নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ন্যাড়া বেল তলায় একবারই যায়

লোডশেডিং

আমার ব্লগ পড়ুন। মন্তব্য দিন। আলোচনা-সমালোচনা করুন।

লোডশেডিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

নূর হোসেনরা যখন কলকাতায় বাপী সাহা

২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৬





এদেশ থেকে ভারতে টাকা পাঠায় শুধু হিন্দুরা। তাই এটা হিন্দুদের দেশ না। ওই হিন্দু ভারত যা। হিন্দুরা ভারতীয় ওরা বাংলাদেশি না। বাংলাদেশের সমাজে এই কথা গুলো আজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এমনকি চ্যাম্পিয়ন সেকুলার পার্টির নেত্রী শেখ হাসিনা নিজেও হিন্দুদের এক পা ভারতে আরেক পা বাংলাদেশে। হিন্দুদেরকে দেশ প্রেমিক হওয়ার নসিহত দেন শেখ হাসিনা। লন্ডনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সাক্ষাতের সময় এসব বলেন শেখ হাসিনা। এদিকে বিএনপি নেত্রী খালেদা আরো এক ধাপ এগিয়ে বলেন, হিন্দুরা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে মুসলমানদের সব জায়গা জমি দখল করে নিবে। যদি আওয়ামীলীগকে মুসলমানরা ভোট দেন।

সাম্প্রদায়িক এসব কথা বলেও এদেশের নেতা নেত্রীরা পার পেয়ে যান। বাস্তবতা বির্বজিত এসব কথার কোনো প্রতিবাদ বা সমালোচনা হয় না এদেশে। পত্রিকার কলাম লেখকরা এসব বক্তব্যর উদাহরণ টেনে কোনো যোগ্য জবাব দেয় না। জবাব তারা দিতে পারতেন যদি ভাড়াটে কলাম লেখক না হতেন।



এবার আসুন ওপরের কথা গুলো বিশ্লেষণ করি। হিন্দুরা ভারতে টাকা পাঠায়। সত্যি কি শুধু হিন্দুরা ভারতে টাকা পাঠায়। মুসলমানরা কি টাকা পাঠায় না ? ভারতের ব্যাংকে বহু মুসলমানের টাকা আছে হিন্দু নামে।



ভারত সরকারের কাছে নিশ্চয় হিন্দুদের টাকা পাঠানোর একটি তালিকা থাকবার কথা। কিন্তু সে তালিকা ভারত সরকার প্রকাশ করে না কেনো? হিন্দুরা যদি এদেশ থেকে টাকা পাঠায় তবে কার টাকা পাঠায়। নিজেদের কামাই করা টাকা না মুসলমানদের মেরে দেওয়া টাকা পাঠায়।



নিজেদের কামাই করা টাকা ব্যক্তি যেকোনো জায়গায় পাঠাতে পারে সেটা তার অধিকার। কিন্তু মুসলমানদের মেরে দেওয়া টাকা, যে টাকায় সবার হক আছে সেটা কি হিন্দুরা ওই পারে পাঠায়? যদি পাঠায় তবে তাদের কে এদেশে দুধভাত খাইয়ে পালা হচ্ছে কেনো?



এবার আসি হিন্দুরা ভারতে চলে যায়।ভারতে কি শুধু হিন্দুরা যায়। যদি মুসলমানরা না যায় তবে নূর হোসেনরা কেনো বাপি সাহা হয়ে ধরা খায়। কেনো ভারত থেকে যত পুশব্যাক হয় শুধু মুসলিম জনগোষ্ঠীর লোক দেখা যায়। কেনো মুসলমান ফেলানির লাশ কাটাতারে ঝুলতে থাকে? কেনো আসাম বিহার, দিল্লি ও বোম্বাইতে বাংলাদেশি বলতে মুসলমানদের বোঝানো হয়। এবং ধরপাকরের সময় তাদের ওপরই অভিযান চালানো হয়। বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে মুসলমানরাই ভারতে বেশি যায়। তাদের অনেকে নাম পাল্টিয়ে হিন্দু নামে সেখানে বসবাস করে। যে কারণে তাদের কে সহজে ধরতে পারে না।



আরেক দিকে বাংলাদেশের নিম্ম শ্রেণীর গরীব যেসব মুসলিম যায় তারা নাম পাল্টাতে পারে না। কারণ নাম পাল্টিয়ে থাকার মত পয়সা পাতি তাদের নাই। যে কারণে তারা ধরা পড়ে। ভারত থেকে বহিষ্কৃত হয়। আজ ভারতে যদি বাংলাদেশি ধরার অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে দেখা যাবে বহু পয়সা ওয়ালা মুসলমানের বাড়ি গাড়ি বউ ভারতে রয়েছে। এরা হিন্দু নামে সেখানে রয়েছে ওই নূর হোসেনের মত। তাদের এপারে মুসলিম বউ ওপারে হিন্দু বউ। এরাই দুই দেশে থাকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় হিন্দুদের কে ভারত যাবার জন্য একমাত্র ভাবে দায়ী করা হয়। যেটা সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোন। এমন দৃষ্টিকোন নিয়ে আমি এ বিষয়টিকে দেখি না।



আরেক টা কথা এক দেশে খেয়ে আরেক দেশে টাকা পাঠানো যদি অপরাধ হয়, বেঈমানি হয় তবে বাংলাদেশি যেসব ভাইরা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাচ্ছেন তারা কি সব বেঈমান ? হিন্দুরা যদি ভারতে টাকা পাঠিয়ে অপরাধী হোন তবে যারা লন্ডন, আমেরিকা, মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের টাকা পাঠিয়ে সে দেশে প্রাসাদ তৈরি করছেন, মার্কেট তৈরি করছেন, তারা কেনো অপরাধী না? তাদের দেশ প্রেম নিয়ে কেনও কথা উঠে না। আজ মানিলন্ডারিং মামলা কাদের বিরুদ্ধে যারা হিন্দুদেরকে ভারত যা বলে রাত দিন বকতে থাকেন তারাই এসব অভিযোগে অভিযুক্ত। যে নেত্রী বলেন, হিন্দুদের দেশ প্রেমিক হতে তার ছেলে বউ থেকে শুরু করে নাতি নাতনি ভিন্ন দেশে বিয়ে করে সেসব দেশে সেটেলড। এদেশে সফর করতে আসেন মাঝে মধ্যে। তেনাদের এক ঠ্যাং ইউরোপ--আমেরিকা আরেক ঠ্যাং বাংলাদেশে থাকলে দোষের কিছু না। দোষ শুধু হিন্দুদের এক ঠ্যাং ভারত থাকলে। তখন মোমিন মুসলিমদের পশ্চাৎ জ্বলিয়া ছারখার হয়ে যায়। এদেশের কোনো কোনো মুসলিমদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এইরূপ।



মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

ধূসর পান্ডুলিপি বলেছেন: যে নেত্রী বলেন, হিন্দুদের দেশ প্রেমিক হতে তার ছেলে বউ থেকে শুরু করে নাতি নাতনি ভিন্ন দেশে বিয়ে করে সেসব দেশে সেটেলড। এদেশে সফর করতে আসেন মাঝে মধ্যে। তেনাদের এক ঠ্যাং ইউরোপ--আমেরিকা আরেক ঠ্যাং বাংলাদেশে থাকলে দোষের কিছু না। |-)

২| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৮

ফারগুসন বলেছেন: এপারে মুসলিম বউ ওপারে হিন্দু বউ

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

ডায়লগ বাবা বলেছেন: বাংলাদেশীরা অন্যদেশ থেকে এদেশে টাকা পাঠায় কারন এটা তাদের জন্মভূমি! কিন্তু অনেক হিন্দু এদেশে জন্মে ভারতে এক ঠ্যাং ফেলে টাকা পাঠাচ্ছে... এখানে বেঈমান কাকে বলবেন?? যে এ এদেশে জন্মে এদেশের জন্য টাকা পাঠায় তাদের! না যারা এদেশে জন্মে ভারতে টাকা পাঠাচ্ছেন তাদের???

আপনার পোস্ট ই বলে দিচ্ছে আপনার মন মানষিকতা কোথায় পড়ে আছে। নিজের বাংলাদেশ বিদ্বেশিতার পরিচয় দিলেন।

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৭

লোডশেডিং বলেছেন: একজন বাংলাদেশি ব্রিটেনে গিয়ে সেদেশের নাগরিকত্ব নিল। তারপর ব্রিটেনে করা কামাই এদেশে পাঠিয়ে দিল। ব্রিটিশদের চোখে তিনি কি বেঈমান হলেন না। যেরকম দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে আপনি এদেশের হিন্দুদের বেঈমান বলছেন একই রকম দৃষ্টি ভঙ্গিতে আপনি কি ব্রিটিশদের কাছে বেঈমান হলেন না

আমার মানসিকতা ঠিকই আছে। আমার লেখা আপনার মানসিক অবস্থায় আঘাত করেছে। অনেকের করেনি। তাই আপনার মত কমেন্ট তারা দেয়নি।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:৪৩

একে৪৭ বলেছেন: জানি না কোন রং এর চশমায় অাপনি দৃশ্য দেখেন! কার চশমা দিয়েই দেখেন!! অার কোন দেশী চশমা দিয়েই দেখেন!!!
নিজের ঘরের বদনাম বোধয় অতি-সৎ মাওলানা/পাদ্রি বা ঋষীও বলেনা! অাপনি বলছেন! স্বাধুবাদ না জানিয়ে পারছি না।

ভাইজান! দয়াকরে চশমাটা একটু খোলেন, ভাল করে দেখেন!
কার সাথে কি তুলনা করছেন অাপনি?(!)
বলছেন-অামার দেশী ভাইয়েরা বিদেশ থেকে টাকা পাঠায়!
-ভালকরে শুনুন! "তারা এদেশ থেকে গিয়েই এদেশে টাকা পাঠায়!"
-ঠিক একইভাবে বহু ভারতীয় এদেশে এসে চাকুরী করে ভারতে টাকা পাঠায়। এটা একদমই স্বাভাবিক দৃশ্য ভাইয়া!
-"বলতে পারবেন, কোন ভারতীয় নাগরীক-ভারতে চাকুরী/ব্যাবসা করে বাংলাদেশে এসে বাড়ী করে কি না???"

-অস্বাভাবিক দৃশ্য যে এটাই ভাইয়া! এদেশে জন্মে, এদেশের খেয়ে যারা ভারতে ঘুমাতে যায়! অার হিন্দুদের মধ্যেই এই প্রবনতাটা প্রচন্ডভাবে কাজ করে! যতই বলেন, যতই দেখান, তারা বাংলদেশী হলেও মনে মনে ভারতীয় ভাবতেই পছন্দ করে!

দু-একজন নূর হোসেনদের মতো চোর/বাটপার/খুনিদের উদাহরন দিয়ে হাজার হাজার সাধারণ হিন্দুদের টাকা পয়সা বানিয়ে, ঘটি-বাটি নিয়ে চলে যাওয়াটাকে বৈধ করে দেয়ার কি সুন্দর(!) প্রচেষ্টা অাপনাদের!!!

এ যেন বউয়ের কাছে যাওয়া অার পতিতার কাছে যাওয়াকে সমান দেখানোর চেষ্টা!!!

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

লোডশেডিং বলেছেন: একে৪৭ আপনার নিক নেম অনুসারে কমেন্ট হয়েছে ধন্যবাদ। প্রবাদে আছে চেনা বামনের পৈতা লাগে না। আমার পরিবারের সদস্যরা ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেছে তাই আমাকে দেশ প্রেমের ছবক না দিলেই ভালো। আমি যে চশমা দিয়ে দেখি তা আপনার মত মৌলবাদীদের চশমা দিয়ে নয়। এ জন্য আমার দেখার ভঙ্গি ভিন্ন। আমার কথার অর্থ হয়ত আপনি বুঝতে পারেননি। আমি এখানে কর্মের কথা বলছি। ব্যক্তির কর্মটা কি সেটার দিকে নজর দেন। একজন বাংলাদেশি সে এদেশ থেকে যাক কিংবা ভারত থেকে যাক। তার কি উচিত না যেদেশে খায় সে দেশে টাকা খরচ করা আপনাদের মত অনুসারে। একজন বাংলাদেশি ব্রিটেনে গিয়ে সেদেশের নাগরিকত্ব নিল। তারপর ব্রিটেনে করা কামাই এদেশে পাঠিয়ে দিল। ব্রিটিশদের চোখে তিনি কি বেঈমান হলেন না। যেরকম দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে আপনি এদেশের হিন্দুদের বেঈমান বলছেন একই রকম দৃষ্টি ভঙ্গিতে আপনি কি ব্রিটিশদের কাছে বেঈমান হলেন না। তারা যখন আপনাকে এই বলে গালি দিবে তখন আপনার উত্তর কি হবে। এটাই আমি বলতে চেয়েছি। এখন আপনি যদি আমার কথার উত্তর বুঝতে না পারেন তাহলে আমি কি করতে পারি। আপনি একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিবেন আরেক দিকে লাদেনের প্রশংসা করবেন তাহলে আপনি মার্কিন নাগরিকদের কাছে কি উদাহরণ তৈরি করলেন। এদেশের খেয়ে কেউ ভারতে ঘুমাতে চায় কেউ আমেরিকা, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ঘুমাতে চায়। সবার কথা না বলে বলে শুধু ভারতের কথা বলেন কেনো? আমি তো বলেছি ভিন্ন নামে এদেশের বহু মুসলিম ভারতে গিয়ে ঘুমাচ্ছে। সে হিসাব আপনি জানেন না। নূরহোসেনদের কাহিনী হচ্ছে কোটিতে একটা। আপনি কি জানেন এদেশের বহু মুসলিম তারা ওপার থেকে এসে টাকা এপার ওপার করে। এটা না জানা আপনার অজ্ঞতা। আজ ভারতের সাথে বানিজ্য বৈষম্যর কারণ কি শুধু এদেশের হিন্দুদের টাকা পাঠানো ?

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৯

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: ওহ আপনি দেখি বীর যুব সংঘ!!

সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছেন কেন? থাবড়াইয়া বাপের দেশে পাঠায়া দিমু। এখানে থাকতে ইচ্ছা না হয় চলে যান। কেউ তো না করে নাই। এদেশে থাকলে এদেশকে সার্থে আঘাত দিয়ে কিছু করা যাবে না। দেশের স্বার্থে আঘাত আসলে আমরা সামনে দাড়াবোই।

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১২

লোডশেডিং বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে না আমি কোনো সাম্প্রদায়িক কথা বলছি। বলতে পারেন বাংলাদেশের কিছু মুর্খের জবাব দিচ্ছি। আপনি কি সেই মূর্খ দলের একজন?

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

অেসন বলেছেন: হিন্দুরা ভারতে অর্থ পাচার করে, সত্য। আবার অনেক হিন্দু সর্বস্ব হারিয়ে এই দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। জীবন ও সম্ভ্রম বাঁঢানোর তাগিদে দেশপ্রেম ছুঁড়ে ফেলতে হয়। হিন্দুরা ভারত যায় বলেই তো নামমাত্র মূল্যেই হিন্দু সম্পত্তি আত্মসাৎ করে এক শ্রেনীর দেশপ্রেমিক বিশিষ্ট ব্যক্তিতে পরিনত হয়েছেন।
মন্তব্যকারীদের উদ্দেশ্যে বলছি, দেশদ্রোহী হিন্দুরা ছাড়া দেশপ্রেমিকরা কি
অর্থ পাচার করেন না ? কানাডায় বেগমপাড়া, মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার হয়
না ? ২nd Home এর অর্থ কোথা থেকে উপার্জিত ?

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৮

লোডশেডিং বলেছেন: সবার উদ্দেশ্যে আপনার বলাটা যর্থাথ। আমার পোস্টটা অনেকে গা জ্বালিয়ে দিয়েছে। উচিত কথার ভাত নাই। হিন্দুদের দেশ ত্যাগের কাহিনী অনেকের কাছে দেশ দ্রোহীর মত। এটা নিয়ে কিছু লেখা উচিত ছিল। যা আমি লিখতে পারেনি। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে হিন্দুদের অবদান অনেক। সে অনুসারে হিন্দুরা এদেশে কোনো সামাজিক মর্যাদা পায় না। এটাই জাতির দুভার্গ্য। বিদেশে অর্থপাচারে যে এদেশের দেশপ্রেমিক মোমিন মুসলমানরা এগিয়ে এটা কেউ স্বীকার করতে চায় না। হাস্যকর।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: আপনি কি পরিমল জয়ধরের ছেলে?

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

একে৪৭ বলেছেন: ডিং ডং!!! উত্তরটা মনে হয় মিলেই গেল! মিলেই গেল অাপনার অাসল পরিচয়, অাপনার রুটি-রুজি ধ্যান ধারনার উৎস!!!
পারলেন না অাপনার ভারতের প্রতি অতী প্রেমকে-দেশপ্রেম বা নিরপেক্ষতার অাড়ালে ঢাকতে!!!
অার তাই ভারতের দেখানো পথেই ভারতের একপেশে স্বার্থ বিরোধী কথা বললেই খুব সহজেই মৌলবাদি বলে দেন! চমৎকার!!!

অামার মাথায় লজিক-ফজিক খুব একটা ঢুকে না! তবে অাপনার লজিকের ইউজ দেখে নিজেকে নিয়ে এখন গর্ব হচ্ছে!!!

চশমাটা একটুখানি খুলেন! সহজ কথায় বলিরে ভাই-
-অামার দেশী ভাইয়েরা বিদেশ থেকে তাদের জন্মস্থানে টাকা পাঠায়!
-অার এদেশের হিন্দুরা বা নূর হোসেনদের মতো লোকেরা তাদের জন্মস্থান থেকে অন্যদেশে টাকা পাঠায়!

দুটোকে এক কিভাবে করেন???

বৃটিশরা অামাদেরকে বেঈমান কেন বলবে? অামি কি বৃটেন থেকে নিজের মা'য়ের কাছে টাকা পাঠাতে পারব না? কোন বৃটিশ/ভারতীয় কি এদেশে চাকুরী করে তাদের দেশে টাকা পাঠায় না???

অাপনার ভাষার ইউজ দেখে মনে হয় না অামার পক্ষে অাপনাকে কিছু বোঝানো সম্ভব! কারও পক্ষেই বোধয় সম্ভব হবে না!
কারন- অাপনার চোখে ভারতীয় স্বার্থের চশমা খুব ভালভাবেই সেট হয়ে গিয়েছে! অার তাই চারদিকে মৌলবাদি দেখেন!

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

লোডশেডিং বলেছেন: একে ৪৭ আমার পরিচয় আপনি মনে মনে যাই ভেবে নেন। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি হিন্দু মুসলমান খ্রীস্টান বৌদ্ধ যাই হই। আমার পরিবারকে যারা জানে ও চেনে তারা সবাই জানে আমরা ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশে নিজেদের বাড়ি ঘর করার জন্য টাকা পয়সা পাঠাই কিনা। এদেশে আমাদের সব কিছু আছে তাই অন্য দেশে করার কিছু প্রয়োজন নাই। আমাদের টাকা পয়সা এদেশের ব্যাংকেই থাকে। মালয়শিয়া সিংগাপুর থাকে না। এমনটা আমার জানা আছে দেখে এমন একটা লেখা লেখার উৎসাহ পাই। আমি চশমা পড়ি না। নিজের চোখে যা দেখি ও বুঝি তাই লিখি। আমি যেসব তথ্য দিয়েছি। তার প্রত্যেকটার রেফারেন্স ও প্রমাণ আছে । এটাই সত্য কথা। কোনো ঘোড়ার ডিম মার্কা কথায় আমি বিশ্বাস করি না। নিজের বাপ মায়ের কাছে টাকা পাঠানো কোনো অপরাধ নয়। ঠিক তেমনি অন্য সম্প্রদায়ের লোকের বাপ মাও ও ভারত কিংবা অন্য দেশে থাকতে পারে। কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যখন কথা বলতে থাকেন তখন এসব কথা মাথায় রেখে কেউ বলে কি? আপনি বলেন কি? আজ তর্কের খাতিরে এসব বলতে চাচ্ছেন । এটা আপনার অনুজদের বলেন কি? যদি বলতেন তাহলে আমার এই পোস্ট লেখাটার প্রয়োজন হতো না। বাংলাদেশ জন্মের আগে যাদের জন্ম তাদের ক্ষেত্রে ভারত কোনো পর ভূমি না। তেমনি পাকিস্তানও তাদের পর ভূমি না। ভারত ভেঙ্গেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ হয়। আমাদের পূর্ব পূরুষ সবাই ভারতীয় হিন্দু ছিল এটা কি দোষের কিছু ? এটা স্বীকার করার মধ্যে কোনো নিচতা নাই। পরে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেদের পরিচয় বদলিয়েছি। আগামীতে এই পরিচয় আমাদের বংশধররা বহাল রাখবে কিনা সেটা ভবিষ্যতেই বলতে পারে। তাই বলে সবাইকে ঘৃণা করতে শেখাবো এটা হতে পারে না। মালয়শিয়াতে যারা সেকেন্ডে হোম বানায় তাদের জন্মস্থান কি বাংলাদেশে না। তারা কি সব হিন্দু ? তাদের বিষয়ে দেখি আপনি কিছু বলছেন না। হিন্দু আর নূরহোসেনদের নিয়ে লাফা লাফি না করে হিন্দু আর তারেক জিয়া শেখ হাসিনা কোকো এসব নিয়ে উদাহরণ টানুন। এরা কি সবাই হিন্দু।

৯| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

লোডশেডিং বলেছেন: এদেশে যেসব বড় বড় নেতা আছে তারা বিদেশে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করেছে তা কি আমার দেশের টাকা দিয়ে করে নাই। মওদুদ, হুদা, তারেক, কোকো, জয়,পুতুল,আশরাফ, রেহানা এদের বিদেশি সম্পত্তি কি বিদেশে কামাই করা টাকায় হয়েছে ? যুক্তরাষ্ট্রের জামাতি নেতাদের সম্পত্তি কি সেদেশের টাকায় হয়েছে ? এসব প্রশ্নের উত্তর খোজেন আগে।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মদ্যা কথা হচ্ছে এই দেশে থেকে যারা ভারতে মাইগ্রেট করে বা গত ৪২ বছরে করেছে এরা হয় ইতর , বদমাইস, বেইমান, নপুংশক !!!

১১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: যারা ভারতে ছদ্ম নামে থাকে- বাড়ি গাড়ি করে, হিন্দু বউ রাখে। কোটি কোটি টাকা পাচার করে দেয়- তারা আদপে কারা? যতগুলো মানুষের আপনি উদাহরন দিবেন-ঘেটে দেখেন তাদেরকে-
তারা এক কথায় ক্রিমনাল! যারা নিজেদের ন্যুনতম স্বার্থের জন্য ধর্ম আর দেশকে বিক্রি করতে দ্বীধা করে না।এরা বাঙ্গালী নয়, বাংলাদেশী নয়, মুসলমান হিন্দু,খৃষ্টান নয়। আপনি হিন্দুদেরকে কলুষমুক্ত করতে একপেশেভাবে মুসলমানদের উপর দায় চাপিয়ে দিলেন। দুঃখজনক।এই সব অর্থপাচারকারী- নাম ধাম বদলে সেখানে বিয়ে করা লোকের সংখ্যা কোন মতেই কয়েক সহস্রের বেশী হবে না। কিন্তু স্বাধীনতার পরে কত লক্ষ হিন্দু ওপারে চলে গেছে তার একটু হিসেব করুন?
তারা কেন গিয়েছে,কি জন্য গিয়ে বা এখনো যাচ্ছে সে বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না।
'দোষ শুধু হিন্দুদের এক ঠ্যাং ভারত থাকলে। তখন মোমিন মুসলিমদের পশ্চাৎ জ্বলিয়া ছারখার হয়ে যায়। এদেশের কোনো কোনো মুসলিমদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এইরূপ।' এই কথাগুলো বেশ আক্রমনাত্মক! 'মোমিন মুসলমান' বলতে আপনি কাদের বোঝাচ্ছেন? কোন ধর্ম বা ধর্মের অনুসারী লোকদের আপনার ভাল না-ই লাগতে পারে। কিন্তু এইসব ওপেন মিডিয়াতে শব্দগুলো হওয়া উচিৎ শালীন।

আরেকটা কথা, গুটিকতক দুষ্ট গরুর কথা বলছি না। বৈধ পথে মাইগ্রেট করতে চাইলে তার ব্যাবস্থা কিন্তু আছে।


২৪ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

লোডশেডিং বলেছেন: শেরজা তপন আপনার মন্তব্য অন্যদের থেকে আমার কাছে ভালো লেগেছে। যারা এদেশের অর্থ ভারত কিংবা অন্য দেশে পাচার করে তারা ক্রিমিনাল। এরকম চার পাচটা ক্রিমিনালের হাতেই কিন্তু আমাদের সম্পদ তথা দেশ থাকে। মালয়শিয়াতে যারা সেকেন্ড হোম বানায় দেশের বিরাট এক সম্পদ কিন্তু তাদের হাত দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে আমরা কিন্তু কেউ উচ্চ বাচ্য করি না। বাংলাদেশ থেকে যে হারে হিন্দু ভারত যায় সে হারে মুসলিম যদি না যেতো তবে আসাম, ত্রিপুরা, বিহারে বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি গড়ে উঠত না। ভারতে যে হারে হিন্দু মাইগ্রেট করে তার চেয়ে বেশি মুসলিম মাইগ্রেট করে। এটা বাংলাদেশ সরকার স্বীকার করে না। মুসলিমদের এই মাইগ্রেটের কারণে বেগম খালেদা জিয়া ভারতের সাথে পুশব্যাক চুক্তি করে। আর সেই চুক্তির আধারে বহু বাংলাদেশি মুসলিমকে ভারতে থেকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে মুসলিমরা গিয়ে সে দেশে নাম পাল্টিয়ে থাকে। এটা তো আর ঢাকঢোল পিটিয়ে হয় না। ফেনির জয়নাল হাজারি ভারতে জয়ন্ত হাজরা নাম নিয়ে থাকে। সবকিছু বদল করে যারা থাকে তাদের সবার পরিচয় আপনি জানবেন কি করে। কালে ভদ্রে কয়েকজনের পরিচয় জানা যায়। আর সেটা ওই ঝামেলার কারণে। পশ্চিম বঙ্গের পুলিশ যদি নূর হোসেনকে না ধরতো তবে তার বাপী সাহা নাম জানা যেতো না। তাই এদেশের যারা রয়েছে তারা ভিন্ন নামে সেখানে থাকে। এদেশে এদের সংখ্যা অনেক। আর যারা নাম পাল্টাতে পারে না। তারা গরিব মুসলিম। গুটিকতেক দুষ্ট গরুর কাছে জাতি আজ পরাজিত। আর হিন্দুদের ভারত যাবার বহু কারণ আছে সেই বিতর্কে এখন আমি যেতে চাচ্ছি না।

যারা ভারতে ছদ্ম নামে থাকে- বাড়ি গাড়ি করে, হিন্দু বউ রাখে। কোটি কোটি টাকা পাচার করে দেয়- তারা আদপে কারা? যতগুলো মানুষের আপনি উদাহরন দিবেন-ঘেটে দেখেন তাদেরকে-
তারা এক কথায় ক্রিমনাল! যারা নিজেদের ন্যুনতম স্বার্থের জন্য ধর্ম আর দেশকে বিক্রি করতে দ্বীধা করে না।এরা বাঙ্গালী নয়, বাংলাদেশী নয়, মুসলমান হিন্দু,খৃষ্টান নয়। আপনার এই কথার সাথে চরম ভাবে সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.