![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড.খন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানি দেশের একজন প্রতিভাবান বিজ্ঞানি এবং বাংলাদেশের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স শিক্ষা ও গবেষনা ক্ষেত্রের অগ্রদূত। মূলত প্রযুক্তি নির্ভর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের প্রচার এবং প্রসারের ক্ষেত্রে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন এই প্রতিভাবান বিজ্ঞানী।
১৯৫০ সালে জন্মগ্রহন করা এই বিজ্ঞানী তার বি.এস.সি ডিগ্রি অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। পাকিস্তানের বিখ্যাত কাইদ-ই-আযম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে তিনি তার মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর কমনওয়েলথ এর বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাজ্যে গমন করেন এবং “ইউনিভার্সিটি অফ সাউদাম্পটন” থেকে “মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স”এর উপর তার পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৭৮ সালে। দেশে ফিরে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে। ২০০৮ সালে প্রথম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগ দেন নতুন গঠিত হওয়া “বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এবং টেকনোলজি” বিভাগে এবং আজ অবধি সেখানেই কর্মরত আছেন।
অধ্যাপক রব্বানি এর বিভিন্ন জার্নালে প্রায় ৮০ টির মত বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, লিখেছেন বি.এস.সি ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইলেক্ট্রনিক্স এর উপর ১টি বই এবং ৩ টি বই এর অংশবিশেষ। দেশ বিদেশের প্রায় ৮০টির মত সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন অধ্যাপক রব্বানি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত তথা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ মুল্যে প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং সহজ উপায়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য অধ্যাপক রব্বানি এর অবদান অনস্বীকার্য। “বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি” এর মতে অধ্যাপক রব্বানি এর অসংখ্য কাজ এর মধ্যে প্রধান কিছু কাজ নিম্নরূপ ,
১. সৌর শক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে অত্যান্ত সহজ এবং কম খরচে পানি থেকে ডায়রিয়া জীবাণু ধ্বংসকরণ।
২. অধিক সফলভাবে পানি হতে আর্সেনিক দূরীকরণ পদ্ধতির আবিষ্কার।
৩. “Focused Impedance Method (FIM)” পদ্ধতি ব্যাবহারের মাধ্যমে ফুসফুস পাকস্থলি এবং রক্তনালীর সমস্যা এবং কিছু কিছু ক্যান্সার এর নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবন।
এছাড়াও ড.খন্দকার সিদ্দিক-ই-রব্বানি এর নেতৃত্বে “বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এবং টেকনোলজি” বিভাগ করেছে সল্পমুল্যের এবং সহজলভ্য টেলিমেডিসিন বিষয়ক অনেক মহামূল্যবান যন্ত্র।এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল কলকোস্কোপ, তিন লিড-নন ডায়াগনস্টিক ইসিজি যন্ত্র, ডিজিটাল এক্স-রে ভিউ বক্স, মাসল এন্ড নার্ভ স্টিমুলেটর, আ্যান্টি –সোয়েট সহ আরও অসংখ্য মূল্যবান যন্ত্র। উন্নয়নশীল এই দেশে টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত এসব যন্ত্রপাতি সহজলভ্য এবং কমমূল্যে প্রাপ্তি গরীব ও মধ্যবিত্ত রোগীদের জন্য কিছুটা হলেও সস্তি ও সাশ্রয়ী হবে।
দেশের এই নামকরা বিজ্ঞানীর জন্য রইল গভীর শ্রদ্ধাবোধ ।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: স্যার দেশের জন্য যা করেছেন তার জন্য স্যারকে হাজার হাজার বার স্যলুট।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
লাজুকছেলে বলেছেন: স্যালুট , , ,
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
খাটাস বলেছেন: দেশের এই নামকরা বিজ্ঞানীর জন্য রইল গভীর শ্রদ্ধাবোধ ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বিজ্ঞানী আমাদের জন্য অনেক গৌরবের