![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২ সপ্তাহ আগে আমার জিএফ এর বিয়ে ছিল,কিন্তু বিয়ে হয়নি । কারন বিয়ের দিন আমি তাকে তুলে নিয়ে এসে ছিলাম এবং কোর্ট ম্যারেজ করে ফেলি দুইজন । আমার বাবা মা বিষয় টা আমল এ নিল না, বিধায় আমাকে বাসা থেকে বের করে দিল । অসহায় দুইটা প্রাণ ঘুড়ছিলাম । আমি ভাবলাম যত কষ্টই হোক আইরিন কে একটা থাকার ব্যাবস্থা আমাকে করে দিতেই হবে ।
হাতে কিছু টাকা ছিল । ঐই টাকা দিয়ে আইরিন কে একটা মহিলা মেস এ তুলে দিলাম । আমার কাছে প্রায় সব টাকায় শেষ । নিজেকে নিয়ে কখন ও ভাবি না আমি আর আজকে ভাববো কেন? কথায় আছে বিপদে পড়লে বন্ধু চেনা যায় । এক জন ও আমার পাশে এসে দাঁড়ায় নাই । কি না করছি তাদের জন্য । যাই হোক এটাই হয়ত পৃথিবীর নিয়ম । বড্ড স্বার্থবাদী এই পৃথিবীটা ! এই দিকে রাত হয়ে গেল । হাতেএকটা টাকাও নাই । সখের মোবাইল ফোনটা বেঁচে দিলাম রাস্তার টোকাই এর কাছে ।
টাকা হাতে কিন্তু খাইতে ইচ্ছা করছে না ।ভাবছিলাম আমি যদি একটুকষ্ট করি তাহলে আইরিন ভাল থাকবে ।এর মধ্যে আমি একটাথার্ড ক্লাস মেস উঠলাম । অন্তত আকাশের উপর ছাদ টা পেয়েছিলাম এই যা ।খুব কষ্টে একটা হোটেলে ওয়েটারের চাকরী পেলাম । নিজেকে প্রস্ন করছিলাম বারম্বার টাকাই সব কিছু !
একদিন অপরাহ্নে,হোটেল এ ১০ জন ফরেনার আসল কিন্তু কেউ তাদের খাবারের অর্ডার নিতে পারল না । আমি BBA তে অধ্যায়নরত ছাত্র তাই ইংরেজিতে কথা বলার কৌশল টা আমার আনেক আগে থেকেই জব্দ করা ছিল । তাদের সাথে কথা বলে হোটেল ম্যানেজারকে সন্তুষ্টি করে ফেললাম।
ফল্প্রসত আমাকে ফ্লোর ম্যানেজার করে দিল । বেতন ও ১৩ হাজার টাকা । আইরিন কে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য নতুন বাসা বাড়ী
ভাড়া নিলাম । দুই জন এক সাথে থাকব মনে ঝড় উঠতে লাগল । আইরিনের মেসে গিয়ে জানতে পারলাম আইরিন তার বাবার সাথে বাসায় চলে গিয়েছে । একটা মেয়ে আমাকে বলল ভাইয়া আইরিন আপু আপনাকে এই চিঠটা দিতে বলছে।
"" অমিত,যখন তুমি আমাকে বিয়ে করে সুখী করতে পারবে না কেন আমায় সুখের রাজ্য থেকে নিয়ে এসেছিলে ? তোমার অবস্থা এখন আর পাঁচটা সাধরণ ঘরের থার্ড ক্লাস ছেলেদের মত । যাই হোক তোমার বাসায় DIVORCE এর পেপার চলে যাবে প্লিয আমাকে যদি একটু ভালবাস তাহলে সাইন টা করে দিও ।""
নির্বাক দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে ছিলাম চিঠিরটার দিকে ।মাত্র ১০ টা দিন কষ্ট করতে পারল না ! ব্যার্থতা আমার ই ছিল । আমি একটা অপদার্থ ছেলে যে আইরিনকে ভালবেসে নিজের জন্মদাতা পিতামাতা কে ছেড়ে তার কাছে চলে এসেছিলাম । প্রতিদানে কি পেলাম আমি !!! ক্ষুদার্থ পেট, শ্রমিকের মত জীবনযাপন ।
আজ সেই মেয়েটির বিয়ে । সুনেছি নাকি তার অনেক অনেক টাকা । টাকার ভীড়ে হয়তবা চাপা পরে যাবে অমিত নামের ছেলেটার আর্তনাদ ।
সারমর্ম : জীবনের সব কিছুই নির্ভর করে টাকার উপর । যখন টাকা ছিল আইরিন আমারছিল আজ টাকা নেই আইরিন অন্য কারো ।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে,এবং কাল্পনিক চরিত্রে)
©somewhere in net ltd.