নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ ঃ সেহরী

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৩

সেহরী আরবী শব্দটি আভিধানিক অর্থ রাত্রিকালীন খাবার। আর ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায় রোজাদার ব্যাক্তি রোজা রাখার উদ্দেশ্যে রাতের শেষভাগে সুবহে সাদিক এর আগে যে খাবার খায় তাকে সেহরী বলা হয়। সেহরীতে খাবারের তালিকায় যাই থাকুক না কেন সেহরী অত্যন্ত বরকতময় একটি খাবার। তাছাড়া রোজদারের জন্য সেহরী খাওয়া রাসূলের সুন্নাত। বিশেষ করে রোজাদার রোজা রাখার উদ্দেশ্যে রাতের শেষাংশে ঘুম থেকে জেগে খাবার গ্রহণ করা আলৱাহর বিধান পালনে বিশেষ তৎপরতা এবং আল্লাহর বিধানের সামনে নিজের আরাম আয়েশকে কুরবানী করার শামিল। একারণেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রোজাদারকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। তাই পেটে ক্ষুধা থাকুক বা না থাকুক সেহরী খাওয়া বর্জন করা একেবারই উচিত নয়।

হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন ‘ তোমরা সেহরী খাও। কারণ সেহরীর মধ্যে বরকত রয়েছে।’ (বুখারী-মুসলিম) হজরত আমর ইবনুল আস থেকে বর্ণিত অপর এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ (স.) এরশাদ করেছেন, ‘আমাদের রোজা ও আহলে কিতাবদের রোজার মধ্যে পার্থক্য হল , সেহরী খাওয়া।’ (মুসলিম) অর্থাৎ আহলে কিতাবগণ সেহরী না খেয়ে রোজা পালন করে। তাই রাসূলের উম্মত হিসেবে প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিৎ আহলে কিতাবদের অনুকরণ বর্জন করে রাসূলের সুন্নাত পালন করে সেহরী খেয়ে রোজা রাখা।

সুতরাং এই আমলটিও হওয়া চাই ইসলামি কায়দায়। অনৈসলামিক কায়দায় বেগানা নারী পুরুষ একত্রে বেপর্দা ভাবে পার্টি আয়োজন করে সেহরী আদায় করলে তা কতটুকু ইসলামের সাথে সামজ্ঞস্যপূর্ন তা যারা এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, তারাই জানেন। হয়তো এই পর্টি আয়োজকদের জানাজার আয়োজনটাও অমুসলিমদের শব যাত্রার অনুষ্ঠানের মতই হয়তো আদায় হবে .. .. । আল-কোরআনের বদলে পাঠ করা হবে বাইবেল বা অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থের বাণী। কারণ জীবদ্দশায় যে ইসলামকে অনৈসলামিক কায়দায় উদযাপন করলো, মরার পরে তাকে কেনো ইসলামী কায়দায় সমাহিত করতে হবে?

কারোর যদি মৌজ মাস্তি পার্টি করার ইচ্ছাই থাকে, তবে তিা উদযাপন করতে তো বাধা নেই, স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা, আইন কানুন মেনে পার্টি থ্রো করুন, আড্ডাবাজি বা যা কিছু করুন, কে নিষেধ করেছে? কিন্তু সেই অনৈসলামিক আড্ডাবাজিকে ইসলামের ব্যানারে আদায় করার, এভাবে আল্লাহর হাবিব রাসুলে পাক (সাঃ ) এঁর সুন্নাতকে অবমাননা করার অধিকার আপনাকে / আপনাদেরকে কে দিয়েছে? সমাজে এমন প্রথা ইন্জেক্ট করার মতো ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস এরা পায় কোথায়? এদের পরিবার কি এদেরকে কিছুই শেখায়নি?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.