নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটি রুপক গল্পের মাধ্যমে বাস্তব একটি সমস্যা এবং এর সমাধানের চেষ্টা করছি। গ্রামে বিভিন্ন পেশার মানুষের বসবাস করে। তার মধ্যে কৃষিকাজের সাথেই জড়িত থাকে অধিকাংশ মানুষ।ধরুন সেরকমই মফিজ মিঞা একজন কৃষক। ভোর বেলা সে জমিতে যায়, চাষ বাস করে, ফসল ফলায়। ফসল গুলো তার প্রাণসম। অপরদিকে রমিজ মিঞাও কৃষক। তারও রয়েছে গোয়াল ভরা গরু। ষাড় আর গাই দিয়ে তার গোয়াল পরিপূর্ণ।
একদিন সকালে চিৎকার চেচামেচিতে পাড়ার লোকের ঘুম ভাঙে। মফিজের অভিযোগ রমিজের ষাড় দড়ি দিয়ে বেঁধে না রাখার জন্য তার জমিতে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করেছে। আর রমিজের অভিযোগ মফিজ তার ক্ষেতে বেড়া দেয় নাই বলে তার ষাঁঢ় ঐ জমিতে ঢোকার সুযোগ পেয়েছে।
এমতাবস্থায় গ্রামে শালিষ বসল। পাড়ার পঞ্চায়েৎ প্রথমে বল্লো রমিজ যেনো তার ষাঁঢ় দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে। নইলে সে যে কোন সময় যে কারোর ক্ষেত নষ্ট করতে পারে। তখন রমিজ বল্লো, ষাঁঢ়ের চোখের সামনে যদি সবুজ ক্ষেত লক লক করে, তখন কি দড়িতে মানাবে? সে তো সুযোগ পেলেই ক্ষেতের উপর ঝাপিয়ে পড়বে। এমনকি দড়ি ছিড়েও সে ক্ষেতে চলে যেতে পারে। এখানে তার কিছুই করার থাকবে না। তখন পঞ্চায়েৎ বিষয়টি আমলে নিয়ে নতুন সমাধান দিলো। রমিজের ষাঁঢ়ের যেনো ঐ সবুজ ক্ষেতের প্রতি লোভ তৈরী না হয় সেই ব্যবস্থা হিসাবে তারা বল্লো মফিজ তার ক্ষেতে বেড়া দেবে। যেনো তার সবুজ ক্ষেত না হয়।
এখন কথা হচ্ছে মানুষ তার রিপুর তাড়নায় অস্থির থাকে। কি ছেলে কি মেয়ে, উভয়েরই রয়েছে এই রীপুর তাড়না। এই তাড়না প্রশমিত করতে না পারলে, বেধে যায় বিপত্তি। একজন ডায়বেটিসের রোগীর সামনে যদি মজাদার মিষ্টি মিষ্টান্ন পড়ে থাকে, সেও কিন্তু ভুলে যায় যে তার ডায়বেটিস আছে। লোভে পড়ে গপাগপ দুটো মিষ্টি সে পেটে চালান করেও দিতে পারে। পরে যা হবার হবে।
আমরা নারী অধিকার নিয়ে কথা বলি, আবার সেই নারীকেই পণ্য হিসাবে ব্যবহার করি। আমরা ধর্ষনের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবী করি, আবার সেই নারীকেই খোলা পোশাকে সবার সামনে প্রতিযোগিতায় নামাই। ইভটিজিং বন্ধের দাবীতে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলি, অথচ নারীদেরকে এমন পোশাক পরিধান করাই, যা দেখে রমিজের গরুর মতো লাফিয়ে ঝাপিয়ে পড়ি।
সুতরাং উপরের গল্পের মোরালিটি হলো উভয় পক্ষকেই সংযত হতে হবে। নতুবা এই বিশৃঙ্খলা বন্ধ হবে না। হতে পারে না ...... ইসলামে নারীকে পর্দা করার জন্য বলা হয়েছে, সেই সাথে পুরুষদের চোখ নত বা সংযত রাখতে বলা হয়েছে। উভয়কেই গোপন অংগের হেফাজত করতে বলা হয়েছে। এক পক্ষিয় সিদ্ধান্ত কখনোই ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না। সম্ভব নয় .....
২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
আহলান বলেছেন: হ্যা, আপনি ঠিক ধরেছেন। তবে এটাও নিশ্চই মানবেন, মানুষ যখন তার জ্ঞ্যানের প্রয়োগ করে না, ।অসভ্যের মতো আচরণ করে, তখন তাকে জ্ঞ্যনি বলা যায় না। কখনো কখনো পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট আচরণ করে সে। তখন তাকে অমানুষ বলা হয়, পশুর সাথে তুলনা করা হয়। ধন্যবাদ
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
যোগী বলেছেন: আপনি পুরুষদেরকে লোলুপ ষাঁড়ে সাথে তুলনা করলেন? নাকি নিজের নিজের বন্য লালসাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করলেন?
ইসলামে কি পুরুষদের ড্রেস কোডের ব্যাপারে কোনই নির্দেশ নাই?
২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
আহলান বলেছেন: আপনি পোষ্টের মোরালিটি বোঝেন নাই। বোধ হয় বাস্তবতার নিরীখেও বিষয়টি দেখছেন না .. ধন্যবাদ
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
যোগী বলেছেন: মোরালিটি কি জিনিশ? বুঝি কম, বুঝায়া কন।
যে প্রশ্ন করেছি তার উত্তর দেন।
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
একটু স্বপ্ন বলেছেন:
কোন পুরুষ যখন সংযম ধরে রাখতে ব্যার্থ হয়ে পশুর আচরনের চেয়ে ঘৃন্য কাজ করে (ধর্ষন) তখন তাকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হয়, নিশ্চিৎ করতে হয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি.. অথচ এটা কখনও করা হয়নি.. শুধু মেয়েদেরকে কুৎসিতভাবে তুলনা করা হয়, দেয়া হয় নানা অশ্লীল উদাহারন.. বেদনাদায়ক.. আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন খুব জরুরী..
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
একটু স্বপ্ন বলেছেন:
প্রথমেই পরিস্কার করে বলতে চাই, আমি যাবতীয় অশ্লীলতার বিপক্ষে।
আপনার উদাহারনটির সাথে একমত হতে পারছিনা কারণ, গরুর/পশুর সাথে মানুষের তুলনা হতে পারেনা। পশুর সংযম নেই অথচ মানুষের তা আছে। তাই যে মানুষ তার সংযম বজায় রাখতে পারেনা সে মানুষের খোলসে পশুর তুল্য।
এটা ঠিক যে উপয়কেই সংযত আচরন করতে হবে, পর্দার দোহাই দিয়ে ধর্ষনের মত ভয়াবহ অপরাধকে কোনভাবেই মেনে নেয়া যাবেনা। কোনভাবেই না।