নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় লেখার মাঝেই

ঘাসফুল

ঘাসফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন শিক্ষার্থীর আসলে কতদূর জানা দরকার?

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৫

একজন শিক্ষার্থীর আসলে কতদূর জানা দরকার?
প্রথমত শিক্ষার্থী বা শিক্ষানবিশ শব্দটার মধ্যেই এই কথাটার অর্থ আছে, এমন কেউ যে সবসময় শিখবে। কিন্তু দেখার বিষয় হল সে প্রয়োজনীয় আর অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর কোনটা কতটা শিখছে।
একজন শিক্ষার্থীর প্রথম এবং প্রধান কাজ হল পড়াশোনা। সবার আগে তাকে পড়াশোনায় ভালো হতে হবে।
আপনি অসংখ্য ফেইলর থেকে সাকসেসফুল উদাহরণ দেখাতে পারবেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কাউকেই দেখাতে পারবেনা যে কোন একটা ব্যাপারে কম জেনে সেক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে।
হালের সবচেয়ে প্রচলিত উদাহরণ হল গেটস এবং জাকারবার্গ পড়াশোনা শেষ করেনি।
এখানে দেখুন, তারা শেষ করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা। কিন্তু তারা ওসব বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়েছে। তারমানে ওটা শেষ করার যোগ্যতা তাদের ছিল।
গেটস হার্ভার্ড এ ভর্তি হয়েছিলেন। তারমানে তার মতো ফেল থেকে সাকসেস হতে হলে আপনাকে আগে হার্ভার্ডে চান্স পেয়ে তারপর ফেল করতে হবে। তাহলে হার্ভার্ডে চান্স পাওয়ার যোগ্যতা আপনার থাকতে হবে, যেটা ভালো পড়াশোনা ছাড়া সম্ভবনা।
গেটস পোগ্রামিং এ ভালো ছিলেন। পোগ্রামিং যে ভালো পারে সে অবশ্যই গণিত ভালো পারে।।এগুলার জন্য আপনাকে ওসব বিষয় ভালো পারতে হবে। যার জন্য বিদ্যালয়ের পড়াশোনা দরকার।
মানে আপনাকে ওরকম ফেল করার জন্যেও পড়াশোনায় ভালো হতেই হবে।
দেশের যারা সফলতম ব্যক্তি আছেন, তাদের মধ্যে প্রথমে আসে ড. ইউনুসের কথা, যিনি সমাজসেবা মূলক কাজের জন্য সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন। কিন্তু তার আগে তিনি একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভালো মার্কস নিয়ে মাস্টার্স। এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি।
তারপর তার কাজে সফল।
ড. আবেদ, তিনিও একজন মেধাবী ব্যক্তি।
বাংলাদেশি বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান বিশ্ব কাপাচ্ছেন, তিনি পড়াশোনা ভালো করেই ওরকম হয়েছেন। স্কুল ফাকি দিয়ে নয়।
ওনাদের আমলে সৃজনশীল পদ্ধতি ছিলনা, কিন্তু সৃজনশীল হতে ওনাদের কষ্ট হয়নি।
এখন আসল কথা, একজন শিক্ষার্থী কতটুকু বিষয়ে জানবে? বা কি কি ব্যাপারে তার জানা উচিৎ।
আমার উত্তর, আপনি যা করতে চান, সেটা নিয়ে আপনাকে পুরোপুরি জানতে হবে।
এখন প্রশ্ন হল, আপনি যা করবেন সে কাজটা কেমন হবে?
আমার সবসময় প্রিয় শব্দ হল, আন প্রোডাক্টিভ কাজ বা চিন্তা করা যাবেনা। এমন কিছু করা বা ভাবতে হবে যা নতুন ভালো কিছু আনে।
আপনার ইচ্ছা গেমিং কন্টেস্ট এ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এটা কোন প্রডাক্টিভ কাজ না। বরং ওরকম গেম তৈরি করাটা প্রডাক্টিভ কাজ। সেরকমভাবে গেম উপভোগের চেয়ে সেই কাজটা নিজে করার ব্যবস্থাটা আসল।
মুখস্থ বিদ্যা কাজে কম আসে, কিন্তু যাদের সৃতিশক্তি ভালো, তারাই রেজাল্টে সবার সেরা থাকে।
প্রশ্ন ছিল একজন শিক্ষার্থী কি কি বিষয়ে জানবে। আমার উত্তর হল সে তার পাঠ্যসূচির সবগুলা বিষয়ে একদম পরিপূর্ণ জানতে হবে। কিছু যদি গ্যাপ থাকে, তাহলে সে নিজেকে ওই শিক্ষায় প্রতারিত করেছে।
যে ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য বুয়েটে চান্স পায়, আমি বলে দিতে পারি সে তার পাঠ্যসূচির যেকোনো সমস্যার সমাধান দিতে সবসময় প্রস্তুত। মানে কোন গ্যাপ নেই।
যে ছেলে মেডিকেলে চান্স পায়, সে মেডিকেল সম্পর্কিত বইয়ের সবকিছু নিয়ে ধারনা রাখে এবং ওগুলাতেই সে ওস্তাদ। তবে এরবাইরের বিষয়গুলো জানলে সেটা এক্সট্রা অর্ডিনারি।
কিন্তু বই ফাকি দিয়ে কেউ ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হয়েছে, এটা অসম্ভব।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এ যে মেয়েটা মেডিকেলে ফার্স্ট হয়েছে, সে জাস্টিন বিবারকে চেনেনা। কিন্তু বইয়ের যেকোনো জায়গা থেকে প্রশ্ন করে তাকে আপনি আটকাতে পারবেন না।
যে ছাত্র গবেষণায় সেরা, দেখা যাবে সে ওই বিষয়ের সব জানে, কিন্তু এর বাইরে কিছু জানেনা। আমার মতে এর বাইরে জানার তার কোন দরকারই নেই। বরং সবজান্তা হয়েই দেখা যায় কাজের কিছু পারছেনা।
আমার পরিচিত এক মেডিকেল শিক্ষার্থী আছে, যে তার সাব্জেক্টে খুব ভালো, কিন্তু ভালোভাবে মোবাইল চালাতে জানেনা। একটা এন্ড্রয়েড ফোনের সব ফাংশন জানা তার কোন দরকার নেই। তেমনি বিশ্ব কোথায় গেলো, কার সাথে কার কবে খেলা এটাও তার জন্য কোনভাবেই প্রয়োজনীয় নয়। এবং এটাই তার সাফল্যের ভিত্তি।
আরেকটা কথা, গবেষণা, ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তারিতে কেউ প্রথম বা দ্বিতীয় হয়না। এখানে সবাই সফল যতদিন সে ওসব নিয়েই পড়ে থাকে। কেননা এতেই কিছুনা কিছু মঙ্গল অবশ্যই আসে।
সেক্ষেত্রে আমার কথা, সাফল্যের জন্য, নিজের পাঠ্যবইটা ভালো করে জানলেই, খুঁজে খুঁজে দুনিয়ার তথ্য মাথায় নেয়া লাগেনা, দুনিয়া আপনার খবর নিবে এরপর...

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.