নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাবিল কাবিলের হত্যার ঘটনা আমরা অনেকেই জানি। সেটাই পৃথিবীতে প্রথম অন্যায়ভাবে সংঘটিত হত্যাকান্ড। হাবিল কাবিলের হাতে নৃশংস ভাবে নিহত হয়। কাবিল নরহত্যার দ্বায়ে অভিযুক্ত হয়। শুধু তাই নয়, সে এমনই অভিশপ্ত যে, পৃথিবীতে যত মানুষ এভাবে অন্যায় ভাবে নিহত হবে বা হত্যা হবে, সেই পাপের ভারওহত্যাকারীর পাশপাশি ঐ কাবিলের কাঁধেও বর্তাবে। কারণ হত্যা করার মতো জঘন্য পাপ কাজটির সূচনা সে-ই করেছিলো।
আজ আমাদের দেশে কাবিলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কাওকে অন্যায়ভাবে হত্যা (আইন দ্বারা বিরাচকৃত দন্ড ব্যতীত) করলেই সে কাবিলের মতোই অভিশপ্ত হয়ে যাবে। বেহেশ্ত বা স্বর্গীয় আনন্দ তার কপালে জোটার কোনই সম্ভাবনা নেই। সুতরাং কেউ যদি মনে করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য বা ইসলামের খাতিরে সে কাওকে খুন বা হত্যা করছে, তবে সে ভুল পথে কাবিল হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে বলেই ধরে নেয়া যায়।
অনেক জ্ঞ্যনী পন্ডিত ব্যক্তি এই চান্সে ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে ব্যঙ্গাত্বক গল্প কবিতা ফেঁদে যাচ্ছেন। তাদের জ্ঞ্যতার্থে বলতে চাই গরুর গোশত খাওয়া বা বহনের অপরাধে কাওকে খুন করলে, সেটা যেমন অপরাধ, (কারণ হিন্দু ধর্মের কোথাও এটা বলা নেই যে গরুর গোশত খেলে বা বহন করলে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে), ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করাটাও তেমন অপরাধ। ইসলাম ধর্ম কখনোই এমন হত্যাকে পারমিট করে না।
আল্লুহু আকবার বলে কোপ দিলেই তা ইসলামী ভাবে জায়েজ হয়ে যায় না বা গরুর গোশত রাখার অপরাধে মানুষ পিটিয়ে মারলে হিন্দু ধর্মে তা শুদ্ধ বলে বিবেচ্য হয় না। তবে অনেকেরই ইসলামের ব্যপারে এলার্জি থাকায়, আল্লাহর নামে কৃত অন্যায় কাজ গুলো ঘটতে দেখেলেই মনের মধ্যে আনন্দের সুবাতাস বইতে থাকে .... হুর পাবে পরী পাবে নেশাহীন শরাব পাবে ... ...নানান কারণের সংমিশ্রনে তারা সুন্দর সুন্দর কাব্যগাথা রচনা করতে লেগে যান!! আর গরুর গোশত (যদিও তা গরুর ছিলো না বলে খবরে প্রকাশ) রাখার বা বহনের দায়ে কাওকে পিটিয়ে মারলে, তাদের চোখে সেটি পড়ে না, তারা তখন টিনের চশমা পরে ব্লগ পর্যবেক্ষণ করে .... আফসোস !!
©somewhere in net ltd.