![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমার আসল ঠিকানা নয় ।মরণ একদিন মুছে দিবে দেবে সকল রঙ্গীন পরিচয় ।
মূর্খতা আর নিরক্ষরতা এক নয়। শিক্ষিতব্য আর জ্ঞান এক নয়।
বিঃ দ্রঃ এখানে আগেই বলে নেয়া ভাল যে আল্লাহর নবী রাসুলগণ এই সূত্রের বাইরে । কারণ তাঁরা পরিচালিত হতেন সরাসরি সকল জ্ঞানীর উপরে অবস্থান করা এক মহজ্ঞানীর বিশেষ তত্ত্বাবধানে ।
যদি কারো মাঝে এই চারটার যেকোনো একটা থাকে, তাহলে সে মানুষ।তবে শ্রেণীগত দিক থেকে আলাদা।
যেমন......
একটা মানুষ, তার মধ্যে এই চারটা ব্যক্তিত্বের দুইয়ের অধিক কখনো থাকবেনা।
মূর্খতা আর শিক্ষা একসাথে হতে পারবে, আবার নিরক্ষরতা আর জ্ঞান একসাথে হতে পারবে।
কারন যে শিক্ষিত, সে নিরক্ষর হবেনা আর যে জ্ঞানী সে মূর্খ হবেনা। তবে.....
শিক্ষিত আর জ্ঞানী একসাথে হলে, সে হবে মহামানব। কিন্তু আদর্শ মহামানব নয় । আদর্শ মহামানব শুধু মাত্র নবী রাসুলগণই হতে থাকে । নাহ ভূল বলেছি, অতিমানব।
তারা ভাবুক হবে, কথা হবে সংকুচিত, কাজ হবে অতিশয় সরল এবং চেষ্টা হবে কর্মঠ। এদেরকে পৃথিবী না জানলেও, পৃথিবীকে তারা ঠিকই জানবে এবং ভালো করেই জানবে।
এরা স্বভাবগত দিক থেকে জয়ী হওয়ার কামনায় থাকে, তবে নিজের গন্ডি পেরিয়ে প্রচারে ব্যস্ত থাকেনা।
তাদের ছায়া থাকে শীতল, রক্ত থাকে গরম আর ইচ্ছা থাকে প্রবল।
এদের সকল উদ্যোগে দেয়াল সৃষ্টি হয়, এরা সেই দেয়াল ভাঙেনা, দেয়াল টপকে গন্তব্যে পৌঁছায়। এদের মহাজাগতিক শক্তি থাকে মনে, শরীরে। জয় দেখার আগপর্যন্ত পিছায় নাহ। এককথায়, এদেরকে নিয়ে বলে সময় নষ্ট হয়, তাদের ভূল হলে, সেটা হবে নতুন কোনো প্রাপ্তি।
নিরক্ষরতা আর মূর্খতা একসাথে হলে, সে হবে ভয়ঙ্কর কোনো প্রাণী। যার দ্বারা শুধুই ধ্বংসই সম্ভব হবে। তার বুদ্ধি থাকবে শুধুই তার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাদের ধারনা হবে এমন, তারা সব জানবে, বুঝবে, দেখবে কিন্তু নিজের স্ববিরোধী কখনই হবেনা।
নিজের তৈরিকৃত সকল ভূলকে প্রাধান্য দিবে। যদি তাদের এই ভূলের উপর কেউ আঙ্গুল তোলে, তাহলে সেই আঙ্গুলের মালিক হবে তার আজন্মকাল শত্রু এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার উপর ব্ল্যাক স্পট লাইট পরে থাকবে।
এই ধরনের ভয়ঙ্কর প্রাণীগুলো প্রতি প্রাতে ভূল করবে, গোধূলিতে শাস্তি পাবে এবং মাঝরাতে আরেকটা নতুন ভূলের জন্য অপেক্ষা করবে। অবশেষে, প্রাতঃকালে আবার নতুন করে ভূলের রাজ্য সাজাবে।
এরা অভিশপ্ত হয়ে থাকে। এদের মাঝে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অহংকার বিরাজ করে, যা উন্নতর থেকে উন্নয়নশীলতা, অতঃপর নিঃশেষ করে দেয়। যদিওবা এরপরেও তাদের মাঝে সেই ভূলের সত্যতা থেকে যায়। এদের তথাগতি ভূলের প্রায়শ্চিত্ত করে যায়, পাশে থাকা বাগানের সুবাসিত ফুলগুলো।
এদের সমাপ্তি, অসমাপ্ত থেকে যায় শেষ পর্যন্ত।
সুতরাং, মূর্খতা+নিরক্ষরতা সম্পৃক্ত ব্যক্তি হবে অপ্রত্যাশিত ভয়ঙ্কর। এদেরকে পৃথিবীর কোনো শক্তি স্বাভাবিক করতে পারবেনা। মানে তাদের স্ব-ধারনা থেকে বের করে আনতে পারবেনা। তারা তাদের অহংকারের উপর বলিষ্ঠ থাকবে এবং আল্লাহ্ অহংকারীদের নিজ হাতে শাস্তি দিয়ে থাকেন।
©somewhere in net ltd.