নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেবার মাধ্যমে বন্ধুত্ব

ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই

আহলান

ব্লগার

আহলান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘড়ি নির্মাতা মোহামেদ ....তুমি কি বাংলাদেশের তছলিমাকে চেনো ....?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

অনেক দিন আগে একটি গপ্প পড়েছিলুম ....! সুদুর আমেরিকায় বসবাসরত আহমেদ এর ঘড়ি কেলেঙ্কারী অর্থাৎ ঘড়িকে বোম্ব মনে করে পুলিশী হয়রানীর খবর এখন বাসি হয়ে গেছে। তবে নতুন যে খবরটি এসেছে সেটি হলো আমাদের দেশের নারীবাদি লেকিকা তচলিমার ঐ ঘড়ি বিষয়ক মন্তব্য। তিনি বলেচেন If i could see Ahmed Mohamed`s home made clock, I would hv mistaken his thing for a bomb. Why ppl think Muslims can bring bomb? Cause they do .... আহাহা ...মার্কিন পুলিশদের পক্ষে কি সুন্দর অবস্থান ....মার্কিন ভিসা পেতে কোন সমস্যাই হবে না ওনার, কারণ উনিও মার্কিন পুলিশদের কৃত ভুল নিজেরই কৃত ভুল বলে মেনে নিয়ে তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন .... বাহ ! কি সুন্দর তেলবাজি .... তো যাই হোক, উনার এই কাহিনী পড়ে আামর একটি গপ্পো মনে পড়ে গেলো ...
"..... একজন ভদ্র মহিলা একটি লেকে নৌকায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘোরা ঘুরি শেষ করে তিনি যখন পাড়ে উঠে এলেন, তখন ঐ আমেরিকান পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলো। মহিলাটি কারণ জানতে চাইলে, তারা বল্লো , এই লেকে মাছ ধরা নিষেধ, তোমার বোটে মাছ ধরার যন্ত্র পাওয়া গেছে। মহিলাটি বল্লো আমি তো কোন মাছ ধরিনি...। তাহলে আমাকে কেনো গ্রেফতার করা হচ্ছে? তখন পুলিশ বল্লো মাছ ধরোনি ঠিক আছে, কিন্তু যেহেতু তোমার কাছে মাছ ধরার যন্ত্র পাওয়া গেছে, তাই তোমাকে গ্রেফতার করা হবে। .... তখন মহিলাটি বল্লো, ঠিক আছে, তবে আজই আমি তোমার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষনের অভিযোগ করবো। পুলিশটা তখন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কেনো? আমি তো তোমাকে গ্রেফতার করেছি, ধর্ষন তো করিনি। তখন মহিলাটি বল্লো, কিন্তু তোমার কাছে তো আমাকে ধর্ষন করার যন্ত্র আছে, তাই না! সুতরাং মাছ না ধরেও শুধু মাছ ধরার যন্ত্র থাকার কারণে যদি আমাকে গ্রেফতার করা হয়, তবে প্রতিটি পুরুষের বিরুদ্ধেই ধর্ষনের যন্ত্র থাকার দায়ে অভিযোগ দেয়া যাবে না কেন? পুলিশ দেখলো এতো ভারি বিপদ। তখন পুলিশ তাকে আর গ্রেফতার না করে সসম্মানে ছেড়ে দিলো ......

মোদ্দা কথা হলো, অনুমানের উপর ভিত্তি করে কখনোই কোন বিচার কাজ চলতে পারে না, তার সাথে অপরাধীদের মতো আচরণ করা যায় না .... সারা বিশ্বের মানুষ এটিকে ঘৃণার চোখে দেখেছে। ওবামা নিজে তাকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর আমাদের দেশের স্বনাম ধন্য লেখক আম্রিকার পুলিশের কৃত জঘন্য কাজের পক্ষে সাফাই গেয়ে নিজের ভবিষ্যত গড়ার চেষ্টায় আছেন ..... সাত্যি চেলুকাস .... কি বিচিত্র এই দেশের কিচু মানবী ....

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখাটা পড়ে মজা পেলুম!

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: উচিত জবাব দিয়েছিল ঐ মহিলাটি

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

মেমননীয় বলেছেন: তেলবাজী করে বাঁচাটাই ওর দুনিয়াবি শাস্তি।
দেশ নেই, বাড়ী নাই, ঘর নাই, সংসার নাই, সন্তান নাই - এগুলো কি শাস্তি নয়।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: বেচারার আর কি করার আছে! বাঁচতে তো হবে। এদেশের ৯৯% মানুষ অন্যায় করেই বেঁচে আছে! যারা করেনা তারা বেচে নেই!

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: তছলিমা দুনিয়ার আগুনে জ্বলছে, আরও জ্বলবে।

@ঢাকাবাসী ভাই, যারা অন্যায় করে না অথচ এখনও বেঁচে আছে তারা মনে হয় জীবন্মৃত

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: তসলিমার কথাটা ঠিক আছে, তবে কথাটা অতি সাধারণ, বলদ মার্কা । কথাটার মধ্যে না আছে কোন বুদ্ধিবৃত্তির প্রকাশ, না আছে নিরাপরাধ একটা ছেলের প্রতি সহমর্মিতা ।

জঙ্গি মাত্রই মুসলমান একথা যদি ঠিকও হয়, মুসলমান মাত্রই জঙ্গি একথাটা তাতে প্রমাণ হয়না । তবে স্থূল বুদ্ধির মানুষেরা কিন্তু এভাবেই জেনারালাইজ" করে চিন্তা করে। তসলিমাও স্থূল বুদ্ধির মানুষদেরই একজন, যদিও বাংলায় লিখতে পারার কিছু গুন তার আছে । তবে তসলিমার ইংরেজী যা তা, মাথায় বুদ্ধি থাকলে ইংরেজীতে সে লিখতো না, বাংলাতেই লিখতো...।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৩

মানবী বলেছেন: শুধু বারাক ওবামা নন, ফেসবুক, গুগল সহ হাইটেক ফার্মের কর্ণধাররা ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানান এবং কিশোর আহমেদ কে তাঁদের অফিসে আমন্ত্রন জানান। আহমেদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় এম আইটির কর্তৃপক্ষ তাঁর ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন তাঁর মতো ছাত্রের জন্যই এমআইটি।

আর গ্রেফ্তারের সময় পড়ে থাকা টি শার্টে "নাসা"র লোগো ছিলো, নাসা কর্তৃপক্ষও আহমদকে আমন্ত্রন জানায়।
পুরো ঘটনাটি সম্পর্কে আহমদের পরিবার থেকেই বলা হয়, বিষয়টি যতোটা দুঃখজনক ও আশংকাজনক ছিলো, সৃষ্টিকর্তার কৃপায় তা অনেক অনেক বেশি পজিটিভ ও আনন্দের হয়েছে।

এই যখন খোদ আমেরিকার চিত্র সেখানে গ্রেফ্তারের প্রশংসা করে কোন ধরনের সহানুভূতি কেউ পাবে বলে মনে হয়না। আর এই ভদ্রমহিলা বরাবরই ভয়ানক এ্যাটেনশন সিকার, অপরের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য যাবতীয় সব ধরনের অদ্ভুত ও অনৈতিক কাজের তার অতীত উদাহরন আছে।
তাই তার নাম নিয়ে দেয়া যেকোন ধরনের পোস্ট শুধুই তার উদ্দেশ্য সফলই করে, পোস্টকারীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে হলেও।

ভালো থাকুন।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মহিলার জবাবটা কিন্তু খুবই বুদ্ধিদীপ্ত। শুধু অনুমানের উপর এখন অনেক নিরপরাধ শাস্তি পেয়ে যাচ্ছে।সুবিচার কোথাও নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.