নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনা ব্যাভিচার কি এতই সম্মানের কাজ যে রেডিও টিভিতে তা নিজ মুখে প্রচার করতে হবে?? এটা যে পাপ, সে খেয়লই নাই ..

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

সমাজ সংস্কৃতি একদিনে গড়ে ওঠে না। মানুষের পারস্পরিক আচরণ, মূল্যবোধ, ধর্মিয় রীতি-নীতি সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই সমাজ - সংস্কৃতির সৃষ্টি এবং সেই অনুযায়ী চর্চা।

আমাদের সমাজে এখনো বিবাহ বহির্ভুত নারী -পুরুষের অবাধ শারীরিক মেলামেশাকে পজেটিভ দৃষ্টিতে দেখা হয় না। তার একটি বড় কারণ হলো এভাবে মেলামেশাকে আমাদের ইসলাম ধর্ম সহ অন্যান্য ধর্মও স্বিকৃতি দেয় না। তাই এই ধরণের মেলামেশা কেউ করে থাকলেও তা গোপনেই রাখতে চায়। কারণ সমাজের চোখে কাজ ঘৃণীত আচরণ বলে পরিচিত তা আমি জনসমুক্ষে প্রচার করতে পারি না। তবে তখনই করতে পারব যখন আমার মধ্যে লজ্জা শরমের কোন বালাই থাকবে না। তখনই আমি বিয়ে ছাড়াই মা বা বাবা হওয়ায় গর্ব বোধ করবো, বিয়ে ছাড়াই একজন পুরুষ বা নারীর সাথে সহবাস করতে পারবো।

কথায় বলে এক কান কাটা গেলে রাস্তার পাশ দিয়ে যায়, আর দুই কান কাটা গেলে রাস্তার মাঝ স্থান দিয়ে যায় ....অর্থাৎ বেহায়ার আর কোন কিছু হারানোর ভয় থাকে না। লজ্জা বা হায়া বলতে তখন আর তার কিছু থাকে না।

বিবাহ বহির্ভুত মেলামেশা ইসলামে সর্বৈব হারাম ঘোষনা করা হয়েছে। বিবাহিত বা অবিবাহিত জেনাকারী বা জেনাকারিনীর জন্য ইসলামি শরিয়তে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। বিবাহিত হলে রজম (পাথর মেরে হত্যা) আর অবিবাহিত হলে ১০০ (দোররা) বেত্রাঘাত, যেনো সমাজে এই অপরাধ ছড়িয়ে না পড়ে।

কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজ মনে হয় এমন একটি পর্যায়ে এসে পড়েছে, তাতে মনে হয় এই জেনা বা ব্যাভিচারকারীদেরকে একটি সম্মানজনক প্ল্যাটফরমে দাড় করাতে সহযোগিতা করছে। উচু গলায় বলার সুযোগ করে দিচ্ছে যে সে ব্যাভিচার করেছে ... সে জেনা করেছে .....হোয়াট এ ক্রেডিট !! সে সব কাহিনী শোনার জন্য আমরা আবার রাত জেগে অপেক্ষাও করি অনেকে ..... শ্লীল আর অশ্লীলের মাত্রা কোথায় গিয়ে ঠেকছে?

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ”।(সূরা বনী ইসরাঈল -৩২)

“আর যারা আল্লাহ ব্যতীত অপর কোন ইলাহের ইবাদত করে না, আল্লাহর নিষিদ্ধকৃত প্রাণী যথার্থ কারণ ব্যতীত হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। আর যে ব্যক্তি এসব কাজ করে, সে শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে সে হীন অবস্থায় চিরস্থায়ী হবে। তবে তারা নয়- যারা তাওবা করে এবং সৎ কাজ করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কাজগুলো ভাল কর্ম দিয়ে পরিবর্তন করে দেন, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াশীল”-৬ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে এক’শ ঘা করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকরী করবে এদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের অভিভূত না করে। যদি তোমরা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাক। ঈমানদারদের একটি দল যেন এদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে”। (সূরা আন নূর ২)
আলেমগণ বলেছেন, এটাই হচ্ছে অবিবাহিত পুরুষ-মহিলার ব্যভিচারের ইহকালীন শাস্তি। যদি তারা বিবাহিত হয় বা জীবনে একবার হলেও বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল এমন হয়ে থাকে, তাহলে তাদেরকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করতে হবে। এটা হাদীসের নির্দেশনা ।

এ মৃত্যুদণ্ডেও যদি তাদের পাপের পূর্ণ প্রায়শ্চিত্ত না হয় এবং তারা উভয়েই তওবা না করে মারা যায় তাহলে তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে পোড়ানো লৌহদণ্ড দিয়ে শাস্তি দেয়া হবে।

যবূর কিতাবে বর্ণিত আছে, “ব্যভিচারী নারী- পুরুষের লিংগ রশি দ্বারা বেঁধে জাহান্নামের আগুনে ঝুলানো হবে এবং লোহার ডান্ডা দিয়ে তাদের জননেন্দ্রিয়ে আঘাত করা হবে। আঘাতের যন্ত্রণায় যখন চিৎকার করবে, তখন জাহান্নামের ফেরেশতারা বলবে; পৃথিবীতে যখন তোমরা আনন্দ ফুর্তি করতে, হাসতে এবং আল্লাহর কথা স্মরণ করতে না এবং তাঁকে লজ্জা পেতে না, তখন এ চিৎকার কোথায় ছিল”?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “কোন ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন তার ভেতর থেকে ঈমান বেরিয়ে যায়, এরপর তা তার মাথার উপর ছায়ার মত অবস্থান করতে থাকে। এরপর সে যখন তা থেকে তওবা করে তখন তার ঈমান পুনরায় তার কাছে ফিরে আসে”। [আবু দাউদ]

হযরত আবু হুরায়রা বর্ণিত অন্য এক হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি ব্যভিচার করে অথবা মদ পান করে, আল্লাহ তার কাছ থেকে ঈমান ঠিক এমনভাবে কেড়ে নেন, যেমন কোন মানুষ তার মাথার উপর দিয়ে জামা খুলে থাকে”।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তিন ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না, তাদেরকে পবিত্রও করবেন না এবং তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক কঠোর শাস্তি নির্ধারিত থাকবে। তারা হচ্ছে ব্যভিচারী, মিথ্যাবাদী শাসক এবং অহংকারী গরীব”। [মুসলিম ও নাসায়ী]

বুখারি শরীফে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বপ্নের বিবরণ সম্বলিত যে হাদীসটি হযরত সামুরা বিন জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে উল্লেখ রয়েছে এতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; “জিবরাঈল ও মীকাঈল (আলাইহি সালাম) তাঁর কাছে এলেন এবং আমি তাঁদের সাথে পথ চলতে শুরু করলাম। এক পর্যায়ে আমরা বড় একটা চুল্লির কাছে এসে পৌঁছলাম। সে চুল্লির উপরি অংশ সংকীর্ণ ও নিম্নভাগ প্রশস্ত। ভেতরে বিরাট চিৎকারও শোনা যাচ্ছিল। আমরা চুল্লিটার ভেতরে দেখতে পেলাম উলংগ নারী ও পুরুষদেরকে। তাদের নিচ থেকে কিছুক্ষণ পর পর এক একটা আগুনের হলকা আসছিল আর তার সাথে সাথে আগুনের তীব্র দহনে তারা প্রচন্ডভাবে চিৎকার করছিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম; হে জিবরাঈল! এরা কারা ? তখন তিনি বললেনঃ এরা ব্যভিচারী নারী ও পুরুষ”।

মহান আল্লাহর বাণী; “জাহান্নামের সাতটি দরজা থাকবে” – এ আয়াতের তাফসীরে হযরত আতা (রহ) বলেন, “ এ সাতটি দরজার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত, সবচেয়ে বেশি দুঃখে পরিপূর্ণ ও সবচেয়ে ভয়ংকর দরজা হবে যারা জেনে-শুনে ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের দরজা”।

ইমাম মাকহুল দামেস্কী (রহ) বলেনঃ জাহান্নামবাসীদের নাকে একটা উৎকট দুর্গন্ধ ভেসে আসবে। তারা বলবে এমন দুর্গন্ধ আমরা ইতিপূর্বে আর কখনো অনুভব করিনি। তখন তাদেরকে বলা হবে, এ হচ্ছে ব্যভিচারীদের জননেন্দ্রিয় থেকে বেরিয়ে আসা দুর্গন্ধ। তাফসীরের বিশিষ্ট ইমাম ইবনে যায়েদ (রহ) বলেন, ব্যভীচারীদের জননেন্দ্রিয়ের দুর্গন্ধ জাহান্নামবাসীর জন্যে সবচেয়ে বেশি কষ্ট বয়ে আনবে।

আল্লাহ হযরত মূসা আলাইহি সালাম কে সর্বপ্রথম যে দশটি আয়াত দিয়েছিলেন এর একটি ছিল এরুপঃ “ তুমি চুরি কর না এবং ব্যভিচার কর না। যদি কর তাহলে তোমার কাছ থেকে আমার চেহারা ঢেকে ফেলব”। আল্লাহর নবী মূসা(আ) কে যদি এরুপ কঠোর কথা উচ্চারণ করা হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে অন্যদের অবস্থা কত ভয়াবহ তা সহজেই অনুমান করা যেতে পারে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ইবলীস তার বাহিনীকে পৃথিবীর চারদিকে ছড়িয়ে দেবার সময় বলে, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্ত করতে পারবে, আমি তার মাথায় মুকুট পরিয়ে তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করব। দিন শেষে এক একজন করে এসে ইবলীসে কাছে নিজের সাফল্যের বর্ণনা দিতে থাকবে। কেউ বলে; আমি অমুককে কুপ্ররোচনা দিয়ে তার স্ত্রীকে তালাক দিতে প্রেরণা যুগিয়েছি এবং সে তালাক দিয়েছে। ইবলীস বলেঃ “তুমি উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করনি। সে আর এক মহিলাকে বিয়ে করবে”। এরপর অন্যজন এসে বলেঃ আমি অমুককে ক্রমাগত কুপ্ররোচনা দিয়ে তার ভাইয়ের সাথে তার শত্রুতা সৃষ্টি করে দিয়েছি। ইবলীস বলেঃ ‘তুমিও তেমন কিছু করনি। তাদের অচিরেই মীমাংসা হয়ে যাবে’। এরপর অপর একজন এসে বলে আমি অমুককে এক নাগাড়ে ক্রমাগত প্ররোচনা দিতে দিতে ব্যভিচারে লিপ্ত করেছি। একথা শুনে ইবলীস তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলবেঃ তুমি একটা কাজের মত উত্তম কাজ করেছ। এরপর তাকে ডেকে নিয়ে তার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেবে।

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ঈমান একটি উত্তম পোশাক, যা আল্লাহ তাকে ইচ্ছা করেন তাকেই পরিধান করান। আর কোন বান্দা যখন ব্যভিচার করে তখন তার কাছ থেকে তিনি ঈমানের পোশাক খুলে নেন। এরপর তওবা করলে তাকে পুনরায় এ পোশাক ফিরিয়ে দেয়া হয়”। [বায়হাকী, তিরমিযি, আবু দাউদ ও হাকেম]

অন্য এক হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হে মুসলমানগণ ! তোমরা ব্যভিচার পরিত্যাগ কর। কেননা এর ছয়টি শাস্তি রয়েছে। মন্দ পরিণতি এর মধ্যে তিনটি দুনিয়াতে ও তিনটি আখেরাতে প্রকাশ পাবে। যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে হয় তা হচ্ছে, তার চেহারার ঔজ্জ্বল্য বিনষ্ট হয়ে যাবে, তার আয়ুষ্কাল সংকীর্ণ হয়ে যাবে এবং তার দারিদ্রতা চিরস্থায়ী হবে। আর যে তিনটি শাস্তি আখেরাতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে, সে আল্লাহর অসন্তোষ, কঠিন হিসাব ও জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে”। [বায়হাকী]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি মদ খাওয়া অবস্থায় মারা যায় আল্লাহ তাকে গাওতা নামক ঝর্ণার পানি পান করাবেন। গাওতা হল ব্যভিচারীণী নারীদের যোনিদেশ থেকে নির্গত পুঁজ ও দূষিত তরল পদার্থের ঝর্ণা যা জাহান্নামে প্রবাহিত থাকবে। এরপর তা মদপান করা অবস্থায় মারা যাওয়া লোকদের পান করানো হবে। [আহমদ]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন, “আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করার পর অবৈধভাবে কোন মহিলার সাথে সহবাস করার মত বড় পাপ আর নাই”।[আহমদ, তাবারানী]

মহান আল্লাহ আমাদেরকে এসব ঘৃণ্য মহাপাপ থেকে আত্মরক্ষা করার জন্য তওফীক দান করুন।আমিন.

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

সরদার হারুন বলেছেন: সামান্য একটি কথা বলতে এত খানি লিথলেন কিন্তু আপনার নিজের কথা এর মধ্যে কিছু নেই । জেনা সার্পোট করে এমন মানুষ এ দেশে ১% জনও নেই ।সংক্

আপনার নিজের কথা সংক্ষেপে লিখুন ।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

রাফা বলেছেন: বুঝলাম আপনি পরকালের কথা চিন্তা করে খুবই চিন্তিত যারা ব্যাবিচারে লিপ্ত তাদেরকে নিয়ে। প্রচার না করে লুকিয়ে রেখে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করলে আল্লাহ মাফ করে দিবেন।এটাও বুঝাইলেন কিছু কিছু হাদিসের কথা উল্লখ করে।
কিন্তু ১বারও কি ভেবে দেখেছেন কেনো মেয়েটা এসব প্রকাশ করতে বাধ্য হলো?মেয়েটি অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পর প্রথমেই বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সন্মুখিন হোয়েছে।প্রথমেই বলা হলো মিথ্যা প্রচারের আশায় সে পরিকল্পিত ভাবে এগুলো প্রচার করছে।তারপর বলা হলো জাতিয় দলের ১জন খেলোয়ারকে বিতর্কিত করতেই এসব করছে।

আসল কথা হলো আমাদের মানসিকতার, আমরা কোন স্পেসই দিবোনা মেয়েদেরকে।কারণ আমরা তাদেরকে মানুষই মনে করিনা, মেয়েরা শুধুই মেয়ে এই মানসিকতার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন নেই।

১টা কথা মনে রাইখেন বিচারকরা যখন বিচার করে কোন রায় দিবেন তখন প্রমাণ চাইবেন সব কিছুরই ।প্রমাণ ছাড়া তারা সরাসরি খারিজ করে দিবেন যে কোন মামলা।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

আহলান বলেছেন: .... যেহেতু তিনি আদালতে মামলা ঠুকেছেন, সেহেতু তিনি তার হাতের সব প্রমান অবশ্যই আদালতে উপস্থাপন করবেন, কিভাবে তিনি প্রতারিত হয়েছেন বা ধর্ষিতা হয়েছেন, এটাতে কেউ আপত্তি করবে না বা করলেও তা সর্বৈব অগ্রাহ্য হবে।

... আমার এই পোষ্টে দুটি মেসেজ আছে। এক হলো ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবে জেনা বা ব্যাভিচার ঘৃণ্য কর্ম , সুতরাং এর থেকে দূরে থাকার আহ্বান, দ্বিতীয়টি হলো নিজের কৃত ঘৃণ্য কর্মকান্ড যত্র তত্র ফলাও করে প্রচার করে নিজেকে বেহায়া প্রতিপন্ন না করা। ....

.... সর্বপরি এভাবে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে যেনো কেউ না জড়ায়, সেই আহ্বানই এই পোষ্টে করা হয়েছে। এই সমাজে একটি ছেলে একটি মেয়ের হাত ধরলেও তা অপরাধ/অগ্রহনীয় হিসাবে গন্য হয়, সেই সমাজে একটি মেয়ে কিভাবে নিজেকে একজন অবিবাহিত পুরুষের কাছে নিজের ইজ্জত দিয়ে দিতে পারে? আবার সেটা প্রচার কেন্দ্রে গিয়ে প্রচারও করে বেড়ায় ... মাথায় হেজাবও পরে ...বাহবা ...কি পর্দনশীল না!

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: প্রমাণিত হলে অবৈধ মেলামেশার অপরাধে দুইজনেরই কঠিন শাস্তি হওয়া উচিৎ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

আহলান বলেছেন: দ্যাটস দি পয়েন্ট .... এটা কেউ দেখছে না ... রুবেলকে না হয় প্রতারনা আর ধর্ষনের দাযে শাস্তি দেয়া যায়, আর হ্যাপির কি কোনোই অপরাধ নাই? প্রতারণা আর ধর্ষণ ছাড়াও তারা যে অপর আরেকটি অপরাধ উভয়ে করেছে, সেটার কি কোন বিচার হবে না? তাহলে কি সমাজ এই অবেধ মেলামেশার লাইসেন্স দিয়ে দিলো সবাইকে .... ??

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

রাফা বলেছেন: হুম....খুব ভালো বলেছেন ,আদালতে যারা শুনবে তারা কি সমাজের বাহিরের মানুষ? নাকি শুধু বিচারক শুনেই রায় দিয়ে দিবেন।তার মানে কিছু মানুষ ইনভলব হবেই।আর যখন নিউজ হোয়ে এটা আমাদের সামনে আসবে: তখন আমরা অবশ্যই জানতে চাইবো, কিসের ভিত্তিতে সাস্তি হলো অথবা খালাস পেয়ে গেলো।

আর ব্যাবিচারকে সমর্থন কিন্তু আমিও করছিনা।আমার বিশ্বাস ১টি মেয়ে তার সবচাইতে বড় সম্পদ ১জন পুরুষের নিকট বিস্বাস করেই তুলে দেয়।(যদিও এটা আমি সমর্থন করিনা)কোনদিন বিশ্বাস ঘাতকতা করতে পারে একথা তখন মাথার মধ্যে থাকেনা।আর আমার মনে হয় আমার আপনার মত না হোলেও কিছু পুরুষ মানুষ জোড় করেও বাধ্য করে।

আর শেষ যে কথাটা বললেন ,আমরা কি আসলেই এতটা নিশ্চয়তা দিতে পেরেছি আমাদের সমাজে ১টা মেয়ের হাত ধরলেও ১টি পুরুষের সাস্তি হবে.!!তাহোলে এত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে আমাদের দেশে সেগুলো কি সব সাজানো নাটক?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

আহলান বলেছেন: সেই কথাই তো বলছি, ভালোবাসা ও বিশ্বাসেরও একটি মাপকাঠি থাকা চাই। তাহলে আর কাওকে হ্যাপি বা রুবেল হতে হবে না .... সমস্যার গোড়ায় হাত দিতে হবে, আগায় না। আজ যদি সমাজে অবৈধ মেলামেশার জন্য অপরাধী শাস্তি পেতো, তবে আর হ্যাপি রুবেলের কাহিনী সমাজে ঘটতো না। এক শিক্ষিকাও দেখলাম তার ছাত্রের বিরুদ্ধে এখন ধর্ষনের মামলা করেছে ....একই কহিনী ..... কি চলছে সমাজে ...

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

নতুন বলেছেন: সমাজ পাল্টে যাইতেছে..... এখন অনেক কিছুই সাভাবিক আগের চাইতে..

আমাদের সমাজে এখনো বিবাহ বহির্ভুত নারী -পুরুষের অবাধ শারীরিক মেলামেশাকে পজেটিভ দৃষ্টিতে দেখা হয় না। তার একটি বড় কারণ হলো এভাবে মেলামেশাকে আমাদের ইসলাম ধর্ম সহ অন্যান্য ধর্মও স্বিকৃতি দেয় না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

আহলান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ...শ্লীল অশ্লীলের মাপকাঠি এখন অন্যরকম ...

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

ভিটামিন সি বলেছেন: কিছু কিছু মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, ধর্মীয় অনুশাসন ভিন্ন। তাই তারা এমন একটি পোষ্টে তেনা প্যাচাইতেছে। এখানে স্পষ্ট করে লেখক বলে দিয়েছেন আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে জেনা/ব্যাভিচার এবং এর শাস্তি সম্পর্কে। সতর্ক করার ম্যাসেজ আছে এই লেখায় কেউ যেন ব্যাভিচারে না জড়ায়।
এই অপকর্ম হতে সমাজকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই তার গোড়ায় হাত দিতে হবে। সেখানেই সমাধানের পথ খুজতে হবে। ঘটনা ঘটে যাবার পর বিচার করে আইন সিদ্ধ করলে তো এই বিষয়টা আরো উৎসাহিত হবে। আরো যদি ধর্মীয় বিধানমতে এর বিচার এবং এমন ঘটনার বিচার যে কত ভয়াবহ হয় তা প্রচার করে সবাইকে এই অবৈধ সম্পর্ক হতে দুরে রাখতে হবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩

আহলান বলেছেন: জ্বি ভাই ...প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম ...প্রতিষেধক দেই আমরা তখন, যখন রোগটি ঘটে, আর প্রতিরোধ করতে হয় রোগ হওয়ার আগেই, এতে মানুষ বাঁচে, সমাজ বাঁচে .... ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

লাজুক ছেলে...... বলেছেন: ইসলামের দ্রিস্টিতে দুজনেই সমান অপরাধী। আচ্ছা আমাদের দেশের আইন এ রুবেলের কি প্রতারনা বা ধরষক এর অপরাধে বিচার হবে ? হ্যাপী নিজেই বলেছে সে নাকি শুটিং এর কথা বলে রুবেল এর বাসায় যেয়ে প্রায়ই রাত কাটাতো। আমার প্রশ্ন হল হ্যাপী যদি রুবেলের দারা সিডিউসড হয় তাহলে রুবেল ও কি হ্যাপী'র দারা প্ররোচিত হয় নি ? রুবেল কি হ্যাপী'র বিরুদ্ধে প্ররোচিত করার কারনে মামলা করতে পারে যেমনটা হ্যাপী করেছে প্রতারনার।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

আহলান বলেছেন: এখানে আসলে অনেক রকম প্রশ্নই উত্থাপিত হতে পারে। আদালতই এর জবাব দিতে পারে। তবে সাধারণ জ্ঞ্যানে আমিও বুঝি না এটা ধর্ষণ নাকি মিউচুয়াল সেক্স ? আর এখন তার ঝাল উঠছে .... এমন হলে তো একজন যৌন কর্মিও তার কাছে গমনকরা যে কোন খদ্দেরের বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা করে দিতে পারে .... একটা কাজ উভয় পক্ষ সম্মতি ক্রমে করা হলো, আর এখন সেই কাজটিকেই একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ব্যবহার করছে। এ কেমন আইন?

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪

ছ্যাকামাইছিন বলেছেন: রুবেল একটা ছাগল যে হ্যাপির মতো একটা অসভ্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করছে । তা্ও আবার শারিরীক সম্পর্ক যা জঘন্য অপরাধ । ওর শাস্তি হ্ওয়া উচিত । (যদি সত্যি অপরাধ করে ) ।

হ্যাপি একটা বেহায়া নির্লজ্জ মেয়ে । ওযে একটা তৃতীয় শ্রেনীর মেয়ে তা ওর মামলার পরে হাসিমুখে পোজ দেয়া ছবি দেখলেই বোঝা যায় । একে তো জঘন্য অপরাধ করছে আবার তা সবাইরে বইলা বেড়াইতেছে । ওরে হিজাব পরা দেখলে আমার গা জ্বলে ।

দুই জনই সমান অপরাধী ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭

আহলান বলেছেন: .... জ্বী , দুজনেই অপরাধী ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.