বছরের শেষ পোস্ট: আর কিছু কথা

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৩

প্রথমেই আগাম শুভেচ্ছা সবাইকে। আশা করি সামনের বছরটা ভালই কাটবে সবার। সবাই প্রস্তুত হয়ে আছেন ২০১১ সালকে বরণ করে নেয়ার জন্য। যে যার যার মত প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন। কেউ হয়ত ১২ টা বাজার সাথে সাথেই হই হুল্লোড় এ মেতে উঠবেন বন্ধুবান্ধবদের সাথে। কেউ বা হয়ত বাসায় বসেই উপভোগ করবেন। কেউ বা হয়ত রাত বিরাতে যত রকম ভাল / খারাপ কাজ আছে সব করবেন। উপভোগ করুন ভাল কথা কিন্তু সেটা যেন খুব বেশি না হয়ে যায়।



যাই করুন না কেন তা হবে সবার সামনে অথবা কিছু কিছু ঘটনা ঘটবে সবার অন্তরালে। অন্তরালে যে গুলো কাজ হবে তা হয়ত কেউ জানবে না। আর এভাবে করেই হয়ত ধামাচাপা পরে থাকবে এসব ঘটনাগুলো। আমরা জাতি হিসেবে বেশ অলস কিন্তু চরম আমুদে জাতি। সব কিছুতেই আমাদের উপস্তিতি গরমা গরম। আর তাই তো মাঝে মাঝে আমাদের কিছু কাজ কারবার শোভনীয় থাকে না। আমরা নিজেরাও তখন বুঝতে পারি না কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ।



এভাবেই আমরা দিনের পর দিন চলছি। এ অবস্থার উন্নতি হয়ত আমাদের দ্বারা সম্ভব নয়। এই দিনে মনে পড়ে গেল আমাদের জাতির জন্য কলংকময় একটা দিনের কথা। যেখানে এক নারীকে ঘিরে রেখেছিল কিছু সংখক পশু আর তার শ্লীলতাহানি চলছিল দেদারসে। পশুকেও হার মানিয়েছিল সেই সময়। আজকে যদি আপনার মা বোন এর উপরেও এমন করা হয় সে সময় আপনদের লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যাবে। জীবনটাই বৃথা হয়ে যেতে পারে আপনার বা আপনার পরিবারের।



এই 31st night উৎযাপন করতে যেয়ে আমাদের নিজেদের মানসিকতাকে বার বার কলুষিত করেছি। কেন এত বেহায়া আর বেশরম এর মত আমাদের আচরণ হয়ে যাচ্ছে দিন কে দিন সেটা আমরা নিজেরাও হয়ত জানি না। এত কিছুর ঘটে যাওয়ার পরও আমরা নিজেদেরকে শোধরাতে পারি না।



বিদেশেও মনে হয় না এরকম বেহায়া এর মত কাজ কারবার করা হয়। মাতলামী, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ সহ সব কিছুই চলে এই সময়টায়। এমন কি নিজের প্রেমিকাকে নিয়ে গোপন অভিসার চলে যা বেশির ভাগ সময় গোপনই থাকে। বিভিন্ন বারগুলোতে, হোটেলে কিংবা চিপা অলিগলিতে, কিংবা বাসা বাড়িতে সন্ধার পর থেকেই শুরু হয় উচ্চ আর মধ্য বয়সী যুবক যুবতী এমন কি বয়স্কদেরও আনাগোনা। সবকিছুতেই যে একটা লিমিট থাকা দরকার সেটা আমরা বার বার ভুলে যাই।



আর এখানে যারা আছেন তারা সব বুঝে শুনেই আসেন। কেউ পবিত্র হয়ে এসে ওখানে বসে থাকেন না। তাদের মনের খায়েশ পুরণ করে যান এখান থেকেই। মেয়েরাও কম যান না। তারাও চরম আমুদে হয়ে থাকেন এই সময়। কিন্তু কোন রকম অঘটন ঘটলেই শুরু হয় একে অন্নের প্রতি দোষ দেয়া, মারামারি কাটাকাটি। কিন্তু এখানে যে ২ পক্ষেরেই যে দোষ থাকে সেটা হয়ত তারা বুঝতেই পারে না।



কারণ যেই মেয়েটা বা মেয়েরা এসবের শিকার হন তারা নিশ্চয় বোরখা পরে আসে না। তারা যেভাবে যায় ওখানে তাতে কোন হাতেম তাই টাইপ এর লোকজন থাকে না যে তাকে মিনিট এ মিনিটে সালাম দিয়া বেড়াবে। আর এ জন্যই এসব ন্যাক্কারজনক কাজ বারবার হচ্ছে আমাদের দেশে। কিন্তু এর প্রতিকার আমাদের কাছে নেই যতক্ষন না আমাদের নিজেদের মধ্যে একটা বোধশক্তি জাগ্রত হয়।



এবার ও হয়ত লোকচক্ষুর অন্তরালে অনেক কিছুই ঘটে যাবে যতই সরকার নিরাপত্তা জোরদার করুক না কেন।

১২ টি +৩/-০