নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুত ছেলেটি

মেহেদী আনোয়ার

জানিনা

মেহেদী আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিনা চরিত (০১)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৮

০৩রা মে ১৯৮৪–এর এক পড়ন্ত বিকেলে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে বসে গল্প করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন। গল্পে গল্পে ৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রসঙ্গ উঠল। প্রসঙ্গ উঠল ১৯৭১–এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কথা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বললেন, এটা একটা সেনাবাহিনী হলো? এটা একটা বর্বর, নরপিচাশ, উচ্ছৃঙ্খল, লোভী, বেয়াদব বাহিনী। এই বাহিনীর আনুগত্য নেই, শৃঙ্খলা নেই, মানবিকতা নেই, মান্যগণ্য নেই, নেই দেশপ্রেম। এটা একটা দেশদ্রোহী অসভ্য হায়েনার বাহিনী। তোমরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কথা বলো। সাড়া বিশ্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো এত ভদ্র, নম্র,সত্য, বিনয়ী এবং আনুগত্যশীল খুঁজে পাওয়া যাবে না। কি অসম্ভব সভ্য আর নম্য তারা।পঁচিশে মার্চ রাতে তারা (পাকিস্তান আর্মি) এলো, এসে আব্বাকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব) সেলুট করল, মাকে সেলুট করল, আমাকেও সেলুট করল। সেলুট করে তারা বলল, স্যার আমরা এসেছি শুধু আপনাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। অন্য কোনো কিছুর জন্য নয়। আপনারা যখন খুশি, যেখানে খুশি যেতে পারবেন। যে কেউ আপনার এখানে আসতে পারবে। আমরা শুধু আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। আপনারা বাইরে গেলে আপনাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা আপনাদের সঙ্গে যাব। কেউ আপনাদের এখানে এলে আমরা তাকে ভালোভাবে তল্লাশী করে তারপর ঢুকতে দেবো।এসবই করা হবে আপনাদের নিরাপত্তার জন্য।সত্যিই পাকিস্তানিসেনাবাহিনী যা করেছে তা সম্পূর্ণ আমাদের নিরাপত্তার জন্যই করেছে। ২৬শে মার্চ
দুপুরে আব্বাকে (শেখ মুজিব) যখন পাকিস্তানি আর্মিরা নিয়ে যায়, তখন জেনারেল টিক্কা খান নিজে এসে আব্বাকে ও মাকে সেলুট দিয়ে আদবের সাথে দাঁড়িয়ে বিনয়ের সাথে আব্বাকে (শেখ মুজিবকে) বলে, স্যার আপনাকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আলোচনার জন্য নিয়ে যেতে বলেছেন। আমি আপনাকে নিয়ে যেতে এসেছি। আপনাকে নেয়ার জন্য বিশেষ বিমান তৈরি (স্পেশাল ফ্লাইট রেডি)। আপনি তৈরি
হয়ে নেন এবং আপনি ইচ্ছে করলে ম্যাডাম (বেগম মুজিব) সহ যে কাউকে সঙ্গে নিয়ে নিতে পারেন। আব্বা মা’র সঙ্গে আলোচনা করে একাই গেলেন। পাকিস্তান আর্মি যতদিন ডিউটি করেছে এসে প্রথমেই সেলুট দিয়েছে।শুধু তাই নয়, আমার দাদীর সামান্য জ্বর হয়েছিল।পাকিস্তানিরা হেলিকপ্টার করে টুঙ্গিপাড়া থেকে দাদীকে ঢাকা এনে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছে। জয় (শেখ হাসিনার ছেলে) তখন পেটে, আমাকে প্রতি সপ্তাহে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) নিয়ে চেকআপ করাতো। জয় হওয়ার একমাস আগে আমাকে সিএমএইচ–এ ভর্তি করিয়েছে। ১৯৭১ সালে জয় জন্ম হওয়ার পর পাকিস্তান আর্মিরাখুশিতে মিষ্টি বাটোয়ারা করেছে এবং জয় হওয়ার সমস্ত খরচ পাকিস্তানিরাই বহন করেছে। আমরা যেখানে খুশি যেতাম। পাকিস্তানিরা দুই জিপ করে আমাদের সাথে যেত। নিরাপত্তার জন্য পাহারা দিত।

আর বাংলাদেশের আর্মিরা। জানোয়ারের দল, অমানুষের দল।এই অমানুষ জানোয়ারেরা আমার বাবা-মা-ভাই সবাইকে মেরেছে–এদের যেন ধ্বংস হয়।

বইঃ আমার ফাসি চাই

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:



এমন গুণগান! তাও পাক সেনাদের! সর্বনাশ!

এই পোস্টে উহার অন্ধ ভক্তদের হৃদয় নিংড়ানো বানীর সাক্ষাৎ মিলবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.