নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এস এস সি -২০১৫, কোমোলমতি শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের ভাবনায় আতঙ্ক .....

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

গভীর উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার্থীরা। আগামী ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সাথে সাথে চলছে ২০ দলীয় জোটের হরতাল অবরোধ কর্মসূচী। কর্মসূচী চলাকালীন সময়ে এই পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ হয়ে অনেকেই নিহত হয়েছেন। অনেকে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। নাশকতার দায় ১৪ বা ২০ কোন দলই নিজের কাধে নিতে নারাজ। এভাবে পেট্রোল বোমা মেরে হতাহত করার ঘটনাকে সরকার বলছেন বিরোধীদলের নাশকতা আর বিরোধীদল বলছে সরকারী দল এসব করে বিরোধী দলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে কোমল মতি শিশুরা এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন এই চিন্তা করে যে, যদি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ই আর এভাবে দ্ধংসাত্বক কার্যকলাপ যদি চলতেই থাকে, তাহলে কিসের উপর আস্থা রেখে তারা ঘর থেকে শিশুদের নিয়ে পরীক্ষাহলে যাবেন? দ্বিতীয়ত এমন পরিস্থিতিতে যান বাহনেরও রয়েছে অপ্রতুলতা। কিভাবে সঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে তারা কোমোল মতি শিশুদের নিয়ে উপস্থিত হবেন? একদিকে যানবাহনের স্বল্পতা, একদিকে পেট্রোল বোমার আতঙ্ক, অন্যদিকে পরীক্ষার প্রস্তুতী .... এতো চাপ একজন এস এস সি শীক্ষার্থী কিভাবে সহ্য করবে, সেটা কি কেউ ভেবে দেখেছেন?
পরীক্ষা পেছানোকে হয়তো সরকারী দল তাদের পিছু হটা বা ২০ দলের কাছে মাথা নত করা বলে ভাবছেন, তাই তারা পরীক্ষা পিছানোর মতো কোন সিদ্ধান্ত মূলক ঘোষণা এখনো দেন নাই। আবার অবরোধ হরতাল তুলে নেয়া মানেই আন্দোলোন থেকে দূরে সরে যাওয়া, যেখানে বিশ্ব এজতেমা বা কোকোর মৃত্যুর কারণেও হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করা নাই। সেখানে এস এস সি পরীক্ষার জন্যও হয়তো তারা অবরোধ প্রত্যাহার করবে না।
এমন পরিস্থিতিতে অবরোধের মাঝেও এস এস সি পরীক্ষা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সরকার প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এই ঘোষণায় কি কোমোল মতি শিশু এবং তার অভিভাবকবৃন্দ আশ্বস্ত হতে পারবেন? যেখানে বিজিবি পুলিশ প্রহারায় বেষ্টিত গাড়িতেও পেট্রোল বোমা পড়ে, নারী শিশু হতাহত হয়, যার দায় ভার সরকার ২০ দলীয় জোট এর উপর এবং ২০ দলীয় জোট সরকারের উপরে চাপাতেই ব্যাস্ত থাকেন?

এর পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটকে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর চেয়ে তাদেরকে আরো উস্কে দিতেই খালেদা জিয়ার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করছেন। সরকার আন্তরিক হয়ে খালেদা জিয়াকে এই সব ধ্বংসাত্বক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করার কোন আহ্বান না জানিয়ে বরং তাকে আরো উগ্রতার পথে ঠেলে দিচ্ছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন এবং এমন পরিস্থিতিতে কোমোলমতি শিশুদেরকে জলন্ত আগুনের দিকে ঠেলে দিয়ে সরকার রাজণৈতিক ফায়দা হাছিলেরও চেষ্টা করছেন বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।

সুতরাং উভয়পক্ষকেই জনগনের মনের বাষা বুঝতে হবে। আমরা সাধারণ জনগন উভয় দলের কাছে করজোড়ে ক্ষমা ভিক্ষা চাই। আমাদের এবং আমাদের কোমোলমতি শিশুদেরকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আল্লাহ আপনাদের এবং আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন ...... আমিন!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

খেলাঘর বলেছেন:


১৪ লাখ বাচ্ছার পরিবার থেকে ৭০ লাখ মানুষ কেন্দ্রে গেলে, বোমাবাজরা পাকিস্তানে পালাবে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩

আহলান বলেছেন: ষোলো কোটি মানুষের চোখের সামনে , প্রায় দশ কোটি লোকের (ভোটারের) উপস্থিতিতে দেশের নাগরিকের নাগরিক অধিকার (ভাট) ছিনতাই হয়, কেউই কিছু করতে পারে না, ৭০ লাখ অভিভাবক সেখানে নস্যি .... ভোট ডাকাতরা কিন্তু পালায় না ভাই .....

নিজেদের ভেতর বিভেদের দেয়াল তুলে দিন .... দেশকে ভালোবাসুন ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.