![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“হে ঈশ্বর! তাকে সৃষ্টি করা উচিত হয়নি তোমার, কেননা কেউ তাকে সবচেয়ে ভালবাসে”
আপনি তো তাকে খুব ভালবাসেন। তাহলে এত সহজে, এত স্বেচ্ছায় তাকে অন্য নারীকে ভাগ দিয়ে দেন কেন? অর্থাৎ আপনার স্বামী একসঙ্গে অনেকগুলো বিয়ে করলে মেনে নেন কেন? কে দোষী পুরুষ না অন্য নারী?
মিথ্যে কথা বলবেন না, নিজের হৃদয়ের কাছে প্রশ্ন করে উত্তর দিন, নিজের প্রেমিক বা স্বামীকে অন্য কোন নারীর সাথে বা একাধিক নারীর সাথে দেখতে চান কিনা, ভাগ দিতে চান কিনা, ভাগ দিলে আপনার অন্তর পোড়ে কিনা, সেই অন্তর পোড়া জ্বালা ধর্ম এসে উপশম করে দিতে পারে কিনা?
ভাগ দিলে যদি কষ্ট না হয় তাহলে সালমা আকতার তার স্বামী অন্য যায়গায় বিয়ে করবে শুনে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলো কেন? রুবিনা পারভীন তার তার প্রেমিককে অন্য মেয়ের সাথে বসতে দেখে গলায় ওড়না পেঁচালো কেন?
যদি আপনার অন্তর না পোড়ে তাহলে আপনি হয় দেবী নতুবা ডাইনী।
তাহলে ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্য নারীকে নিয়ে যখন আপনার স্বামীর সাথে একসঙ্গে ঘর করেন, সেটা কি আপনার মনের বিরুদ্ধে নয়? বাধ্য হয়ে নয়? তখন কোথায় থাকে আপনার হৃদয়ের অব্যক্ত ক্রন্দন, নিরব ক্ষরণ, নিদারুন যন্ত্রণা?
তাহলে ধর্মের সাথে আপনার মনের এখানে কি কোন সংঘর্ষ আছে??
ধর্ম - আধ্যাতিকতা, সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত জীবন বিধান।
অধর্ম - সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত জীবন বিধানের অবমাননা।
সুধর্ম - হৃদয় বা ভালবাসার নিজস্ব একটি সুনিদিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেটাই সুধর্ম।
পুরুষ জাতি এখানে কথা বলবে না কারণ এটা নিয়ে যদি আপনারা প্রতিবাদ করেন তো তাদের মুখোশ খুলে যাবে, তারা একসাথে অধিক নারীভোগ হতে বঞ্চিত হতে চাইবে না, ছি! ছি! পুরুষ, তুমি একটা কাপুরুষ। তুমি একসঙ্গে অনেকগুলো বিয়ে করো!!
“অন্য নারীকে ভাগ” এখানে অন্য নারীকে কিন্তু দোষী করছি না, দোষী করছি সেই পুরুষকে যারা ধর্মের কথা বলে অন্য নারী বা আপনাকে দুজনকেই ভোগ করতে চায়, তাই অন্য নারী বা আপনাকে, দুজনকেই আমার প্রশ্ন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
লেখোয়াড় বলেছেন:
দুঃখিত কখন উত্তর করেত পারবো জানিনা।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
বিয়ে কখনো নিছক সংসার চালানো, কিংবা জৈবিক তাড়নার জন্য নয়। তাহলে তো আজকে মানুষ আর মানুষ হতো না, মানুষ সমাজবদ্ধভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিত না। নিজের জীবনের জন্য মানুষ এত উন্নত মূল্যবোধের চিন্তা করতো না।
এই জন্যই তো জীবন আর ভালবাসা এত মহিমাময়, এত মূল্যবান, এত তাৎপর্যময় এবং এই জন্যই জীবন আর ভালবাসার জন্য মানুষের এত হাহাকার।
এবং সত্যি বলতে এই জন্যই মানুষ সত্যিকারের ভালবাসা অন্যকে ভাগ দিতে চায় না। ভাগ দিতে বা ভাগ দিতে দেখলে মন কাঁদে, হৃদয় বিচলিত হয়।
ধন্যবাদ দূর্জয়। অনেকদিন পর উত্তর করতে পারলাম।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
খাটাস বলেছেন: ধর্মের দোহাই দিয়ে বহু নারী ভোগ- বিষয়টা তে মোটেই সমর্থন নাই।
কিন্তু আপনার উদাহরণ টা জমল না। সাধারণত যাহা আকর্ষণীয়, মানে মনে চায়- তাহাই ধর্মে নিষিদ্ধ। তাইলে মনের সাথে ধর্মের সব জায়গায় সংঘর্ষ। ধর্মের যুক্তি হল, মনের বিরুদ্ধে স্রস্টার নিয়ম মানাতেই মৃত্যুর পরের স্বর্গ- নরক, বেহেশত- দোযখ; যা বলেন আপনি।
আমি যদি বলি আপনি যেভাবে পোস্ট টা দিয়েছেন- তা এক ধরণের অপব্যক্ষা। মনের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে থাকাই সাধারণ অর্থে ধর্ম। সুযোগ হয়ত রাখা আছে, কিন্তু যে পুরুষ মজা লুটতে বহু বিবাহ করছে, যে প্রথম স্ত্রীকে কষ্ট দিল এক তরফাভাবে। মনের বিরুদ্ধে থাকার নীতি সে পুরুষ না মেনে তো অধর্মই করল, বাহ্যিক ভাবে যতই ধর্ম সিদ্ধ করে দেখান হোক। এক্ষেত্রে ব্যবহার দেখেই ধর্ম কে দোষ দেয়ার যুক্তি দেখি না। চাইলে অন্য ভাবে ধর্ম কে দোষ দেয়ার যুক্তি আপনার কাছে থাকতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রে নয়।
নারীর জন্য বলতে গিয়ে মাংসলোভী ধর্মান্ধ দের নামে বললেন। আমার দৃঢ় সমর্থন। কিন্তু কৌশলে - ধর্মের অপব্যবহারের জন্য ধর্মকে একটু খোঁচা দিয়ে গেলেন। আপনার কোন এক ব্লগে দেখেছিলাম, আপনি বলেছিলেন, আপনি খেলতে পছন্দ করেন সম্ভবত। দেখছি ও তাই। উদ্দেশ্য আপনি ই ভাল জানেন।
আর সুধর্ম বিষয় টা বেশ মজার বললেন। সবার হৃদয় এক জিনিস চায়। আর নিজস্ব বিশিষ্ট ও সবার ক্ষেত্রে একই হয় না। আবার একই বিশিষ্ট সবার মাঝে বিকশিত করতে গেলে, কিছু চর্চা চালাতে হবে। সেই চর্চার নীতি মালা যার কাছে থেকে নেয়া হবে, তাকে আদর্শ একক হিসেবে মেনে নেয়ার যুক্তি কি?
কারো মদ ভাল লাগে, কারো দুধ ভাল লাগে, কারো দুটোই।
যাই হোক। আমার কথা আমি বলে গেলাম। ভাল থাকবেন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক দিন পর উত্তর করছি, আশাকরি তাতে দোষের কিছু নেই।
আমার উদাহরণটি আপনার কাছে জমেনি ঠিকই, কিন্তু এই অজমানো উদাহরণ আপনাকে এতগুলো কথা বলতে পথ দেখালো!
সাধারণত যা আকর্ষনীয় তা নিষিদ্ধ নয়, যা লোভনীয়, মানুষের জন্য অকল্যাণকর সেগুলোই নিষিদ্ধ, তাই ঢালাওভাবে আপনি সব আকর্ষণীয়কে এভাবে নিষিদ্ধ বলতে পারেন না। তাহলে আজকের সভ্যতা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়াতো না। পৃথিবীতে অাকর্ষনীয় অনেক কিছুই আছে যা মনের বিরূদ্ধে নয়।
মনের বিরূদ্ধে কোন নারী তার ভালবাসার পাত্রকে অন্যকে ভাগ দিতে চায় সেটা আশে পাশে দু-একজন নারীকে জিজ্ঞেস করার জন্য অনুরোধ রইলো।
ধর্ম মানুষকে অনেক কিছু দিয়েছে, দিবেও কিন্তু এই ধর্মই মানুষকে ক্ষেত্রবিশেষে অমানুষ করছে কিনা ভেবে দেখবার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।
বললেন......... অপব্যাখ্যা।
পৃথিবীর কোন পুরুষ এক সংগে অন্য দুজন, বা তিনজন বা চারজন নারী বা মানুষকে সমান অধিকার দিতে পারে বলতে পারেন? শুধু জমি জমা, টাকা পয়সা, ধনসম্পদ সমানভাবে ভাগ করে দিলেই কি সমান অধিকার হয়? মনের সমান অধিকার আপনি কি দিয়ে পূরণ করতে পারেন? মনের সীমানা আসলে কী? আর কজন পুরুষ সমান অধিকার দেয়ার কথা বলে একাধিক বিয়ে করে?
সবসময় একটি ভুল করলে হবে কেন? ধর্ম নিয়ে কথা বললেই ধর্মকে খোঁচা দেয়া হবে কেন, ধর্ম এক কিন্তু মানুষ বহু, তাই বহুমত আসতে পারে। ধর্মকে মানুষ কিভাবে ব্যবহার করে সেটা তার উপর নির্ভর করে। যেটা আপনি মদ বা দুধ দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন।
আমি কৌশলে ধর্মকে খোঁচা দিইনি, দিয়েছি সেই মাংসলোভীদের যারা ধর্মকে অপব্যবহার করে একাধিক নারীকে ভোগ করে।
সবার হৃদয় এক জিনিষ চায়, কিন্ত চাওয়ার রাস্তা ভিন্নরকম হয়। তাই কোন একটি আদর্শকে একক হিসেবে মেনে নেওয়ার যুক্তি হলো বিশ্বাস, আমি যা বিশ্বাস করি সেটা দিয়েই যদি আমার আশা কিছুটা পূর্ণ হয় তো তাকে আদর্শ হিসেবে মানা যায়, তবে খেয়াল রাখতে হবে আমার আদর্শ যেন অন্যের মনের কষ্টের কারণ না হয়।
আমার এই লেখায় আপনার সমর্থনও আছে, সমালোচনার আছে, তার মানে এই পোস্টরে গুরুত্ব আছে।
হ্যাঁ, সবসময় মনে রাখবেন, এই ব্লগে আমি লেখোয়াড়। যে লেখা নিয়ে খেলতেই পছন্দ করে। তাহলে অনেক কিছুই সহজ মনে হবে।
খাটাস.....................
অনেক ধন্যবাদ। সাথে থাকুন।
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য ও সমর্থন করি আপনার যুক্তিকে। যেই যাই বলুক পুরুষগুলো ধর্মের দোহাই দিয়ে একের পর এক বিয়ে করে যায় যা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়।
আচ্ছা আমি বুঝি না পুরুষরা বউ ভালো লাগে না তাই আরেকটা বিয়ে করে !!! তারা কি একবার ও ভেবে দেখেছে তার বউ এর কি তার সবকিছু ভালো লাগে ??? তারপর ও ধর্মের দোহাই মেয়েগুলো সহ্য করে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কারনে। আমার মতে বহুবিবাহ আইন করে বন্ধ করে দেয়া উচিত।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
লেখোয়াড় বলেছেন:
"যেই যাই বলুক পুরুষগুলো ধর্মের দোহাই দিয়ে একের পর এক বিয়ে করে যায় যা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়"
............... এই কথাগুলো আপনার মনের কথা কিনা জানিনা। হলে ভাল।
আমার এই পোস্টে অনেক নারী এসেছেন। কিন্তু কিছু বলেননি, কারণ তাদের ভয় লেগেছে কথা বললে যদি ধর্মের বিপক্ষে যায়, যদি পুরুষদের বিপক্ষে যায়!!!!!!!!!
আসলে এখনো, নারীরাই নারীদেরকে অনেক পিছিয়ে রেখেছে, আমি সমঅধিকারের কথা বলছি।
পুরুষরা তো শুধু বউ লাগে না, তাই একাধিক বিয়ে করে না, পুরুষরা নাকি তাদের একাধিক স্ত্রীকে সমানভাবে ভরণ-পোষণের দায়িত্বই নিতেই বিয়ে করে। আচ্ছা, আপনি কি বলতে পারেন ওই পুরুষরা তাদের বউদের মনের ভরণ-পোষণ করায় কিভাবে????
আমাদের পুরুষ শাষিত সমাজে বউদের তার স্বামীর সবকিছু ভাল লাগল কিনা তা দেখার সেইসব একাধিক নারীভোগীদের সময় কোথায়??
বহুবিবাহকে আইন করে বন্ধ করতে বললেন, এটাও যদি আপনার মনের কথা তো বলি, একথা বললে, হুজুর মোল্লারা কি আপনাকে রাস্তায় বের হতে দিবে সোহানী??
কালকেই তারা আপনার নামে ফতোয়া দিবে, হা হা হা .........
আমাদের সরকার তো আবার মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ বছর করেছে, তাতে সেই সব পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টিটা আর প্রকট হয়ে উঠেছে, কেননা, এখন তো তারা আরো আগেই দুই-তিনটি নারী একসাথে ভোগ কারার সুযোগ পেল।
এখন ধর্ম আরো বেশি করে দাঁত দেখালো!!!
হা হা হা .......... এটা ২০১৪ সাল!!
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
বৃশ্চিক রাজ বলেছেন: :!> :!> :!> :#> :#> :#>
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
হাসলেন না হাসালেন?
কাঁদলেন না কাঁদালেন?
কয় বিয়ে করতে চান??
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: সুধর্ম - হৃদয় বা ভালবাসার নিজস্ব একটি সুনিদিষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেটাই সুধর্ম।
ঠিক । সুধর্মের আরো একটা বৈশিষ্ঠ আছে, বিবেক এবং সৌন্দর্য্যবোধে তাড়িত হওয়া । এখানেই সুধর্ম মানবধর্মে রুপ নেয় ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
লেখোয়াড় বলেছেন:
ধন্যবাদ মামুন, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
যেদিন মানুষের মনে ওই সৌন্দর্য্যবোধ তাড়িত মানবধর্ম বা সুধর্ম সুপ্রতিষ্ঠিত হবে সেদিন এই সংসার, সমাজ আর পৃথিবী অনেক শান্তিময় হয়ে উঠবে।
ভাল থাকেন।
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৩
ইমিনা বলেছেন: সংসার করাটাই যদি হয় কেবলমাত্র জৈবিক চাহিদার প্রয়োজনে, তবে বিয়ের মাধ্যমে সেই স্বামী/স্ত্রী সম্পর্কের প্রতি আমার কোন শ্রদ্ধাবোধ নেই।
সংসারটা হবে বিয়ের মাধ্যমে বিশ্বাস এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটা বন্ধন। এই রকম পারস্পরিক বিশ্বাস এবং ভালোবাসায় হাজারটা সমস্যা এমনিতেই পার করা সম্ভব। কিন্তু নিজের এই মানুষটিই যদি নিজেদের মধ্যকার স্বামী/স্ত্রী সম্পর্কের বিশ্বাস এবং ভালোবাসায় অপমান করে, তবে তার প্রতি ঘৃণা ও নিজের ব্যাপারে অসম্মান নিয়ে দিনরাত্রী কাটানোর মধ্যে কোন কল্যান দেখি না।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩০
লেখোয়াড় বলেছেন:
সংসারটি শুধু জৈবিক চাহিদার জন্য নিশ্চয়ই নয়, বিয়ের মাধ্যমে বিশ্বাস বা ভালবাসায় পরিপূর্ণ হবে, ভাল কথা। কিন্তু আমার আসল কথা সেটা নয়।
আমার মূল কথা হলো................
ধরুন, আপনার সংসার শুধু জৈবিক প্রয়োজনে নয়, সেখানে ভালবাসা, বিশ্বাস সবই আছে, তখনই আপনার স্বামী অন্য এক নারীকে আপনার মত অধিকার দিয়ে বিয়ে করে সংসারে আনল, তখন কি আপনার ভাল লাগবে? আপনি কি সেটা মেনে নিতে পারবেন মন থেকে??
যদি পারেন তো আমার বলার কিছু নেই।
যাহোক, আপনার মন্তব্যটি সার্বিক অর্থে তাৎপর্যময় ও সুন্দর।
ধন্যবাদ।
৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
পোস্টে কিছুটা অপব্যাখ্যা এবং কোনো একটা বিশেষ ধর্মকে কটাক্ষ করা হয়েছে, সেটা স্পষ্ট। আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় এবং খাটাসের সাথে একমত। আমার মনে হয় যে ধর্মে একাধিক বিয়ের বিধান আছে, সেই বিধান সম্পর্কে আপনাকে আরও বিস্তর অধ্যয়ন করতে হবে প্রিয় লেখোয়াড়।
প্রেম এবং সম্ভোগ কখনো এক নয়- এটা ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। যেখানে প্রেম এবং সম্ভোগ দুটোই পরিপূর্ণ, সেখানে দ্বিতীয় বিয়ে অপ্রয়োজন।
দ্বিতীয় বা ততোধিক বিয়ের ব্যাপারটা নিছক ব্যক্তির শখ পূরণ করার উদ্দেশ্যে রাখা হয় নি। স্ত্রী যখন স্বামীর যৌন চাহিদা নিবারণে অক্ষম, কিংবা কিংবা স্ত্রী পঙ্গু, তখন পরের বিয়ে সিদ্ধ। কিন্তু ব্যক্তির সামর্থ থাকতে হবে অতরিক্ত স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও যৌনচাহিদা পরিপূর্ণ রূপে মেটানোর জন্য। এ বিধানটি খুব সৎ উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে। বিধানটি না থাকলে ঐ পুরুষ তার অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর রাস্তা পেতো না, ফলে তিনি ‘জেনা’র পথে অগ্রসর হতেন, যেটা অবৈধ এবং কবিরা গুনাহ।
এবার বাস্তব প্রেক্ষাপট দেখি। কোনো কোনো পুরুষ বিয়েই করেন নি, কিন্তু পতিতা বা আশ্রিতার সাথে বা প্রেমিকার সাথে লিভ-টুগেদার করে যাচ্ছেন নিয়মিত। আবার বিয়ে করেছেন, এমন ব্যক্তিরাও হরদম অবৈধ কাজে লিপ্ত হচ্ছেন। আপনি কি এগুলোকে সাপোর্ট করছেন? এগুলো সাপোর্ট করার মতো কাজ নয়। পুরুষদের এরূপ অবৈধ বহুগামিতা রোধ করার জন্যই ধর্মে একাধিক বিয়ের বিধান রাখা হয়েছে। যিনি সঠিকভাবে সেই বিধান মেনে চলছেন না, তিনি হলেন ঐরকম- যার ঘরে বিবাহিত স্ত্রী রয়েছে, কিন্তু বাইরের নারীদের সাথেও নিয়মিত সম্ভোগ করছেন। একজন ধার্মিক ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত এক স্ত্রী দ্বারাই পরিপূর্ণভাবে তৃপ্তি লাভে সক্ষম, ততদিন পর্যন্ত তিনি পরের বিয়ের কথা ভাবতে পারেন না।
আপনার-আমার জানামতে দেশখ্যাত এমন কয়েকজন ব্যক্তির নাম বলুন, যারা একাধিক স্ত্রী নিয়ে সংসার করছেন। আমার সারাজীবনে আমার গ্রামে মাত্র এক ব্যক্তিকে দেখেছি যার দুই স্ত্রী ছিল। সেখানে ২য় স্ত্রী যৌক্তিকভাবেই বিয়ে করা হয়েছিল। আপনার পোস্ট পড়ে কিন্তু মনে হচ্ছে, আমাদের পুরুষদের ঘরে ঘরে ৩-৪টি করে স্ত্রী রয়েছে।
যদিও বা কাউকে খুঁজে পান, ঘরে একাধিক স্ত্রী রয়েছে, দেখবেন, পরের বিয়েগুলো অবৈধভাবে করা হয়েছে। সেখানে সতীনদের মধ্যে সখ্যতার বদলে তীব্র শত্রুতা বিদ্যমান। এসব ক্ষেত্রে যা ঘটে থাকে তাহলে, পুরুষ লোকটি পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়। সে ১মা স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে পরের বিয়েগুলো করে। ১ম স্ত্রী ও সেই ঘরের সন্তানদেরকে ভরণ পোষণ পর্যন্ত করে না। আর এই যে একাধিক বিয়ের ঘটনাগুলো ঘটে, এটা ধর্মীয় বিধান না মানার ফলেই ঘটে। আর এগুলো যারা করেন, তারা কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের নন, সকল ধর্মের লোক।
অতি নিম্নবিত্তদের সমাজে যেয়ে দেখবেন, ওদের কোনো বাছবিচার নেই। ওরা কত কী করে তা আপনার-আমার কল্পনার বাইরে। মুখে মুখে বিয়ে করা, এক পুরুষের যেমন একাধিক স্ত্রী রয়েছে, কোনো কোনো স্ত্রীরও হয়তো একাধিক স্বামী রয়ে গেছে, যেটা তারা নিজেরাই জানতে পারে না (আইনের কথাটা বলছি)।
প্রিয় লেখোয়াড়, আপনার ক্ষুরধার কবিতায় আমি আকৃষ্ট। কিন্তু পরপর দুটো পোস্টে আমার বিষয় অবতারণায় মনে হয়েছে বক্ষ্যমাণ বিষয়ে আপনার অগাধ অধ্যয়ন ও পাণ্ডিত্যের অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে আমিও যে অনেক জানি, তা না, কিন্তু আপনার বিষয়-অবতারণায় মনে হয়েছে আমার এতটুকু সাধারণ জ্ঞান রয়েছে এ ব্যাপারে কিছু লিখবার জন্য।
আমাদের দেশে অবস্থা এরকম কোনোদিনই ছিল না, এখনো নেই যে ঘরে ঘরে স্বামীদের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। যেখানে রয়েছে সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধভাবে একাধিক বিয়ে সংঘটিত হয়েছে।
কিন্তু যে বিষয়টি মারাত্মক ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে তা হলো পরনারী-পরপুরুষদের মধ্যে অবৈধ যৌনাচার। ঘরে স্ত্রী রেখে স্বামী বের হয়ে যার কাছে যাচ্ছেন, তিনি কিন্তু আরেক জনেরই স্ত্রী। স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই কিন্তু নোংরা পথে হাঁটছেন। এবার বলুন, যে নারী তার এক বা দুজন সতীনকে সহ্য করতে পারেন না, তিনি কীভাবে রাতের পর রাত ডজন ডজন নারীর সাথে তার স্বামীর অবৈধ সম্ভোগ সহ্য করতে পারেন?
আপনার জন্য শুভ কামনা থাকলো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
ক্ষমা করবেন..........
একসাথে একাধিক স্ত্রীরাখাকে আমি কোন দিন সমর্থন করতে পারবো না। তা সে যে ধর্মেরই হোক না কেন। কারণ কোন মানুষই তা পারে না। সম্ভব নয়।
অপব্যাখ্যা বা কটাক্ষ........... তাহলে আর একটু বলি,
আচ্ছা, ধর্মে কেন নেই যে, একজন স্ত্রী এক সংগে একাধিক স্বামী নিয়ে সংসার করতে পারবে। পৃথিবীতে এখন অনেক সম্পদশালী নারী আছে যারা অনেক অভাবী পুরুষকে সমঅধিকার দিয়ে ভরণ-পোষণ করতে পারবে।
এবার আমাকে নিশ্চয়ই পাগল বলবেন, তাইতো?
এই জন্য একাধিক বিয়ে সম্পর্কে ধর্মের বিধান অধ্যয়ন আমার পড়ার দরকার নেই।
একটু খেয়াল করুন আমি কিন্তু এক জীবনে একাধিক বিয়ের কথা বলিনি, আমি বলেছি এক সংগে একাধিক স্ত্রীরাখা নিয়ে। এক সংগে একাধিক স্ত্রীরাখা আমার কাছে লাম্ফট্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
এখানেই একজন নারীর কথা জানতে চেয়েছি। পুরুষছাড়া কোন নারীই তা সমর্থন করেনি।
"ব্যক্তির সামর্থ থাকতে হবে অতরিক্ত স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও যৌনচাহিদা পরিপূর্ণ রূপে মেটানোর জন্য" .......... এটা কোন পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আর ধর্মে এটা থাকতেও কি মানুষ পাপ করছে না? জেনা করছে না? বলবেন কম আর বেশি। হা হা ...... বিষের আবার ভালো-মন্দ।
খাটাস আর দূর্জয়ের সাথে সহমত হয়েছেন, কিন্ত তারাও আমার পোস্টের কিছু কথা সমর্থন করেছেন সেটা তো তো বললেন না।
আপনি পরের দিকে যা বলেছেন তা প্রচ্ছন্নভাবে আমাকেই সমর্থন করেছেন।
শেষে যে প্রশ্ন করছেন................ এবার বলুন, যে নারী তার এক বা দুজন সতীনকে সহ্য করতে পারেন না, তিনি কীভাবে রাতের পর রাত ডজন ডজন নারীর সাথে তার স্বামীর অবৈধ সম্ভোগ সহ্য করতে পারেন?
হা হা হা ............... আমার উত্তর...........
আপনার প্রশ্নের বিষয়টি যেমন অবৈধ, তেমনি একসাথে একাধিক স্ত্রীরাখাও অবৈধ।
আমার অগাধ অধ্যয়ন ও পাণ্ডিত্যের অভাব রয়েছে.................
আমি যদি আপনার মতো অনেক ব্যাখা দিয়ে, ধর্ম থেকে অনেক উদাহরণ দিয়ে অনেক কিছু লিখতাম, তাহলে কি আমাকে পন্ডিত বলতেন? তাহলে বলতে পারি, আপনার অনুমান ঠিকই আছে ধর্ম সম্পর্কে আমার কোন ধারনা বা জ্ঞান নেই।
তবে আমার মনে হয় ধর্ম নিয়ে বলেছি বলেই কি আমার পরপর দুটো পোস্টের কথা বললেন? আচ্চা, ধর্মে তো সব কিছু বলা আছে, তবুও কিন্তু অন্যায়, অবৈধ অনেক কিছু ঘটেই চলেছে। তাই সব কিছুকে আপনি নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারেন না। অতএব তর্ক-বিতর্ক, পক্ষ-বিপক্ষ, কটাক্ষ থাকবেই।
আচ্ছা, ধর্ম নিয়ে পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের লোকদের চেয়ে আমাদের একটি বিশেষ ধর্মের লোকদের এত অস্থিরতা কেন, এত টেনশন কেন? কেউ সামান্য একটু কিছু বললেই এত বিচলিত হয় কেন? ধর্মের বিধানসমুহ কি এতই সস্তা, এতই ভঙ্গুর?
তবে হ্যাঁ, ব্যক্তিগত দিক দিয়ে আপনি আমার থেকে অনেক বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ এটা স্বীকার করি।
অনেক দেরি করে উত্তর করতে পারলাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বড় ও ভাল মন্তব্য করার জন্য।
সাথে থাকুন, ভুল ভেঙে যাবে। ভাল থাকুন।
৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
এম এস সোহেল বলেছেন: উপরে সবাই খুব কঠিন করে মন্তব্য করছে,আমি এত কঠিন কথা বুঝিনা,মগজের অভাব আছে আমার।
তবে সবাই ধর্মের মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে বলছে।বিষয়টা যেন এমন ধর্মের বাইরে যাওয়া যাবেনা,যাই করবেন ধর্মের মধ্যে থাকতে হবে, এর বাইরে গেলে আল্লাহ এমন ডান্ডা মারবে যে হাত পা সব ফাটায় ফেলবে আখেরাতে।বিষয়টা কি আসলে তাই?
পৃথিবী সৃষ্টির পরে যুগে যুগে অনেক নবী তথা আসমানী কিতাব সৃষ্টি হয়েছে,এসবকিছু শুধু মাত্র মানুষের কল্যাণের জন্য।ইসলাম ধর্মের আগে যেসব গ্রন্থ্য গুলো নাযিল হয়েছে সবগুলো নানা কারণে বিতর্কিত হয়েছে একসময় যোগ হয়েছে বিয়োগ হয়েছে বিভাজন হয়েছে,মানুষের কল্যাণে আসা ব্যহত হয়েছে।সৃষ্টি কর্তা আবারও নবী পাঠিয়েছেন কিতাব পাঠিয়েছেন।শর্ত একটাই,মানুষ কিভাবে ভালো থাকবে থাকতে পারে।ধর্ম ঠিক এই কারণেই সৃষ্টি।সুতরাং ধর্ম মানুষের জন্য,মানুষ ধর্মের জন্য নয়।এটা পরিষ্কার,এই নিয়ে কোন তর্ক করতে আমি রাজিনা।
উপরে লেখক বলেছেন বহু নারী গ্রহণ তা নারীগন মেনে নেয় কেন বা কিভাবে বা কেমন লাগে।
একজন পুরুষের একাধিক নারী গ্রহণ করা কোন যুক্তি নেই,যদি নারী একটা মানুষ হয়ে থাকে,আর যদি নারী আসবাবপত্র জামা কাপড় হিসেবে হয় তো নিতে পারে।মানুষ হলে সকল নারী সমান,একটা নারী যা পারে অন্য নারীও তা পারে বা তার মধ্যে তাই আছে যা অন্য নারীর মধ্যে থাকে।যদি কোন পুরুষে এক নারী বেশিদিন ভালো না লাগে শুধু মাত্র ভালো লাগা না লাগা বা চাহিদার বিচারে গ্রহণ হয় তাহলে সেই পুরুষের জীবদ্দশায় এইভাবে প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হতেই থাকবে।কারণ সেটা তার মনের সমস্যা।তবে যদি কোন নারী পুরুষের সাথে থাকতে না চায় অথবা মানসিক বৈষম্য থাকে তাহলে আলাদা হয়ে নিজেরা নিজেদের প্রয়জোন অনুযায়ী নতুন সঙ্গী নির্বাচন করতে পারে,এতে কোন সমস্যা দেখিনা।কারণ সবার সাথে মনের মিল না হতে পারে।এবং ভালো থাকার জন্য মানুষ অবস্থান পরিবর্তন করার অধিকার মানুষের থাকা চাই উচীৎ।এই প্রয়োজনটা যে কোন ধরণের প্রয়োজন হতে পারে, মনের শরীরের সে যেটাই হোক।তবুও একি সময়ে একাধিক স্ত্রী লালন করা নারীকে চরম অপমান করার সামিল।
নবীজি কেন করেছেন..
সেই সময়ের প্রেক্ষাপট ছিলো ভিন্ন,যুদ্ধ লেগে থাকতো,পুরুষরা নিহত হতো এবং নারীরা বিধবা হতো বলে তাদের সমাজের কেউ মেনে নিতেননা নতুন জীবন তথা তাদের মর্যাদা দিতেই নবী করেছেন,এখনকার যুগেই যুদ্ধ হয়,পুরুষ নিহত হয়,এবং মেডিকেল স্বীকার করে নারী শিশু থেকে পুরুষ শিশু খুব বেশি দুর্বল হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বলে পুরুষ শিশুর মৃত্যুর হার এখনো বেশি,দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে হারিয়ে যেতেন,এমন সব কারণে সেই সময়ে নারী থেকে পুরুষের সংখ্যা কম ছিলো,
নবী এবং ধর্ম যেহেতু মানব জীবনের সকল সমস্যা নিয়ে বলে গেছেন সেহেতু ওনার সকল কাজ ছিলো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পথ দেখানো।পৃথিবীতে নবী থাকবেনা যখন তখন যদি এমন হয় দুনিয়াতে কোন মহামারী বা মহা যুদ্ধের ফলে পুরুষের সংখ্যা লোপ পায় তখন তার ধর্মীয় সমাধানের জন্য মানুষ কার কাছে যাবে,তাই নবী জীবদ্দশায় স্বল্প সময়ে পৃথিবীর দীর্ঘ সময়ের আগমনী সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে ডেমো বা মেডিসিন রেখে গেছেন।
এ
এই ডেমো বা মেডিসিন গুলো নবীজি রেখে গেছেন শুধু মাত্র সমস্যা বা অসুখ হলে ব্যবহার বা খেতে বলা হয়েছে,এখন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন মিষ্টি বলে আপনি অসুখ ব্যতিত খেলে ধর্ম বা নবীজির কি করার আছে বলুন?
তাই বলবো অযথাই সব বিষয়ে নবী বা ধর্ম টেনে না আনাই মঙ্গল,পৃথিবীর বয়স লক্ষ কোটি বছর,এবং সামনে আরো কোটি বছর হয়তো পরে আছে,নানা কিছু সৃষ্টি হবে,হাজার জাত মত সৃষ্টি হবে,নানা রকম মনের মানের মানুষ আসবে অনেক সময়ের ব্যপার,এসবের সব সমধান নবীর ৬০/৭০ বছর বয়সের মধ্যে সব রকম ডেমো উনি রেখে গেছেন,কিছু ডেমো এখনকার জন্য কিছু ডেমো সামনের সময়ের জন্য।সকলার খাবারে মাছ খাবেন রাতের খাবারে মাংস অথবা ডায়বেটিকস হলে রুটি,আপনি যদি সব খাবার এক সাথে খেয়ে বদ হজম করে বসেন সেখানে ধর্মের কি দোষ বলুন?
আপনি ভালো থাকুন,ভালো কাজ করুন,অন্যের উপকার করুন,কারো মনে আঘাৎ দিবেননা,কারো জীবন নষ্ট করতে যাবেননা।দুনিয়াতে অশান্তি সৃষ্ট করবেননা,সৃষ্টি কর্তা আছেন স্বীকার করুন। তাহলে ধর্মের কি দরকার?
ধর্ম এসেছে এসব জানাতে বলতে,আপনি আগে থেকে এমন চললে ধর্মের পেনপেনানি শুনে সময় নষ্ট করার মানে নেই,আর ধর্ম বেচারাকে অযথা যেখানে সেখানে সময় অসময়ে টেনে হিছড়ে ইজ্জত নষ্ট করার দরকার কি।
আপনাকে ধন্যবাদ
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৮
লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনার মন্তব্য বা আলোচনা পড়ে আমার আর কিছুই বলতে ইচ্ছে করলো না। এমনিতেই অনেক দিন পর উত্তর করছি, তাই এই পোস্টের আর আবেদন নাই।
আপনি অনেক উদারতার সাথে অনেক কথা বলেছেন। তাই এখানে আমার আর কিছু না বললেই চলবে। অনেক অনেক ভাল লাগল।
আশাকরি প্রিয় সোনাবীজ বা অন্যান্যরা আপনার কথা থেকে অনেক উত্তর খুঁজে পাবেন।
ভাল থাকুন।
৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬
সুমন জেবা বলেছেন: আচ্ছা আমি বুঝি না পুরুষরা বউ ভালো লাগে না তাই আরেকটা বিয়ে করে !!! তারা কি একবার ও ভেবে দেখেছে তার বউ এর কি তার সবকিছু ভালো লাগে ???
@সোহানী আপনার কথাটি প্রত্যেকেরই ভাবা উচিৎ।
সুন্দর বলেছেন..
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩০
লেখোয়াড় বলেছেন:
সোহানীর ওখানে উত্তর করেছি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
সুমন জেবা বলেছেন: [সংসারটা হবে বিয়ের মাধ্যমে বিশ্বাস এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটা বন্ধন।]
ভাই ইমিনা
যেমনটি বলেছেন । উনার কথায় যুক্তি আছে ।
কিন্তু এই বিশ্বাস এবং ভালোবাসার সহাবস্হান যেন দিন দিন কমতে শুরু করেছে । এটাই ভাবনার বিষয় ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
ইমিনা এবং সোহানী দুজনেই আমাদের বোন ব্লগার।
তারা দুজনেই আমার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
নারী হিসাবে তারা কেউই একাধিক স্ত্রীরাখা মেন নেয় নি।
আমার মনে হয় কোন নারী তা পারে না।
আবারো ধন্যবাদ সুমন জেবা।
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৯
এহসান সাবির বলেছেন: মন্তব্য গুলি পড়লাম।
অনেকে আরো মতামত দিতে পারে।
আবার আসবো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
ধন্যবাদ সাবির।
তবে নিজের মতামতও দিতে পারতেন।
১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৪৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ইসলাম ধর্মের বহু বিবাহ প্রথাটা অনেকাংশে নারীর কল্যাণের জন্যই করা হয়েছে। প্রির নবীজী (সা এর নিজের বিবাহের ইতিহাসগুলো পড়লেই জানতে পারবেন।
কিন্তু যারা এই বিধানকে যথেচ্ছা নিজের ভোগবিলাসের জন্য ব্যবহার করে তাদের জন্য ধর্মকে দোষ দেয়া যায় না।
যারা কোন কারণে একাধিক বিয়ে করেছেন, তাদের প্রতি স্ত্রীর জন্য যে কঠোর সমঅধিকার নিশ্চিত করার বিধান আছে, তা জানলে ও পালন করলে কোন অল্প জানা মোল্লা ধর্মব্যবসায়ী ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজের লালাসা চারিতার্থ করার সাহসই পেতনা। দোষ ধর্মের বিধানের না, দোষ পালনকারী মানুষের অজ্ঞতা ও মানসিকতার।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৬
লেখোয়াড় বলেছেন:
তাহলে একাধিক স্ত্রীর সাথে স্বামীর ঘর করতে আপনার কোন আপত্তি নেই!!! তা আপনি করতে পারলে কে ঠেকায়।
তবে এই ব্যাপারটায় আমার প্রচন্ড ঘেন্না আছে।
নবীজীর সাথে সাধারণ মানুষের তুলনা না করাই ভাল।
মন্তব্যের শেষের দিকে মোল্লাদের যাহোক একটি চাটি মেরেছেন সেটা দেখতে ভাল লাগল।
যেদিন থেকে ধর্মের সৃষ্টি হয়েছে, সেদিন থেকেই সাথে সাথে ধর্মের দোষও সৃষ্টি হয়েছে। তাই ধর্ম দোষ মুক্ত নয়। কারণ কোন কিছু সৃষ্টি হলে তার ভাল মন্দ দুটো দিকই থাকে।
ধন্যবাদ তনিমা।
১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৪০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন:
তাহলে ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্য নারীকে নিয়ে যখন আপনার স্বামীর সাথে একসঙ্গে ঘর করেন, সেটা কি আপনার মনের বিরুদ্ধে নয়? বাধ্য হয়ে নয়? তখন কোথায় থাকে আপনার হৃদয়ের অব্যক্ত ক্রন্দন, নিরব ক্ষরণ, নিদারুন যন্ত্রণা?
এই অংশ কিংবা তার আগের লাইনগুলো নিতান্তই ভিত্তিহীন প্রিয় লেখোয়াড় !
আমাদের ধর্মমতে আপনি তখনই দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন যখন প্রথম স্ত্রী সম্মত হবে এবং আপনি দুইজনকে সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার দিতে সক্ষম হবেন । প্রথম স্ত্রীর অনুমতি কিংবা সম্মতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ !
ধর্মীয় অপব্যাখ্যা কিংবা অপব্যাখ্যার সুযোগ নেয়া অন্যায় কে প্রতিহত করতে গিয়ে আমরা যদি অপব্যাখ্যাকেই ধর্ম মনে করি তাহলে তো ধর্ম ব্যাবসায়ীরা সুযোগ নেয়ার উপলক্ষ্য পায় !
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৩
লেখোয়াড় বলেছেন:
প্রিয় অভি, আমার বলা কথা বা লাইনগুলো মোটেও ভিত্তিহীন নয়। এখানেই কয়েকজন নারী ব্লগার তাদের মতামত দিয়েছেন সেটা দেখতে পারেন।
না হলে পরিচিত নারীদের কাছে এই বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন।
কিছু মনে করবেন না, যদি পারেন তো, আপনি দুইজনকে সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার দিতে সক্ষম এই কথা বলে আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রীকে বলবেন যে, আপনি আরো একটি বিয়ে করতে চান, তখন বুঝবেন আমার বলা লাইনগুলোর ভিত্তি আছে কি নেই।
সুস্থ মস্তিষ্কে কোন স্ত্রী ভরণ-পোষণের শর্তে তার স্বামীকে ২য় বিয়ে করার সম্মতি দেয়, সেরকম কয়েকটি উদাহরণ যদি আমাকে জানাতে পারেন তো কৃতার্থ হবো।
অপব্যাখ্যাই ধর্ম নয়, আসলে মানুষের মন কোথায় স্থির হয়, কোথায় শান্তি পায়, সেই ব্যাখ্যাটাই ধর্ম।
অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইসলাম ধর্মে পুরুষের ২য় বিয়েতে স্ত্রীর অনুমতির বাধ্য বাধকতা আছে ।
সত্য ধর্ম নিয়ে আমার অস্থিরতা নেই।
আমার আশংকা ধর্মের অপব্যখ্যা । ধর্মের অপব্যাখ্যা করে মানুষ যখন অন্যের ক্ষতি সাধন করে । ধর্মের অবমাননা করে ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
"ইসলাম ধর্মে পুরুষের ২য় বিয়েতে স্ত্রীর অনুমতির বাধ্য বাধকতা আছে"
........... কিন্ত কোন স্ত্রীর সে অনুমতি দেয়। তাহলে ধর্ম কি বাধ্য করে মানুষের মনকে আটকে দেয় নি?
ধর্মে আছে কিন্তু কোন স্ত্রীর মনে নেই। তাই কোন স্ত্রী তার স্বামীকে ২য় বিয়ের অনুমতি দেয় না।
ধন্যবাদ সেলিম।
১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২০
আরজু পনি বলেছেন:
একাধিক বিয়ে নিয়ে এতোদিন যা জেনেছি মুখে মুখে তার চেয়ে আর কিছু বেশি আছে বলে জানি।
সরাসরি একাধিক বিয়ে নিয়ে কোন দলিল কোরআনে নেই বলেই জানি । (ভুল হলে পরমকরুনাময় ক্ষমা করবেন)। পোষ্যদের কথা প্রসঙ্গে বিয়ের কথা/একাধিক আছে বলে শুনেছি।
আমি এখনও সরাসরি খুঁজে বের করিনি।
তবে শিরোনাম অনুযায়ী বলছি,
আমার অবশ্যই আপত্তি আছে।
আমি ভাগ দিতে পারবো না, রাজিও নই ।
শুভেচ্ছা রইল ।।
--------
আপনার একই নামে আরেকটা নিক দেখুন
http://www.somewhereinblog.net/blog/rafat006
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৯
লেখোয়াড় বলেছেন:
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
নীলব্যাধি বলেছেন: খুব করে কোমড়ে গামছা বেধে এসেছিলাম শিরোনাম দেখে যে ঝাক্কাস একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। খুব ইচ্চে ছিলো এখানে এই বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরার কিন্তু লেখক যেখানে হাত গুটিয়ে বসে আছে সেখানে আলোচনা বৃথা।
তাই মন্তব্যহীন মন্তব্যেই থাকলাম
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১১
লেখোয়াড় বলেছেন:
লেখক বাধ্য হয়ে হাত গুটিয়ে বসে ছিল। কোন উপায় ছিলনা।
তবে এখন উত্তর করতে পারছি।
আপনি এস এবার আপনার মতামত জানিয়ে যান।
ধন্যবাদ নীলব্যাধি।
১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫১
এহসান সাবির বলেছেন: কই হারালেন? অনেকে যে অনেক কথা লিখে গেল............!!
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১২
লেখোয়াড় বলেছেন:
অনেক দুরে ছিলাম।
এতদিন পর উত্তর করছি।
আশাকরি পড়বেন।
১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০১
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৩
লেখোয়াড় বলেছেন:
আপনাকেও দেরিতে শুভেচ্ছা।
ভাল থাকেন সাবির।
১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
যোগী বলেছেন:
এই পোষ্টের কথাগুলো আমিও অনেক বার ভেবেছি।
খেলোয়াড় পরে কথা হবে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
যোগীদা, আপনাকে ব্লগে বেশি বেশি আশা করছি।
নতুন রূপে।
ধন্যবাদ।
২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
অদৃশ্য বলেছেন: সুহৃদ... কি খবর টবর... ভালো আছেন আশাকরি...
শুভকামনা...
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা,
মনে করে আশার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
খেলাঘর বলেছেন:
এশিয়া ও আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার নারীরা পেছনে পড়ে থাকাতে, তাদের ভালোবাসার মানুষ অন্য নারীকে সাথী করার সময় এরা বাধা দিতে পারে না।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৯
লেখোয়াড় বলেছেন:
তাহলে বলতে পারি পেছনে পড়াদের জন্য ধর্মের নিয়ম বড় কঠোর ।
হা হা হা .....................
ধন্যবাদ।
২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
অদৃশ্য বলেছেন: সুহৃদ... অনেকদিনবাদে ব্লগে এসে কেমন যেন নিজেকে আনফিট মনে হচ্ছে... বিরতির আগে যে স্পিড ছিলো সেটা আসতে মনে হয় কিছুটা সময় লাগবে...
আপনার সাথে সেই আগের মতো কি আর কথা হবে?... নাকি আমরা দুজনই কিছুটা করে বদলে গেছি...বা আমাদের মতো আরও অনেকই অনেকটা করে বদলে গ্যাছে...
কথা বলার ইচ্ছাতো থেকেই যায়... শুভকামনা...
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৪
লেখোয়াড় বলেছেন:
মিতা,
ভাল লাগল আপনাকে দেখে।
অারে না না, আমি একদমই বদলাই নি। শুধু বয়স বেড়েছে।
কথা হবে আগের মতোই......... নিজেকে আনফিট ভাববেন না।
তবে অনেক পরিচিত ব্লগার নিয়মিত ব্লগে আসে নাতো, সে জন্যই কিছুটা খাপছাড়া লাগতে পারে।
কথা হবে আবারো, নতুন করে, নতুন সুরে।
অনেক শুভেচ্ছা।
২৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭
লেখোয়াড় বলেছেন: .
২৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪০
ফয়সাল খালাসী বলেছেন: আজকালকার মেয়েদের যে চাহিদা....... ১ বউয়ের খরচ চালানোই কঠিন..... আবার একাধিক বউ..
বিয়াই করবো না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমার কাছে যা মনে হয়, বিয়ে যদি নিছক সংসার সামলানো আর জৈবিক তারনার বিষয় হয় সেখানে বহুবিবাহ চলে আসতেই পারে।
আর ভালোবাসার বিষয় যদি আসে স্বামী স্ত্রীতে, আরেকটি বিয়ে মেনে নেয়া যায় না। আমি যদি একজনকে স্ত্রী হিসেবে ভালোবাসি, তাহলে অন্য কেউ কেন!