![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুপথ হেঁটে আমি বড় ক্লান্ত; দোর খুলে নেমেছি সেই কবে তোমার দুয়ারে দাঁড়াব বলে.
মা আগের দিনেই বলে রাখতো, কাল কিন্তু নববর্ষ; সারাদিন ভাল ভাবে চলাফেরা করিস; কোন রকমের গালাগলি যেন তোকে শুনতে না হয়; কারন? কারন কাল বাংলা নববর্ষ. এই দিনে নাকি মানুষের খারাপ কিছু ঘটলে বছরের সব দিনেই নাকি খারাপ যায়. আর মা ওটার প্রেক্ষিতেই আমাকে বলছিল. কাল যদি আমি দুষ্টুমি টা বেশি করি তাহলে মা হয়তো আমাকে গালাগালি করবে. আর বছরের প্রথম দিনে আমাকে গালাগালি করা মানে বছরের বাকি দিন গুলোতেও আমাকে গালাগালি শুনতে হবে, মা আমাকে এটাই ছোট বেলা বুঝাতো. আর আমিও মায়ের বাধ্য ছিলাম; মায়ের কথাগুলো শুনে সারাদিন মায়ের আচঁল ধরে মায়ের কাছে কাছে থাকতাম আর ভুল করার বিষয়ে ছিলাম খুবই সজাক. ওই দিন যেন আমাকে গালাগালি না শুনতে হয়; সেজন্য বাইরেও যেতাম না, খেলাধুলাও করতাম না, সারাদিন মায়ের সাথে সাথে থাকতাম. মা বিষয় গুলোকে বুঝতে পেরে মৃদু করে একটু হাসতো. মায়ের মুখে হাসি দেখে আমারও বেশ আনন্দ লাগতো. প্রাইমেরি পর্যন্ত মায়ের ওই কথা গুলো মানতাম আর বিশ্বাস করতাম. আমি এখনো মায়ের ওই কথাগুলোইকে মানি; আর বিশ্বাসের কথা বলছেন? সেটাকে কখনো অবজ্ঞা করতে পারিনি. আর এখন মনে হয় আমি অনেক বড় হয়ে গেছি; তাই হয়তো মা আর আমাকে গালাগালি করার প্রয়োজন মনে করেনা.
এতটাই বড় যে, আগের ওই দিনে গুলোতে মায়ের আচঁল ধরে ঘুড়াতাম আর থাকতাম মায়ের কাছেই. আর এখন ওই আনন্দের দিন গুলোতে মাকে কাছেইইইই পাইনা... আমি বলছি না মা তোমাকে মিস করছি. কারন এই কথা বলার মতো ওতোটা আধুনিক এখনো আমি উঠিনি মা. কাল কেন যানি স্মৃতিগুলোকে মনে করে নিমেশেই চোখে পানি এসে গেল. মনে হয় তখন খুব আবেগী হয়ে বসে ছিলাম তো তাই. ওহ্ কিছু না মা, এখন আমি অনেক বড় হয়ে গেছি অনেক বড় মা; আর আমার নরম মনটাও শক্ত হতে চলেছে কারন আনন্দের ওই দিনগুলো কাটাতে হচ্ছে তোমাদেরকে ছাড়াই; একাই মা............ একাই.
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মায়াবী রূপকথা বলেছেন:
আমারও একই অবস্থা ভাইয়া। কতটা অসহায় লাগে অনেক সময়, বলে বোঝানো যাবেনা।