নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসংগ- তাবলীগ জামাত কি ফেরেশতাদের দল যে কোন ভুল করে না!!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

তাবলিগ জামাতের মধ্যে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আসলে কে সত্য বলছেন আর কে মিথ্যা বলছেন তা এখনো বিচার বিশ্লেষন করে বের করা যায়নি।

প্রসংগত একটি বিষয় উল্লেখ না করে পারা যায় না। সেটি হলো বিশ্ব ইজতেমা। প্রতি বছর এটি অনুষ্ঠিত হয় (আগে একবার হতো হতো এখন দুই পর্বে হয়) তুরাগ নদীর তীরে। এবং এই জায়গাটি শূন্য পড়ে থাকে সারা বছর, শুধু এই ওয়াজ মাহফিলের জন্য। নামই হয়ে গেছে ইজতেমার মাঠ। এখানে আর কোন কিছুই হয় না। তাহলে প্রতি বছর কেন বাঁশ কাঠ টিন নিয়ে দৌড়া দৌড়ি করতে হবে? কেন একটি স্থায়ী বন্দোবস্ত করা হয় না? কেনো প্রতি বছর বাঁশ চট টিন বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়? এতে কাদের স্বার্থ জড়িত?

এই ব্যপারে বছর দুয়েক আগে এক তাবলীগের সদস্যের সাথে কথা হয়েছিলো তিনি বলেছিলেন আমাদের দেশের সরকার ব্যবস্থা নাকি অনৈসলামিক ব্যবস্থা, তাই এদের সহায়তায় কোনো পাকাপাকি বন্দোবস্ত দুরস্থ হয় না, তাই তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা এর ঘোর বিরোধী।
যদি তাই হয়, তাহলে এই অনৈসলামিক সরকার ব্যবস্থার (আওয়ামিলীগ/বিএনপি যেই হোক) দেয়া জমিতে এই ইজতেমা কিভাবে সম্পন্ন হয়? ইজতেমায় আসা লাখ লাখ লোকের নিরাপত্তা দেয় এই সরকার, এখানে ফ্রি মেডিকেল সাপোর্ট দেয় এই সরকার, লাখ লাখ লোকের অজু গোসলের পানি সরবারহ করে এই সরকার, এই সরকার ব্যবস্থা যদি এতই অস্পৃষ্য হয়, তবে তাদের এই প্রদেয় সুযোগ সুবিধাও তো গ্রহণ করা দুরস্থ নয়, তাই না? যত অদুরস্থ কেবল পাাপাকি ব্যবস্থার বেলায়? আমার এই বক্তব্যে ভদ্রলোক বেশ নাখোশ হয়েছিলেন এবং কোন কথা না বলে প্রস্থান করেন।

কাকরাইল মসজিদে প্রথমে কেউ ঢুকলে বলবে না যে এটা আল্লাহর ঘর-মসজিদ। বলবে হয়তো কোন নোংরা মেস ..... অথচ ইসলামে মসজিদের পাক পবিত্রতা রক্ষায় কঠিন কঠিন হাদিস বর্ণিত আছে। তাবলীগের হুজুররা সেই হাদিসের ধারের কাছে দিয়েও হাটেন না।

তারা সিহাহ সিত্তাহ ফলো করেন না, (বুখারী মুসলিম সহ বাকি চারটি হাদিস গ্রন্থ)নিজেদের বানানো (সংকলিত নির্দিষ্ট হাদিস, যার ভেতরে অনেক হাদিসই বানানো বলে অভিযোগ আছে) কিছু কেতাবই তাদের মূল মন্ত্র। কেনো?

তারা কোন সুদখোর ঘুষখোরকে গিয়ে বলে না যে আপনি অন্যায় করছেন, এসব থেকে বিরত থাকুন, আল্লাহর পথে আসতে হলে এসব ছেড়ে আসুন। এতে যদি আবার কারোর বিরাগভাজন হতে হয়? তাহলে কি আল্লাহর ভয় অন্তরে বেশী নাকি মানুষের বিরাগভাজন হবারর ভয়?

যেখানে সুন্নাতি লেবাস বলতে পাশ না কাটা জামাকেই বুঝানো হয়, সেখানে তারা নিজেদেরকে পাশ কাটা পাঞ্জাবী( লম্বা কিন্তু পাশ ফাড়া) পরিধান করে নিজেদেরকেই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহ থেকে কেটে ফেলেছেন।

ইসলামে ৫ স্তম্ভ উল্লেখ থাকলেও তারা বলেন ৬ উসুলের কথা। যার কোন সঠিক ভিত্তি নাই।

সহিহ হাদিসে উল্লেখ আছে পবিত্র তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে সওয়াবের উদ্দেশ্যে সফর করা যাবে না

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, মসজিদুল হারাম (বায়তুল্লাহ, মক্কা), মসজিদে নববী (মদিনা) এবং মসজিদুল আকসা (বায়তুল মুকাদ্দাস, যেরুজালেম) তিনটি মসজিদ ব্যতিত অন্য কোন মসজিদে সালাতের উদ্দেশ্যে হাউদা বাঁধা যাবে না (সফর করা যাবে না)।[সহীহ বুখারী, ১১১৬ ইফা] অথচ তাবলীগ জামাত সারা বছর মসজিদে মসজিদেই ঘরে ঘরে মসজিদকে বাসস্থানে পরিণত করে, রান্না ঘরে পরিণত করে। মসজিদের আদবের প্রতি তাদের কোন খেয়ালই থাকে না।

মসজিদের ভিতরে কথা বলাকে নিষেধ করতে গিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, যদি কোন ব্যক্তি মসজিদে দুনিয়াবি কথা বলে, তবে ওই ব্যক্তির চল্লিশ বছরের আমল বরবাদ হয়ে যাবে। আরেক জায়গায় রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- মসজিদে যদি কেউ দুনিয়াবি কথা বলে, তার ওই কথা গুলো তার ভালো আমলকে এমন ভাবে খেয়ে ফেলে, যেমন চতুষ্পদ প্রানী ঘাষ খেয়ে ফেলে।

মসজিদের ভিতরে কথা বলতে নিষেধ করতে গিয়ে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন- যখন কোন ব্যক্তি মসজিদে কথা শুরু করে তখন রহমতের ফেরেস্তাগন ডাক দিয়ে বলেন- হে আল্লাহ’র বন্ধু তুমি চুপ হয়ে যাও, তারপর যদি ওই ব্যক্তি চুপ না হয়, ফেরেস্তাগন কিছুক্ষন পর আবার ডাক দিয়ে বলেন- হে আল্লাহ’র শত্রু তুমি চুপ কর, এরপরও যদি ওই ব্যক্তি চুপ না করে তাহলে ওই ফেরেস্তা এবার বলে- তোমার উপর আল্লাহর অভিশাপ তুমি চুপ কর।

এতো সমস্যার পরেও তাবলীগের একই কথা ...তারা নির্দোষ, তারা সঠিক আকীদার উপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের কৃত কর্মকান্ডের পক্ষে তাদের কাছে আছে হাজার হাজার যুক্তি .... তাদের সাথে কথায় পেরে ওঠা ...ওফফ ...অসম্ভবিই নেহি .... না মুনকিম হ্যায় .......:P

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: অাসন পাতিয়া বসিলাম.........

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

আহলান বলেছেন: সু স্বাগতম ... !

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: তাবলিগের লোকদেরও জামাত আর হিযবুত তাহরির বানিয়ে ফেলতে চান? সুদখোর, ঘুসখোরদের তাবলিগের লোকেরা নিষেধ করছে না, তো আর কে কে নিষেধ করছে? আপনি করেছেন?? তাবলিগে ইসলাম মানতে আহ্বান করা হয়েছে, সঠিকভাবে মানলে নিজে থেকেই সে সুদ-ঘুস বর্জন করবে৷ আর তাবলিগের উদ্দেশ্য মসজিদে সফর করা না, বরং আত্মোন্নয়ন ও দ্বীনের প্রচারে সফরকালিন তারা মসজিদে থাকে৷ ইসলাম প্রচার একজন মুসলমানের অতি দরকাৱি কাজ এবং মানুষের সাথে সামনা-সামনি দ্বীনের দাওয়াত দেয়াই সর্বোত্তম৷

তাবলিগ জামাতে এনজিও টাইপ ফান্ড পাওয়া যায় না, জামাত-টাইপ ব্যবসা-বাণিজ্যও নাই, এখানে পীর-মাজার ব্যাবসাও নাই৷ সবাই নিজ নিজ অর্থ খরচ করে বলেই দুনিয়ার অর্থসম্পদ প্রাপ্তির বিষয় সেখানে থাকে না, অর্থ আত্মসাদের ব্যপারটি তাই বিদ্বেষী অপপ্রচার বুঝতে অসুবিধা হয় না৷আর বাকি যা বললেন, তার উত্তর দেয়ার কিছু নাই, যদি আগের কথাগুলো বুঝেন আর নিয়ত সৎ থাকে৷আল্লাহ আমাদের সিরাতিম মুস্তাকিমের পথে রাখুন, আমিন৷

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

আহলান বলেছেন: জ্বী ভাই ...আপনি জোরে জোরে চিল্লা চিল্লি করে বেড়ান .... সমস্যা নাই ... স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক... যা খুশি তাই বরতে পারেন .... আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

খেলাঘর বলেছেন:


তাবলীগ জামাত গুহামানবদের দল, মানুষকে পাথরের যুগে নিচ্ছে!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

আহলান বলেছেন: ওনাদের কৃত কর্মের পেছনে ওনাদের রয়েছে হাজার হাজর যুক্তি ... ভুল কি করছে সেটা ধরার জ্ঞ্যান টুকুও বিকিয়ে দিয়েছে .... মুরুব্বি নামে এক শব্দ আবিষ্কার করেছে .... তার পিছনেই তারা চলে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.