নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

আমি ৫০০৯৩ নম্বর ব্লগার

লেখোয়াড়

[email protected] দৃশ্য বদলালেও মন বদলায় না

লেখোয়াড় › বিস্তারিত পোস্টঃ

জং ধরা চিঠি --- “প্রিয়তিনী” ( ১ম পর্ব )

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১২



প্রিয়তিনী,

এই আনমনা অংশুমালীর, এই নির্ভৃত বেদনজর্জরিত অবজ্ঞাচিত্তচারীর দেওয়া সুনিবিড় মায়াসঞ্চিত অমৃতধারাটুকু অকুন্ঠ চিত্তে গ্রহণ করিয়া তোমার সপ্রভ হৃদয়নিকুঞ্জনিকেতনে স্থান দিয়া ধন্য করিবে বলিয়া আশা করিতেছি।



অনাদিকালের রূপ-লাবণ্য সমাহিত এই সুন্দরী কল্লোলিনী ধরনীপারে আমার এমন কোন সুদীপ্ত-চন্দ্রিত উপহার ডালি নেই যাহা উৎসর্গিত করিয়া তোমাকে সুখের চূঁড়াতে ফুল দিতে বলিব। তবুও আমার মনের চির ঝংকৃত অলঙ্কার হইতে যে সুঝলমল সুতীব্র ভালবাসা তোমার জন্য অবিরাম দোলায়িত হয় মাধুকরী ছন্দে, সেই ভালবাসা, নিতান্ত তোমার জন্যই যে গভীর কোমল টান, সেই টান, সেই ভালবাসা তোমার নিষ্পাপ মনমন্দিরপিঞ্জরে সমাধিত করিয়া আমাকে ঋণী করিও।

হয়তো তোমার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র লিপিখানি যথেষ্ট নয়, তবু পীনোন্নত প্রতিচ্ছায়া হইয়া তোমাকে অনুরোধ করিতেছি, তুমি আমার উপর রাগ করিও না। বিলম্ব করিয়া হইলেও যে প্রত্যাশা মনের ভিতর প্রতিভাত করিয়া দুটি কথা তোমাকে লিখিতেছি তার কতটুকু মূল্য তোমার নিকট থেকে পাইব জানিনা, তবে এই চিঠিখানি পাইবার পর যদি অতি সামান্যতম রাগ, বিরাগ, ব্যথা, বিরহ, টান, কষ্ট, ভালবাসা ইত্যাদির যেকোন একটি তোমার মনে অনুভূত হইয়া থাকে তবে আমার এই লেখা স্বার্থক হইবে, নচেৎ আমি নিজেই প্রত্যাখ্যাত হইবো তোমার সুপ্তোন্মুখ প্রণাম হইতে।



প্রিয়তিনী, আজি লিখিতে বসিয়া এত প্রবল একটা ধাক্কা আমার মনের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করিতেছে যা কয়েকদিন সঞ্চিত নিঃশব্দ শ্রান্তি আর অবসাদে জর্জরিত, যাহার প্রভাবে একটি কথাই শুধু আমার মনে বার বার উঁকি মারিতেছে যে, মানুষের কাছে সঠিকভাবে প্রকাশ করিবার উপায় বোধ হয় আমার জানা নেই। যে প্রভা, যে জ্যোতি, যে প্রবৃত্তি কঠিন, নির্মম অথচ খাঁটি সত্যের ভিতর দিয়া প্রবাহিত হইয়া থাকে, যা মানুষকে আনিয়া দেয় বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়াইবার দৃঢ়তা, সাহস, সেই প্রবৃত্তি, সেই প্রভা, সেই জ্যোতি তথা সেই সত্য নিয়ে আমি সবার সামনে নিজেকে প্রকাশ বা উন্মুক্ত করিবার চেষ্টা করিয়া থাকি, কিন্ত কি পাই, কি পাইয়াছি সেদিকে আজ যাইবো না, শুধু এইটুকু বলিতে দ্বিধা নেই, “যেন মানুষের কাছে আমি প্রভাতফেরী গাইয়া চলিতেছি, যাহার শ্রোতা আমি নিজেই, যেন অনেকগুলো সুদর্শনী ফুল লইয়া প্রদর্শন করিয়া বেড়াইতেছি, যাহার দর্শক আমি নিজেই, অর্থাৎ যে গায়ক সেই-ই শ্রোতা, যে প্রদর্শনকারী সেই-ই পরিদর্শক। যেন আমি ব্যস্ত ঢেউয়ের মতো অগোছালো, শুধু নদীর সংগে রাতিদিন দাপাদাপি।



প্রিয়তিনী, তোমার মানসপুরী কোন শ্বেতপ্রস্তরখচিত অভ্রভেদী সৌধশ্রেণীদ্বারা রচিত আমি জানিনা, তেমার হৃদয়ের আসন কোন স্বর্ণঝালরখচিত বিচিত্রবর্ণের অরুণালোকদ্বারা রঞ্জিত জানিনা, কোন হীরকজ্যোতিশিখার দ্বারা তোমার মনমালিকা অলংকৃত আমি বুঝিনা, শুধু এই জানি, এই বুঝি, আমার অন্তরের নিস্তরঙ্গ, নিঃসঙ্গ অতল গহ্বর থেকে বাহিত সিক্ত অঞ্জলিপ্রবাহ কোনদিন তোমার মনের মতো ঐশ্বর্যিত হইল না। আমার অতিবিস্তৃত, অতিসুদুরপ্রাকৃত মমতামিশ্রিত চিত্তবেদনা কখনো তোমার সুহৃদয়ের মধুকুঞ্জে সুললিতভাবে সুর মিলাইতে পারিল না। আমার চিরকালের দুঃখটা শুধু এখানেই। এত আশা, এত আকুলতা, এত ব্যাকুলতা তোমার জন্য আমার ভিতর হইতে বিচ্ছুরিত হয়, তবুও বারে-বারে ফিরিয়া ফিরিয়া তোমার অবহেলা আর অবজ্ঞায় ছিন্ন-ভিন্ন হইতেছি ক্ষণে ক্ষণে।

চলিবে . . . . . . . .

( সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ বর্জনীয়, তেমন দেখিলে ভুল ধরাইয়া দেওয়া বাঞ্চণীয়, এই সময়ে সাধুভাষায় লেখা যথেষ্ঠ কষ্টনীয়)



মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শব্দের বিচিত্র খেল দেখলাম।
অদ্ভূত সুন্দর।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫১

লেখোয়াড় বলেছেন:
হঠাৎ করিয়া চিঠি লিখিবার সাধ হইলো এমন নহে, মনের ভিতর অনেকদিন হইতেই চিঠি লিখিবার সুপ্ত বাসনা লুকায়িত ছিল। ব্লগে অনেকেই সময়ে অসময়ে চিঠি পোস্ট করিয়াছেন, আমি তাহাদের দেখিয়া উৎসাহ পাইয়াছি এমনও নহে, তবে অতি সম্প্রতি বিশেষ একটি কারণে আমার চিঠি লিখিবার ইচ্ছা প্রবল বেগে জাগিয়া উঠিল, তাই এই পত্রখানি ব্লগে পোস্ট করিলাম।

চিঠি একটি পুরাতন বিষয়, তাই পুরাতন রীতিতেই লিখিলাম, যদিও আমাদের মতো একালের ছেলে-মেয়েদের দ্বারা এইভাবে লেখা খুবই কঠিন ব্যাপার, আমি সেই কঠিনকে গ্রহণ করিলাম, ভুল-ত্রুটি হইলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখিবেন।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাইলাম।
ভাল থাকিবেন দূর্জয়।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫২

খেয়া ঘাট বলেছেন: আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শব্দের বিচিত্র খেল দেখলাম।
অদ্ভূত সুন্দর।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনি আসিয়াছেন দেখিয়া বড়ই প্রীত হইলাম।
কিন্তু নতুন কিছু কহিলেন না বলিয়া নতুন কিছু জানিতে পারিলাম না।
যদি আপনার নিকট হইতে নতুন কোন কথা শুনিতে পারিতাম তাহা হইলে
এই অধমের কষ্ট অনেকখানি লাঘব হইত।

যাহা হউক, আবার আসিবেন এই প্রত্যাশা রহিল।
ভাল থাকিবেন সবসময় এই আশা করিলাম।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: মজা পাইলাম, ঊনবিংশ শতকীয় জং ধরা পত্র পাঠে ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

লেখোয়াড় বলেছেন:
অদৃষ্টের নিষ্ঠুরতা ইহা অপেক্ষা আর কী হইতে পারে, শেষ পর্যন্ত আমাকেই এই জং ধরা চিঠির হার ধরিতে হইল।

আপনার কথা শুনিয়া মনের মাঝে বড়ই আনন্দ রস জমিয়া উঠিয়াছে, ইহাদিগকে এখন চারিপাশে ছড়াইয়া দেওয়া ছাড়া আমার আর কোন গতি রহিল না।

অনেক ধন্যবাদ মান্যবর মামুন রশিদ।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ত আশা, এত আকুলতা, এত ব্যাকুলতা তোমার জন্য আমার ভিতর হইতে বিচ্ছুরিত হয়, তবুও বারে-বারে ফিরিয়া ফিরিয়া তোমার অবহেলা আর অবজ্ঞায় ছিন্ন-ভিন্ন হইতেছি ক্ষণে ক্ষণে।

দারুণ। সুখপাঠ্য।মুগ্ধপাঠ্য। :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২২

লেখোয়াড় বলেছেন:
সুখপাঠ্য। মুগ্ধপাঠ্য।

আহারে এমন করিয়া কে বাঁশি বাজাইতে পারে।
এ যেন সেই পুষ্পের মতো যাহার বুকের মাঝে ভ্রমর আসিয়া গুঞ্জন করিয়া মরে।

ওহে বৎস, এই লিপিখানি কী তাহলে সাহিত্য বলিয়া গণ্য হইবে?

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

শায়মা বলেছেন: রবিঠাকুরের চিঠি চিঠি ভাব ভাইয়া।:)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
ওহে শায়মা, কেন শুধু শুধু রবিবাবুকে লজ্জা দিতে চাহিতেছেন?
আপনি তো বড়ই রাবিন্দ্রিক তাতো আমরা জানিই, তাই বলিয়া এই অধমকে তুলনা করিতে গিয়া রবিঠাকুরের নাম নাম আনিতে আপনার মনে কী লেশমাত্র দ্বিধা জন্মাইল না?

তবে, বটে, ইহা সেই আমলের সেই ঢঙের এখাকানি পত্র হইতে চলিয়াছে বলিয়া ঠাহর করিতেছি।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

অশ্রু কারিগড় বলেছেন: এই চিঠি আরো আগে পাইলে....... |-)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

লেখোয়াড় বলেছেন:
বুঝিলাম এই চিঠি পড়িয়া আপনার অন্তঃকরণ পুলকিত হইয়া উঠিয়াছে।
এই চিঠি আরো আগে পাইলে কি করিতেন তাহা না বলিয়া চলিয়া যাইয়া আমাকে ব্যথিত করিলেন।

আবার আসিয়া যদি ওই অনুক্ত কথাগুলি ব্যক্ত করিয়া যাইতেন তাহা হইলে আমার আত্মা শান্তি পাইত, কী জানি সে আমা আমার দুরাশা কিনা।

ধন্যবাদ অশ্রু, ভাল থাকিবেন।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:




বাহ ! বেশ ভালো হয়েছে।

চিঠিখানা পড়িয়া পুরাতন দিনের কথা মনে পড়িয়া গেলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমি ভাবিতে পারিনাই আমার এই চিটিখানা আপনারা পড়িবেন। যখন দেখিলাম সত্যই দুই-পাঁচজন আসিয়া কথা বলিয়া যাইতেছেন, তখন একটু সাহস হইয়াছে।

পুরাতন দিনগুরো বেশি ভাল ছিল কিনা তাহা এখনো আবিস্কার করিতে পারিনাই। পুরাতনকে আবার নতুন করিয়া পাইবার আশা করিলাম। কিন্তু তাহা বড়ই অতলস্পর্শ গভীর।

ধন্যবাদে কৃতজ্ঞ জানাইলাম।

৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

এম মশিউর বলেছেন: শব্দগুলিকে আজ বাধ্য করিয়াছেন আপনার এই সুন্দর পত্রখানি রচনা করার নিমিত্তে। আমি অভিভূত!

পাঠমুগ্ধ! :)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনাকে প্রথম অবলোকন করিলাম আমার ব্লগ বাড়িতে। অতিশয় খুশি হইয়া আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিলাম।

যেভাব মনের মধ্য ধারন করিয়া দুটি বাক্য আমাকে দান করিলেন, তাহা আমি কৃতজ্ঞভরে আশির্বাদ স্বরূপ হৃদয়ে স্থান দিলাম।

আজন্মকাল কাল আপনার কথা আমার মনে লেখা থাকিবে।
ভাল থাকিয়া দিনাতিপাত করুন।

৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কঠিনেরে ভালোবাসিয়াছেন ভ্রাতা, তাই কষ্ট্ অনিবার্য। মনের নিগুঢ় অন্দর হইতে নির্গত না হইলে এমন রূপ পত্র কে কবে লিখিয়াছে আমার জানা নাই। এ কোনো অবধি লেখা যায় না, বাহির হইতে হয়। আর, এফ, এল এর পাম্প দিয়াও টানিয়া বাহির করা সম্ভবপর নহে। ইহা চঞ্চলা ঝর্ণার ন্যায় স্বতঃস্ফূর্ততার সহিত নির্গত হইয়া কেবল বহিয়া চলে অলক্ষ্যে। একবার নির্গত হইবার পর কোথায় যাইতেছে, কিভাবে যাইতেছে তাহার দিকে ইহার কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই।

অযাচিত চেষ্টা করলাম। এর মধ্যেও ভুল থাকতে পারে। কতখানি ভালো লেগেছে বুঝে নিন। আর এই রকম পত্র পড়তে কারো কারো ডিকশনারী নিয়ে বসতে হতে পারে। তবু এর সৌন্দর্য্য যে কল্পলোকের মতো। তাই অপেক্ষায় রইলাম এর পরের পর্বের জন্য।

ভালো থাকবেন, সব সময়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
"ইহা চঞ্চলা ঝর্ণার ন্যায় স্বতঃস্ফূর্ততার সহিত নির্গত হইয়া কেবল বহিয়া চলে অলক্ষ্যে। একবার নির্গত হইবার পর কোথায় যাইতেছে, কিভাবে যাইতেছে তাহার দিকে ইহার কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই।"

........... এত সুন্দর করিয়া বলিলেন যে, বক্ষপিঞ্জরে একটা মধুর বাতাস বহিয়া গেল এবং বিদ্যুতের মতো দিকবিদিক উজ্জ্বল আলোকছটা হইয়া ঠিকরাইয়া পড়িল।

........... এমনভাবে কথা বলিয়া তো আমাকে ঋণী করিয়া গেলেন। সেই জন্য হৃদয়ের নিগুঢ়, নিবিড় অতল হইতে আপনাকে উচ্চসিত প্রশাংসা করিলাম ও ধন্যবাদ জানাইলাম।

আবার আসিবেন এই মুখর মনোরম ভূমিতে।


১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

আরজু পনি বলেছেন:

বঙ্কিমের লেখা কোন চিঠি প্রকাশিত হয়েছে কি না ভাবছি ...!

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
শায়মা কহিল রবিঠাকুরের ভাব, আপনি বলিলেন বঙ্কিমের প্রভাব।
এমনভাবে বলিলে তো আমার সাহিত্যপাঠ প্রহসনে নিপতিত হইবে।

ভাবিতেছি কেন তাহাদের ভাব-প্রভাব পড়িল...............।

কথা বলিবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকিবেন।

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

একজন আরমান বলেছেন:
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।

বিলম্ব করিয়া হইলেও যে প্রত্যাশা মনের ভিতর প্রতিভাত করিয়া দুটি কথা তোমাকে লিখিতেছি তার কতটুকু মূল্য তোমার নিকট থেকে পাইব জানিনা, তবে এই চিঠিখানি পাইবার পর যদি অতি সামান্যতম রাগ, বিরাগ, ব্যথা, বিরহ, টান, কষ্ট, ভালবাসা ইত্যাদির যেকোন একটি তোমার মনে অনুভূত হইয়া থাকে তবে আমার এই লেখা স্বার্থক হইবে, নচেৎ আমি নিজেই প্রত্যাখ্যাত হইবো তোমার সুপ্তোন্মুখ প্রণাম হইতে।

এই লাইনটি অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২১

লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনাকে দেখিয়া আমার রাগ, বিরাগ, ব্যথা, বিরহ কিছুই হইল না আরমান। বরং আমার হৃদয় মাঝারে এক শান্তিবারির স্পর্শ অনুভব করিলাম।

আমার এই সামান্য চেষ্টায় যে আপনার অন্তরে মুগ্ধতার পুষ্প প্রস্ফুটিত হইল তাহা অবলোকন করিয়া আমার প্রাণটা জুড়াইয়া গেল।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আশির্বাদ রইল।

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: খেয়া ঘাট বলেছেন: আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শব্দের বিচিত্র খেল দেখলাম।
অদ্ভূত সুন্দর।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক ভাবিয়া দেখিলাম এমনভাবে লিখিতে বসিলে অনেক মনোসংযোগের প্রয়োজন পড়ে, অনেক সময়ও নষ্ট হইযা যায়, কিন্ত কি করিব চিঠি তো মেষ করিতেই হইবে।

আশাকরি পরের পর্ব পড়িয়া কিছু কথা বলিয়া যাইবেন।

অনেক ধন্যবাদ বর্ষণ।
ভাল থাকুন।

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্দান্ত এবং অসাধারন!!! শব্দ প্রয়োগের সে কি কারিগরী!! অনেক ভালো লাগল পড়ে।

প্রিয় লেখোয়াড় ভাই, আগের পোষ্টে কমেন্ট করা বন্ধ করেছিলেন কেন? বড়ই চিন্তিত হয়েছিলাম। :(

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
দূর্দান্ত বা অসাধারণ কিনা কহিতে পারিব না, একটি পত্র লিখিবার প্রয়োজন পড়িল তাই রবিবাবুর পায়ের ধূলি কুড়াইতে চেষ্টা করিতেছি। এখন এই ধূলি এখন আমাকে চঞ্চল করিয়া তুলিতেছে।

মায়ারেখায় কমেন্ট করা বন্ধ রেখেছি বিশেষ কারণে।
কখন ওপেন করতে পারবো জানিনা।
না না, চিন্তার কিছু নেই।

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

টুম্পা মনি বলেছেন: অনেক ভালো লাগিয়াছে। শব্দের খেলায় মুগ্ধ হইলাম।

জং ধরা চিঠি নতুনত্বের সুবাদ ছড়াইলো। মায়া ধরাইলো।

সুন্দর থাকুন প্রতি নিয়ত।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
টুম্পা আসিয়া এই শব্দ খেলায় যোগদান করিয়া ইহার একটি নবমাত্রা যুক্ত করিল, চারিদিকে রব উঠিল...... ধন্য, ধন্য। মুগ্ধ মুগ্ধ।

যে নতুনত্ব আর মায়ার কথা উল্লেখ করিলেন তাহা যেন নবরূপ ধারণ করিয়া সকলের চিত্তমাঝে সাগ্রহে প্রবেশ করিতে পারে।

টুম্পা মনি এই পত্রপাঠ শেষ করিলেন।

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

নেক্সাস বলেছেন: শব্দের কল্লোলীনি তাহার উর্মীমালা বিস্তার করিয়া আমাকে আপাদামস্তক সিক্ত করিয়া গেল। অনাদিকাল ধরিয়া অপাংক্তেয় শুস্কতায় হৃদয় কপাট চির আবদ্ধ হইয়া জং ধরিয়া যাইতেছিল। এক্ষনে এই শব্দ স্রোতস্বীনি দুকুল উপচাইয়া আমার শুষ্ক হৃদয় কে সজীব করিয়া সেখানে হরিৎ নিকুঞ্জের পূনঃসম্ভাবনা জাগইয়া তুলিল। আমি যেন দুর হইতে কোন রাখাল বালকের বংশীর সুর শুনিয়া সমস্ত ক্লান্তি ঝাড়িয়া জাগিয়া উঠিলাম....যেন নিস্তরংগ পাহাড়ের বুক চিরিয়া চপল ঝর্না চকিতে ছুটিয়া গিয়াছে মায়া হরিণীর নৃত্যের তালে তালে। আহা ! কবি কি অনিবার্ন সুধা জাগাইয়া দিলে মম হৃদয়ও মাঝে। আমি যেন জীবনের আহবান শুনিতে পাইতেছি হংস বালাকার ডানার উল্লাসে....

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনি যাহা যেভাবে প্রকাশ করিলেন, তাহাতে আমি কথা বলিলে ইহার অঙ্গহানি ঘটিবে, সৌন্দর্য নষ্ট হইবে। তাহার চাইতে নিরব থাকাই শ্রেষ্ঠ মনে করিলাম।

আশা করি এইভাবেই আপনি কোন কিছু লিখিয়া একদিন ব্লগে পোস্ট করিবেন, এবং আমাদের মনে সাহিত্য রসের সঞ্চার করিবেন।

আপনার সমুদয় বলা কথাগুলি আমার হৃদয়পটে মরমে গাঁথিয়া গেল।
আমি মুগ্ধ ও বিমোহিত হইলাম।

অনেক অনেক শুবকামনা থাকিল আপনার জন্য।
নেক্সাস।

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খেলোয়াড় বল কিংবা খেলার উপকরণ নিয়ে খেলে আর লেখোয়াড় শব্দ নিয়ে খেলে !

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেকদিন পরে কেউ আমার নিক নিয়া কথা বলিল। অনেক আগে আমার নিক নিয়া প্রবল আলোচনা চলিত। সে সব দিন যেন কোথায় হারাইয়া গিয়াছে।

আমার নিকের যে সঙ্গায়িত করিলেন সেটা আমার প্রথম পোস্ট "পরিচয়ে" অল্প করিয়া উল্লেখ করা আছে।

লেখোয়াড় কি আসলেই শব্দ নিয়ে খেলিতে পারে?
অনেকেই একথাটি বলিয়া থাকেন, কিন্ত আমি ঠিক মানিয়া লইতে পারি না।

১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পুরনো চিঠির আমেজ পেলাম। শব্দগুলোর অর্থ উদ্ধার করে পড়তে ভালই লাগছিল, যদিও পড়ার সময় চোখ বারবার মিটমিট করতে হচ্ছিল!

শুভেচ্ছা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৯

লেখোয়াড় বলেছেন:
ডিয়ার প্রোফেসর,

আপনাকে নিয়মিত পাইতেছি, ইহা আমার জন্য খুবই আনন্দের। বাট আমি আপনাদের ওখানে যাইতে পারি না। এটা যে আমার কতখানি লজ্জাকর তাহা বলিয়া বোঝাইতে পারিব না। এখন আমার সময় খুব কম, গত কয়েক মাস হইল দিনের বেলায় নেটে বসিতে পারি না, আর রাতের বেলায় কতটুকু সময় পাইতে পারি বলুন।

তারপরও আপনাদের কয়েকজনকে নিয়মিত পাইয়া আসিতেছি ইহা আমার জন্য অতি সুখকর বিষয়।

টিঠিটি পড়িয়া আমাকে ধন্য করিলেন।
আপনার জন্য থালা ভরিয়া গোলাপ রাখিলাম।

১৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খেলোয়াড় বল কিংবা খেলার উপকরণ নিয়ে খেলে আর লেখোয়াড় শব্দ নিয়ে খেলে !


সহমত

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
কান্ডারী অথর্ব
কাল্পনিক ভালবাসা
স্বপ্নবাজ অভি
মামুন রশিদ
....................
সবাই এই ব্লগের জন্য অত্যন্ত পরিশ্রম করিয়া চলিয়াছেন।
আপনাদের সহযোগিতায় আমরাও অতি উৎসাহ পাইয়া থাকি।

ধন্যবাদ আর ধন্যবাদ।

১৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

শ্রাবণ জল বলেছেন: পড়তে বেশ লাগলো।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪০

লেখোয়াড় বলেছেন:
অবশেষে আপনাকে অনেকদিন পর পাইলাম। বেশ কিছুদিন কোন পোস্ট দেওয়া থেকে কোন অজানা কারণে বিরত রহিয়াছেন, সেজন্য আপনার সহিত কথা বলিব সে উপায় নাই, অথচ এই ক'দিন আগেও আপনার সহিত কত কথা চলিত সময়ে অসময়ে।

আপনাকে অনেক ভাবিয়াছি.......................... কি হইল আপনার.......

আজ অনেকদিন পর আসিয়া কথা বলিবার দ্বার পুণঃ উন্মোচন করিয়া ধন্য করিলেন, আশাকরি ইহা অব্যাহত রাখিবেন। হয় নতুন পোস্ট দিবেন আমরা যাইব কথা বলিতে নতুবা এখানে আসিবেন কথা বলিতে। ব্লগ থেকে একেবারে তিরহিত হইবেন না বলিয়া আশাকরি।

ধন্যবাদ শ্রাবণজল।
ভাল থাকিবেন।

২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪১

আরজু পনি বলেছেন:

'প্রিয়তিনী' শব্দটা আমার কাছে নতুন ।।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
এই শব্দটি আমার নিকটও নতুভাবে ধরা দিয়াছে।

ছেলের নিকট মেয়েটি হয় প্রিয়া, এখানে ছেলেটি মেয়েটিকে সরাসরি প্রিয়া না বলিয়া একটু নতুনরূপে ভাবতে চাহিল, ধরুন "তিনি প্রিয়" থেকে
"প্রিয় তিনি" বলিল, কিন্তু এটা আবার পুরুষ হইয়া যায়, তাই একটু ঘুরাইয়া "প্রিয়তিনী" হইল।

আর মেয়েটির নিকট প্রিয় হইবে ছেলেটি, সেজন্য প্রিয়তিনী বলিয়া প্রিয়কে বজায় রাখিল। তাহা হইলে দেখা যাইতেছে এক শব্দ দিয়াই ছেলে এবং মেয়ে উভয়েরই কূল অটল রহিল।

ঠিক বোঝাইতে পারিলাম না, নিজের মতো করিয়া বুঝিয়া লইবেন।

২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
চমৎকার !!!

+++++++++++++

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০২

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমাকে চমকিত করিয়া চমৎকার বলিলেন স্নিগ্ধ।
কবিতার প্রতি টান আর ভালবাসা আছে বলিয়াই মনমাঝে এমতর অনুভূতি গুণগুণ করিয়া ওঠে।

আর এমন অনুভূতির পাল্লায় পড়িয়া আমরা কেউ কেউ কবিতাপ্রেমে মজিয়া উঠি।

আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিয়া শুভেচ্ছা জানাইলাম।

২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৬

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কি বলব পড়তে পড়তে ভাবছিলাম শব্দ নিয়ে এমন খেলা শুধুমাত্র লেখোয়াড়ের পক্ষেই সম্ভব! আশ্চর্য, আপনি এত দিন ধরে ব্লগ লিখছেন আর আপনাকেই কিভাবে মিস করে গেলাম :(
সাধু ভাষায় লেখা পড়তে বেশ লাগে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
মনের দিক হইতে আপনি যেমন আপনার নিকটিও তেমনি শান্তিময়। শান্তির দেবদূত আহা! প্রাণটা জুড়াইয়া যায়। মাত্র কয়েকটি কথার আদান-প্রদান করিয়াই বুঝিতেছি আমি একজন সত্যিকারের মানুষের সন্ধান লাভ করিয়াছি। এই দুদিনেই মনের অলক্ষ্যে আপনি আমার অন্তপুরে একটি শ্রদ্ধার আর ভক্তির আসন অধিকার করিয়াছেন।

এখন এই ভাবিয়া আফসোস করিতেছি যে, আপনি তো আশ্চর্য হইয়াছেন, আর আমি অত্যাশ্চর্য হইয়াছি এতদিন আপনার সহিত পরিচয় না হইয়া। এতবড় একজন লেখকের এবং উদার মনের মানুষের সান্নিধ্যলাভ হইতে সত্যিই সত্যিই বঞ্চিত হইয়াছি। অথচ আপনি আমার দুই বৎসর আগেই ব্লগার হইয়াছিলেন।

যাহাইহোক বাকি দিনগুলি আর নষ্ট করিতে চাই না। আপনার সহিত সম্বন্ধ সম্পর্ক হইতে সুসম্পর্ক হইবে এই কথা দিলাম।

লক্ষ্য করিয়াছের এই লেখাটিতে সবাইকে সাধুভাষায় উত্তর করিতেছি, তাই কিছু মনে না করিলে খুশিই হইবো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ভালভাবে বেঁচে থাকুন এই কামনা করিলাম।


২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১২

আরজু পনি বলেছেন:

"প্রিয়তিনী" শব্দটা কোন নারীকে সম্বোধনেই মানিয়েছে...পুরুষকে মানাবে বলে তো মনে হচ্ছে না !

আমি খুব ভালো শব্দচয়ন করলে চেষ্টা করে দেখতাম "প্রিয়তিনী" সহযোগে কোন নরকে সম্বোধন করে কেমন রূপ ধারণ করে...কিন্তু সেই সাহস আমার নেই ...অমন শব্দচয়ন করে পত্র লেখা আমার পক্ষে সম্ভব নয় !

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
ঠিকই, প্রিয়তিনী নারীকে মানাইবে।

নরকে সম্বোধন করিতে হইলে অন্যভাবে করিয়া দেখিতে পারেন, অনেক সময় সাহসের নিস্প্রোয়োজন, উৎসাহই যথেষ্ঠ। চিঠি তো কম লিখিতেছেন না, ব্লগে, ওয়েভে, মেইলে।

অত শব্দ চয়নের আশায় না থাকিয়া মনের আপন কথাটিই বলিয়া ফেলুন। তাহাতে যেমন নিজের স্বকিয়তা বজায় থাকিবে তেমনি একটা নির্মল সুখ পাইবেন।

ওটা কি, আপনার বাম চোখের নিচে?

২৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

অদৃশ্য বলেছেন:





প্রিয়তিনী ... ?? ... প্রিয় তিনি... তিনি প্রিয়... প্রিয়তিনী... আপনার এই শিরোনামটা দেখবার পর থেকেই ঠিক এভাবেই ভেবেছিলাম... এবং মন্তব্যে ঠিক এভাবেই আপনি ক্লিয়ার করলেন... ভাবনাটা কাছাকাছি থাকায় মনে হয় আরাম পেলাম...

শিরোনামটা দেখে যে কেউ ভাববে যে এটা কোন এক নারীকেই লিখা... তবে পাঠের পর আমার মনে হলো এটা কোন নারী তার প্রেমিক বা ভালোবাসার কাউকেই লিখেছেন... আবেগের এতোটা মাখামাখি দৃশ্য দেখলে তা কিছুটা নারীসুলভই লাগে বটে...

দু'একটি জোড়শব্দ অতিরিক্ত মনে হলেও লিখাটির তার ধারালো দিকটা প্রকাশ করতে এতোটুকু কার্পণ্য করেনি... দারুন শব্দগুলোর সহনীয় মিশ্রণে লিখাটি যেন টগবগ করে ফুটছে... গরম পানিতে নয়... ভাবাবেগের কোমল জলে...

সুহৃদের জন্য
শুভকামনা...

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা, মনের দিক হইতে আপনি - আমি খুব বেশি তফাৎ নহি, যেটুকু পরিলক্ষিত হয় তাহা হইল আপনি একটু বেশি আড়ালে, আবডালে রহস্যময় হইয়া থাকিতে চান, থাকিয়া সুখ লাভ করেন। আপনার নিজস্ব সত্তায় ঝুপ করিয়া কেহ আসিয়া জায়গা দখল করুক তাহা আপনি চাহেন না, তবে আগের তুলনায় আপনি একটু সহজ হইয়াছেন, এটা একটা আশার কথা।

আর আমি একটু বেশি খোলামেলা আর হাসিখুশি। যে কেহ আসিয়া আমাকে ভুলাইয়া-ভালাইয়া লইয়া যাইতে পারে।

চিঠি সম্পর্কে যাহা কহিলেন তাহাতে লজ্জায় আমার মুখ লাল হইয়া উঠিল। আবেগের মাখামাখি, ভাবাবেগের কোমল জলে, এসব কথা শুনিলে কি আর স্থির থাকা যায়! আহা।

মিতা, আপনি ছাড়া অন্য কেহ এমন করিয়া বুঝিতেছে কিনা জানিতে পারিলাম না। অবশ্য আজাকাল দেখিতেছি অনেকেই ভাবাবেগে টইটম্বুর পত্র লিখিতেছে এই ব্লগে।

আমি কি আপনাকে বলিতে পারি এই চিঠি সফল না ব্যর্থ?






২৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২০

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
যে প্রত্যাশা মনের ভিতর প্রতিভাত করিয়া দুটি কথা তোমাকে লিখিতেছি তার কতটুকু মূল্য তোমার নিকট থেকে পাইব জানিনা, তবে এই চিঠিখানি পাইবার পর যদি অতি সামান্যতম রাগ, বিরাগ, ব্যথা, বিরহ, টান, কষ্ট, ভালবাসা ইত্যাদির যেকোন একটি তোমার মনে অনুভূত হইয়া থাকে তবে আমার এই লেখা স্বার্থক হইবে, নচেৎ আমি নিজেই প্রত্যাখ্যাত হইবো তোমার সুপ্তোন্মুখ প্রণাম হইতে>>

অতিশয় চমৎকৃত হইলাম আপনার ছন্দবন্দগীত চিঠি খানির
সাজানো ডালি হইতে অতি কষ্টে সঞ্চিত ভ্রমরের মধু খাইয়া ৷

আপনার লেখা পড়ে প্রমীলা দেবীকে লেখা নজরূলের সেই ক্ষত_বিক্ষত চিঠি খানির কথা মনে জাগিল যেখানে তিনি স্মরণ করেছিলেন মৃত্যুমুখী বেদনাক্রান্ত নির্লিপ্ত কবি কিটস্ ও তার
শিয়রে বসা প্রণয়ীনি ফ্যানী ব্রাউনের কটাক্ষকে

অনেক ভালোলাগা রইল>>

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

লেখোয়াড় বলেছেন:
"অতিশয় চমৎকৃত হইলাম আপনার ছন্দবন্দগীত চিঠি খানির
সাজানো ডালি হইতে অতি কষ্টে সঞ্চিত ভ্রমরের মধু খাইয়া"

.............. আপনার মনের বিচিত্র ভাবখানি আমার সম্মুখে প্রকাশ করিয়া আমাকে আনন্দে ভরপুর করিয়া দিলেন। আম এখন বাবিতে পারিতেছি যে আমার সমমনা মানুষ এখানে অনেকেই রহিয়াছেন যাহাদের সহিত আমি নির্দিধায় পথ চলিতে পারি।

নজরুলের উদাহরণ টানিয়া আমার পত্রখানির আরো শ্রীবৃদ্ধি করিলেন এটা বড় সুখের কথা।

অনেক প্রীতিকুসম জানিবেন।
ভাল থাকিবেন।

২৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: চিঠিখানা পড়িয়া আপ্লুত হইলাম। বড় চমৎকার লিখিয়াছেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনি আপ্লুত হইয়াছেন জানিয়া আমিও অতিশয় প্রীত হইলাম।

এই চিঠিখানি পড়িবার পর যদি আপনার অতি সামান্যতম রাগ, বিরাগ, ব্যথা, বিরহ, টান, কষ্ট, ভালবাসা ইত্যাদির যেকোন একটি অনুভূত হইয়া থাকে তবে আমার এই লেখা স্বার্থক হইবে।

সমুদ্রের মতো যাহার মন তিনিই তো অন্তরদৃষ্টির অধিকারী হইবেন। যাহার অন্তরদৃষ্টি প্রখর আর গভীর তিনিই তো সুন্দর যা কিছু তাহা প্রকাশ করিতে পারিবেন। আপনিও সেই দলেরই একজন হইবেন বলিয়া মত প্রকাশ করিলাম।

কষ্ট করিয়া আসিয়া কথা বলিবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
ভাল থাকিবেন সমুদ্র কন্যা।

২৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:

চিঠি ব্যাপারটাই দারুণ........

এমনতর সাধু ভাষায় লেখা এখনকার সময়ে কিঞ্চিৎ কঠিন কার্য বলিয়া আমার মনে হয়,
লেখোয়াড়,আপনার এই চিঠি পড়িয়া ভাবিতেছি এমন দুরুহ কার্য সাধন করিলেন কেমন করিয়া..মনের মধ্যে নানান প্রশ্ন আসিয়া জমাট বাঁধিতেছে।
আমার শব্দ ভান্ডার এর দরিদ্র দশায় আমি নিজে যারপরনাই শংকিত।কমেন্ট এর ঘরে সাধু ভাষায় লেখাও অনেক কঠিন।
তবে আপনার চিঠি পড়িয়া অনেক স্মৃতি ঝাপাইয়া পড়িল। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে আমরা বন্ধুরা মাঝে মাঝে এই ভাষায় কথা বলিতাম।
বড়ই আনন্দের ছিলো সেই সময়গুলো।

"শুধু নদীর সংগে রাতিদিন দাপাদাপি"।

রাতিদিন না হইয়া দিবারাত্রি হইলে ভালো হইবে বলিয়া মনে করি।:)

শুভেচ্ছা রহিল।
ভালো থাকিবেন ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
আসলেই আমাদিগের জন্য সাধুভাষায় লিখিয়া ফেলা অনেক কঠিন, যাহা আমি উপরে উল্লেখ করিয়াছি। আমরা এমন এক সময়ে জন্মিয়াছি বা বাড়িয়া উঠিয়াছি যখন এটার চর্চা নেই বলিলেই চলে।

এই চিঠিটি এমন করিয়া কিভাবে লিখিলাম সেটা আমিও ভাবিতেছি, ভাগ্যিই রবি, বঙ্কিম, নজরুল, শরৎ পড়িয়াছিলাম। তবে আপনারা যে এটি পড়িবেন এবং এমন করিয়া আবেগ লইয়া কথা বলিবেন তাহা ঘুণাক্ষরেও ভাবিনাই।

আমি ভাবিয়াছিলাম ৫/৬জন আসিয়া হয়তো মন্তব্য করিয়া যাইবেন, তারপর শেষ। এমন হইবে জানিলে এমন অবহেলা করিয়া লিখিতাম না।
এখন এই ভাবিয়া চিন্তায় পড়িতেছি যে, পরের পর্বটি নিশ্চয়ই এটার চাইতে আকর্ষণীয় হইতে হইবে, না হইলে দূর্ণাম শেলের মতো আসিয়া মস্তকে পড়িবে।

আপনার অতীত স্মৃতি শেয়ার করিবার জন্য খুশি হইলাম, আশাকরি অচিরেই জীবনস্মৃতি লিখিয়া আমাদের ধন্য করিবেন।।

দিবারাত্রি বা রাত্রিদিন বা রাতিদিন যাহা একটা হউক না। লিখিবার সময় যেটা প্রথমেই মনে ধরিয়াছিল সেটাই লিখিয়াছিলাম। আপনাদের যেটা ভাল লাগিবে সেটাই বড় কথা।

আমার বাড়িতে নিত্য যাওয়া-আসা করিবার জন্য আমি গর্ববোধ করি। দয়াকরিয়া এটি যেন বজায় রাখিবেন। আমার আকর্ষণটা কোথায় আমি নিজে কখনই বুঝিতে পারি না।

ভাল থাকুন আর কবিতা লিখুন।

২৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

বৃতি বলেছেন: এতো কঠিন কঠিন শব্দ!!?? ভালভাবে বুঝতে গেলে তো ডিকশনারি লাগবে :( /:)

চিঠি পড়তে আমার বেশ ভালো লাগে । এইমাত্র আরজু পনি আপুর "পত্র" পড়ে এলাম । ব্লগে আরও কিছু চিঠি দেখেছি রিসেন্টলি, আবার নতুন করে চিঠির প্রবর্তন শুরু হলে খুব খুশি হবো ।

বাকি পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুভেচ্ছা ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমি তো খুব বেশি লিখি না।

শরৎ, রবীন্দ্রনাথ, তারাশঙ্কর বা ওই সময়ের অনেকের লেখার সহিত পরিচয় রহিয়াছে বলিয়াই এমন লেখা সম্ভব হইয়াছে বলিয়া মনে করি।

চিঠি আবার মানুষের কাছে ফিরিয়া আসিবে কিনা সেটা বলা খুবই মুশকিল বৈকি। আধুনিক প্রযুক্তি সে সুযোগ দিবে বলিয়া মনে হয় না।

চিন্তায় পড়িয়াছি বাকী যে ২/১টি পর্ব লিখিব তাহা এটার চাইতে খারাপ হইবে কিনা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ বৃতি।

২৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

রুপ।ই বলেছেন: হমম শব্দচয়ন অনেক বেশী ভাল । মন্তব্যগুলো ও অনেকটা একইরকম মজা পেলাম।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

লেখোয়াড় বলেছেন:

আপনাকে দেখিয়া মনটা ভাললাগায় ভরিয়া উঠিল।

আপনার সহিত একটি সুসম্পর্ক গড়িয়া তুলিতে কত সময় অপেক্ষা করিতে হইবে সেই কথাই ভাবিতেছি। কেননা, আপনি তো মানুষটা সহজ না, তাই আপনার সহিত সহজে মিশিতে যাওয়া অনেক কঠিন বৈকি!

দেখিব আপনার কত ধৈর্য্য।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রহিল।
ভাল থাকিবেন শরতের আকাশের মতো নিষ্পাপ আর নির্মল হইয়া।

৩০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১

আরজু পনি বলেছেন:

ইচ্ছের বিরুদ্ধে কলম থামে ক্ষণকালের জন্যে ...কলম চলতে চাইলে আটকায় সাধ্য কার বলুন...


১০ আগস্ট যেয়ে পয়লা অক্টোবরে ঠেকে ...পরে খুঁজতে খুঁজতে তা ৮ অক্টোবরে চলে আসে...

যাক আপনাকে খুঁজে পেয়ে কৃতার্থ বোধ করছি ।।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

লেখোয়াড় বলেছেন:
ইচ্ছার বিরুদ্ধে মনও চলতে থাকে, মন চলতে চাইলে আটকায় সাধ্য কার বলুন তো.............. মন তো আর কলম নয়...................

১০ আগস্ট বুঝলাম।
১লা অক্টোবর বুঝলাম।
৮ অক্টোবর বুঝিনি।

আমাকে আবার কোথায় খুজে পেলেন?
আমি তো অন্য কোথাও থাকি না।

৩১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১২

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: আপনার পোস্টে প্রথম মন্তব্য করছি। শব্দভাণ্ডার আপনার অনেক বড়, বোঝা যায়।

চিঠিতে ভালোলাগা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমি আপনার ওখানে গিয়েছি কয়েকবার কিন্ত মন্তব্য করিয়াছি কিনা মনে করিতে পারিতেছি না। আসলেই অনেকের ভীড়ে ভালদের খুঁজে পাওয়া মাঝে মাঝে দুরূহ হয় বৈকি। গতকাল থেকে ভাবিতেছি, কেন এতদিন আপনার সাথে কথা বলিনাই, যোগাযোগ করিনাই।

আমার এখানে প্রথম কথা বলিলেন, আমি যারপরানাই আনন্দিত।
এই দিনটি অবশ্যই আমার মনে থাকিবে। আশাকরি অদুর ভবিষ্যতে আমরা অবশ্যই একে অপরের কাছকাছি আসিতে পারিব, আপন হইতে পারিব।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

৩২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: বাংলা ভাষায় এত বিচিত্র শব্দ আছে আসলেই আগে জানতাম না। আপনি তো শব্দের ডালা খুলে বসেছেন।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

লেখোয়াড় বলেছেন:
কি যে কহিলেন ভ্রাতা।

আমাদের পূর্বকালের কবি আর কথা সাহিত্যিকরা তো সবাই এমনভাবে সাধুভাষায় এমন সব সুন্দর ভাষায় কবিতা, গল্প কিংবা উপন্যাস লিখিয়াছেন।

আমি শুধু তাহাদের নিকট হইতে ধার করিয়াছি মাত্র।
আপনার কথায় যে সরলতা আর অকৃত্রিমতা ফুটিয়া উঠিয়াছে, তাহাতে আমি অনেক মুগ্ধ হইয়াছি আর আনন্দ লাভ করিয়াছি।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাইতেছি।
ভাল থাকিবেন সবসময়।

৩৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

অদৃশ্য বলেছেন:
সুহৃদ

আজকে লিখাটি আবার পাঠ করে দেখলাম যে এটা আসলে পুরুষ একজন নারীকেই লিখছে চরম ভাবাবেগে... গলিত স্বরে... আগের দিন কেন যেন মনে নারী ওরকমটা আসলো, বুঝতে পারছিনা...

লিখাটির সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করে যাকে উদ্দেশ্য করে লিখা হলো তার মনোভাবের উপরে... আর আমার দিক থেকে যদি বলেন তো বলবো যে শতাব্দির এই শূন্য সময়ে এমন চিঠি আমার কাছে তেমন মানানসই লাগেনা... আপনাদের চিঠি লিখা দেখে আমারও মনে হয় চিঠি লিখি, চমৎকার এক চিঠি, শূন্যের চিঠি... তারপর ভাবি কাকে লিখবো ? সেই চিঠি লিখবার জন্য হৃদপিন্ডের ভেতরে প্রগাঢ় শূন্যতা দরকার... সেটা যদি কখনো হয় তখন দেখা যাবে...

আর আপনাকে বলে রাখলাম... আপনিও চেষ্টা করুন সেই চিঠিটা নিয়ে ভাববার জন্য... লিখবার জন্য

আমার বিশ্বাস মানুষ একসময় শব্দের সর্বোচ্চ সহজ ব্যবহারটা শিখে নেবে... কথ্য বা ব্যবহারিক, সব দিক থেকেই... আর এটার মূল কারনই হবে একে অন্যের সাথে যেন ভাবের আদান প্রদান সহজ হয়... দেখুননা আমাদের পৃথিবীতে কত ভাষা যা প্রতিনিয়ত অন্যের ভাব বুঝতে বাধা সৃষ্টি করছে... প্রশ্ন হলো মানুষরাই কেন অপর মানুষের ভাব ভাষা সহজে বুঝতে পারবেনা ?... ব্রহ্মান্ডের দিকে তাকিয়ে দেখনতো পৃথিবীটা কতো ছোট আর পৃথিবীর থেকে তার মানুষরা কতো ছোট... অথচ আমরা একে অন্যের সাথে ঠিকমতো কানেক্ট হতে পারিনা... সুতরাং আশা করতেই পারি যে একসময় পৃথিবীর সব মানুষ এক সহজ ভাষায় নিজেদের প্রকৃত ভাব বিনিময় করতে পারবে...

সুহৃদ
আমি কিছুটা একাকী থাকতে পছন্দ করি... না নিজেকে বিশেষ কিছু বা রহস্যময় কিছু হিসেবে প্রমান করবার জন্য নয়... এটাকে আপনি আমার সহজাত ভেবে নিতে পারেন... আমার চরিত্রের আংশিক যা আমি এখানে ব্যবহার করছি... হয়তো এটাতেই আমি তৃপ্তি পাই...

আর আজ এই অনেকটা খোলামেলা আচরন করি বা কথাবার্তা যে বলি, আমার এই পরিবর্তনের জন্য আপনার ভূমিকা অনেক...

শুভকামনা...

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে।
এক কথায় উত্তর করা যাবে না।
পরে উত্তর করবো।
আজ না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:১৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা,

"শতাব্দির এই শূন্য সময়ে এমন চিঠি আমার কাছে তেমন মানানসই লাগেনা... "
........... সে কি মিতা, তাহলে কি আমাদের পূর্বসূরী লেখকদের লেখা আপনার ভাল লাগেনা! সে লেখা বা যে সাহিত্য পাঠ করে আমরা পরীক্ষায় পাশ করে এসেছি, যে সাহিত্য পাঠ করে আমরা জীবনের পথ খুঁজে নিতে শিখেছি, যে সাহিত্য পাঠ করে আমরা সামান্যতম হলেও জ্ঞানসমৃদ্ধ হয়েছি, সে লেখা, সে সাহিত্য আপনার ভাল লাগে না?

হতে পারে আমার লেখাটি আপনার ভাল না লাগতে পারে,. কারন আমরা এই সময়ের মানুষেরা এই রকম ভাষা আর ভাব নিয়ে জীবনে অভ্যস্ত নই, কিন্ত আমাদের বাংলা সাহিত্যের মূল ভিত্তি তো আমরা অস্বীকার করতে পারি না।

আচ্ছা, আপনি এই সময়টাকে শতাব্দীর শূণ্য সময় বলছেন কেন? চারিদিকে এত পূর্ণতা, এত জ্বাজল্যতা, এত বহুমুখিতা, তাহলে এই শূণ্যতা দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছেন?

আবার আপনার নিজের ক্ষেত্রে বললেন যে চিঠি লেখার জন্য হৃৎপিন্ডে যে প্রগাঢ় শূণ্যতা দরকার তা আপনার নেই, তার মানে আপনি শূণ্য নন। তাহলে সময়টাকে বলছেন শূণ্য আর নিজ অন্তরকে বলছেন পূর্ণ।
এটা কেমন সাংঘর্ষিক মনে হলো আমার কাছে। কারণ সময়ের সাথে মানসিকতা কিংবা মনের সাথে সময়ের ধাবমানতা অনেকাংশে সমরূপ।

আপনি মাঝে মাঝে বলে থাকেন কবিতা লেখার জন্য হৃদয়ে শূণ্যতা দরকার, আপনি তো অনেক কবিতা লেখেন, তাহলে বলতে পারি আপনার হৃদয়টাও শূণ্য, কিন্তু চিঠি বা এমন কিছু লেখার ক্ষেত্রে এমন বলছেন কেন? আর চিঠি লেখার জন্য আপনার কেউ নেই এটা ভাবতে অবাক লাগছে, অনেক দিন আগে আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম, সম্ভবত "অদৃশ্যের অবিনশ্বরতা'য়", সেকথা আজ সত্যি হলো।

মিতা,
আপনি একা থাকতে পছন্দ করেন আপনার সম্পর্কে আমার এই ধারনটি সত্যি হলো, আর আপনার এই একা থাকার প্রবণতা আপনার সহজাত তাও তো বলে দিয়েছি আপনার নিজস্ব সত্তায় কথাটির মাধ্যমে।
তবে কিছুটা হলেও তা আপনার মনে উপর নির্ভর করে, অর্থাৎ সেটা আপনার সহজাত এবং কিছুটা মনোপূতঃ।

তবে এটা খুব কঠিন যে, কাউকে না দেখে না চিনে তার সম্পর্কে ধারনা করা।

আপনি বললেন যে, আপনাদের চিঠি লেখা দেখে আপনারও চিঠি ইচ্ছা হচ্ছে, এখানে 'আপনাদের' বলতে আর কাকে বলতে চেয়েছেন? চিঠি লিখে লিখে কি আর মনের স্বাদ পাওয়া যায়।

মিতা, আমার সন্তাপ আমি পুড়িয়ে দিয়েছি, এখন দেখা হবে সমানে সমান, মানুষের সঙ্গে মানুষের। প্রতিক্ষা এখন অগ্নি হবে নিষ্পাপ বোধ আর অভিমানে।

আপনার পরিবর্তনে আমার ভূমিকা অনেক.............................

অথচ আপনি বেশ কিছু আগে অনেকদিন হারিয়ে গিয়েছিলেন, তখন কত যে আপনাকে খুঁজেছিলাম, কিন্তু কোথায় পাবো বলুন। সে সময় আপনার নিকট থেকে কত কথাই বের করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আপনার অদৃশ্য থাকার ইচ্ছা প্রবল ছিল তখন। মাঝে মাঝে সেসব কথা পড়তে চলে যাই পিছনের লেখাগুলোতে।

এখন তাই খুব বেশি আশাকরে আপনার কাছে কিছু চাই না, যদি আবার আশাহত হতে হয় এই ভয়ে, আমি জানি আমার হয়তো তেমন কোন যোগ্যতা নেই একজন মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার, তাই যখন কেউ বলে তার নিজের পরিবর্তনের জন্য আমার ভূমিকা অনেক তখন অনেক ভাল লাগে, হৃদয়টি অনেকদিন পর কোন এক অপূর্ব পরিপূর্ণতায় ভরে ওঠে। এটি এখানে বলে বোঝাতে পারবো না।

আজকাল আপনি আমাকে নিয়ে যে অনুভব আর অনুভূতির প্রকাশগুলো করে চলেছেন বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্ন মানুষের সাথে তা সত্যিই অন্তর ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার। আপনার মতো একজন স্বচ্ছ আর নির্মল মানুষের নিকট থেকে এমনিভাবে সান্নিধ্য পাওয়া সত্যিই আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের।

আমি চাই এটা আরো এগিয়ে চলুক, আরো গতিময় হোক, আরো মুখরতায় ভরে উঠুক। একদিন আপনি অদৃশ্য থেকে বেরিয়ে এসে দিব্যদ্যূতি নিয়ে চোখের সমুখে দৃশ্যমান হবেন এই আশা করি।

মিতা,
আমি বহুকাল ধরে জলপানরত একটি হরিণের মতো, পিয়াস কিছুতেই মিটে না, যদি আমাকে আরো কষ্ট দিতে ইচ্ছা করে তবে বলবেন আমি যে পিপাসা অপূর্ণ রেখেই সুন্দরের পোড়া দাগগুলি নিয়েই নির্ভৃতে, নির্জনে থেকে যাবো, যেখানে আসবেনা কোন রোদ কিংবা প্রেম।

মিতা, অনেকদিন আপনার সাথে কথা বলা হয় না সেভাবে, আজ বললাম, এভাবে চলতে থাকবে, তবে নতুন ভাবে, নতুন পথে, নতুন অভিমাত্রায়, নতুন নতুন দৃশ্যপটে।

আপনার বোধহয় শুক্র ও শনি দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি।
আর রাতের বেলায় মনেহয় নেটের সুবিধা নেই, তাই রাতে আপনাকে দেখা যায় না। অবশ্য ব্লগিংটা এত জরুরি বিষয় নয় যে রাত জেগে ব্লগিং করতে হবে।

আপনাকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি।
ভাল থাকুন, এই মঙ্গলবার্তা সবসময়ের।

৩৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৯

বোকামন বলেছেন:
জং
এ্তটাই সুন্দর ! ! !

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
কতটাই সুন্দর?
যতটাই আপনি ভাবিলেন।

প্রিয় বোকা প্রিয় মন,
কেমন আছেন? এভাবে লেখা খুবই কঠিন।
ভাষা মেলে তো ভাব মেলে না, আবার ভাবের সাথে ভাব মেলোনোও দুস্কর। তখন আবার ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়না।

ধন্যবাদ, অনেক ব্যস্ত বুঝি?

৩৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

আরজু পনি বলেছেন:

আপনি আমার পোস্টে পয়লা অক্টোবরে মন্তব্য করার সময় ১০ই আগস্টের কথা বলে এসেছিলেন...সেটাই ধরতে পারছিলাম না ।
পরে ৮ অক্টোবরে নিজের কিছু পুরনো ফাইল ঘাঁটতে যেয়ে বুঝলাম আপনার সেই মন্তব্য ।

এবারও কি বলবেন বুঝেন নি ?

হাহাহাহা

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ পরিস্কার করে দেয়ার জন্য।
আসলে কি, আমি এবটু কম বুঝি, এবং যা বুঝি তাও একটু দেরীতে।
কি করবো বলুন, এটা আমার জন্ম থেকে পাওয়া।

আপনি কিছু মনে করবেন না।

৩৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

বোকামন বলেছেন:
প্রিয় কবি লেখোয়াড় :-)

নতুন একটা শব্দ ব্যবহার করিতে শিখিয়াছি
“সেইরাম”

জ্বী ! সেইরাম ব্যস্ত আচি। তাই ইদানীং পাঠ প্রতিক্রিয়া সংক্ষেপ করিতে হয়।
সাধুভাষা উপভোগ্য করিয়া সবাই লিখিতে ফারে না।

আফনি ফারেন। গুনী লেখক, গুনী কবির জন্য অনেক শুভকামনা রইলো ।।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

লেখোয়াড় বলেছেন:
'সেইরাম' শব্দটির সাথে আমার পরিচয় রয়েছে।
আপনার ব্যস্ততা শীঘ্রই কমে আসবে এই আশা করি।

প্রিয় বোকা প্রিয় মন ভাল থাকেন।

৩৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

অদৃশ্য বলেছেন:





সুহৃদ

আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা যে এখানে আমার শেষ মন্তব্যে আপনি আঘাত পেয়েছেন কিনা... বলে রাখি, মন্তব্য লিখবার সময় আপনাকে আঘাত করবার মতো কোন ভাবনা ছিলোনা, বরং অন্য এক ভাবনা থেকেই এমন মন্তব্য করেছিলাম... হয়তো কোথাও কোথাও শব্দগুলো ঢ়ুড় হয়ে গেছে...

আমি কিন্তু বলিনি যে লিখাটি আমার ভালো লাগেনি... আমি বলেছি লিখাটি সময়ের সাথে মানানসই নয়... তার অর্থ এই নয় যে আমি প্রাচীন সাহিত্য বা পুর্বসূরীদের শব্দভান্ডার বা সাহিত্যকে অসম্মান করছি... আমি আসলে ঠিক লিখাটি পাঠের সময়ে আমার ভেতরের অনুভূতিরই প্রকাশ করেছিলাম... ভেবেছিলাম, এমন লিখাতো লোকজন প্রায়শই লিখে থাকে, পুর্বসূরীদের প্রতি বা সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা ভালোলাগা প্রকাশের জন্য, হ্যাঁ আপনিও তা করতে পারেন তবে কেন জানিনা আপনার কাছ থেকে আমার প্রত্যাশা কিছুটা ভিন্ন রকম ছিলো বলেই মন্তব্য ওভাবে করে ফেলেছিলাম... আপনাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম যে আমরা পেছনটাকে টেনে সামনে না এনে বরং সামনের থেকে কিছু নামানোর চেষ্টা করি... যাতে নতুনত্ব থাকবে আর আকর্ষণের মাত্রাও বেশি থাকবে... যেখানে খুব সাধারণ শব্দের মাঝে অনুভব ও ভাবনাগুলো তোলপাড় করবে মনের ভেতর, এমন কিছু... আবারো বলছি এর অন্য কোন অর্থ করতে যাবেন না যেন বা ভাববেন না যেন...

সুহৃদ, যখন পূর্ণতা বেশি হয়ে যায় তখনইতো প্রকৃত শূন্যতার শুরু... বলতে পারেন এমন ভাবনা থেকেই ওভাবে বলা... মানুষের চিন্তা ভাবনার অনেক পরিবর্তনের জন্যই এমন বলা... মানুষের অনেক অনেক অতৃপ্তির জন্যই হয়তো এমন বলা... ঠিক শতাব্দী মানানসই নয়, এটা সহশ্রাব্দের শূন্য বললেই বেশি ভালোলাগে... দেখুন আপনার চারপাশ ঘিরে কতকিছু অথচ আপনার মনে হচ্ছে আপনার কিছুই নেই... এটাইতো শূন্যতা নাকি... এইসব আজগুবি ভাবনা থেকেই ওভাবে বলা... তবে হ্যা, অনেক কিছুই ভুল হতে পারে... কথার ভুল , ভাবনার ভুল... তবে আলোচনায় সবকিছুই আসতে পারে
তবে শূন্যতা এমন একটা বিশেষ কিছু যার প্রতি আগ্রহ তৈরী হয়েছে... শূন্যতার অনেক স্তরের ভেতরে কোন স্তরটাতে বিরাজ করছি এখনো জানা হয়নি... বিষয়টা নিয়ে অনেক আলাপ করবার মতো কথা এখনো তৈরী হয়নি... সেটা নিয়ে ভাবছি, কথা তৈরী হলে জানাবো...


চিঠি লিখা নিয়ে ''আপনাদের'' শব্দটাতে কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নেই... অনেককেই চিঠি লিখতে দেখি ব্লগে প্রায়শই... জানা, অজানা, প্রিয়, অতিপ্রিয় সব ব্লগারদের... সেই ভাবনা থেকেই বলা... চিঠির প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে বিধায় নিজের ইচ্ছাটার প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম... মন্তব্যের কথাগুলো খেয়াল করে দেখুন আপনাকেই বলছি, অথবা দেখুন আপনাকে নয় ঠিক যেন আমাকেই কথাগুলো বলছি...

ভালোবাসার চিঠি লিখবার জন্য মনের ভেতরে প্রগাঢ় শূন্যতা দরকার... যারা প্রকৃত ভালোবাসে তাদের সম্ভবত তা হয়ও... আমার ভেতরে তা আছে কিনা জানা হয়নি, তাই ওভাবে বলা...
পত্র লিখা ও পত্র প্রাপ্তি দুটোই আনন্দের... স্বাদ পাওয়া যায়... এ এক ভিন্ন রকম অনুভব... আশাকরি আপনি তা জানেন...বোঝেন

আমিও চাই আপনি কথা বলেন... অনেক কথা বলেন... আপনার কথা শুনতে ভালো লাগে... আপনার কথায় ভাবতেও ভালো লাগে... আপনার ক্থাতে নতুন কিছু দৃশ্যমান হতে চায়... এটাই ভালো, এভাবেই ভালো... আমরা না হয় কথার মাঝেই আরো অনেকটা অন্তরঙ্গ সময় অতিবাহিত করবো...

অনেক কথা বলা বাদ থেকে গেলো...

শুভকামনা...



২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯

লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা, ভাল থাকেন অফুরন্ত।
অনেক কথা বললেন, ভাল লাগল।
কথা হবে আরো চলতে পথে।

ধন্যবাদ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা, অনেক দেরী করে উত্তর করলাম।

৩৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

ডরোথী সুমী বলেছেন: চিঠি লেখার দিনগুলিতে ফিরে গিয়েছিলাম। সুপ্ত বাসনা! আপনার, হয়তো সবার। ভাল থাকবেন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
ভাল থাকুন।

৩৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:০৩

অপ্রচলিত বলেছেন: অবিস্মরণীয়, অতুলনীয়।।
আহা শব্দ নিয়ে কি খেলই না দেখালেন। প্রাণটা জুড়িয়ে গেল পড়ে।

"প্রিয়তিনী" নামটি হৃদয় ছুঁয়ে গেল। খুব মিষ্টি ব্যতিক্রমী সম্বোধন।
ভালো থাকুন নিরন্তর, এই কামনায় সর্বদাই।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনি কে বলুন তো? এর আগে কোনদিন দেখিনি তো!

যাদের মনে অবিস্মরণীয়, অতুলনীয় এই ভাবগুলি বিরাজ করে, যাদের অন্তর্দৃষ্টি এগুলো নিয়ে খেলা করে তাদের হৃদয়টিকে খুব স্পর্শ করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তা কঠিন আার দুঃসহ।

"প্রিয়তিনী" শব্দটি নিয়ে উপরে অনেক আলোচনা হয়েছে, একটু দেখে নিবেন দয়া করে। আমার এই পুরানো পোস্টটি যে আপনার চোখে পড়েছে সেটা একটা ভাল ব্যাপার, আর এটি পড়ে অঅপনি যেভাবে সাড়া দিয়ে গেলেন তা আমার মনে থাকবে সবসময়।

আপনার নিকটি সুন্দর। সুন্দর আপনার উপস্থিতি।
শুভকামনা সবসময়ের, আবার দেখা হবে।
ভাল থাকুন।

৪০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৭

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আপনি আজকাল রংধনু/সাপের পা/ডুমুরের ফুল কিংবা
দ্যুতিময় হীরকখণ্ডের ন্যায় দুর্লভ হয়ে উঠেছেন !!

যদিও ব্যাক্তিগত ব্যস্ততা নিয়ে/জীবনের ঠেলাগাড়ির চাকা
অথবা চরকা নিয়ে সবাইকে চলতে হয় আপন পরিসরে !

এক প্রকার আফ্রিকান মোষ আছে যারা তাদের দলের পিছিয়ে পড়া/
দুর্বল সদস্যকে হত্যা করে রেখে চলে যায়,ব্যাপারটা সত্যি নির্মম !

এইখানে/এই ব্লগে আপনার মাপের লেখক খুব কম বলে আপনিও
সবার টান/মায়া/ভালবাসাকে উপেক্ষা করে চলেছেন সম্মুখপানে !

তবুও যেখানেই যান/যেদিকেই তাকান, সুখ/সফলতা স্পর্শ করুক
গগণমোদিত দৃষ্টির সীমানা আর কোমল করতল...!!

১২/০৪/২০১৪ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.