![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা সামাজিক, সব জায়গাতেই নারী পুরুষ সম্পর্ক খুবই স্পর্শকাতর বিষয়।
প্রাতিষ্ঠানিক জায়গাটা হল এমন, যেখানে মানবিকতার চেয়ে দায়িত্ব ব্যাপারটা বড়। অর্থাৎ এখানে আঞ্চলিকতা বা নিজস্বতার কোন সুযোগ নেই। সবাই সম অধিকার এবং কর্ম ফলের অধিকারী। সবাইকে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ঠ থাকতে হয় সবসময়।
লিঙ্গ বা বর্ণ কোন ধরণের সীমাবদ্ধতাই এখানে কার্যকর হবেনা।সবার উপরে থাকবে প্রফেশনালিজম।কারো ব্যক্তিগত কোন ইস্যু এখানে আসতে পারবেনা। এখানে কাজটাই মুখ্য, কাজের লোক না।
কাজের চাপে এম্নিতেই ব্যক্তিগত আবেগগুলো হারিয়ে যায়।
অন্যদিকে, সামাজিক ব্যাপারগুলাতে নারী পুরুষ মানবিকতার দিক দিয়ে একই সাথে কাজ করার সুযোগ পায়। পাশাপাশি চলার এই সুযোগ থেকেই সবাই নিজের অন্তঃসত্ত্বাকে প্রকাশের সময় আসে।
মুক্তচিন্তা প্রকাশের মাধ্যমে প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব প্রকাশিত হয়। এভাবে একে অন্যের পাশাপাশি আসার সুযোগ পায়।
এভাবে তৈরি হয় নতুন সম্পর্ক। সম্পর্কের বেড়াজালে তৈরি হয় দ্বন্দ।
মতের অমীল কিংবা স্বাধীকার শূন্যতায় কাছে আসা মুখগুলো আবার দূরে সরে যায়। এক সময়কার খুব চেনা হাসি বিরক্তিতে রূপ নেয়।
দ্বন্দ কিংবা নিষ্পত্তিময় এই সমাজে হাসিখেলার ভীড়ে জীবন কেটে যায় সবার।
জীবনের জন্য সবচেয়ে ভালো যে জিনিষ্টা দরকার ,তা হল নিজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। আশেপাশের পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ।
নিজের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ।
পারস্পরিক সহিষ্ণুতা না থাকলে কখনো সংঘবদ্ধতা সম্ভব না।
নানা মুনির নানা মত এবং মতামত গ্রহণের মানসিকতা না থাকলে কখনো সমাজে বাস করা সম্ভব না।
মানুষ সামাজিক জীব কথাটার সার্থকতা এখানেই।
©somewhere in net ltd.