নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিস আদালত স্কুল কলেজ সর্বত্রই আজ নারী পুরষের সহ অবস্থান। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সর্বত্রই এই পরিস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে। ভালো যে সবাই ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী হচ্ছে। আমাদের দেশের সামাজিকতা বা কৃষ্টি কালচার অনুযায়ী সেই ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি ছেলে এবং মেয়েতে প্রায় সব ক্ষেত্রেই অনেক ব্যবধান। ছেলেরা শার্ট প্যান্ট তো মেয়েরা সালোয়ার কামিজ ক্রস ওড়না। ছেলে ও মেয়েদের কমন রুম , ওয়াশরুম সবই আলাদা। কারণ ? কারণ একটাই সেটা হলো শারীরিক গঠন। পুরুষেরা খালি গায়ে বা সেন্ডো গেঞ্জি পরে খুব সহজেই কোথাও বেরিয়ে যেতে পারে, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর একটি মেয়ে তা পারে না, কারণ শারীরিক গঠন। এমনকি বাচ্চা মেয়েদের হাফ প্যান্টটাও হয় ভিন্ন ধরনের, অনেক এলাকায় যাকে বলে ঘটি প্যান্ট, কারণ একটাই শারীরিক গঠন। ছেলেদের সালোয়ার এবং মেয়েদের সেলোয়রও ভিন্ন অর্থাৎ মেয়েদের শরীরের কিছু কিছু ক্ষেত্র সবার চোখের আড়ালে রাখার জন্যই এই পোশাক বৈষম্য।
এপোলো হসপিটালের সামনে দাড়িয়ে আছি। দূর থেকে দেখলাম দুটো মেয়ে হেটে আসছে। আমার সামনে দুটো গাড়ি দাড়ানো, সেই দুটো গাড়ির দুই ড্রাইভার রাস্তার পাশে দাড়িয়ে গল্প করছে। আমি ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত। তারপরেও যখন মেয়ে দুটো আমার সামনে দিয়ে হেটে গেলো আমি দুইজন ড্রাইভারকে বলা বলি করতে শুনলাম .... শালার পা....র সাইজ দেখছস? স্বভাবতই তারা কি দেখে এমন কথা বলছে সেটা বোঝার জন্য তাদের চোখের দৃষ্টি অনুসরণ করে যা দেথলাম তা রীতি মত লজ্জাকর। দুটো মেয়েই পা পর্যন্ত কামিজ পরেছে ঠিকই কিন্তু তা মাজা পর্যন্ত ফাড়া আর যেহেতু আধুনিকা হয়ে সেই সাথে ল্যাগিংস পরেছে আর কামিজটা জোর বাতাসে উড়া উড়ি করছে, ফলে তার লেগিংস পরা বা না পরার মধ্যে খুব একটা পার্থক্যই রাখেছে না। আমি চোখ ফিরিয়ে নিলেও ড্রাইভার দুটো যতক্ষন দেখা যায় ততক্ষনই চেয়ে রইলো আর দাত কেলিয়ে হাসতে লাগলো। মজা নিলো আর কি!
দুঃখজনক হলেও সত্য , আজ আমাদের সমাজে লেগিংসের মতো ভাইরাস খুব সহজেই ঢুকে পড়ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭
খাটাস বলেছেন: স্বাধীনচেতা মানে যে অশালীনতা নয়, তা অনেক মেয়ে ই বোঝে না। দুঃখজনক বললাম না, পরিবর্তন আমরা শুরু করলেই সবাই পালটাবে ইনশা আল্লাহ, তবে তা মানসিকতায়। ভাল থাকবেন।