![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয়তিনী,
আমি অন্তত এটুকু বুঝিয়া লইয়াছি যে, বিশ্বসংসারে যে খুব একাকী হইয়া যায়, খুব নির্লিপ্ত হইয়া যায়, এমনকি তার নিজস্ব আত্মসমর্পনও যখন কোন বা কারো অধিকারের জন্য পূজিত হয় না তখন তার জীবন বড় বন্ধুর, বিদীর্ণ তটের মতো হইয়া যায়। অকাল বৃন্তচ্যূত পুষ্পমঞ্জরীর ন্যায় জীবন বিসর্জিত হয় জীর্ণশীর্ণ কবোলিত নির্ভৃত আত্মবেদনায়। তার জীবন ধূসর ধূম্রনীলের মতো মেঘের মধ্যে কোথায় মিলিয়া যায়। তখন কোথায় আরম্ভ করিবে, কোথায় শেষ করিবে, কোনটা ত্যাগ করিবে আর কোনটা রাখিবে এসমস্ত হিসাব করিবার সময় থাকে না।
অথচ সমস্ত কিছুকে অতিক্রম করিয়া হইলেও মানুষ সৌম্যসুন্দর, শান্তশীতল, অনন্ত ভূবনমোহন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়া থাকে, আর এসব কিন্তু মানুষের জীবনেরই অতি প্রকৃত ভাস্য। কিন্তু তুমি, আমি, আমাদের মতো যাদের কোন ভাল সঙ্গী নেই, নিদিষ্ট কোন ভরসা নেই, নেই কোন স্বপ্ন দেখায় আকাঙ্খা, যাহাদের জীবনস্রোাত নিশিদিন কেবল অনির্দেশ লক্ষ্যে ধাবিত হইয়া চলিয়াছে, তাহাদের পতন ঠেকাইবে কে বলিতে পারো?
প্রিয়তিনী, শুধু শুধু যোগিনী সাজিয়া নিরন্তর ক্ষয়িষ্ণু ধূপ জ্বালিয়া নীরব উপাসনা করে যে সব ভীরুরা, তাহাদের অবস্থান কোথায় গিয়া থামিবে তুমি আমাকে একটু বলিয়া দিও তো! তোমাকে লইয়া যে রাগ-বিরাগের গৌরব আমি করি তাহা বোধকরি আমার দোষেই তোমাকে বুঝাইতে পারি না, আমার বর্ণচ্ছটা মনিমালিকা হয়তো আমারই ভুলের জন্যে তোমার হৃদয়পুষ্পকাননে আশ্রয় পায় না, তোমার জন্য আমার যাহা কিছু, তুমি হয়তো ভাবিয়া লও তাহা রূপক মাত্র। তাই আমার সমস্ত অনুভব সে হউক আনন্দের কিংবা বিরহের, তাহা সবকিছু আমাকে ঘিরিয়া থাকে অষ্টপ্রহর, আমাকেই জড়াইয়া আবর্তিত হয় বহুকালপ্রবাহে। আমিও তাহাই চাই, নির্বাণোন্মুখ প্রদীপের মতো স্ফুরিত থাকুক আমার অন্তরে, গহ্বরে। যদি কোন কালে কোন সময়ে মানুষের প্রকৃত ছোঁয়া পায় সেদিন হয়তো ঝরঝর করিয়া আলোকচ্ছটায় ভরিয়া দিবে দিকবিদিক, চারদিক।
আমার হৃদয়কে লক্ষ্য করিয়া যে চক্রাকার সিঁড়ি ঘুরপাক খাইতেছে অহরহ, সেখানই আমার সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, শান্তি-বিরহ, উৎসাহ-ব্যাথা, কষ্ট-তুষ্টি সবকিছু অনাদিকাল, আমরণ চলিতে থাকুক। তাহা হইলে আর ইহকাল আমার কণ্ঠরুদ্ধ করিতে পারিবে না। কিন্তু সবকিছুকে দুরে ঠেলিয়া দিয়া কি স্থির থাকা যায়?
তাই বলি,একটি হাস্যধ্বনি ভরা মধুর জীবন, যেখান থেকে অন্ধকারের মেঘ মুহর্তের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইবে, কোন চৈতি সন্ধ্যায় সুললিত দখিণার স্পর্শ মন ব্যাকুল করিয়া দিবে, সেই সমতটের জীবনে সুখ ঢালিয়া দিতে প্রাণ চঞ্চল আর অস্থির হইয়া ওঠে। তুমি হয়তো বলিবে, “সোনার ফুলদানির চাইতে গাছেই ফুলকে মানায় বেশি” কিন্তু যাহা হইতে বঞ্চিত হইয়া যে সুখ পাওয়া যায়, শুভদৈবক্রমে পুণরায় সেখানে দু-বাহু প্রসারিত করিলে মাঝে মাঝে সেই সুখ থাকিয়াও যাইতে পারে।
তাই বলি,----------
এ কেবল ছন্দহীন মায়া
এ কেবল স্বপ্নহীন ছায়া
এ কেবল মায়াহীন জীবন
এ কেবল ছায়হীন স্পন্দন
জীবন সে তো বেঁচে থাকার আশা
মায়া সে তো মনে রাখার তৃষা
আশার আলো মুখ ফিরিয়ে নেয়
তৃষার জ্বালা প্রাণ পুড়িয়ে দেয়।
প্রিয়তিনী,
আমার কথা যদি স্বপ্নেও তোমার মনে উঁকি দেয়, তাহা হইলে কোন নির্জন রাতে মায়াভরা চাঁদ হইতে একমুঠো কিরণ নিয়া হৃদয় ভরিয়া লইয়ো। যাহার ভিতর দিয়া পথ চলা প্রতিদিন, বিন্দু বিন্দু সুখ কিংবা ছোট ছোট দীর্ঘঃশ্বাস, জীবনকে প্রসারিত করিতে প্রতিনিয়ত সাহায্য করিতেছে যে সমস্ত নিগূঢ় অনুভূতি, সেই সব অমূল্য অলঙ্কার দিয়ে মনের আঁধার ঘুচাইয়া লইয়ো।
আমি?
আমি তো আকন্ঠ ডুবিয়া থাকি সুন্দরকে দেখিবার নেশায়, যাহা রহিয়াছে উড়ন্ত পাখির ঝাঁকে, রাস্তার কলের ধারে স্নানরত ভিখিরি শিশুদের উল্লাসে, কিংবা প্রগলভা নারীর নটভঙ্গীতে। এই চিত্রপট ঈশ্বরের, সারাদিন তিনি ইহার উপর মায়ার খেলা খেলিয়া চলিয়াছেন। ওই-ই আমার প্রেরণার উৎস, ওই-ই আমার বাঁচিয়া থাকা। কে বলিবে আমি আর কোন দিন সাগরের জল স্পর্শ করিতে পারিব না, কে বলিবে আমি আর কোনদিন পাহাড় চূঁড়াতে ফুল দিতে পারিব না!
এবার শেষ করিব, সবশেষে একটা কথা বলি,
“ ভালবাসিয়া যত না আনন্দ, না ভালবাসায় সুখ যে তাহার চাইতে অনেক অনেক বেশি”
এই সত্য মাথায় লইয়া এই লিপিখানির এখানেই যবনিকাপাত করিলাম।
ইতি,
স্বপ্নবিলাসী লেখোয়াড়।
"বুকভরা মোর কান্না দিয়ে দিলাম চিঠি লিখে" .......... এই লাইনটি লতা মুঙ্গেশকরের একটি গান থেকে লওয়া হইয়াছে।
( সাধু ও চলতি ভাষার মিশ্রণ র্বজনীয়, তেমন দেখিলে ভুল ধরাইয়া দেওয়া বাঞ্চণীয়, এই সময়ে সাধুভাষায় লেখা যথেষ্ঠ কষ্টনীয়)
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
প্রিয় মন
প্রিয় বোকামন,
আমি অকাল বৃন্তচ্যূত পুষ্পমঞ্জরীর কথা বলিতে চাহিনাই, আমি মহাশূণ্যতায় মিশে যাওয়া মায়ামমতার কথা বলিতে চাহিনাই,
আমি চাহিয়াছি আজ সব মরিচা, সব জং, সব পুরাতন ধূঁইয়া-মুছিয়া নির্মল, নিষ্পাপ হইয়া উঠুক। সেখানে ধূপ-দ্বীপ সৌরভ ছড়াইযা পড়ুক অফুরন্ত জীবনের জয়গানে।
আপনাকে প্রিয়তর ধন্যবাদ আর ভাললাগা।
ভাল থাকুন বাতাসে সুবাসে।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: প্রীত হইলাম আপনার লেখাখানি পরে মান্যবব লেখোয়ার। এত ভাল লিখিয়াছেন যে পরিতে ভাল লাগিল। যদিও আমি সাধু ভাষা এখনো পুরোপুরি রপ্ত করিতে পারি নাই। তাহার পরও কস্টেবিস্টে লেখাখানা পরিয়া খুবই ভাল লাগলি। ধন্যবাদ জানিবেন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
দয়া করিয়া একটু খেয়াল করিবেন যে, আমি লেখোয়ার নই, আমি "লেখোয়াড়"। আমি জানি এটা আপনার অনিচ্ছাকৃত, এখানে অনেকেই প্রথক দিকে আমার নিকটি এমনভাবে মিস করেন।
আপনি বলিয়াছেন সাধুভাষা এখনো পুরোপুরি রপ্ত করিতে পারেননাই, আমি বলি এটা কোন ব্যাপারই না, অন্তরের কথা সঠিকভাবে প্রকাশ করিতে পারিলেই হইলো।
আপনি যে অন্তরিকতা আর দরদ লইয়া মন্তব্য করিলেন তাহাতে আমি যাহারপরনাই পুলকিত।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাইলাম।
সাথে থাকিবেন, এই আশাই করিলাম।
ভাল থাকুন।
৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
টুম্পা মনি বলেছেন: চমৎকার লেখনী হইয়াছে। ভালো লাগিল খুব।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২
লেখোয়াড় বলেছেন:
ওহে টুম্পা মনি।
ভাল লাগিল বলিয়া চলিয়া যাওয়া চলিবে না।
ভুল-শুদ্ধ বাহির করিতে হইবে। তাহা হইলেই বুঝিতে পারিব
কতখানি ভাল হইয়াছে।
সময় করিয়া আসিয়া কথা বলিবার জন্য ধন্যবাদ প্রদান করিলাম।
ভাল থাকিবেন।
৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
আরজু পনি বলেছেন:
ভালো লাগা রহিল ।।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
লেখোয়াড় বলেছেন:
গতকাল দেখিয়াছিলাম এখানে কথা বলিয়াছেন। আজকে দেখিলাম নিচে আবার কথা বলিয়াছেন। তো..... গতকাল এই মন্তব্য দেখিয়া কি উত্তর দিব ভাবিয়াছিলাম তাহা অক্ষুন্ন রাখিয়াই এখানে বলিলাম।
ভাল লাগা রহিল।।
........... অনেক ব্যস্ত সময়ের মাঝেও আমার এখানে আসিয়া কথা বলিয়াছেন দেখিয়া আমারো ভাল লাগিল। আপনার মহত্ব শুধুই আমাকে ধ্বংস করিয়া চলে।
অনেক ধন্যবাদ, আবার আসিবেন।
ভাল থাকিবেন।
৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: “ ভালবেসে যত না আনন্দ, না ভালবাসায় সুখ যে তাহার চাইতে অনেক অনেক বেশি”
দারুন সত্যি নিরন্তর শুভকামনা জানবেন। পড়ে দারুণ ভাল লেগেছে।৪র্থ ভাল লাগা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
লেখোয়াড় বলেছেন:
“ ভালবেসে যত না আনন্দ, না ভালবাসায় সুখ যে তাহার চাইতে অনেক অনেক বেশি”............... কথাটি কিন্তু সত্যি আর কঠিন।
এখন ভাবিতেছি কি করিয়া বলিলাম এমন কথা!
যাহারা "ভালবাসা-বাসি" করিতেছে তাহাদের জন্য কথাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সেলিম আপনাকে সবসময় দেখি, এটা আমার খুব ভাল লাগে।
অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকেন।
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
“ ভালবেসে যত না আনন্দ, না ভালবাসায় সুখ যে তাহার চাইতে অনেক অনেক বেশি”
ভাবনার কথা বলে ফেললেন, কবি।
ভালো লাগলো এই পোস্টও।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনিও সেই কঠিন কথাগুলি কোড করিয়াছেন।
স্বর্ণকার তো সোনাই চিনিবে।
তবে এই কথাটির জন্য আপনার ভিতরে কি কি ভাবনার উদয় হইল তাহা জানাইলে ভাল লাগিত, আমার মনশ্চক্ষু প্রসারিত হইতো।
সময় পাইলে বলিয়া যাইবেন।
অনেক ধন্যবাদ কবি, লেখক দূর্জয়।
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শরৎচন্দ্রের কোন লেখা পড়িতেছি নাকি? স্ক্রল টানিয়া উপরে উঠিয়া দেখি- না, ইঁহার নাম মহাত্মন লেখোয়াড়।
লেখাটায় একটা গভীর জীবনদর্শন তুলে এনেছেন যা এর মূল উপজীব্য। চমৎকার। কবিতাংশও খুব ভালো লাগলো।
সাধু-চলিত রীতির মিশ্রণ
কবিতাংশের পর থেকে মিশ্রণ দৃষ্ট হয়েছে। পুরোটা এরকম হতে পারেঃ
প্রিয়তিনী,
আমার কথা যদি স্বপ্নেও তোমার মনে উঁকি দেয়, তাহা হইলে কোন নির্জন রাত্রিতে মায়াভরা চাঁদ হইতে একমুঠো কিরণ হৃদয় ভরিয়া লইয়ো। যাহার ভিতর দিয়া পথ চলা প্রতিদিন, বিন্দু বিন্দু সুখ কিংবা ছোট ছোট দীর্ঘশ্বাস, জীবনকে প্রসারিত করিতে প্রতিনিয়ত সাহায্য করিতেছে যে সমস্ত নিগূঢ় অনুভূতি, সেই সব অমূল্য অলঙ্কার দিয়া মনের আঁধার ঘুচাইয়া লইয়ো।
আমি?
আমি তো আকণ্ঠ ডুবিয়া থাকি সুন্দরকে দেখিবার নেশায়, যে রহিয়াছে উড়ন্ত পাখির ঝাঁকে, রাস্তার কলের ধারে ¯œান করা ভিখারি শিশুদের উল্লাসে, কিংবা প্রগলভা নারীর নটভঙ্গীতে। এই চিত্রপট ঈশ্বরের, সারাদিন তিনি ইহার উপর মায়ার খেলা খেলিয়া চলিয়াছেন। ওই-ই আমার প্রেরণার উৎসা, ওই-ই আমার বাঁচিয়া থাকা। কে বলিবে আমি আর কোন দিন সাগরের জল স্পর্শ করিতে পারিব না, কে বলিবে আমি আর কোনদিন পাহাড় চূড়াতে ফুল দিতে পারিব না!
এইবার শেষ করিব, সবশেষে একটা কথা বলি,
“ভালবেসে যত না আনন্দ, না ভালবাসায় সুখ যে তাহার চাইতে অনেক অনেক বেশি”
এই সত্য মাথায় লইয়া এই লিপিখানির এখানেই যবনিকাপাত করিলাম।
***
শুভ কামনা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
( সাধু ও চলতি ভাষার মিশ্রণ র্বজনীয়, তেমন দেখিলে ভুল ধরাইয়া দেওয়া বাঞ্চণীয়, এই সময়ে সাধুভাষায় লেখা যথেষ্ঠ কষ্টনীয়)
............... এই জন্যই ওই কথাগুলি বলিয়া লইয়াছি। আপনি ভুল ধরাইয়া দিয়া সঠিক কাজটি করিয়াছেন, তবে কবিতার পরের অংশটুকুতে এত ভুল কি করিয়া হইল ভাবিতেছি, আমি তো দেখিয়াছিলাম। মনে হইতেছে, ওয়ার্ডে টাইপ করার পর প্রথমবার দেখার পর সেফ করা হয়নাই, পরে না দেখিয়া কপি করিয়া পোস্ট দিয়াছি, সেইজন্য এমন ভুল রহিয়া গিয়াছে, আর পোস্ট দেওয়ার পর আর এডিট করিবার কথা চিন্তা করিনাই।
যাহা হউক আপনার সহযোগিতা সবসময় উপকারী।
লেখাটায় একটা গভীর জীবনদর্শন তুলে এনেছেন যা এর মূল উপজীব্য।
............. এমন কিছু শুনিতে খুব ভাল লাগিল। হৃদয়ের সব উষ্ণতা সহকারে এমনভাবে ভাবিতে আপনি ছাড়া আর কে পারে বলুন প্রিয় সোনাবীজ।
চিঠিটির আগের অংশে আপনার কথা আশা করিয়াছিলাম, কিন্তু ব্যস্ততায় বোধকরি আসিতে পারেন নাই। শেষ পর্যন্ত যে এখানে পাইলাম তাহাতেই ধন্য হইলাম। এই ধারা অব্যাহত থাকুক।
ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫২
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: প্রিয়তিনীর প্রথম পর্ব পড়েছিলাম। দ্বিতীয় পর্বেও ভালোলাগা রেখে গেলাম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১১
লেখোয়াড় বলেছেন:
ভ্রাতা, দুই পর্বেই আপনার উপস্থিতি আমাকে স্ববিশেষ আনন্দ দিয়াছে। এখন একথা বলিতে আমার কোন প্রকার দ্বিধা নেই যে, আমরা একে অপরের প্রকৃত সঙ্গী হইয়াছি, এবং এই বন্ধন অটুট থাকিবে নিশ্চয়ই।
এই চিঠি লিখিতে আমার যথেষ্ট বেগ পাইতে হইয়াছে, কিন্তু আপনাদের মতো কয়েকজন প্রকৃত মানুষের সহচর্য পাইয়া আমি সব কষ্ট ভুলিয়া গিয়াছি।
আপনাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি।
ভাল থাকুন আর ভাল থাকুন।
৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই এত সুন্দর করে লেখেন কিভাবে, জাস্ট আমি বাকরুদ্ধ
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনি তো সকল কাজের, সকল পথের কান্ডারী।
সেই জন্য আপনাকে দেখিলে অতি সাহসে ভরিয়া ওঠে বুক।
"ভাই এত সুন্দর করে লেখেন কিভাবে"
............. সুন্দর কিনা ! তবে অসুন্দর তো! জানি না।
কিছু একটা লিখিয়া কিছু একটা পূরণ করিবার চেষ্টা।
আপনার স্বহৃদয় আনমনে চঞ্চল হইয়া উঠুক।
শুভকামনা।
১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জীবন সেতো মায়ার জালে আটকে থাকা পূর্ণতা প্রত্যাশী কেবল!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
লেখোয়াড় বলেছেন:
"জীবন সেতো মায়ার জালে আটকে থাকা পূর্ণতা প্রত্যাশী কেবল!"
আমি কিন্তু শুধু এটাই বলিনাই অভি।
আমি বলিয়াছি.............,“ ভালবাসিয়া যত না আনন্দ, না ভালবাসায় সুখ যে তাহার চাইতে অনেক অনেক বেশি"
............. জীবন সবসময় পূর্ণতা প্রত্যাশী নয়। কিন্তু সেরকম মানুষ খুঁজিয়া পাওয়া খুবই কঠিন।
অনেক ধন্যবাদ দামী একটি কথা বলিবার জন্য।
১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
আরজু পনি বলেছেন:
মানুষ যখন খুব ব্যস্ত থাকে তখন তার পোস্ট পাবলিশ করা ঠিক কি না বুঝতে চেষ্টা করছি ...
তবে ফ্রি সময় ভেবেই হয়তো কেউ পোস্ট পাবলিশ করে পরে কোন কারণে ব্যস্তও হয়ে যেতে পারে...সেটাও ভাববার মতো বিষয় বটে ...
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
"মানুষ যখন খুব ব্যস্ত থাকে তখন তার পোস্ট পাবলিশ করা ঠিক কি না বুঝতে চেষ্টা করছি ..."
আপনাকে এমনভাবে আমি বললে আপনি বলতেন, "বুঝতে চেষ্টা করুন লেখোয়াড়।"
আমি অতটা নির্দয়, নির্মম আর নিষ্ঠুর হতে পারবো না, যতটা না আপনি!
".সেটাও ভাববার মতো বিষয় বটে ..."
'বটে' শব্দটি আপনি আজকাল খুব বেশি ব্যবহার করছেন। বটে শব্দটি ব্যবহারের অর্থ হলো কোন কিছুকে লুকিয়ে রেখে সায় দেয়া।
না, আমি খুব ব্যস্ত নই, আপনার পরের লাইনে বলা ধারনাটি কিছুটা ঠিক আছে।
ভাল লাগা রহিল!!
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: রবীন্দ্রছোঁয়া লাগলেও, পত্রে নিজস্বতা সম্পূর্ণ বর্তমান। সেই সাথে ছিটেফোঁটা দর্শনের আবির্ভাব এবং আবেগি বিদায়ে লেখোয়াড়ের স্বপ্নবিলাস আনন্দ দিল অনেক।
শুভেচ্ছা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
লেখোয়াড় বলেছেন:
সুন্দর গুছাইয়া কথা বলিলেন, অল্প কথায় অনেক।
আপনাদের কথাতেই আপনাদের উপর দায় বাড়িয়া যায় অনেকগুণ।
এই দায় মিঠাইবার ভার আমি নিসঙ্কোচে কাঁধের উপর তুলিয়া লইলাম।
ধৈর্য্য লইয়া যে চিঠিটির দুই পবই পড়িলেন, তাহাতে আপনাকে বিশেষভাবে সন্মান জানাইতেছি।
ভাল থা্কুন চিরকাল।
১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:১৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ঈর্ষনীয় লেখনি! ঈর্ষনীয় ভাষার বুনট! এ যেন ভাষা নিয়ে শব্দ নিয়ে জাদু খেলার প্রদর্শনী! আহ! কিভাবে যে লেখেন এমন লেখা! চিঠিটা পড়ার পরেও বেশ কিছুক্ষণ মন খারাপ করা আবেশ ধরে ছিল!
আমার হৃদয়কে লক্ষ্য করিয়া যে চক্রাকার সিঁড়ি ঘুরপাক খাইতেছে অহরহ, সেখানই আমার সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, শান্তি-বিরহ, উৎসাহ-ব্যাথা, কষ্ট-তুষ্টি সবকিছু অনাদিকাল, আমরণ চলিতে থাকুক। -- এই অংশটায় স্তব্ধ হয়ে ছিলাম, কয়েক বার পড়েছি এই লাইনটি। গ্রেট স্টাইল, গ্রেট লেখা।
শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন প্রিয় লেখক, আর এমনি করে আমাদের লেখার যাদুতে মোহবিষ্ট করে রাখুন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
প্রিয়
প্রিয় মানুষ,
প্রিয় শান্তির অগ্রপথিক, আপনি আমার এখানে আসিলে কেন যে আমার হৃদয়ে একটি শান্তির স্পর্শ খেলা করিতেছে, কেন যে আমার মন পবিত্র হইয়া উঠিতেছে তাহা বুঝিতে পারিতেছি না। আপনার বলা শব্দগুলি যেন কোজাগরী মুগ্ধতা আর নৈসর্গিক স্নিগ্ধতা। আমি নির্দ্বিধায় বলিতে পারি একজন সত্যিকারের হৃদয়বান দেবতার সন্ধান পাইয়াছি।
সত্যিই ইহা আমার পরম সৌভাগ্যের!
আমি আসলে চিঠিখানির অত গুরুত্ব দেই নাই, যেমন ব্লগিংটাকেই আমি অত গুরুত্ব দেই না, কিন্তু এখন দেখিতেছি আপনাদের স্পর্শে আর অভিমাত্রায় চিঠিখানি হাসিয়া-কাঁদিয়া শতপুষ্পের ন্যায় ফুটিয়া উঠিয়াছে। এসব আপনাদেরই দান আর দক্ষিণা। আমার মনমর্মরপিঞ্জরে এখন এই ভাবনাই আকুলি-ব্যাকুলি উঠিতেছে, আমি যদি আরো একটু খেয়াল করিতাম তাহা হইলে চিঠিখানি মনে হয় আরো আকর্ষণীয় হইয়া উঠিত।
তবে চিঠিতে আপনার অন্তরের যে আন্তরিক ছোঁয়া পাইলাম, যে দরদ নিয়ে আপনি আমার এখানে কথা বলিলেন তাহা আমার মনের মানকোঠায় চিরদিন শতশ্রদ্ধায় জড়াইয়া থাকিবে।
আপনাকে শ্রদ্ধা আর প্রণাম।
এইভাবে দিন দিন আপনি আমাকে ঋণী করিলে চির কৃতজ্ঞ থাকিব।
পূজা আর ঈদের শুভেচ্ছা থাকিল, ভাল থাকুন প্রিয়জনদের নিয়ে।
১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
শায়মা বলেছেন: চিঠি আমার সবসময় প্রিয়!!!
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
লেখোয়াড় বলেছেন:
চিঠি আপনার সবসময় প্রিয় শায়মা?
কই, একটা চিঠিও কি লিখিয়াছেন আপনার ব্লগে, জানিনা, আছে কি না।
না থাকলে একটা লিখিয়া ফেলেন, আপনার তো লেখায় হাত ভাল।
লিখবেন তো?
১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেকদিন পর বিথিকে দেখিলাম।
অনেকদিন পর বিথির কথা শুনিলাম।
অনেকদিন পর আনন্দে আত্মহারা হইলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
তওসীফ সাদাত বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়েছিলাম। আজকে এটা পড়লাম। একটা ঘোর এর মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম পড়তে পড়তে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
দুটো পর্বই পড়িয়াছেন জেনে প্রীত হইলাম। আর চিঠি পড়িয়া আপনার মাঝে যে অনুভূতির অনুরণ দেখতে পাইলাম তাহা আমাকেও দারুনভাবে আন্দোলিত করিল।
এইভাবে লেখক আর পাঠকের মাঝে সম্পর্ক গড়িয়া উঠিলে সবদিক দিয়াই ভাল হইয়া ওঠে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন রাত্রিদিন।
১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আপনার পোষ্টের সাথে আমার কি শত্রুতা আছে ! পোষ্টটা সুন্দর হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না কিন্তু ব্লগে ঢুকে এদিক ওদিক যাই কিন্তু আপনার পোষ্টে আর ঢুকা হয়ে উঠে না। আজ যাও ঢুকলাম আর পড়লামও কিন্তু কমেন্ট না করেই করে চুপ করে গেলাম
দুর্দান্ত ও অসাধারন পোষ্ট +++
আমার সাধু ভাষার কিছু পড়তে সবসময়ই একটু বিরক্ত লাগে কিন্তু একটানে পড়ে ফেললাম আপনার চিঠি।
আমার কথা যদি স্বপ্নেও তোমার মনে উঁকি দেয়, তাহা হইলে কোন নির্জন রাতে মায়াভরা চাঁদ হইতে একমুঠো কিরণ নিয়া হৃদয় ভরিয়া লইয়ো। যাহার ভিতর দিয়া পথ চলা প্রতিদিন, বিন্দু বিন্দু সুখ কিংবা ছোট ছোট দীর্ঘঃশ্বাস, জীবনকে প্রসারিত করিতে প্রতিনিয়ত সাহায্য করিতেছে যে সমস্ত নিগূঢ় অনুভূতি, সেই সব অমূল্য অলঙ্কার দিয়ে মনের আঁধার ঘুচাইয়া লইয়ো।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
লেখোয়াড় বলেছেন:
আমিনুর ভাই,
না আমার পোস্টের বা ব্লগের সাথে আপনার কোন শত্রুতা নেই। যাহা আছে তাহা হইল হ্রদয়ের প্রগাঢ় আর নিগূঢ় বন্ধন।
আমারো ওই রকম হয়, প্রতিদিন মনে ভাবিয়া লই আজ অনেক জনের ওখানে মন্তব্য করিব কিন্তু শেষ পর্যন্ত হইয়া ওঠে না, ইহাতে নিজেই অত্যন্ত কষ্ট পাইয়া থাকি। আমি অনেকের ওখানে সময় মতো মন্তব্য করিতে পারি না প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও।
আপনি আসিয়াছেন ইহাতেই আমি তুষ্ট।
আর মনোযোগ দিয়া যে পড়িলেন ইহাতেই আমি কৃতার্থ।
অনেক ভাল লাগল আপনার কথায়।
ধন্যবাদ এবং ভাল থাকার শুভকামনা।
১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
আরজু পনি বলেছেন:
আপনি শুধু লেখা শব্দের অর্থই করলেন...এর ভাবগত অর্থ বুঝলেন না !
ঠিক আছে...ভুলই বুঝুন... !
ঈদে বন্ধ নাম্বার সচল থাকলে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন যেতেই পারে...
কলব্যাক করা না করাটা যাকে ফোন করা হলো তার ইচ্ছের উপরই থাকুক ।।
আমি না হয় এখানেই শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি ।
ঈদ, প্রিয়জনদের সাথে আনন্দে কাটুক ।।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:০০
লেখোয়াড় বলেছেন:
ভুল বুঝিনি।
আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
আপনাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত সুখ ও শুভতায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক।
ভাল থাকুন।
১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: একজন সুদক্ষ লেখকের অসামান্যত্বে মুগ্ধ হয়েছি সমস্ত চিঠি জুড়ে! অসাধারণ ভালো লাগা ছুঁয়ে গেছে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনার পদধূলির স্পর্শে আমার ব্লগ অঙ্গনখানি মোহিত হইয়া উঠিল, পথিক। এই ভাবিয়া মনে মনে একটি শান্তির পরশ অনুভব করিতেছে যে, আপনি আমাকে এখনো মনে রাখিয়াছেন।
একটি সুন্দর মন লইয়া এখানে আসিয়া যাহা বলিলেন, তাহা ধরিয়া রাখিবার মতো যোগ্যতা আমার হইয়াছে কিনা বুছিতে পারিতেছি না।
" একজন সুদক্ষ লেখকের অসামান্যত্বে" এই অমূল্য অলঙ্কার কিভাবে আমি অনাগত ভবিষ্যতে ঝকঝক আর সমুজ্জ্বল রাখিব তাহাই শুধু ভাবিতেছি। কারণ, নিজের সম্পর্কে রকম শুনিলে যে দায়িত্ব অনেকখানি বাড়িয়া যায়।
আমাকে আশির্বাদ করিবেন পথিক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
ভাল থাকিবেন।
২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
আরজু পনি বলেছেন:
--------
উফফফ্ !
এতো বকা দিতে পারেন !
অবশ্য প্রিয় মানুষগুলোর বকাও খুব কাজে লাগে ।
একটা ইমো দেবার ইচ্ছে প্রচন্ড ভাবে দমন করলাম ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
লেখোয়াড় বলেছেন:
সব প্রিয়, প্রিয় নয়।
সব মন, মন নয়।
২১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩
অদৃশ্য বলেছেন:
সুহৃদ
প্রথম চিঠিটা থেকে ২য় চিঠিটার সময়ের পার্থক্য খুব জানতে ইচ্ছে করছে... প্রথম চিঠিটা ছিলো প্রেমাবেগে ভরপুর আর এই চিঠিটা শ্রদ্ধেয় খলিল ভাইয়ের ভাষায় ''গভীর জীবনদর্শন'' বা জীবনবোধে ভরপুর... তাই জানতে ইচ্ছা হচ্ছিলো ঠিক কতটা সময়ের ব্যাবধানে প্রিয়তিনীকে এভাবে এমন ভাবনায় একটি চিঠি আপনি লিখতে পারলেন...
তবে কি ১ম টা নতুন এক জীবনের শুরুর আর ২য়টা সেই জীবনেরই অভিজ্ঞতার মধ্যগগণে থাকবার কাল... আমিতো পাঠক, আমার ভাবনার ভিন্নতা আসতেই পারে....
তবে আপনার এই লিখাটি আমাকে গভীরভাবেই স্পর্শ করলো... অনন্য সুন্দর ভাবের এক অনন্য সাধারণ চিঠি... যার প্রতি অংশের ভাবের ত্রিশুলে বিদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা...
আপনি ছাড়া এমন চিঠিতো আর কারও কাছ থেকে পাবার আশা করিনা... এমন সুন্দর শব্দ ও কথা কি সবাই লিখে প্রকাশ করতে পারে...
শুভকামনা...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা, এই পুরনো খোতে আর কথা না বলি।
২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
অদৃশ্য বলেছেন:
'' প্রিয়তিনী,
আমার কথা যদি স্বপ্নেও তোমার মনে উঁকি দেয়, তাহা হইলে কোন নির্জন রাতে মায়াভরা চাঁদ হইতে একমুঠো কিরণ নিয়া হৃদয় ভরিয়া লইয়ো। ''
______ এইখানে কিরনের জায়গাতে জ্যোৎস্না/জোছনা শব্দটা আসলে আমার কাছে কিছুটা বেশি ভালো লাগতো_____ কিরণ শব্দটা কোমল মায়াভরা চাঁদের সাথে মিলাইতে কষ্ট হচ্ছে... তবুও লেখকের কথাই শেষ কথা
সুহৃদের জন্য
শুভকামনা...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক দেরীতে কথা বলছি।
২৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:০০
শ্যামল জাহির বলেছেন: রাগ-বিরাগের গৌরবময় পত্র পড়িয়া বড়ই মুগ্ধ হইলাম- কথার জাদুকর লেখোয়াড়!
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনার মন্তব্য দেখেছিলাম।
কিন্তু সময় মতো উত্তর করতে পারিনি।
সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
ভাল থাকুন।
২৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এবারের চিঠখানা আরো বেশি আবেগময় হইয়াছে। প্রিয়তিনীকে রীতিমত ঈর্ষা হইতেছে।
আহা সাধু! সাধু!
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
লেখোয়াড় বলেছেন:
কতদিন পরে এলাম।
একটু বসি।
অনেক দিন পরে এলে তাল কেটে যায়।
২৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৪২
ডরোথী সুমী বলেছেন: সবই মায়া আর ছায়ার খেলা। শুভ কামনা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
লেখোয়াড় বলেছেন:
সবই মায়া আর ছায়ার খেলা।
ভাল বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ।
২৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০১
আশা জাগানিয়া বলেছেন:
এমন চিঠি ডাকে পেলে খুব ভালো লাগতো ...অনেক সুন্দর ।।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
লেখোয়াড় বলেছেন:
ঠিকানাটা দিয়ে তো এ কথা বলতে পারতেন।
দিয়ে দিন ঠিকানাটা, ঠিকই চিঠি যাবে।
২৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
অদৃশ্য বলেছেন:
সুহৃদ
ঘটনাটা কি... ঘুরছেন ফিরছেন অথচ মন্তব্যগুলোর জবাব দিচ্ছেননা? খুব বেশি ব্যস্ততা চলছে মনে হয়...
ভালো থাকুন
শুভকামনা...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫১
লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা,
মন যেটাকে যখন আকর্ষণ করে সেদিকে ছুটে যায়।
আমি কি করতে পারি।
২৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
আরজু পনি বলেছেন: অদৃশ্য বলেছেন:
সুহৃদ
ঘটনাটা কি... ঘুরছেন ফিরছেন অথচ মন্তব্যগুলোর জবাব দিচ্ছেননা? খুব বেশি ব্যস্ততা চলছে মনে হয়...
ভালো থাকুন
শুভকামনা...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২
লেখোয়াড় বলেছেন:
খুব জানতে ইচ্ছে করছে?
দেখা যাক আগে তো ব্লগে আসি।
২৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
বিন্দু বিন্দু সুখ কিংবা ছোট ছোট দীর্ঘঃশ্বাস, জীবনকে প্রসারিত করিতে প্রতিনিয়ত সাহায্য করিতেছে যে সমস্ত নিগূঢ় অনুভূতি, সেই সব অমূল্য অলঙ্কার দিয়ে মনের আঁধার ঘুচাইয়া লইয়ো।
প্রিয় লেখক,
একটা দারূন অনুভূতির কথা বলি..
২০০১ সালে আমি যখন "শেষের কবিতা" পড়ি
তখন আমি ভালোলাগা লাইনগুলো আন্ডারলাইন
করতাম, শেষমেষ দেখি পুরো বইটাতে দাগাদাগিতে
ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে...!!
আপনার লেখাটাকে কিন্তু মশিশল্য থেকে নিস্কৃতি দিলাম..!
অনেক ভালোলাগা ৷
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
ওহো, আপনি এখানেও একটি মন্তব্য করেছেন?
আমি তো খেয়ালই করিনি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
"শেষের কবিতা" নিয়ে আপনার অনুভূতির কথা জেনে ভাল লাগল। শেষের কবিতা ক'বার পড়েছেন এখন পর্যন্ত?
আমি আবার আপনার প্রিয় লেখক হলাম কবে? আমার লেখা খুব একটা পড়েছেন বলে আমার জানা নেই। আমার লেখাটিকে মশিশল্য হতে নিস্কৃতি দিলেন বটে কিন্তু আমার হৃদয়ে যে একটি ভাললাগার হুল ফুঁটিয়ে দিয়ে গেলেন, জানেন তো লেখকরা একটু নরম হয়।
আবারো ধন্যবাদ, আপনার ওখানে দেখা হবে নিশ্চয়ই।
ভাল থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
বোকামন বলেছেন:
অথচ সমস্ত কিছুকে অতিক্রম করিয়া হইলেও মানুষ সৌম্যসুন্দর, শান্তশীতল, অনন্ত ভূবনমোহন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়া থাকে, আর এসব কিন্তু মানুষের জীবনেরই অতি প্রকৃত ভাস্য।
হূম ...
গানটা শুনেছি সম্ভবত !
জং ধরা চিঠি, লেখক ঘষামাজা করে চকচকে করে দিয়েছেন ।।
শুভকামনা প্রিয় কবি লেখোয়াড় ।