নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভ্রমণকথা-মালা

সভ্যাতা মানুষের তৈরি ,মানুষ সংগ্রামের পথ ধরে বেয়ে চলা সৈনিক । তাই মানুষের জয় অনিবার্য

লালপতাকা

আলোর পথ যাত্রী

লালপতাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়ের পথে দেশে'র সর্বোচ্চ চূড়া সাকাহাফং

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৩





সাকাহাফং এর ৭(সাত )দিন ।জয়ের পথে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ায় সাকাহাফং । টানা ৭ দিনের ট্রেকিং শেষ গতকাল(বুধবার)থানচিতে পৌছায়।বৃষ্টি,জঙ্গলের দুর্গম পথ, সুউচ্চ পাহাড় ,শিকারী জোক আর সকল অনিশ্চিয়তা অবসান ঘটিয়ে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া আরোহন করছি ২২ অক্টোবর ২০১৩, সোমবার দুপুর ২টা ২২ মিনিটে । আমাদের ট্রেকিং টিমে সকল সাহসী বন্ধুদের এই অর্জন আমাদের কাছে প্রেরণা আরো দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার । ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখতে বলেছে অনেকেই । কিন্তু সময় আর সুযোগের স্বল্পতায় লেখা হয়ে উঠে নি । এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ৭ দিনের ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা আজো চমৎকার ।

আগের দিন রাতে ছিলাম থানচির সরকারি গেষ্ট হাউসে । খুব ভোরে রওনার হবার কথা ছিল সবার কিন্তু যাত্রা করেছি তখন প্রায় ৭.৩০ মিনিট । কাঁধে বিশাল ব্যাগ । আমার ব্যাগের ওজন ১২ কেজির কম নয় । থানচির বাজার ছেড়ে্ যখন হাঁটা শুরু করেছি পাহাড়ের কোল ঘেঁষে তখন সকালের সূর্য । টানা ৪৫ মিনিট হাঁটার পর প্রথম বিরতি ১০ মিনিটের জন্য । তাজিংডং আমার চেনা পথ । এই বছরই একবার গিয়েছিলাম তাজিংডং । উচু নিচু পথ । তীব্র রোদ । ধীর হাঁটা । বোডিং পাড়ায় পৌছাতেই অনেক সময় লেগে যাই । প্রায় ১১ টা । বোডিং পাড়ার ঝিরিতে দীর্ঘ গোসল । দুপুরে কোন ভারী খাবার নেই । একখানা বিস্কুট আর ঝিরির পানি । পুরো ভ্রমণেই কোন দিনই দুপুরে কোন ভারী খাবার নেই । বোডিং পাড়া থেকে যাত্রা করেছি শেরকর পাড়ার উদ্দ্যেশে । ঘড়িতে সময় তখন দুপুর ১২.৩৩ মিনিট । বোডিং পাড়ার উচু পাহাড় উঠতে হবে । এর মধ্যে শুরু হয়েছে ঝুম বৃষ্টি । বৃষ্টিতে পিচ্ছিল পথ আর সাথে জোক অত্যাচার আর কাঁধে ভারী ব্যাগ । বোতলের পানিও শেষ । তবে প্রকৃতি নিরাশ করেনি ,গাছের পাতায় লেগে থাকা বৃষ্টির পানিই ভরসা । এই পাহাড়েই উঠতে অনেক সময় লেগেছে । বৃষ্টি তখনো কমেনি ।বোডিং পাড়ার পাহাড় নামার পথ গাছের সিড়ি । একটু হাঁটার পরেই পাহাড়ের দিকে ধেয়ে আসছে দলছুট মেঘ । ক্লান্ত সবাই একটু ঠান্ডা হাওয়ায় । এবারের বিরতি জুম ঘরে । তখন প্রায় বিকেল । জুমঘরে ঝালমুড়ির আয়োজন , সাথে জুমের ঝাল মরিচ । জুম ঘরের মাচায় দাঁড়িয়ে হালকা ছবি তোলা । পাহাড়ের চারপাশ মেঘে ঢা্কা । আবার রওনা দিলাম ।শেরকর পাড়ার নিচের ঝিরিতে যখন পৌছায় তখন গোধুলী । এই ঝিরিতে আবারো গোসল । গোসল সেরে সন্ধ্যার দিকে শেরকর পাড়ায় । পাড়ার কারবারি বাসায় রাত্রি যাপন । ওখানে খাওয়ার আয়োজন চলে আড্ডা,সারাদিনের ট্রেকিং অভিজ্ঞতা,কার গায়ে কত জোক ধরেছে এসব । রাতে আবার নামে বৃষ্টি । দীর্ঘ বৃষ্টি মানেই পাহাড়ের পথ পিচ্ছিল ,জোকের অত্যাচার আরো বাড়বে । তারপরও সুন্দর সকালের অপেক্ষায় ঘুমিয়ে পড়ি এই বম পল্লীর অচেনার কারবারীর বাসায় । ২য় রাত শেরকর পাড়ায় । (চলবে) — at Thanchi Upazila.

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: দীর্ঘ বৃষ্টি মানেই পাহাড়ের পথ পিচ্ছিল ,জোকের অত্যাচার আরো বাড়বে
আংগুল টা জোকের কামড়????

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৬

লালপতাকা বলেছেন: হুম

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫

জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: এইরকম টুরে যাইতে কত খরচ হবে?

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

সোজা কথা বলেছেন: বাবা রেএএএ।১২ কেজি কাঁধে,পিচ্ছিল পথ আর জোঁক এসবের মধ্যেই পথচলা ! চলুক....

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ছবি কোথায়?

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:





অভিনন্দন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.