![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কখনও কখনও সন্দেহবাতিকতার সমস্যা কিংবা অবিশ্বাস সম্পর্কে ফাটল ধরায়। কিন্তু, কখন বুঝবেন আপনার সন্দেহ অমূলক নয়? আপনার আশঙ্কা সত্যি কিনা, তা নিচের লক্ষণগুলির সঙ্গে মিলিয়ে পরীক্ষা করে নিন। অবশ্য, চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ভার্চুয়াল জগৎ তৈরি হওয়ার পর প্রেম-প্রতারণার হারটা অনেকটাই বেড়েছে। ডিজিটাল প্রতারণায় অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু, প্রত্যক্ষ প্রেমের ক্ষেত্রে নিচের লক্ষণগুলো অনেক সময় চোখ এড়িয়ে যায়:
১) ক্রমেই কেমন যেন পছন্দের মানুষটির আপনার কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার একটা চেষ্টা। হঠাৎ ফোন এলে হয়তো একটু দূরে বা আড়ালে গিয়ে কথা বলার প্রবণতা। কিন্তু, আপনাকে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পেতে দিচ্ছেন না।
২) প্রেমের সম্পর্কের শুরুটা মোটেও এভাবে হয়নি। আপনি মোবাইলে কল দেয়া বা টেক্সট মেসেজ পাঠানোর আগেই আপনার মোবাইলে প্রিয় মানুষটির অহরহ কল। মেসেজ ইনবক্সেও হয়তো জায়গা খালি নেই। অথচ, বেশ কিছুদিন পর কেমন যেন একটু বিবর্ণ মনে হচ্ছে নিজের মোবাইলটাকে। এখন আপনাকেই বারবার ফোন করে তার খোঁজ নিতে হয়। হয়তো কল করে বা মেসেজ পাঠিয়েও মাঝে-মধ্যে কোন রেসপন্স পাচ্ছেন না।
৩) আপনার প্রিয় মানুষটি হয়তো কোন সঙ্গত কারণ ছাড়াই আপনার সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ছেন।
৪) যদি মাঝে-মধ্যেই পছন্দের মানুষটির মধ্যে মিথ্যা বলার প্রবণতা লক্ষ্য করেন, তবে সাবধান। আপনি হয়তো মিথ্যাটা বুঝতে পেরেও চুপ করে আছেন। সময় নিয়ে আরেকটু পর্যবেক্ষণ করুন।
৫) আপনার সঙ্গে প্রিয় মানুষটি বা তার পরিচিতদের আচার-আচরণ, কথাবার্তায় যদি কিছুটা পরিবর্তন বা আসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করেন, তবে সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। হয়তো তার বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিতরা এমন কিছু জানছেন, যা আপনি জানতে পারছেন না। কিংবা সবার শেষে জানছেন। হয়তো সবার মধ্যেই আপনার বিরুদ্ধে একটা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করা হয়েছে।
৬) পছন্দের মানুষটি হঠাৎ করেই যেন নতুন পোশাক পরিধান ও মেক-আপ করার ওপর একটু বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। নিজেকে দেখতে কেমন লাগছে, তা নিয়ে যেন একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। আর সেটা আপনার জন্যে না হয়ে যদি অন্য সময় বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে এবং প্রায়ই ঘটতে থাকে, লক্ষণটা ভালো নাও হতে পারে।
আর ছেলেরা যে জিনিস গুলি লক্ষ্য রাখবে তা হলোঃ
নিচের সমস্যাগুলি যদি কোন ছেলের ক্ষেত্রে ঘটে, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার সাধের প্রেয়সী আর আপনার নেই।
ভালোবাসার সম্পর্ক একতরফাভাবে কখনোই এগোয় না। সবকিছুতেই দুজনের সম্মতির প্রয়োজন হয়। দুজনের পাশাপাশি থেকে একে অপরকে বিশ্বাস করে, ভরসা করে ও সমর্থন করে ভালোবাসা আরও গভীর করে নেয়া যায়। সবাই নিজের ভালোবাসার সম্পর্ক আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চান। কেউই চান না তাদের সম্পর্ক একটি ঠুনকো কাচের মত ভেঙে যাক। কেউই প্রস্তুত থাকেন না অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক ভাঙনের জন্য। কিন্তু তারপরও সম্পর্ক ভাঙে, জীবনে আসে বিচ্ছেদ। অনেক কারণই থাকে যার কারনে ভালোবাসার সম্পর্কে ভাঙন আসতে পারে। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাঙনের ধাক্কা সামলে ওঠা অনেক বেশি কষ্টের। আচ্ছা, যদি আপনার ভালোবাসার নারীটি ভালোবাসার সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চান? ভালোবাসার মানুষটির আচার আচরনের দিকে একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই কিন্তু সম্পর্ক ভাঙনের লক্ষণ দেখে নেয়া যায়।
আপনার পছন্দ অপছন্দের প্রতি খেয়াল না রাখাঃ
মেয়েরা তার প্রেমিকের পছন্দ অপছন্দগুলোকে অনেক বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। মুখে না বললেও অনেক ব্যাপারই আছে যা মেয়েরা প্রেমিকের পছন্দে করে থাকেন। প্রেমিকের অপছন্দের জিনিষগুলো বাদ দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু যদি দখেন আপনার প্রেমিকা আপনার বারবার নিষেধ না মেনে আপনার অপছন্দের কাজটি বেশ মনোযোগের সাথে করে যাচ্ছেন তবে আপনাকে বুঝে নিতে হবে তিনি আর চান না যে আপনি তাকে কিছু বলুন। তিনি আপনার কাছ থেকে সরে যেতে চান বিধায় আপনার পছন্দ অপছন্দ এখন তার কাছে কিছুই নয়।
কথা বলতে অনীহা প্রকাশঃ
সাধারনত মেয়েরা একটু বেশী কথা বলে। সারাদিনে কী কী হলো তা নিজের ভালোবাসার মানুষকে বলার জন্য অস্থির থাকেন অনেকেই। অনেক ধরনের কথা বার্তা, আবদার মেয়েদের সাধারণ প্রবৃত্তি। কিন্তু যদি আপনার প্রেমিকা আপনার কাছে থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তবে তিনি কথা বলতে চাইবেন না। ফোন দিলেও নানান অজুহাত দেখিয়ে ফোন রাখার জন্য উঠেপড়ে লাগবেন। মোটকথা কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করবেন।
নিজেদের মধ্যে লুকোচুরিঃ
প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে যদি যে কোনো একজন লুকোচুরি করে তাহলে সেই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। দুজনের কাছে দুজন স্বচ্ছ না থাকলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং মনে সন্দেহের জন্ম হয়। ফলে সেই সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়। সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি দুজন দুজনের কাছে স্বচ্ছ না থাকে তাহলে সেই সম্পর্কটি ভেঙে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
যে ধরনের প্রেমিকরা সম্পর্ক প্রকাশ করতে লুকোচুরি করে তর সাধারনত বিয়ে করতে চায় না। হঠাৎ চলার পথে বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেলে সে আপনার হাত ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে গেলে, কিংবা ফেসবুক থেকে আপনার সাথে ট্যাগ হয়ে যাওয়া ছবি কারণ ছাড়াই আনট্যাগ করে দিলে আপনি আগেই সাবধান হয়ে যান। সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৎ থাকার ইচ্ছা থাকলে আপনার প্রেমিক আপনাকে তার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবে এবং আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোচুরি করবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
মোঃ নবিন আলী বলেছেন: বেসম্ভব লিখা