![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল রাতে হসপিটালে গেলাম একজনকে রক্ত দিতে । গিয়ে দেখি রুগীর অভিভাবক আমার থেকে কয়েক বছরের বড় একটা ছেলে । অসুস্থ তার ছোট ভাই । অভিভাবকের যে অবস্থা দেখলাম , তাতে প্রথমে তাকেই রুগী ভেবেছিলাম । পরে শুনলাম সে রুগীর বড় ভাই । যে অসুস্থ তাকে তখনও দেখিনি , শুনলাম সে বেডে শুয়ে আছে । তার ভাল্ব দুইটাই নষ্ট হয়ে গেছে , দুইটাই বদলাতে হবে । অনেক রক্ত লাগবে , দুই ব্যগ সংগ্রহ করেছে আরও চার ব্যাগ হলে আপাতত অপারেশন করতে পারে । কিন্তু আমরা গিয়েছি তিন জন । তার মধ্যে একজন একটা সমস্য দাঁড় করিয়ে চলেগেল । বাঁকি থাকলাম আমরা দুইজন । ডোনারদের নাম লেখাতে গিয়ে ডাক্তার আমাকে বল্ল আপনি দুই মাস আগে রক্ত দিয়েছেন , আপনি এখন দিতে পারবেন না । বেচারা রুগীর বড় ভায়ের মুখের দিকে আর তাকানো যাচ্ছে না , শুকনো মুখটা যেন আমসত্ত্ব হয়ে গেছে । আমি চলে না এসে বাইরে বসে থাকলাম । একটু পর ওদের সাথে রুগীকে দেখতে গেলাম । ঠিক আমাদেরি বয়সি একটা ছেলে বিছনার সাথে লেপ্টে আছে । বিছনা আর ওর অস্থিত্ব পৃথক করাই কঠিন । দেখে আমার খুব মায়া হল । কিন্তু রুগীর কাছে যেতে পারলাম না , দূরে থেকেই দেখ আসলাম কারণ ঘুমানোর সময় কাছে যাওয়া নিশেধ । তারপর আবার এর অনেক দিন যাবৎ খাওয়া ঘুম সব বন্ধ হয়ে গেছে । তার এ করুণ অবস্থা দেখে আমি আর ফিরে আসতে পারলাম না । ডাক্তার সাহেবের কাছে আবার গেলাম । অনেক অনুরোধ করে তাকে রাজি করালাম । ডক্তার বল্ল দেখুন , আপনার কিন্তু সমস্যা হতে পারে । আমি বল্লাম, সমস্যা নাই । ঔ ছেলেটির অবস্থার কাছে আমার সামান্য সমস্যা কিছুই না । অবশেষে রক্ত দিয়ে প্রায় রাত বারোটারদিকে বাসায় ফিরলাম । আমার মনে হল সুস্থ শরীর শ্রষ্টার একটা শ্রেষ্ট নেয়ামত । কিন্তু মানুষ সাধারন্ত তা ভুলে যায় । অধিকাংশ সময় আমিত্তের মধ্যে ডুবে থাকে । কখনও ভাবে না যে , নিজের সামান্য ত্যাগের কাণে কারো বড় উপকার হতে পারে ।
©somewhere in net ltd.