নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবসম্পদ ও কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থাপনা আমার পেশা হলেও, লেখালিখির মাধ্যমে নিজের ভাবনাগুলো ভাগ করে নিতে আমি সবসময় আগ্রহী।

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু

আমি ইতিবাচক চিন্তার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমার কাজ এবং কথার মাধ্যমে অন্যদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করি। আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ। আসুন, একসাথে কাজ করে সফলতার পথে এগিয়ে যাই!

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের অর্থনীতি: বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস বহুমুখীকরণের প্রয়োজনীয়তা

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩০

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুটি প্রধান উৎস হলো রেমিটেন্স এবং তৈরি পোষাক রপ্তানী। রেমিটেন্স হলো বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশে পাঠানো অর্থ। তৈরি পোষাক রপ্তানী হলো বিদেশে তৈরি পোষাক বিক্রি করে আয় করা অর্থ।

রেমিটেন্স

বাংলাদেশের জন্য রেমিটেন্স একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস। ২০১৯ সালে, বাংলাদেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ১০ শতাংশ।

রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। রেমিটেন্স দেশের ভোক্তা ব্যয় এবং বিনিয়োগেও অবদান রাখে।

তৈরি পোষাক রপ্তানী

বাংলাদেশের জন্য তৈরি পোষাক রপ্তানী আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার উৎস। ২০১৯ সালে, বাংলাদেশে তৈরি পোষাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের প্রায় ২০ শতাংশ।

তৈরি পোষাক রপ্তানী বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দেশের কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তৈরি পোষাক রপ্তানী দেশের ভোক্তা ব্যয় এবং বিনিয়োগেও অবদান রাখে।

রেমিটেন্স এবং তৈরি পোষাক রপ্তানী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন

রেমিটেন্স এবং তৈরি পোষাক রপ্তানী দুটিই বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে, মূল চ্যালেঞ্জ হলো বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের আয় কমে যাওয়া। এটি বিশ্বব্যাপী মন্দার এবং বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাওয়ার কারণে ঘটছে।

তৈরি পোষাক রপ্তানির ক্ষেত্রে, মূল চ্যালেঞ্জ হলো প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্পকে ভিয়েতনাম, চীন এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। এই দেশগুলির শ্রমিকের বেতন কম এবং তাদের উৎপাদন ব্যয় কম।

বাংলাদেশের অর্থনীতি ডাইভাষিফাই করার উপায়

বাংলাদেশের অর্থনীতি ডাইভাষিফাই করার জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:

নতুন শিল্প খাতে বিনিয়োগ করা: বাংলাদেশকে তৈরি পোষাক ছাড়া অন্য শিল্প খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। এতে আইটি, ইলেকট্রনিক্স এবং পরিষেবা খাত অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
উচ্চ মূল্যের পণ্য উৎপাদন করা: বাংলাদেশকে কম মূল্যের পণ্যের পরিবর্তে উচ্চ মূল্যের পণ্য উৎপাদন করতে হবে। এতে ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল এবং চামড়ার পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বিদেশে বাজার খুঁজে বের করা: বাংলাদেশকে বিদেশে নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। এতে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার দেশগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা: বাংলাদেশকে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হবে। এতে বিভিন্ন উৎস থেকে বিনিয়োগ আসতে পারে, যেমন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি এবং বৈদেশিক সরকার

কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উপায়

বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। এখানে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো:

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করা: বাংলাদেশকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করতে হবে। এতে যুবকদের নতুন দক্ষতা অর্জন করতে এবং ভালো চাকরি পেতে সাহায্য করা হবে।
ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়কে সমর্থন করা: বাংলাদেশকে ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়কে সমর্থন করতে হবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতির বৃদ্ধি হবে।
বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা: বাংলাদেশকে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। এতে বাংলাদেশিদের বিদেশে গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি ডাইভাষিফাই করার এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলি বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে, তবে এগুলি সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার এবং বেসরকারি খাতকে একসাথে কাজ করতে হবে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: গার্মেন্টস নিয়ে আমি ভয়ে আছি। যে কোন সময় এটা কলাপস করতে পারে। একলা 'কম খরচের শ্রমিক' তাই ব্যবসা করি ব্যবস্থার উপর বেশীদিন টিকে থাকা যাবে না।

প্রবাসীদের বেশীরভাগই আনস্কীল্ড। এদের দিয়ে বেশী ইনকাম করানোও বিপদের। তার উপরে যারা উরোপ আম্রিকায় যায়, তারা আর দেশে টাকা পাঠায় না। তারা ওদেশেই কিছু করে। খালি মালশেয়া-মিডিলিষ্টের প্রবাসীরা যা টাকা পাঠানোর বিষয়ে আগ্রহী, কারণ ওখানে এখনও সিটিজেনশিপ পাওয়া যায় না।

আমাদের 'জনসংখ্যা'কে 'জনসম্পদ' হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া বিকল্প নাই।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: শুধু সস্তা শ্রম নয়, বরং দক্ষতা, উদ্ভাবন, এবং প্রযুক্তির মাধ্যমেই আমরা বিশ্ব বাজারে টিকে থাকতে পারি। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলে, গার্মেন্টস শিল্প শুধু টিকে থাকবে না, বরং আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোশাক শিল্পে অনেক ঝড় তুফান এসেছে। ঝড় তুফান ঠেলে আমাদের পোশাক শিল্প এগিয়ে গেছে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: সামনেও এই শিল্পকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, যেমন - জলবায়ু পরিবর্তন, অটোমেশন, এবং সাপ্লাই চেইনের পরিবর্তন। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং নতুন কৌশল অবলম্বন করে এই শিল্প আরও উন্নতি করবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:২৯

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল পয়েন্ট তুলেছেন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:১৫

শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.