সিদ্ধ হস্তে অনেক গল্প, যা পড়ে সবাই মহিত হবে। অনেক কবি লিখেছে, তার কবিতা যাহা সানিত করেছে, সবার মন, নতুন উদম্যে, নব নব সাঝে সাজিয়াছে গড়িতে এই দেশ।কত সাহিতিক্ লিখিছে তার প্রবন্ধ, যাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পড়ে পড়ে হয়েছে ধন্য।তাদের কাছে আমি সমান্যই নগন্য মাত্র। আমার এই লেখা পড়ে হয় তো কেউ বাঁকা চোখে তাকাবে, আবার হাসির খোরাকও হতে পারে বা কারো। তুবু আমি জন্মেছি এই দেশে, এই আমার মাতৃভূমি, এই আমার মা, আমার মায়ের কোলে, অর্থাৎ সবুজের মাঝে লাল গোলাপের সু-গন্ধ।
স্বাধীনতার গল্প পড়ে পড়ে, আমি আজ বড়ই ক্লান্ত, কই আমার স্বাধীনতা আমি তোমাকে এববার ছুয়ে দেখতে চাই, চাই তোমার কোলে সুয়ে, দক্ষিনা বাতাসের সু-গ্রান পেত । কই আমার স্বাধীনতা, আমি তোমার খুবই কাছে পেতে চাই। কিন্তু আমি তাকে কি কোন দিন কাছে পাবো। এত আমার পাবার কথা, আমি এই স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। আমার ভাই পঙ্গু হয়েছে। হারিয়ে কারো হাত, হারিয়েছে কারো পা, আবার জীবন।
আজ ৪৪ বছর গত হলো, আমি স্বাধীনতার অর্থ বুঝতে পারি নি। স্বাধীনতার মানে কি হরতাল, স্বাধীনতার মানে গুম, খুন, রাহজানি, চুরি, ডাকাতি, মান-হানি, হানা-হানি, এর নাম কি স্বাধীনতা? আমি বুঝতে চাই স্বাধীনতার মানে। আমরা স্বাধীনতার সত্যিকারের অর্থ বুঝতে চাই। একটু শুধু একবার স্বাধীনতার মানে আমাদের সবাইকে বুঝতে দাও। এর সুফল ভোগ করার সুযোগ করে দাও।
ইত্যাদির স্বাধীনতা,- যা খুশি করা যাবে, যাকে খুশি মারা যাবে, ধরা পড়লে ছাড়াও পাবে। এই স্বাধীনতা আমরা চাইনা। প্রকাশে দিবালোকে বিশ্বজিৎ হত্যা চাই না। আমার আর একজন বিশ্বজিৎ যেন আর হত্যা না হয়্।বিশ্বজিত মানেই একজন সাধারন মানুষ, আমরা আর সাগর-রুনির হত্যা চাই না। কি ছিল তাদের অপরাধ, তাদের অপরাধ যতই থাকুক, তাদের আদালতের কাঠঘড়ায় না এনে হত্যা করা হলো, এটাই কি স্বাধীনতা ? আমি তা মানতে চাই না।যখন দেখি অনাচার অত্যাচার রক্তে তুফান উঠে যায়। তাখন ইচ্ছে করে আবার হাতে অস্ত্র তুলে নেই কিন্তু কার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিবো এরা তো সবাই বাঙ্গালী এরা তো আমার মায়ের সন্তান, এরা তো আমার মা-মাটি থেকে বেড়ে উঠা জনতা।একটি বার কি তাদের সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাধ পেতে বলতে পারি না। আমরা মুখে মুখে যে স্বাধীনতার কথা বলে ফেনা তুলে ফেলছি কাজের ক্ষেত্রে কেন সেই স্বাধীনতাকে বাস্তবায়ন করতে পারি না? আমরা কি আমাদের সামান্য স্বার্থটুকু কোরবানী করতে পারি না? কে দেবে আমার এই হাজারো প্রশ্নের উত্তর? হ্যাঁ, আমাদেরকে খুজে বের করতে হবে এই প্রশ্নের উত্তর। আমাদের রক্তঝরা স্বাধীনতাকে তোমরা এমনি ভাবে হস্য রসের খোরাক বানাতে পারো না, তা হলে শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে, তা কি তোমরা বুঝতে পাছো না?
আমি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র, আমলাতন্ত্র, কোন তন্ত্রের প্রতি আমার কোন উপদেশ নাই । আমি এই দেশের মানুষের জন্য অণ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদাটুকু দেখতে চাই। চাই স্বাধীন জীবন ব্যবস্থা।বিশ্বজিতদের বাচার অধিকার চাই। আসুন আমরা হাতে হাত রেখে স্বপথ গ্রহন করি। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ি। যেখানে আমরা সবাই মিলে মিশে এই সোনলী দেশে বসবাস করি। আমাদের ভবিষৎ বংশধরদের জন্য একটি সুন্দর সু-শৃঙ্খল স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে যাই।
মায়ের কোলে মাথা রেখে, ভয় দেখানো গান আর শুনতে চাই না। শুনতে চাই না বর্গিদের অত্যাচারের কোন গল্প।বুক ফুলিয়ে শ্বাস নিতে চাই, চাই গ্রাহন করতে স্বাধীনতার সু-ফল।
আরিফ মামা, একজন্য বেশ ভাল মনের মানুষ, রাতের খাবার সময় একটু আধটু কথা হচ্ছে এবং খানা খাবার চলছে। আমাদের একজন একটু আলোচনা সমালোচনা করার সাথে সাথে বাঙ্গালী জাতীর পিতার কথা উঠলো, এক পর্যায়ে, মামা বললেন, আগামী কাল মহান স্বাধীনতা দিবস কি করা যায় বা কি খাওয়া যায়, তিনি সবার মুখের দিকে তাকাতেই সবাই যেন মামার কাছেই কিছু চায় বলে আমার মনে হলো, মামা ঠিক সময়ে ঠিক উত্তর দিল, আগামী কাল খিচুরী হবে, সাথে গরুর মাংস থাকা চাই, যে কথা সেই কাজ, বাবুচিকে নির্দেশ করা হলো, এখনই গরুর মাংস নিয়ে আস, কারন অত সকালে গরুর মাংস কোথাও পাওয়া যাবে না। তাই এখনই সংগ্রহ করার সময়। বাবুচি চলেগেল গরুর মাংস সংগ্রহ করার জন্য।
তৈরি হলো মেনু, কেমন করে রান্না করা হবে সেই খিচুরী, মাংশ খিচুরী, তবে গত পর্বে আমরা ল্যাটকা খিচুরী খেয়েছি, কিন্তু এবার কিন্তু তা হবে না। এবার হবে ভুনা খিচুরী। ভুনা খিচুরী আমার খুবই প্রিয়। আমি এবং আমার ছেলেরা প্রায়ই এটা বাসাতে পারিবারিক ভাবে খেয়ে থাকি। সবার মুখে শোনা যাচ্ছে ভুনা খিচুরীর গল্প বেশ ভালই লাগতেছে। বর্তমান বাবুচিটা একটু দক্ষ, সে একদিন মুরগীর রোষ্ট রান্না করেছিল। তাতে তো আমি এবং আমার ষ্টাফরা একেবারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রান্নার হাত তাহার ভালই। কিন্তু মামা বলতে একটা কথা, তিনি বাধ সাধলেন যে, তিনি নিজেই রান্না করবেন এই খিচুরী।সবাই আশা প্রকাশ করছেন, এবারের খিচুরী ভালই হবে।
আমি যেহেতু, স্বাধীনতার ভাল সুফল দেখতে না পাইয়া, মন মরা হয়ে আছি, কি-ই বা ভাল লাগবে এই খিচুরী, আমরা যারা আম-জনতা, তারা তো এক প্রকার খিচুরীতে পরিনত হয়ে গেছি। আমরা না পেয়েছি, জান-মালের স্বাধীনতা, আমরা সেই মামার খিচুরীর মত কে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি। কেউ জানি না। আমার সেই সহযোদ্ধারা আজ কোথায়, কেউ বেচে আছে কিনা, বা বেচে থাকলেও কেমন আছে।কেউ কি তাদের কোন খবর রাখে? খিচুরীর চাল-ডাল যেমনি ভাবে মিলে-মিশে হলুদের রঙরে সাথে একাকার হয়ে একই রং ধারন করে তেমনি আমরা মুক্তি যোদ্ধারা কে যে কোথায় বিলিন হয়ে গেছি।আমরা নিজেরাই জানি না।
হায়রে খিচুরী, তোমাকে যেমনি ভাবে আলাদা করা যায় না, তেমনি আলাদা করা যাবে না। ভাল ও মন্দকে। কে ভাল কে মন্দ এই চিন্তা যেমন করা যাবে না তেমনি খিচুরীর কোন অংশকেই আলাদা করা যাবে না। আমরা খিচুরীর উপদান গুলোকে আলাদা করা চিন্তা না করে এর গুনাগুন বিচার করি এবং এর প্রকৃত স্বাদ টা পাবার চেষ্টা করি, দেখি এই দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যেতে পারি কিনা। এই সোনালী খিচুরিকে কি ভাবে সুসাধু করা যায়, তা নিয়ে যদি সমাজের মানুষ গুলো একবার ভাবতো হয়তো এর সু-ফল পেলেও পেতে পারতাম।
এই লেখায় আমার মনের, আবেগটুকুই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এই বাংগলা মায়ের সন্তানদের প্রতি আবেদন জানাতে চাই, আসুন আমরা সবাই মিলে আজ যে খিচুরীতে পরিনতি হয়েছি। যদি বিভক্ত করতে যাই তবে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো।কি ভাবে এর প্রকৃত স্বাধ পেতে পারি, বা ভবিষৎ জাতিকে এর স্বাধ দিতে চাই তবে সবাইকে একত্রিত হইয়া, দেশ গড়ার কাজে মননিবেশ করতে হবে। ভুলে যেতে হবে, হানাহানি, এই মহান চিন্তা বাঙ্গালী জাতীর স্থাপতি শেখ মুজিবুর রহমান করছেন, তাই সবাইকে সাধারন ক্ষমা করে দিয়েছিল। সুধুই দেশ গড়ার স্বার্থে।
আসুন আমরা একবার দেশের কথা ভাবি, জাতির কথা ভাবি।ভাবি আমাদের ভবিষতের বংশধরদের কথা।তাদের জন্য রেখে যেতে চাই একটি স্বাধীন দেশ, যে দেশে সকল জাতি, গত্র বর্ণ একত্রে মিলেমিশে বসবাস করবে।
©somewhere in net ltd.