![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মোঃ আলী আহমেদ সুমন, আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার এফিলিয়েট মার্কেটার
স্তন ক্যান্সার : স্তন ক্যান্সার বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সমস্যা এবং মহিলাদের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। কেবল পশ্চিমা দেশগুলোতেই নয়, এই রোগ বাংলাদেরশেও বিস্তার লাভ করছে অতি দ্রুত। বাংলাদেরশে প্রতি বছর 22 হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, মারা যান প্রায় 17 হাজার। স্তন ক্যান্সারের সাফ।্যজনক কোন চিকিৎসা এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পলে তার চিকিৎসা এবং নিরাময় সম্ভব। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৮৩ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে মারা যান প্রায় ৪২ হাজার । প্রথমে কানাডায় এই মরণব্যাধির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির জন্য সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়। ক্রমে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পরে সব জাগায়। আশার বাণী হলো, স্তন ক্যান্সার রোগ আরোগের ইতহাস গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ২৭%-৩০% রোগী আরোগ্য লাভ করে নিয়মিত খাদ, পথ্য ও সুচিকিৎসার মাধ্যমে ।
স্তন ক্যান্সার কি?
স্তনের কিছু কোষ যখন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে তখন স্তন ক্যান্সার হতে দেখা যায়। পুরুষের থেকে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেশি থাকে।
স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি যাদের বেশি:
• পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
• ৫০ বছর বয়সের বেশি মহিলাদের।
• একটি স্তনে ক্যান্সার হলে অপরটিও আক্রান্ত হতে পারে।
• মা, বোন অথবা মেয়ের স্তন ক্যান্সার থাকলে।
• জীনগত (Genes) কারণে।
• রশ্মির বিচ্ছুরণ থেকে (Radiation Exposure)।
• অস্বাভাবিক মোটা হলে।
• অল্প বয়সে মাসিক হলে।
• বেশি বয়সে মনোপজ হলে (Menopause)।
• বেশি বয়সে প্রথম বাচ্চা নিলে।
• মহিলারা যারা হরমোন থেরাপী নেন।
• মদ পান করলে ।
স্তন ক্যান্সারের সাধারন কারন:
স্তন ক্যান্সার হওয়ার নির্দিষ্ট কোন কারন না থাকলেও দৈনন্দিন জীবনে এর কিছু ধারনা রয়েছে।
• ভুল সাইজের বক্ষবন্ধনী ব্যবহারঃ স্তনের আকার অনুযায়ী সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন। কেননা নয়তো এটি আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকখানি। স্তনের আকারের চেয়ে বড় মাপের বক্ষবন্ধনী স্তনের টিস্যুগুলোকে ঠিকমত সাপোর্ট দিতে পারে না আবার অতিরিক্ত ছোট বা টাইট ব্রা স্তনের তরলবাহী লসিকাগুলো কেটে ফেলতে পারে।
• বক্ষবন্ধনী সারাক্ষণ পরে থাকাঃ সারাক্ষণ বক্ষবন্ধনী পরে থাকার কারণে ঘাম নির্গত হবার অসুবিধে, আর্দ্রতা জমে থাকা, সব মিলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। ঘরে থাকার সময়টুকুতে বক্ষবন্ধনী ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।
• লেবেল না দেখে ডিওডোরেন্ট কেনাঃ আজকাল কর্মজীবী নারী হোক বা শিক্ষার্থী সারাদিনের বাইরে থাকা আর সেই সাথে ঘামের দূর্গন্ধ এড়াতে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেন প্রায় সবাইই! এতে নিজের ফ্রেশ ভাবটা যেমন বজায় থাকে তেমনি ঘামের গন্ধের কারণে অন্য কারো সামনেও বিব্রত হতে হয় না। কিন্তু এই ডিওডোরেন্ট কেনার সময় খেয়াল রাখুন কী কী উপাদান আছে এতে। এলুমিনাম বেসড উপাদান থাকলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ায়। ডিওডোরেন্ট যেহেতু আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন, তাই কোন কোম্পানির পণ্যটি ব্যবহার করবেন তা আগে একজন স্কিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নিন।
• ন্যাপথলিনের ব্যবহারঃ আলমারির কাপড়চোপড় পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচাতে নেপথলিন তো আমরা ব্যবহার করেই থাকি। অনেকে আবার বাথরুমের দুর্গন্ধ এড়াতে বেসিনের সিঙ্কেও ফেলে রাখেন কয়েকটি। কিন্তু এটি পুরোটাই ক্ষতিকর কেমিকেল দিয়ে তৈরী, যা কেবল পোকামাকড়কে ১০০ মাইল দূরেই রাখে না, বরং আপনার স্তন ক্যান্সারের ঝুকিও বাড়ায় বহুগুণে। এর চেয়ে নিমপাতা শুকিয়ে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দিন। একই উপকার পাবেন।
• ------আরো কারন সমূহের মধ্যে রয়েছে------
• যেসব মহিলার পরিবারের নিকটাত্নীয়দের কারো স্তন ক্যান্সারের ইতহাস আছে তাদের ক্যান্সারের আশঙ্কা বেশি তাকে।
• কম বয়সে (সাধারণত 12 বছরের আগে) মাসিক শুরু হওয়া।
• দেরিতে মেনোপজ বা মাসিক (সাধারণ ৫০ বছরের পর) বন্ধ হওয়া।
• মাসিক প্রথম শুরু হওয়ার সময় থেকে প্রথম গর্ভধারণের সময়ের ব্যবধান খুব বেশি হলে।
• তিরিশ বছর বয়সের পরে প্রথম সন্তান নিলে এ রোগের আশঙ্কা বেশি থাকে।
• অবিবাহিত বা নিঃসন্তান থাকলে।
• শিশুকে বুকের দুধ কম বা না পান করালে
• চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খেলে।
• অতিরিক্ত মদ বা মদজাতীয় পানীয় পান করলে।
• অতিরিক্ত মোটা হলে।
• দীর্ঘদিন রঙিন, শক্ত ও সিনথেটিক দৃব্য ব্যবহার করলে।
• তাড়াতাড়ি মেনোপজ হওয়া মহিলাদের এ রোগ বেশি হতে দেখা যায়।
• লম্বা-চওড়া মহিলাদের মধ্যে এ রোগের পকোপ বেশি।
• যাদের জরায়ূ, অন্ত্রনালি বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ইতহাস আছে তারাও ঝুঁকিপূর্র্ণ মহিলাদের দলে।
• পরিবেশ দূষণ এ রোগের জন দায়ী। এ কারণে গ্রামের মহিলাদের চেয়ে শহরের মহিলাদের এ রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়।
• শখারীরিক পরিশ্রমহীনতাও এ রোগের জন্য দায়ী হতে পারে।
• ফলমূল, শাকসব্জি একবারেই খাওয়া ছেড়ে দিলে।
• ধূমপান বা তামাক জর্দা খাওয়া।
• দীর্ঘদিন পর্যন্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়া
• দীর্ঘকাল চিকিৎসার প্রয়োজনে বা অন্য কোনভাবে মরীরে হরমোন গ্রহণ করা।
• বেশি বয়সের ছেলে মেয়েদের(৩-৫ বছর) স্তন দান করা স্তন ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ায়।
• ক্রুদ্ধ বা রাগান্বিত অবস্থায় মিশুকে স্তনদান করা।
• শিমুর দাঁত বা নখ দ্বারা স্তনে ইনফেকশন হওয়া।
• অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া ও তেল মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া। খাশি বা গরু-মহিষের মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ অধিক পরিমাণে খাওয়া।
• দুধের চা, কফি অধিক খাওয়া।
• বুক চেপে উপুড় হয়ে অর্থাৎ স্তন বিছানায় চেপে দীর্ঘদিন ঘুমানো।
• রাত্রি জাগরণ, মানসিক দুশ্চিন্তা ও অধিক রাতে ঘুমানো।
• অধিক পরিমাণে ঠাণ্ডা বা ফ্রিজের পানি খাওয়া।
• অতিরিক্ত আটশাট/টাইট জামা কাপড় পরিধান করা।
স্তন ক্যান্সার এর লক্ষণসমূহ :
• স্তন কিংবা বগলে চাকা বা দলা অনুভব করা। ঋতুচক্রের সময় অনেক মহিলার ক্ষেত্রে এ ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় এবং ঋতুচক্র পরবর্তী সময়ে তা চলেও যায়, এতে ভয়ের কিছু নেই তবে এই লক্ষণ স্থায়ী হলে তা পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। স্তন ক্যান্সার জনিত এ ধরনের চাকা বা দলায় সাধারনত কোন ব্যথা অনুভূত হয় না তবে এক ধরনের খোঁচা লাগে এমন অনুভূতি হতে পারে।
• হাতের নিচে অর্থাৎ বগলের কোথাও নির্দিষ্ট কোন কারন ছাড়াই ফুলে ওঠা।
• স্তনের কোথাও লালচে ভাব কিংবা ব্যথা অনুভব করা।
• স্তনের কোন অংশ অস্বাভাবিক ভাবে দেবে যাওয়া।
• স্তনের আকার, রঙ, ত্বকের মসৃণতা কিংবা তাপমাত্রায় তারতম্য পরিলক্ষিত হওয়া। স্তনের ত্বকে লালচে আভা এবং কমলা লেবুর খোসার মত অমসৃণতা দেখা দিলে তা এডভান্সড ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে কালক্ষেপণ না করে একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের পরামর্ষ নেয়া প্রয়োজন।
• স্তনবৃন্তে (Nipple) বিশেষ কিছু পরিবর্তন পরিলক্ষিত হওয়া, যেমন- স্তনবৃন্ত দেবে যাওয়া, চুলকানি, জ্বালা পোড়া, খুস্কি অথবা ক্ষত কিংবা ঘা এর উপস্থিতি।
• স্তনবৃন্ত থেকে অস্বাভাবিক নিঃসরণ। এ ক্ষেত্রে স্তনবৃন্ত থেকে পরিস্কার, রক্ত যুক্ত কিংবা অন্ন কোন রঙের পাতলা অথবা আঠালো তরল নিঃসরণ হতে পারে।
• চামড়ার নিচে কোন ধরনের গুটি অনুভব করা।
• স্তনে এমন যেকোনো ধরনের পরিবর্তন যা দৃশ্যতই অস্বাভাবিক।
কীভাবে নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করবেন।
আপনি তিনভাবে নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করতে পারেন।
• আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে
• বিছানায় শায়িত অবস্থায়
• গোসলের সময়
স্তন পরীক্ষার সময় আপনি কী করবেন
• আয়নার সামনে দাড়িয়ে দু’হাত সোজাভাবে কোমরের পাশে রাখুন এবং দেখুন অস্বাবাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায় কি না।
• স্তনের কোনো অংশের চামড়া কুঁচকানো বা চামড়ায় টোল পড়েছে কিনা।
• স্তনের বোঁটা ভিতরের দিকে ঢুকে আছে কি না।
• এরপর স্তনের আকৃতিগত পরিবরতন লক্ষ্য করার জন্য স্তন পরীক্ষার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপটি অনুসর করুন।
• মাথার পেছনে দু’হাত খশক্ত করে ধরুন। প্রথমে সোজা হয়ে এব পরে মাথা নিচু করে লক্ষ্য করুন।
• দু’হাত কোমরে চেপে ধুরে সামনের দিকে ঝুকে কাঁধ এবং কনুই কিছুটা সামনে ঠেলে দিন। ২ নং ও ৩নং অবস্থানে থাকাকালীন লক্ষ্য করুন দু’স্তনের অবস্থান একই লাইনে আছে কি না, কিংবা কোনও একটি স্তন বেশি ঝুলে পড়ছে কি না।
• দুই আঙ্গুল দিয়ে স্তনের বোঁটায় মৃদু চাপ দিয়ে লক্ষ্য করুন কোনও কিছু নিঃসৃত হয় কিঃসৃত হয় কি না।
• এবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এবং বিছানায় চিৎহয়ে শুয়ে নিজ হাতের সাহায্যে নিজ স্তন পরীক্ষা করুন।
• বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে কাঁধের নিচে একটি পাতলা বালিশ বা ভাঁজ করা টাওয়েল রেখে বাম হাতটি মাথার নিচে রাখুন। এবার ডান হাতের চার আঙুল দিয়ে বাম স্তনের ওপরের দিকে মৃদুভাবে চাপ দি েদেখুন কোনও প্রকার চাকা বা পিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভব করা যায় কি না।
তিনভাবে এই পরীক্ষাটি করা যায়
ক. চক্রাকারে
স্তনের সবচেয়ে বােইরের দিক থেকে শুরু করে চক্রাকারে ধীরে ধীরে কেন্দ্রের দিকে মৃদুভাবে চাপ দিয়ে দেখুন কোনো স্তনে চাকা বা পিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভব করা যায় কিন না। বুকের ওপরের অংশ এবং বগলের নিচে পরীক্ষা কতে ভলেবেন না।
খ. ওপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে ওপরে
বগলের নিচ থেকে শুরু করে হাতের আগৃল দিয়ে মৃদু চাপ দিয়ে পরীক্ষা করতে করতে স্তনের নিচ পর্যন্ত চলে আসুন। এবার কিছুটা ভেতরের দিকে আঙুলগুলো নিয়ে এসে একইভবে ওপরের দিকে ওঠতে হবে। এভাবে ওপর থেকে নিচে এবং নিচ থেকে ওপরে পুরো স্তনটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, কোনো চাকা বা পিণ্ড অনুভব করা যায় কি না।
গ. পরিধি থেকে কেন্দ্র এবং কেন্দ্র থেক পরিধিতে
স্তনের পরিধি থেকে হাতের আঙুল দিয়ে মৃদু চাপ দিয়ে মৃদু চাপ দিতে দিতে স্তনের বোঁটার দিকে আসতে হবে। একইভাবে কেন্দ্র থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পরিধির দিকে যেতে হবে। এবাবে পুরো স্তনটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, কোনো স্তনে চাকা বা পিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভব করা যায় কি না। এই পরীক্ষাটি করার সময় লোশন, পাউডার অথবা সাবান ব্যবহার করতে পারেন। যাতে ত্বকের ওপর দিয়ে আঙুলগুলো সহজে পিঝলে যায় এবং ত্বকের নিচে কোন চাকা বা পিণ্ডের অস্তিত্ব ভালবাবে অনুভব করা যায়। যদি কোনো চাকা বা পিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়, স্তনের বোঁটা থেকে কোনো ধরনের রস নির্গত হেয় বা যে কোনো ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তাহলে দেরি না করে আজই আপনার ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ করুন। কারণ একমাত্র ডাক্তারগণই বলতে পারবেন এ ধরনের পরিবর্তনের কারণ ক্যান্সার না অন্য কিছু। মনে রাখতে হবে স্তনে বেশিরভাগ চাকা বা পিণ্ডের কারণ ক্যান্সার নয়।
স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে কিচু ভূল ধারণ
• পিরয়েডের আগে ব্রেস্ট ব্যথা একটি স্বাভাবিক ঘটনা। অনেকে একে ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ ভাবেন, ধারণাটি ভুল।
• ব্রেস্টে যে কোনো টিউমারই ক্যান্সার নয়।
• বায়োপসি করলে বা (FNAC) ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন করলে সাধারণ টিউমার ক্যান্সারে পরিবর্তিত হয় না।
• স্তনের আকার খুব ছোট হলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের আশঙ্কা নেই এ কথা ভুল।
• কুমারী মেয়েদের স্তনে স্বাভাবিকভাবেই চাকার মতো থাকে।এটাকে অনেকে ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষন মনে করেন। এ ধারণাটি ভুল।
• মেয়েদের দুই স্তন প্রকৃতিগতবাবেই সামান্য ছোট বড়। অনেকে এই সামান্য ছোট বড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। আসলে এতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
স্তন ক্যান্সারের প্রতিরোধে করণীয় :
যেহেতু এ রোগটির নির্দিষ্ট কোনও কারন এখনো জানা যায়নি, তাই এই রোগ এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো উপায় বলা যাবে না। তবে কিছু বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। যা বেশ ফলদায়ক।
• নিয়মিত ব্যায়ম করুন। সপ্তাহে ১-৩ ঘন্টা ব্যায়াম স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
• শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে গ্রহণযোগ্য ওজন ঠিক রাখুন।
• চর্বিযুক্তওে বাজা-পোড়া খাবার একম পরিহার করুন।
• নিয়মিত শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
• ২০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করুন এবং মা হোন। ৩০ এর পর ১ম সন্তান নেয়া ঠিক নয়।
• এলকোহল পান সীমিত রাকুন।
• সকল সন্তানকে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ান।
• দুমপান, মদপান, পান-জর্দা খাওয়া বন্ধ করুন।
• হরমোন গ্রহ।ও জন্মনিয়ন্ত্রিণ বড়ি আপনার চিকিৎসকের পরামরশ অনুযায়ী গ্রহন করুন।
• জন্মনিয়ন্ত্রিনে প্রাকৃতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করাই উত্তম।
• বয়স ৫০-এর বেশি হলে নিয়মিত অভিজ্ঞ সার্জন দ্বারা স্তন পরীক্ষা করান।
• আঁশজাতহীয় খাদ বেশি পরিমাণে খান।
• দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে হবে।
• স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতহাস থাকলে সতরক ও সচেতন থাকতে হবে।
স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে খাদ্য ও পথ্যাদি
যে সমস্ত খাদ্য-পথ্যাদি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম সে সমস্ত সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল যেমন-টমেটো, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পিঁয়াজ,রসুন, সজনে, ডাঁটা, লাউ, কুমড় শাক, আমলকি, লেব, খেজুর, কিসমিস, তরমুজ, আনারস, শালগম, সয়াবিন, সীম, জিনসেং, কালোজিরা ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য নিয়মিত গ্রহন করতে হবে। বিশেষ করে বাঁধাকপি, িফুলকপি, গাজর, কালোজিরা স্তন টিউমার প্রতিরোধে সক্ষম। তাছাড়া নানা ধরনেরআঁশজাতীয় কাদ্য। স্পিরুলিনা, মধু, টক দধি, ঘোল ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় ভেষজ গাছপালা
ক্যান্সার চিকিৎসায় ‘নয়নতারা’ ভেষজটির নাম উল্লেকযোগ্য। নয়নতারা হতে প্রাপ্ত Vinblastine x Vincristine নামক আলকালয়েড ক্যান্সার চিকিৎসায় কারযকরী ভূমিকা রাখছে এবং উন্নত বিশ্বে এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। তাছাড়া পুঁইশাক, মেথি, সাজনা, নিসিন্দা, গাবফল, রাধুনি, কালোজিরা ইত্যাদি ভেষজ উপাদান নানা উপায়ে আন্তরজাতিক বিশ্বসহ আমাদের দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ট্যাক্সাস বা কাটা নামক এক প্রকার ওষধি গাছের পাতা থেকে প্রাপ্ত রাসায়নিক উপাদান ট্যাক্সোটিয়ার যা বরতমান বিশ্বে স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় সবচেয়ে শক্তি শালী প্রতিরক্ষা ব্যূহ এবং এটাই বরতমান বিশ্বে ক্যান্সার নিরাময়ে সবচে কারযকরী ওষধ। সাস্থ্য সম্পর্কে আরো কিছু জানতে আমার ব্লকটি একটু ঘুরে আসতে পারেন।--http://goo.gl/CzESyc
©somewhere in net ltd.