![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহুপথ হেঁটে আমি বড় ক্লান্ত; দোর খুলে নেমেছি সেই কবে তোমার দুয়ারে দাঁড়াব বলে.
অফিস শেষ করে কাওরান বাজারের সিগন্যালে পয়েন্টে দাড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। পিছন থেকে এক ভদ্রলোক ডাকছে।
- বাবা; এখান থেকে সাভারের বাস পাওয়া যাবে।
- হ্যাঁ। যাবে।
- অনেকক্ষন যাবৎ দাড়িয়ে আছি কোন গাড়ি তো নিতেই চাইচ্ছে না।
- আঙ্কেল এখানে বাসে ওঠা খুব মুশকিল। সিটিং বাসের লোকজন নিতে চায় না। কষ্ট করে বাসে উঠতে হয়।
- আপনি কোথায় যাবেন ।
- জিরানী বাজার। আমার সাথে আমার স্ত্রী ও মেয়ে আছে।
- তাহলে আপনি লব্বাইক বা ওয়েলকাম বাসে যেতে পারেন। এই দুটো বাস ভাল মানের। এরা জিরানী বাজার যায়। আমিও ওই দিকে যাবো। আমার সাথে উঠতে পারেন।
- ওহ। তুমি কোথায় যাবে।
- শ্যামলীতে।
ভদ্রলোকটি আমার সাথে কথা বলার পর তার স্ত্রী ও মেয়ের কাছে গিয়ে একত্রে কথা বলছে। কথা বলার কিছুক্ষন পর তারা আমার পাশে এসে দাড়ালো। তাদের হাতে দেখি অনেকগুলো শপিং ব্যাগ। বিরক্তিকর কেমন একটা ভাব নিয়ে দাড়িয়ে আছে তারা। আমি ফোনে কথা বলছিলাম। কথা শেষ হলে ভদ্রলোকটি এসে আমাকে বলছে “বাবা তোমার বাড়ি কি উত্তরবঙ্গে”?
- কেন? বলুন তো।
- তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে; আমিও উত্তরবঙ্গের মানুষ।
একগাল হাসি উপহার দিয়ে বললাম- “হ্যা আঙ্কেল; আমার বাড়ি দিনাজপুরে।” তিনিও উত্তর দিলেন হাসি দিয়ে আর বলছেন- “আমাদেরও বাড়ি দিনাজপুর।”
যাই হোক; বিদেশের মাটিতে দেশীয় মানুষ পেলে যে অবস্থা হয় আরকি। পরিচিত বা অপরিচিত কিংবা দূরে কেউ হলেও কেমন যানি তাদেরকে আপন আপন মনে হয়। অনেক গল্প-আলাপ হল তাদের সাথে। ভদ্রলোক একটি উৎপাদন কারখানার এ্যাডমিন অফিসার। গ্রামের বাড়ি বিরামপুর উপজেলায়। তেনার স্ত্রী ও মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকে। মেয়ে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক পড়ছে, জয়পুরহাট সরকারি কলেজে। এসেছিল বসুন্ধারায়; নিজের স্ত্রী আর মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটা করতে। এরপর ভদ্রলোক আমার কাছে জানতে চায় “কি করো তুমি”।
- আমি একটা সিএ ফার্মে চাকরী করছি।
- সিএ ফার্ম। এটা কি।
- চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম। অর্থাৎ অডিট ফার্ম।
- ওহ। এর কাজ?
- ব্যাংক, ইন্ডাস্ট্রি, লিয়াজোন অফিস, কোম্পানী, বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলোর আর্থিক হিসাব-নিকাশ ও অভ্যন্তরীন অডিটের কাজ চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বা সিএ ফার্ম করে।
- ওহ; ভাল।
- তোমার পড়াশুনা।
- এমবিএ-তে পড়ছি।
সিগন্যালে পয়েন্টে লাব্বাইকের একটা বাস দাড়িয়ে আছে। ঠেলাঠেলি করে কোন রকমভাবে বাসে উঠেলাম; তারাও আমার সাথে উঠলো। একসাথেই বসেছি। দেশীয় লোক বলেই হয়তো তাদের সাথে হল অনেক কথা; কুশল-বিনিময়; আন্তরিকতা আর ভদ্রতা। ভদ্রলোক এবং তার স্ত্রী প্রাণ-উচ্ছাস নিয়ে হাসি মাখা মুখ দিয়ে আমার সাথে কথা বারিয়েই যাচ্ছে। সবশেষে ভদ্রলোক তার একটা কার্ড আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন; দিয়ে বাসায় আসার জন্য অনুরোধ করলেন। আমার কাছে ফোন নম্বর চাইছেন তিনি; আমি মানিব্যাগ থেকে আমার একটা কার্ড বের করে তেনাকে দিলাম। এটাই হল পরের শহরে নিজেদের দেশীয় মানুষ।
০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
তুমি আমি সে বলেছেন: সম্ভবত দ্বিতীয় বর্ষ
২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬
রুমি৯৯ বলেছেন: ভালোই লাগলো। ওয়েটিং ফর পরবর্তি দৃশ্য।
০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
তুমি আমি সে বলেছেন: ওয়েটিং ফর পরবর্তি দৃশ্য??
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো
০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
তুমি আমি সে বলেছেন: ভালো
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
বিজন রয় বলেছেন: সিএ ফার্ম। এটা কি।
হা হা হ .............. অনেকেই আছেন এটা জানেননা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১১
ওমেরা বলেছেন: এক্কেবারে সঠিক কথা দুরদেশে নিজার দেশের কাউকে পেলে কি ভাল আর কত্ত আপন যে মনে হ্য় সেটা আমি জানি ।
আচ্চা ভাইয়া ুনের মে্যের ব্যস কত ,আমার কেমন যেন একটু সন্দেহ সন্দেহ লাগছে !! হি হি হি হি