![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক সময় ক্রিকেটে মুঠোমুঠো সাফল্য ধরা দিয়েছে বাংলাদেশকে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজটা বেশ হতাশা নিয়েই শেষ করেছে স্বাগতিকরা। হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। টি২০ সিরিজের সেই ব্যর্থতা ঢেকে ওয়ানডেতে নিজেদের ধারাবাহিক সাফল্যধারা অব্যাহত রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জই হবে টাইগারদের জন্য। তবে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে স্বাগতিকরা কিন্তু বেশ আত্মবিশ্বাসী। দলীয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তাই অবলীলায় বলে দিচ্ছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা হবে চ্যালেঞ্জ ও অনেক বেশি আনন্দের।
বৃষ্টির বাগড়ায় বৃহস্পতিবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটের সবুজ গালিচায় খুব বেশি সময় অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফুটবল খেলে গা গরমের পরই ক্রিকেটারদের ছুটতে হয়েছে ইনডোরে। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে সেখানেই হয়েছে ব্যাট-বলের শেষ প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতি শেষে সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এলেন দলপতি মাশরাফি। সেখানেই বললেন, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা হবে একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ আর আনন্দের, 'দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক ভালো দল। তাদের বিপক্ষে ভালো খেলা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে আনন্দেরও। কারণ, আমরা যদি তাদের বিপক্ষে ভালো করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট আরেকটি ধাপে পেঁৗছবে।'
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ বাংলাদেশের জন্য কেন চ্যালেঞ্জের হতে যাচ্ছে, এরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মাশরাফি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রোটিয়ারা সবসময়ই দুর্দান্ত। হোক সেটা দেশের মাটিতে, কিংবা দেশের বাইরে। তাদের হারানো যে কোনো দলের জন্যই কঠিন। নিজের ব্যাখ্যায় এভাবে প্রতিটি পয়েন্ট ধরে ধরে বুঝিয়েছেন মাশরাফি। টাইগার দলপতি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'আপনি যদি দেখেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজে কিন্তু তারা নাম্বার ওয়ান। একমাত্র আইসিসির টুর্নামেন্ট ছাড়া যে কোনো দলেরই তাদের হারানো কঠিন। বিশ্বকাপেও তারা কিন্তু ফেভারিট থেকেই শুরু করে।'
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডেতে ফলাফলটা ভালো হবে বলে আশা করছেন মাশরাফি, 'বাংলাদেশ শেষ ৮ মাসে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বেশ ভালো করেছে। যেহেতু আমরা এই ফরম্যাটের ক্রিকেটই বেশি খেলছি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও আমাদের ভালো করার সুযোগ রয়েছে। কারণ, বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে আমরা ভালো পারফর্ম করেছি। আশা করছি, শুক্রবার ভালো কিছু দেখা যাবে।'
তিনি আরো বলেছেন, 'যেহেতু আমরা শেষ তিনটা ম্যাচ জিততে পারিনি, আমাদের বেসিকে ফিরে যাওয়া উচিত। যে মানসিকতা নিয়ে আমরা নেমেছিলাম আমাদের আবার সেখানে ফেরা উচিত।'
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন আক্রমণ নিয়ে মাশরাফি বলেন, 'সাকিব বিশ্বের সেরা বোলারদের একজন। সাকিবকে সবার ওপরে রাখতেই হবে। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম বলে একটা জিনিস থাকে, যেটা ওদের ইমরান তাহিরের অনেক ভালো। ওদের অন্যান্য বোলাররাও বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। ওদের পেসারদের সঙ্গে স্পিন অ্যাটাকও শক্তিশালী। কারণ, টি২০-তে ভালো করায় তারা কিছুটা আত্মবিশ্বাস পাবে। ওদের বোলিংকে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হবে। আমাদের স্পিনাররা এই কন্ডিশনে বাড়তি সুবিধা পাবে_ এটাই স্বাভাবিক। আমিও সেটা আশা করছি।'
টি২০-তে ছন্দে ছিল না টাইগাররা। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে তিন সেকশনে পারফরম্যান্স ছিল দুর্বল। এ প্রসঙ্গে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, 'আমি এখনো আশা করছি, বাজে দিন ছিল সেগুলো। ক্রিকেটে সব কিছু সমান চলে না। আমি আশা করছি, পুরো দলই আশা করছে, আমাদের দুটি বাজে দিন গেছে। এখান থেকে ফিরে আসা একটা ভালো দলের লক্ষণ। হার-জিত পরের কথা, অন্তত যেন-যেভাবে ইতিবাচক, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছিলাম সেটায় ফিরে আসা গুরুত্বপূর্ণ।'
ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তার দলে ফেরাটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মাশরাফি, 'মাহমুদউল্লাহ আমাদের 'কি প্লেয়ার', বিশ্বকাপে আমাদের জন্য সে অনেক কিছু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে চোটে পড়েছিল। তার দলে ফেরা এই মুহূর্তে আমাদের জন্য খুব ভালো।'
বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য নিয়ে মাশরাফি বলেন, 'আমাদের টার্গেট ভালোভাবে সিরিজটা শেষ করা। শেষ দুটি সিরিজের (পাকিস্তান ও ভারত) রিপিট করতে পারলে ভালো কিছুই হবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে হলে আমাদের সব ডিপার্টমেন্টে এক ধাপ এগিয়ে থেকে পারফর্ম করতে হবে।'
চ্যালেঞ্জ আর আনন্দের না হয়ে সিরিজটা বৃষ্টির হয়ে যাবে নাতো? সেই সম্ভাবনা কিন্তু বেশ প্রবল। বিষয়টা জানা মাশরাফিরও। তাই বললেন, 'আবহাওয়া নিয়ে তো কোনো কিছু করার নেই। দুই দলকে সেটা গ্রহণ করতে হবে। সিরিজটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিপক্ষে সিরিজটিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আশা করছি, আমরা ভালো খেলব এবং ভালোভাবে শেষ করব।
©somewhere in net ltd.