নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিয়মিত কিছু আমল, যা নাজাতের উছিলা হতে পারে .....

২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

সম্মানিত ব্লগারগন,

আস্সালামু ওয়ালাইকুম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব জিল্লুর রহমান আমাদেরকে ছেড়ে তার চিরস্থায়ী জীবনের পথে রওয়ানা হয়েছেন। থাকবে শুধু নিজের কৃত কিছু আমল। তাঁর এত ক্ষমতা, এতো শান শওকত আজ মূল্যহীন। তিন টুকরা সাদা কাপড় আর কবরের কিছু মাটিই তার শেষ ঠিকানা। কোন কিছুর বিনিময়েই আজ আর সে ঐ রাষ্ট্রপতির আসনে বসতে পারবেন না। ফিরে আসতে পারবেন না আর এই ইহজগতে। আলমে বরজখের জগতে তিনি চলে গেলেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। এভাবেই একদিন সবাইকেই চলে যেতে হবে। তাই আসুন পরকালের পাথেয় সঞ্চয়ের নিমিত্তে কিছু আমল করি, যার উছিলায় আল্লাহ তাবারক্তায়ালা আমাদের সবাইকে নাজাত দান করেন।



নিয়মিত সুরা ইয়াসিন পাঠ করা। এর ফজিলৎ সম্পর্কে বলা যায় যে, রাসুলে পাক (সাঃ) বলেছেন-

* আমার আরজু আমার প্রত্যক উম্মতের দিলে সুরা ইয়াসিন বিদ্যমান থাকুক।

*প্রত্যেক বস্তুরই দিল আছে। সুরা ইয়সিন আল কোরআনের দিল।(তিরমিজী)

*এই সুরা একবার তেলাওয়াত করলে ১০ বার কোরআন খতমের সোয়াব পাওয়া যায়।

*রাতে এই সুরা পাঠ করলে তার সমস্ত গোনাহ মাফ হয়। এইরুপে নিয়মিত পাঠ করলে এই সুরা হাশরের মাঠে তার জন্য সুপারিশ করবে।(ইবনে মাজা, আবু দাউদ, আহমাদ)

*মুমূর্ষূ ব্যাক্তির নিকট এই সুরা পাঠ করলে মৃত্যু যন্ত্রনা লাঘব হয়। (আহমাদ)

২। সুরা আর-রহমান পাঠ করা। এর ফজিলৎসম্পর্কে বলা হয় যে,

রাসুলে পাক (সাঃ) বলেছেন

*প্রত্যেক বস্তুরই শোভা এবং সৌন্দর্য আছে। আল কোরআনের শোভা হলো সুরা আর-রহমান।

*যে ব্যাক্তি সুরা আর-রহমান পাঠ করে সে যেনো আল্লাহ তায়ালার সর্বাধিক নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করলো।

*এই সুরাটি স্বপ্নে পড়তে দেখলে দুনিয়াতে রহমত ও আখেরাতে নেয়ামৎ লাভ হয় এবং ক্বাবা শরীফ যেয়ারৎ নসিব হয়।

৩। সুরা মুল্ক পাঠ করা। এর ফজিলৎসম্পর্কে বলা হয় যে, রাসুলে পাক (সাঃ) বলেছেন

* রাসুলে পাক (সাঃ) সুরা মুলক না পড়ে কোন রাত্রেই ঘুমাইতেন না।

*কোরআনে একটি সুরা আছে-৩০ আয়াত; এই সুরা হাশরের দিন উহার নিয়মিত পাঠকারীদের জন্য সুপারিশ করে তাদের সমস্ত গোনাহ মাফ করিয়ে দিবে। ইহা সুরা মুলক।(তিরমিযী)

*এই সুরা নিয়মিত পাঠ করলে কবরের আযাব হতে পরিত্রান পাওয়া যায়।

*এই সুরা আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে যে, হে আল্লাহ ! আমাকে নিয়মিত পাঠকারীকে যদি জাহান্নামের আগুনে পোড়ও / যদি তুমি ক্ষমা না করো তবে কোরআন শরীফ থেকে আমাকে বাদ দিয়ে দাও।



আজ কাল পরশু করে অনেক বেলা গেলো। কখন কার ডাক আসে কেউ বলতে পারে না। সুতরাং এই দুনিয়ার সকল কাজ কর্মের ফাকে আসুন কিছু আমল করি, যা আমাদের নাজাতের উছিলা হয়ে যাবে ..... মাআস্সালাম।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

িট.িমম বলেছেন: জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ

২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

আহলান বলেছেন: ওয়েলকাম!

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: ভালো লাগলো। কখন কার যেতে হবে যদি মানুষ জানতো তাহলে আমল আরো বেড়ে যেতো। কেউ যদি জানতো ঠিক ১০০ বছর বয়সে সে মারা যাবে তাহলেও সে কোন খারাপ কাজ করতো না। অথচ ১০০ বছর বলতে গেলে কেউ বাঁচেই না। আমরা ভুলে যাই যে ৫০/৬০ না যখন তখন মরে যেতে পারি। আর ঠিক তখনই আমাদের পরিক্ষার খাতা ক্লোজড। পাশ ফেল ঐখান থেকেই নির্ধারিত হবে।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

গ্রামের মানুষ বলেছেন: আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন, নাজাত দিন!

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

আহলান বলেছেন: সুম্মামিন .......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.